লোকসভা নির্বাচনের টুকিটাকি / মোদিকে এক হাত নিলেন কংগ্রেস সভাপতি
সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারণায় ভারতের মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি ‘তাদের সন্তান বেশি হয়’ দাবি করে বক্তব্য দিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ভারতের জনগণের সম্পদ মুসলমানদের মাঝে বিলিয়ে দেবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। মোদির দেওয়া সেই মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্যের জোর প্রতিবাদ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। মোদির উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আপনি বলেছেন... আমরা সম্পদ চুরি করে যাদের আরও সন্তান আছে তাদের দেব। দরিদ্র মানুষের সবসময় সন্তান বেশি হয়। সন্তান কী কেবল মুসলমানদেরই আছে? আমি আমার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। আমার নিজেরও তো পাঁচটি সন্তান। তাহলে কি শুধু মুসলমানদের বাচ্চা বেশি হয়?’ মঙ্গলবার ছত্তিশগড়ের জাঞ্জগীর-চাম্পা জেলার একটি নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মোদির দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘মোদি বলেছেন... আমরা জনগণের সম্পদ, মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেব। আমরা ৫৫ বছর ধরে দেশ শাসন করেছি, আমরা কার মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিয়েছি?’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখন মঙ্গলসূত্র এবং মুসলমানদের কথা বলছেন। আসলে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া-জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে... তা বুঝতে পেরে মোদি হতাশ হয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দরিদ্র মানুষের সন্তান বেশি আছে। কারণ তাদের সম্পদ নেই। কিন্তু কেন আপনি শুধু মুসলমানদের কথাই বলছেন? মুসলমানরা এই দেশেরই একটি অংশ।’
০৩ মে, ২০২৪

দিল্লিতে লাভলির পদত্যাগে বিপাকে কংগ্রেস
ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। আর এর মধ্যে বড় ধাক্কার সম্মুখীন হলো ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। পদত্যাগ করেছেন দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি। নির্বাচনের মধ্যেই তার এই দল ছেড়ে যাওয়াকে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা বলেও মনে করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভির। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ ছেড়েছেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণেই ক্ষোভে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। রোববার সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসেবে পরিচিত লাভলি। লোকসভা ভোটের মধ্যে লাভলির পদত্যাগে দিল্লি কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। পদত্যাগপত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে আম আদমি পার্টি তথা আপের সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে অরবিন্দর লিখেন, ‘যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের।’ এ ছাড়া দলের প্রদেশ পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাভলি চিঠিতে বলেন, ‘এখন আমার কোনো কথাই গুরুত্ব পায় না। এমনকি দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয় না।’
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

নিষিদ্ধ হওয়ার পথে টিকটক, মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস
জনপ্রিয় চীনা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাস হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার বড় ধরনের দ্বিদলীয় সমর্থন নিয়ে এই বিলটি পাস হয়েছে। রয়টার্সে প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিকটক নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শনিবার প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল তোলা হয়। পরে এর ওপর ভোটাভুটি হলে ৩৬০-৫৮ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাস হয়। এই বিলটি এখন কংগ্রেসের উচ্চক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সিনেটের ভোট হতে পারে। সেখানে অনুমোদন পেলে বিলটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যাবে। তিনি সই করলেই তা আইনে পরিণত হবে। আর একবার আইনে পরিণত হয়ে গেলে টিকটক যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মালিকানা না বেচে দেয় তাহলে আমেরিকায় অ্যাপটি নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ১৭ কোটির মতো ব্যবহারকারী রয়েছে। এত ব্যবহারকারী থাকলেও বহু দিন ধরেই অ্যাপটি নিয়ে আপত্তি করে আসছে ওয়াশিংটন। টিকটকের কারণে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে এমন অভিযোগ তুলে অ্যাপটি নিষিদ্ধের দাবি করে আসছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। এই দাবির পেছনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা যেমন রয়েছেন তেমনি বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির নেতারাও সমর্থন দিচ্ছেন। ফলে এবারের বিল পাসের মাধ্যমে টিকটক নিষিদ্ধের আন্দোলনে তারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। তবে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স বলছে, আমেরিকার এমন সিদ্ধান্তে মার্কিন নাগরিকদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এটি দুর্ভাগ্যজনক। প্রতিনিধি পরিষদের এই নিষেধাজ্ঞা বিল যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ কোটি নাগরিকের মতপ্রকাশের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস পাপের শাস্তি পাচ্ছে
