রাবিতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । শনিবার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর মধ্যরাত পর্যন্ত চলে দুপক্ষের সংঘর্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে কাচের বোতল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।   বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল গালিবের অনুসারীদের সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।   প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১১ টায় রাবির হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে রাজনৈতিক আলোচনা করার জন্য আসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম আতিক।  এসময় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদের কয়েকজন অনুসারীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে আতিক ও নিয়াজের মাঝে বাকবিতণ্ডা ও কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপরে নিয়াজ মোর্শেদ তার নেতাকর্মীদের নিয়ে হলের ভিতরে এবং আতিক তার নেতাকর্মী নিয়ে হল গেটে অবস্থান নেন। রাত পৌনে ১২ টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার অনুসারীরা হল গেটে অবস্থান নিয়ে 'বাবু-গালিব পরিষদ, সবার সেরা পরিষদ','অ্যাকশন অ্যাকশন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট এ্যাকশনসহ নানা বাক্যে মিছিল দিচ্ছিল।  মিছিল চলাকালীন নিয়াজ মোর্শেদের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করেন এবং হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ছাদে অবস্থান নেন। এসময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এর কিছুক্ষণ পরে তারা হল থেকে বের হয়ে হল গেট পর্যন্ত ধাওয়া করেন এবং গেটে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এরপরে রাত সোয়া ১২টায় শাখা ছাত্রলীগ শীর্ষ দুই নেতার অনুসারীরা পাল্টা ধাওয়া করেন এবং ইট-পাটকেল, কাচের বোতল ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এসময় মোট সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এরপরে রাত সোয়া ১ টায় ঘটনাস্থলে হল প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও পুলিশ আসলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।  সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, টিভির রুমে বসাকে কেন্দ্র করেই মূলত ঘটনার সূত্রপাত। পরে নিয়াজ ও তার সমর্থকরা বহিরাগত ও ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের ছাত্র আবাসিক হলে ঢুকিয়ে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। নিয়াজ ও শিবিরের নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটিয়েছে। তবে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।  সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে জানতে ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।   বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।'  
১২ মে, ২০২৪

ঘণ্টাব্যাপী কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়া, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লা নগরীর সাত নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর খলিফা বাড়িতে ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আশপাশের এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত থেমে থেমে অস্ত্রের মহড়া দেয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শটগান, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে মহড়া দেয় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তাদের কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল ছুড়তে দেখা যায়। অস্ত্রধারীদের গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। সাত নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রহমান বলেন, বিকেল প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে আচমকা একদল অস্ত্রধারী এসে আমার কার্যালয়ের সামনে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। এ সময় তারা আমার বাড়ির গ্লাস ভেঙে দেয়। হঠাৎ কী কারণে হামলা চালিয়েছে জানি না।  তবে ধারণা করছি, আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই এ কাজ করেছে। আমি তখন বাইরে ছিলাম। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা পালিয়ে যায়। আমার এলাকায় এখনো সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে এ ঘটনা। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

বাসস্ট্যান্ড দখল নিয়ে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ : আটক ৩
শরীয়তপুরে নড়িয়াতে বাসস্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নড়িয়া পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন, উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌকিদার, নড়িয়া কলেজের সাবেক ভিপি মামুন মোস্তফা ও মাহবুব আলম। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের নড়িয়া বাসস্ট্যান্ড কাউন্টার পরিচালনা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্ব চলে মোক্তারের চর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌকিদার ও ৮ নম্বর ইউপি সদস্য জবেদ আলী শেখের। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি হয়। পরে উভয়পক্ষের সমর্থকরা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের নড়িয়া পৌর কাউন্টারের সুপারভাইজার শাহিন বলেন, আমরা প্রতিদিনের মতো যাত্রীদের সেবা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই কে বা কারা এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ককটেল বিস্ফোরণে সুপার সার্ভিসের স্টাফ জুয়েলসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইউপি সদস্য জবেদ আলী শেখ বলেন, আমরা ৮ জন মিলে কাউন্টার এনেছি। এক বছর ধরে আমি কোনো টাকাপয়সা পাই না। দুপুরে শাহ আলম চৌকিদার ও মোস্তফা শিকদার তাদের লোকজন নিয়ে এসে আমার ওপর আক্রমণ করে আমার বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। শরীয়তপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বলেন, নড়িয়া পৌর বাসস্ট্যান্ডে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। দোষীদের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবিব বলেন, কাউন্টার পরিচালনা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

লালমনিরহাটে ৩ ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে তিনটি ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টার দিকে পাটগ্রামের তিনটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বুড়িমারী ইউপির বুড়িমারী বাজার, স্টেশন মোড়, উফারমারা মেডিকেল মোড় এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। অপরদিকে একই ইউনিয়নের কামারেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক জানান, ভোরে কেন্দ্রের বাইরে পাশে রাস্তায় একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আমাদের অফিসাররা সেখানে কাজ করছেন। নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ
বিএনপির হরতাল চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত অন্তত পাঁচ দফায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণগুলো ঘটানো হয়। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এসব ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে চানখাঁরপুল, কার্জন হল ও নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সামনে তিন দফায় সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বাকিগুলো হয়েছে এর আগে। ককটেল বিস্ফোরণে কেউ হতাহত না হলেও শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের এক সদস্য বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ দফায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ঈশ্বরদীতে নৌকার নির্বাচনী অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফের নির্বাচনী অফিসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঈশ্বরদী ওভারব্রিজ সংলগ্ন নির্বাচনী অফিসে এ ঘটনা ঘটে।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টা ৩০ মিনিটের সময় শহরের ওভারব্রিজ সংলগ্ন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ এর নির্বাচনী ক্যাম্পে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। ককটেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয় ও নৌকা সমর্থকরা। খবর পেয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনী অফিসে খুব বেশি কিছু ছিল না। যে কাপড় দিয়ে অফিস ঘেরাও করা ছিল এবং টেবিল ক্লথ ছিল, সেগুলো পুড়েছে আর কিছু পোস্টার পুড়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

লাকসামের দুই ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের দুটি ভোটকেন্দ্রের অদূরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাত ১০টা ও সোয়া দশটার দিকে লাকসামের দুটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। উপজেলার বাকই ইউনিয়নের কৈত্রা হামিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসআই হাবিবুর রহমান জানান, রাত ১০টার দিকে কেন্দ্রের অদূরে পরপর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। অপরদিকে, একই ইউনিয়নের বাকই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসআই আব্দুল লতিফ জানান, রাত সোয়া ১০টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে ঈদগাহের পাশে রাস্তায় একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এতে কেউ হতাহত হয়নি। লাকসাম থানার ওসি সাহাবুদ্দিন খান বলেন, আমাদের অফিসাররা সেখানে কাজ করছেন। নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

কেরানীগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে দশটার দিকে কোন্ডা ইউনিয়নের অধ্যাপক হামিদুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, দুষ্কৃতকারীরা জনমনে আতংক সৃষ্টি করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।  দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাহবুব আলম জানান, কে বা কারা অধ্যাপক হামিদুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের দেয়ালের ভেতর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে নিরাপত্তাকর্মী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

জয়পুরহাটে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে কেন্দ্রে দায়িত্বরতরা কালবেলাকে জানান, দুপুরে তারা কেন্দ্রে আসেন। ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজকর্ম শেষে তারা কেন্দ্রের ভেতরে ছিলেন। এ সময় আনসার ও পুলিশ সদস্যরা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করছিলেন। আকস্মিক রাত ৯টার দিকে কেন্দ্রের দক্ষিণ দিক থেকে পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। বিকট শব্দে তারা আঁতকে ওঠেন। খবর পেয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তারা কেন্দ্রের চারপাশ ঘুরেফিরে দেখেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. খোরশেদ আলম কালবেলাকে বলেন, রাত ৯টার দিকে কে বা কারা কেন্দ্রের দক্ষিণ দিকে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ইউএনও ও নির্বাচন অফিসারকে জানিয়েছি। এরইমধ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সার্কেল এসপি ও ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কেন্দ্রের ইনচার্জ নায়েক মো. আব্দুল্লাহ কালবেলাকে বলেন, আমরা কেন্দ্রের মাঠেই ডিউটি করছিলাম। হঠাৎ অন্ধকারের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

বগুড়ায় আ.লীগ প্রার্থীর কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ
বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ মজিবর রহমান মজনুর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকাস্থ প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় টাউনক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা অর্নাস কলেজের পাশে জনতা ব্যাংকের সামনে বিকট শব্দে হঠাৎ এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ মজিবর রহমান মজনুর ওই প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের পাশে মুখোশপরা দুজন ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। এরপর একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় ককটেলের বিকট শব্দে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা অনুসন্ধানে মাঠে নামেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি এসএম রেজাউল করিম রেজা বলেন, একটি ককটেল সদৃশ্য বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটানোর শব্দ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানার পর ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দুর্বৃত্তদের চিহ্নিতকরণসহ তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪
X