ফার্মেসির দুর্বলতায় ওষুধ নিয়ে দুশ্চিন্তা
সারা দেশে চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে ভিড় বাড়ছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে ওষুধ সেবনের প্রয়োজনীয়তা। অস্বাভাবিক এই গরমে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নিয়ে তৈরি হয়েছে আরেক দুশ্চিন্তা। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অধিকাংশ ফার্মেসিতে (দোকান) ওষুধ সংরক্ষণের জন্য উপযোগী তাপমাত্রা বজায় রাখা যাচ্ছে না। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
শুধু এ বছর নয়, প্রতি এপ্রিল, মে ও জুন জুড়েই দেশের বেশিরভাগ এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশে যথাযথ তাপমাত্রায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে অনেক ওষুধই মানবদেহের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন ফার্মাসিস্টরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত বাংলাদেশের বেশিরভাগ ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি টিনশেডের। যেখানে সিংহভাগের রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থাই নেই, সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তো বিলাসিতা। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা হলো, সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করতে হবে। আর কিছু কিছু সংবেদনশীল ওষুধ মাইনাস তাপমাত্রায়ও রাখতে হতে পারে। তা না হলে ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। সে রকম কোনো ওষুধ সেবন করলে সুস্থতার পরিবর্তে শারীরিক ক্ষতির কারণও হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘দেশে প্রায় ছয় মাস গড় তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে। অথচ ওষুধ সংরক্ষণের জন্য ঘরের তাপমাত্রা হতে হবে ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা না হলে ওষুধের তিন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। প্রথমত অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ওষুধের কার্যকারিতা হারাতে পারে। দ্বিতীয়ত ওষুধের লাইফটাইম বা মেয়াদকাল (নির্ধারিত সময়ের আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া) কমে যেতে পারে। তৃতীয়ত ওষুধে ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাড়তে পারে।’
জাতীয় ওষুধ নীতিতেও ফার্মেসিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং রেফ্রিজারেটর থাকা বাধ্যবাধকতা। অথচ শুধু ফার্মেসি নয়, সরকারি অনেক হাসপাতালেও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণে উদাসীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচলিত সব ধরনের ওষুধ মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত—বায়োমেডিকেল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং জেনারেল মেডিসিন। এর মধ্যে সব ধরনের ইনসুলিন, প্রতিষেধক ভ্যাকসিনসহ বায়োমেডিকেল ধরনের ওষুধ ৪ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে। ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকজনিত অ্যালার্জি, চোখ ওঠা, পেটের পীড়া, লাইম রোগ, ডায়রিয়া, যক্ষ্মা, কলেরা, মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, মূত্রনালি প্রদাহ, যৌনবাহিত রোগ সিফিলিস, গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া, পেনিসিলিনসহ অন্যান্য রোগের অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত ১২ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এ ছাড়া দেশে প্রচলিত অন্যান্য সাধারণ ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল জাতীয় ওষুধ ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ওষুধের কার্যকারিতা ও মেয়াদকাল কমে যেতে পারে। এসব ওষুধ ব্যবহার করলে জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা না হলে অর্থ খরচ করে ওষুধ খেয়েও কাজ হবে না জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এ বি এম ফারুক কালবেলাকে বলেন, ‘বেশি গরমে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। আমরা বারবার বলে আসছি, ফার্মেসিগুলোতে যেন এসি রাখে। তা না হলে দোকানদারের অজান্তেই ওষুধের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ অর্থ খরচ করে ওষুধ কিনে খেয়েও কাজে আসবে না।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি বা ওষুধের দোকান সংখ্যা ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৫টি। এর মধ্যে মাত্র ৫২৮টিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরেও নিবন্ধনহীন অনেক ফার্মেসি রয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে সরেজমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় দেখা গেছে, ওয়েলবিং, লাজফার্মা, একেএস, পারুল ফার্মেসিসহ হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরে অন্তত অর্ধশত দোকানে নেই কোল্ড চেইন বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। তবে রেফ্রিজারেটর ব্যবস্থা রয়েছে অধিকাংশের।
ঢামেক হাসপাতালের দক্ষিণ গেট সংলগ্ন একটি ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী কালবেলাকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ না করলে গুণগত মান কমতে পারে, বিষয়টি আমরাও জানি। কিন্তু প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে কেউ খরচ বাড়াতে চায় না। তাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি স্থাপন করে খরচ বাড়াতে চাই না। তবে সংবেদনশীল ওষুধ রেফ্রিজারেটরে রাখি।’
রাজধানীর ধানমন্ডি-২ নম্বর সড়কে পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিপরীতে ধানমন্ডি ফার্মেসিতে গিয়ে কথা কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম পরিচালক জাবের আহমেদের সঙ্গে। তিনি নিজেও একজন স্নাতক ফার্মাসিস্ট। তিনি জানান, ধানমন্ডি এলাকায় তাদের দুটি শাখা আছে। দুটোতেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে।
জাবের আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করা খুব জরুরি। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। অর্থ খরচ করে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ কিনে ভোক্তা প্রতারিত হবে। তবে ব্যবসায়িক চিন্তা থেকে অনেকেই এসব বিষয়ে উদাসীন, যা মোটেও কাম্য নয়।’
ওষুধ বিপণন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে মডেল ফার্মেসি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগও এখন থমকে গেছে। এ অবস্থায় সারা দেশে ফার্মেসিতে সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণে নজরদারি বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে উদাসীন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। দেশের সিংহভাগ ওষুধের দোকানে নেই কোল্ড চেইন বা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণের ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে মাঠপর্যায়ে ওষুধের সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, ওষুধ শিল্প সমিতি, ওষুধ মালিক সমিতি, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নয়তো অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়।
জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশ ভারতেও প্রসূতি ও নবজাতকদের মৃত্যুর ঘটনায় ওষুধের কোল্ড চেইন ঠিকমতো কাজ না করার অভিযোগ উঠেছিল। সেখানে জনস্বার্থে বিষয়টিতে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এতে সে দেশে ওষুধ সংরক্ষণের সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ওষুধ রক্ষণাবেক্ষণ যেন নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেদিকে কড়া নজরদারি বজায় রাখে। সৌদি আরবের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি (এসএফডিএ), মালদ্বীপে মালদ্বীপস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি (এমএফডিএ), ঘানায় ফুডস অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি ওষুধ সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় তদারকির ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ওষুধের মান ও বিপণন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। ওষুধ রক্ষণাবেক্ষণে অন্যান্য দেশের মতো তাদেরও আরও কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘তীব্র তাপপ্রবাহের পাশাপাশি দেশে এখন বিদ্যুৎ বিভ্রাটও রয়েছে। এ কারণে রেফ্রিজারেটরেও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। অনেক ওষুধ আছে তাপ সংবেদনশীল। তাদের মাইনাস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। ওষুধের প্যাকেটে লেখা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। স্টোরে এর বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করলে কার্যকারিতা থাকবে না। এতে যে সমস্যা হবে, ওষুধ খেয়েও রোগ সারবে না। কোনো ক্ষেত্রে বিপরীতও হতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আবার সংক্রমণজনিত রোগের ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সুতরাং এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। এ বিষয়ে জাতীয় ওষুধ নীতিমালায়ও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু ফার্মেসি নয়, সরকারি হাসপাতালের ওষুধ সংরক্ষণের স্টোরেও কিন্তু নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণের নির্দেশনা উপেক্ষা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে মনিটরিং বাড়াতে হবে। সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগের প্রতিটি পর্যায়ে যেন নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। এই তাপমাত্রা কিন্তু ক্ষণস্থায়ী নয়। সামনে দিনে আরও বাড়তে পারে। এখনই পরিকল্পনামাফিক কাজ না করা হলে আগামীতে ওষুধ কার্যকারিতা নষ্টের ফলে বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।’
জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন কালবেলাকে বলেন, ‘সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওষুধ সংরক্ষণের কথা আমরা জানি। সারা দেশে ফার্মেসিগুলোর বেশিরভাগ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই কথাটি সত্য। এখন তাপপ্রবাহ চলছে। এতে ফার্মেসিতে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে খোঁজ নিতে বলব। তারা যেন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘ফার্মেসিতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ ও বিপণনের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মনিটরিং করা হচ্ছে। বিজ্ঞানসম্মত ধারণা হলো, অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও সাধারণ ওষুধ সংরক্ষণ করা যায়। এর চেয়ে বেশি সময় ধরে ৪০ ডিগ্রিতে সংরক্ষণ করা হলে সমস্যা হতে পারে।’
তিনি বলেন, বর্তমান তাপমাত্রা তো সাময়িক। তার পরও সারা দেশের ফার্মেসিগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। দাবদাহের এই সময়ে সার্বক্ষণিক ফ্যান চালিয়ে রাখতে হবে। ফ্রিজিং ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে হবে। দিনের শুরুতে দোকানের সামনে আলো প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে করে ওষুধের গায়ে সরাসরি সূর্যের তাপ না লাগে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কথাও বলা হচ্ছে। তবে এক দিনে তো সব শুধরে দেওয়া যায় না। ধীরে ধীরে সবাইকে সচেতনতার আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে মডেল ফার্মেসি কনসেপ্টটা আরও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
৩০ এপ্রিল, ২০২৪