৭০ বছরের অতীত তুলে কংগ্রেসকে বিজেপির আক্রমণ নতুন কিছু নয়। সেই ধারা বজায় রেখেই এবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আরেক দফা কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেস দলের ওপর ক্ষুব্ধ গোটা দেশ। নিজেদের পাপের শাস্তি পাচ্ছে কংগ্রেস দল। একটা সময় ৪০০ আসন জেতা দলটি আজ ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে ব্যর্থ। প্রধানমন্ত্রী মোদি গতকাল রোববার রাজস্থানের ঝালোর জেলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানেই নির্বাচনী জনসভায় এভাবেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম দফার নির্বাচনে অর্ধেক রাজস্থান কংগ্রেসকে শাস্তি দিয়েছে। গোটা রাজস্থানবাসী দেশভক্ত। তারা জানেন কংগ্রেস দলটা কখনো দেশকে শক্তিশালী করতে পারবে না। ২০১৪ সালের আগে ভারত যে অবস্থায় ছিল, দেশবাসী এখন সেটা চায় না। কংগ্রেস পরিবারবাদ ও দুর্নীতির উইপোকা ছড়িয়ে দেশকে ফাঁকা করে দিয়েছে। আজ গোটা দেশ কংগ্রেসের ওপর ক্ষুব্ধ এবং তাদের পাপের শাস্তি দিচ্ছে। একটা সময় যে দল ৪০০ আসন জিতেছিল, আজ তারা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে অক্ষম। উল্লেখ্য, রাজস্থানের ২৫ লোকসভা আসনের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচনে এখানে ১২ আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। আগামী ২৬ এপ্রিল বাকি আসনে হবে ভোট গ্রহণ। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন মাথায় রেখে রাজস্থানে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছেন মোদি। গতকাল মরুরাজ্যের ঝালোর জেলায় প্রচারে যান তিনি। এদিকে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী লোকসভা নির্বাচনে যে লড়বেন না, তা আগেই জানিয়েছিলেন। পরে রাজস্থান থেকে তাকে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য করে কংগ্রেস। রোববার সেই রাজস্থানে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাম না ধরে সোনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ করে খোঁচা দেন। তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনে লড়াই করে জিততে পারেন না, তারাই মাঠ ছাড়েন। আর রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় যান।’ নরেন্দ্র মোদি বলেন, কংগ্রেস প্রথমে দক্ষিণ থেকে একজন নেতাকে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় পাঠায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকেও রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য করা হয়েছিল। কিন্তু তার পর তাকে কি আর রাজ্যে দেখতে পাওয়া গেছে?
২২ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েল-ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস
ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দিতে বহুল আলোচিত ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। কট্টর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এই প্যাকেজের বিরোধিতা করলেও বড় ধরনের দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়েই শনিবার বিলগুলো পাস হয়েছে। খবর রয়টার্সের। গতকাল শনিবার রাতে প্রতিনিধি পরিষদে এসব বিলের ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটিতে ৩১১-১১২ ভোটে বিল দুটি পাস হয়েছে। এতে ১০১ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দিলেও ১১২ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সহায়তা বিলে ইউক্রেনের জন্য ৬০ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন, ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন এবং তাইওয়ানসহ ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। কংগ্রেসে সহায়তা বিল পাস হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা ইতিহাসকে সঠিক পথে রাখতে অগ্রসর হয়েছেন। গত দুই মাস ধরে বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে এই সহায়তা বিল পাস করানোর চেষ্টা করে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের বিরোধের জেরে এই প্যাকেজ সামনে অগ্রসর হয়নি। বিশেষ করে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল রিপাবলিকানদের। তবে এবার প্রতিনিধি পরিষদে প্যাকেজটি পাস হওয়ায় তা ডেমোক্রেট সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। সেখানে এটি পাস হলে তা বাইডেনের কাছে পাঠানো হবে এবং তিনি সই করলে বিলগুলো আইনে পরিণত হবে। ফলে এই তিন দেশকে এই সহায়তা দিতে আর কোনো বাধার মুখে পড়বে না মার্কিন প্রশাসন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

লোকসভা ভোটের আগে নতুন চাপে কংগ্রেস
ভারতে লোকসভা নির্বাচন ঘিরে চলছে প্রচার-প্রচারণা। আর এরই মধ্যে আয়কর দপ্তরের একটি নোটিশ পাওয়ার পর বেশ বেকায়দায় পড়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খাড়গের দলের কাছে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা জরিমানা চেয়ে পাঠানো হয়েছে এ নোটিশ। ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত আয়কর সংক্রান্ত রিটার্ন পর্যালোচনা করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সংস্থাটির একটি সূত্র। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন আয়কর নোটিশের প্রাপ্তি স্বীকার করে শুক্রবার বলেন, ‘পুরোনো ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে আয়কর রিটার্ন পুনর্মূল্যায়নের নামে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত শয়তানি শুরু হয়েছে।’ বকেয়া কর, তার সুদ এবং জরিমানার অঙ্ক মিলিয়েই ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। আয়কর আইনের ১৩(১) ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলার পরই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গত ১৩ মার্চ আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করার পরই ধারাবাহিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে আয়কর দপ্তর। বৃহস্পতিবারও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের কর পুনর্মূল্যায়নের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের একটি নতুন আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছিলেন। এর পরই পাঠানো হয় নতুন নোটিশ। ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের আয়কর সংক্রান্ত অনিয়মের জন্য ১০৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে কংগ্রেসের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল হাইকোর্টে। এদিকে, লোকসভা ভোটের আগে আয়কর দপ্তরের নোটিশ পেয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। শুক্রবার এআইসিসির কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিজেপি আয়কর আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। ওদের কাছে ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা জরিমানা চেয়ে আয়কর নোটিশ পাঠানো উচিত। এ সময় সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেন, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ‘কর সন্ত্রাস’ শুরু করেছে। ওরা বিরোধীদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দিতে চাইছে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়ার প্রার্থিতা বাতিল
বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথের প্রার্থিতা বাতিল করেছে দলটি। ২০১৯ সালে সুপ্রিয়া শ্রীনাথ যে আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সেই আসন থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন তিনি। আর হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন কঙ্গনা। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সুপ্রিয়া। কিন্তু বিজেপির পঙ্কজ চৌধুরীর কাছে হেরে যান। সুপ্রিয়াকে বাদ দেওয়ার পর এখন তার স্থলে প্রার্থী হিসেবে বীরেন্দ্র চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। এর আগে কঙ্গনাকে নিয়ে সুপ্রিয়ার আপত্তিকর মন্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। গত সোমবার সুপ্রিয়ার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে কঙ্গনাকে নিয়ে একটি আক্রমণাত্মক পোস্ট ছাড়া হয়। পোস্টে জুড়ে দেওয়া হয় কঙ্গনার একটি ছবি ও মানহানিকর ক্যাপশনও। তবে সুপ্রিয়া দ্রুত এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দেন। তাতে তিনি লেখেন, তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে কয়েকজনের প্রবেশাধিকার আছে। তাদেরই কেউ যথোপযুক্ত ওই পোস্ট ছাড়েন। সুপ্রিয়া বলেন, ‘পোস্টটি নজরে আসার পরপরই আমি সেটি সরিয়ে ফেলেছি। যারাই আমাকে চেনেন, তারা খুব ভালোভাবে জানেন, আমি কোনো নারীকে নিয়ে কখনোই ব্যক্তিগত ও অশোভন মন্তব্য করি না। এটি কীভাবে হলো, তা আমি জানতে চাই।’ এরই মধ্যে কঙ্গনাকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে সুপ্রিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার কংগ্রেস আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের নিয়ে অষ্টম তালিকা প্রকাশ করে। এ তালিকায় মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও ঝাড়খন্ডে ১৪ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দলটি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ২০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল তারা।
২৯ মার্চ, ২০২৪

নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। বিশ্বজুড়েই এর রয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। তবে সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে নানা সমালোচনা রয়েছে টিকটকের বিরুদ্ধে। এর জেরে অনেক দেশেই নিষিদ্ধ হয়েছে সংক্ষিপ্ত ভিডিও শেয়ারিং এই অ্যাপ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার টিকটক নিষিদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হলো একটি বিল। বুধবার (১৩ মার্চ) পাস হওয়া এই বিলের ফলে দেশটিতে নিষিদ্ধ হতে পারে অ্যাপটি।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বিপুল ভোটে বিলটি পাস হয়। এখন দরকার সিনেটের অনুমোদন। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, টিকটকের ওপর চীনের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা উদ্বিগ্ন। কারণ এটির মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স বেইজিংভিত্তিক। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়, কারণ প্রতিষ্ঠানটি চীনের কর্মকর্তাদের কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিলটি উত্থাপনকারীদের মধ্যে অন্যতম রিপাবলিকান সদস্য মাইক গ্যালেগার। তিনি বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রণ করে কিংবা তাদের মালিকানাধীন এমন কোনো প্রভাবশালী সংবাদ প্ল্যাটফরমের বিষয়ে ঝুঁকি নেবে না আমেরিকা।  এদিকে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাসের কিছুক্ষণ পর এক ভিডিওবার্তায় বাইটড্যান্সের শীর্ষ নির্বাহী শৌ জি চিউ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে— তা দেশটির অর্থনীতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। টিকটক নিষিদ্ধের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এক বিবৃতিতে বলেন, টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে— এমন কোনো প্রমাণ দেশটির সরকার দেখাতে পারেনি। তারপরও এই অ্যাপটি নিষিদ্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ওয়াশিংটন। গেল জানুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি তদন্তে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক এবং চীনের বাইটড্যান্সের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে ডাটা শেয়ার করার সিস্টেমটি ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ছিল। এর ফলে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্যও অরক্ষিত হয় পড়েছিল।  ২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়। সেই পথেই এবার সাধারণ পর্যায়ে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধের পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন।
১৪ মার্চ, ২০২৪

বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস আপের সমঝোতা
ভারতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় সক্রিয় হয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। জানা গেছে, দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন কেজরিওয়াল। তা ছাড়া গোয়া, গুজরাট ও হরিয়ানা রাজ্যেও আসন ভাগাভাগিতে দুই দলের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। খবর এনডিটিভির। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বুধবার বলেছিলেন, দেখা যাক আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে কী হয়। তবে সমঝোতার বিষয়টি আরও আগে চূড়ান্ত হওয়া উচিত ছিল বলেও জানান তিনি। কেজরির দলের পক্ষে বুধবারই তিন আসন ছাড়ার ‘বার্তা’ কংগ্রেস হাইকমান্ডকে দেওয়া হয় বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ঘটনাচক্রে দিল্লির আবগারি দুর্নীতিসংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবারই কেজরিকে আবার সমন পাঠায় ইডি। এর আগে জানুয়ারিতে কংগ্রেস ও আপ নেতৃত্ব আসন সমঝোতা নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করলেও জট কাটেনি। দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে এক বা দুটি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস অন্তত তিনটিতে লড়ার দাবিতে অনড় থাকায় সে সময় আলোচনা ভেস্তে যায়। সর্বশেষ বৈঠকে কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিকের নেতৃত্বে গঠিত আসন সমঝোতার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির অন্য চার সদস্য রাজস্থানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, ছত্তিশগড়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সালমান খুরশিদ ও এআইসিসির সাবেক মুখপাত্র মোহন প্রকাশ উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দর সিংহ লভলিও। অন্যদিকে আপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সন্দীপ পাঠক ও দিল্লির দুই মন্ত্রী অতিশি ও সৌরভ ভরদ্বাজ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ‘আপ’ শাসিত দিল্লির সাতটি আসনের সবটিতেই জিতেছিল বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তার মধ্যে পাঁচটি আসনেই কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে ছিল। যদিও ২০২০ সালে দিল্লির বিধানসভায় বেশিরভাগ আসনে জিতে কেজরিওয়াল ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। গত বছর দিল্লির পৌরসভাও বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় আপ। এ পরিস্থিতিতে আপ ও কংগ্রেসের জোট হলে দেশের রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X