আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই নির্বাচন প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় না দলগতভাবে তারা (জাপা) নির্বাচন থেকে সরে যাবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন বর্জন করছেন। এ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, তারা কেন ভোট বর্জন করেছে এটা তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলেই ভালো উত্তর পাবেন। তারা যদি বর্জনই করবে তাহলে আমরা কেন আলোচনা করলাম?
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি যে ৫টি আসনে নির্বাচন থেকে সরে গেছে সেগুলো তো কম্প্রোমাইজের সিট নয়। তারা ২৮৭ জন প্রার্থী দিয়েছে, এর মধ্যে ২/৪ জন সরে যেতেই পারে। জাতীয় পার্টির ইতিহাস কী বলে? এরশাদ সাহেবের সময় এবং পরে জাতীয় পার্টির আসন সংখ্যা কত ছিল ? মহাজোট ছেড়ে সরকার গঠনের মতো আসনের ধারে-কাছেও তারা নেই। সরকার গঠনের অনেক উপরে তারা প্রার্থী দিয়েছে। এখন কোনো অসুবিধার জন্য কেউ যদি নির্বাচন করতে না পারে, সেটা তাদের বিষয়।
তিনি জানান, তাদের (জাপা) সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আমার মনে হয় না দলগতভাবে তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, আমরা অবিচল এবং অটল। আমাদের ওপর এই নির্বাচন ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব। আমরা যে কোনো মূল্যে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করব, সেই প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে তাদের যে ভূমিকা, যেভাবে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছিল, নির্বাচন কেন্দ্র, সরকারি অফিস, বাসে-ট্রেনে আগুন, রাস্তা কেটে ফেলা, ৫ শতাধিক মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা। এবারও তারা ব্যর্থতা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা নিজেদের জনগণ থেকে যথেষ্ট বিচ্ছিন্ন করেছে, যা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন