কেডিএসের ট্রেইলারের ধাক্কায় ধসে পড়ল ওয়াচ টাওয়ার
চট্টগ্রাম বন্দরে কেডিএস গ্রুপের ট্রেইলারের ধাক্কায় ধসে পড়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বন্দরের ৫ নম্বর ফটকের পাশে এ ঘটনা ঘটে।  এ সময় ধ্বংস্তূপের নিচে পড়ে এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মো. রাজিব নামে দায়িত্বরত এক আনসার সদস্য। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক। তিনি জানান, গতকাল দুপুরে বন্দরের ৫ নম্বর ফটকের পাশে কেডিএস গ্রুপের একটি ট্রেলার পেছনের দিকে আসছিল। এসময় একটি ওয়াচ টাওয়ারে ধাক্কা দেয় ট্রেলারটি। মুহূর্তে ধসে পড়ে ওই ওয়াচ টাওয়ার। ধ্বংস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহন হন ঘটনাস্থলে থাকা দায়িত্বরত আনসার সদস্য মো. রাজিব। সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। কিন্তু তার অবস্থা এখনও গুরুতর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাই ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত তাকে পাঠানো হয় ঢাকায়। সেখানে তাকে দেওয়া হবে আরও উন্নত চিকিৎসা। রাজিবের পরিবারের দাবি, রাজিবই তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাই এই অবস্থায় পরিবারের সবাই খুব চিন্তিত। তার যদি কিছু হয়ে যায়, পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার মতো থাকবে না কেউই। রাজিবের মা কালবেলাকে জানান, যে কোনো কাজ করতে গেলে চোখ কান খোলা রেখে করতে হয়। কিন্তু কেডিএস গ্রুপের ওই চালক কী তার চোখ পকেটে নিয়ে ঘুরে। এখন আমার ছেলের এই ক্ষতি আমরা কীভাবে পূরণ করব। আমার ছেলের কিছু হলে আমরা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা নাগাত রাজিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশকে জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান এইচআরডব্লিউ’র
জোরপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্তের জন্য বাংলাদেশকে জাতিসংঘের প্রস্তাব গ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। মূলত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনায় তদন্তের জন্য জাতিসংঘ প্রস্তাবিত স্বাধীন কমিশনের বিষয়টি মেনে নেওয়ার জন্য এই আহ্বান জানানো হয়েছে। বুধবার (৩০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে  নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এই আহ্বান জানিয়েছে। মূলত সারা পৃথিবীতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে প্রতি বছর এই দিন আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। এইচআরডব্লিউ বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে জোরপূর্বক গুমের ঘটনার তদন্তে স্বাধীন কমিশনকে সমর্থন করার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত জাতিসংঘের প্রস্তাব গ্রহণ করা। অবশ্য বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বলপূর্বক গুমের ঘটনার অভিযোগ কর্তৃপক্ষ বারবার অস্বীকার করছে। এর পরিবর্তে নিখোঁজরা নিজে থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন বলে প্রহসনমূলক দাবি করে আসছে। বাংলাদেশি মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ জোরপূর্বক নিখোঁজ হয়েছেন। কিছু লোককে পরে মুক্তি দেওয়া ও আদালতে হাজির করা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষের সময় মারা গেছে বলে বলা হলেও এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র এশিয়া গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার বলেছেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক গুমের বাস্তবতা অস্বীকার করে কাউকে বোকা বানাতে পারছে না এবং এতে করে বরং নিজেদের প্রিয়জনের অবস্থান জানতে মরিয়া পরিবারগুলোর কষ্টকে আরও দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। সরকারের উচিত হবে জোরপূর্বক গুমের তদন্তে স্বাধীন কমিশন প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘকে সহযোগিতা করে যেকোনো ধরনের অপব্যবহার মোকাবিলায় প্রকৃত প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করা। সংস্থাটি বলছে, বলপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় র‍্যাবসহ বাহিনীটির শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরও স্বাধীনভাবে এবং স্বচ্ছভাবে বলপূর্বক গুমের অভিযোগ তদন্ত করার পরিবর্তে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীদের পরিবারকে হয়রানি ও ভয় দেখাচ্ছে। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা এবং কর্তৃপক্ষ বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বারবার কূটনীতিকদের বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে এইচআরডব্লিউ।  তাদের দাবি, জোরপূর্বক গুমের ঘটনা অর্থপূর্ণভাবে মোকাবিলায় সরকার বারবার দাতা প্রদানকারী বিভিন্ন দেশ, জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা এবং সুশীল সমাজের আহ্বানকে উপেক্ষা করছে। এর আগে ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক তৎকালীন হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। সে সময় তিনি বিচারবর্হিভূত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দেন।
৩০ আগস্ট, ২০২৩

চড়লেন বাইকে স্মার্ট ওয়াচ দেখাল সাইক্লিং করছেন
বিশ্বের জনবহুল শহরগুলোর নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট। এতে স্থবির হয়ে পড়ছে মানুষের জীবন ও জীবিকা, নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ কর্মঘণ্টা; কিন্তু কতটা ভয়াবহ হতে পারে যানজট? সম্প্রতি ভারতের বেঙ্গালুরুর যানজটের চিত্র উঠে এসেছে সেখানকারই এক বাসিন্দা কাওয়াল ওবারয়ের টুইটার পোস্ট থেকে। ভাড়া করা একটি মোটরসাইকেলে চেপে কাওয়াল রওনা দিয়েছিলেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে; কিন্তু পথে যানজটের সম্মুখীন হন। এ সময় হাতে থাকা স্মার্ট ওয়াচের দিকে তাকিয়ে আশ্চর্য হয়ে যান তিনি। সেটি দেখাচ্ছিল, তিনি সাইক্লিং করছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, যানজটে আটকে থাকার সময় হঠাৎ হাতের স্মার্ট ওয়াচের দিকে তাকান কাওয়াল। এ সময় তিনি যে মোটরসাইকেলে ছিলেন, সেটির গতি এতটাই কম ছিল যে, স্মার্ট ওয়াচ তা সাইক্লিং হিসেবে ধরে নেয়। টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করেন কাওয়াল। সেখানে তিনি লেখেন, ব্যাঙ্গালুরুর ট্রাফিক কতটা খারাপ হতে পারে? আমি একটি বাইকে রাইড নিয়েছিলাম; কিন্তু আমার ঘড়ি বলছে, আমি সাইক্লিং করছি। তার এই পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
১৯ জুলাই, ২০২৩
X