কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন ইরফান
কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন কলেজ শাখার সিনিয়র সহসভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম। সোমবার (৮ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সংগঠনের গতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার সিনিয়র সহসভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে ইরফান আহমেদ বলেন, দেশ ও দলের ক্রান্তিলগ্নে আমার ওপর আস্থা রেখে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি আমার নেতা আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতি। এ দুঃসময়ে আমার ওপর দল যে আস্থা রেখেছে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে দলের আস্থার প্রতিদান দেব ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদল ঢাকার অন্যতম সেরা ইউনিট। এখানে নেতৃত্ব দেওয়া অনেক গর্বের। পুরান ঢাকার আন্দোলনের অন্যতম সেরা ইউনিট আমার ইউনিট। যেহেতু এখন ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আন্দোলন চলছে তাই আমার দায়িত্ব হবে সবাইকে ঐক্যেবদ্ধ করে রাজপথে নামানো। তাই ইউনিটের সকলকে নিয়ে একসঙ্গে আগামীদিনের সকল কর্মসূচি যে কোনো পরিস্থিতিতে রাজপথে বাস্তবায়ন করব। উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীদলের সভাপতি সাইয়্যেদুর রহমান সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফলে সংগঠনটির কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

দুই সাংবাদিককে বেধড়ক পেটাল কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ
রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ছাত্রলীগের হাতে দুই সাংবাদিক বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন। অভিযুক্তরা সবাই কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগরের অনুসারী। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ক্যাম্পাস গেটে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের খবর পেয়ে এগিয়ে যায় কলেজ সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ও ঢাকা ওয়েভ-এর কলেজ প্রতিনিধি শীতাংশু ভৌমিক অংকুর ও ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি পার্থ সাহা। এ সময় মারধরের ছবি তুলতে চেষ্টা করলে তাদের ফোন কেড়ে নেয় এবং মারধর শুরু করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এর মধ্যে ভৌমিক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে ‘সাংবাদিক দেখার টাইম নাই বলে’ আরও বেশি মারধর করতে থাকে ছাত্রলীগ কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী মেহেদী হাসান পলাশ, শেখ সুমন, ফাহিম তাজ, তানজিদ আহমেদ বাবু, রাতুল হাসান, তামিম মোল্লাসহ প্রায় ১০-১৫ জন এই দুই সাংবাদিককে মারধর করে। মারধরের শিকার শীতাংশু ভৌমিক অংকুর বলেন, ক্যাম্পাস গেটে জটলা দেখে আমি এবং পার্থ এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখি তারা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। ছবি তুলতে গেলেই আমার ফোন কেড়ে নেয়। আমি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথেই আমাকে কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ফেলে লাথি মারতে থাকে। পার্থ আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে ওকে চুল ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে লাঞ্ছিত করে। এরপর আমাকে কলেজের মসজিদের সামনে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আবার মারধর করে। পার্থ সাহা বলেন, আমরা ছবি তুলতে গেলে ওরা শীতাংশুকে মারধর শুরু করে। তখন আমি বলি, শিতাংশু সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ওকে মারছেন কেন আপনারা। এ কথা বলার সাথে সাথে আমাকেও ওরা চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে আটকে রাখে আর শীতাংশুকে মারতে থাকে। কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি যায়েদ হোসেন মিশু বলে, গত কয়েক দিন ধরেই কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। যার একটিরও কোনো তদন্ত বা কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেওয়া স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। আমি খবর পেয়েই ক্যাম্পাসে যাই এবং ঘটনাস্থল থেকে শীতাংশু ও পার্থকে নিয়ে ন্যাশনাল মেডিকেলে যাই। পরবর্তীতে ন্যাশনাল হাসপাতালে দুজনকেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. মাহমুদ বলেন, দুই সাংবাদিককেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একজনের অবস্থা গুরুতর। তার মাথায় ও তলপেটে আঘাতের কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ায় তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইনজেকশনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র লিখে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মারধরের বিষয়ে কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম বলেন, আমি ঘটনাটা শুনিছি। তবে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৩ অক্টোবর, ২০২৩

শান্তি সমাবেশ থেকে ফিরে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ থেকে ফিরে রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।  শুক্রবার (২৮শে জুলাই) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আরও পড়ুন: গুলিস্তানে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ সংঘর্ষে ছাত্র সংসদের ভেতরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী উভয়ের ছবি ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। জানা যায়, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যাওয়ার পথে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মাঝে নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে কলেজ প্রাঙ্গণে যাওয়ার পর একই বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ হামলায় দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পক্ষের আবদুর রহমান, মিঠু, সানবির মাহমুদ ফয়সাল, মোঃ রাকিব ও বাপ্পী আহত হয়েছেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পক্ষের রবিন, ইমন, সুহাস ,শাহেদ, আশিক, মাছুম, সাকলাইন ও আনোয়ার আহত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক গণ যোগাযোগ বিষয়ক উপ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতির অনুসারী সানভির মাহমুদ ফয়সাল বলেন, শান্তি সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। ক্যাম্পাসে এসে দুই পক্ষের মাঝে আবার বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে শাহেদ, আনোয়ার, সাকলাইন, মাছুম, আশিক, আশরাফ এদের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন আমাদের উপর হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে তারা সংসদে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে। অপরদিকে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী রাফি উজ সাকলাইন বলেন, আমি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সাগরের অনুসারীরা উল্টো নিজেরাই নিজেদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। সাগর নিজেই বহিরাগত। ওর নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জ থেকে বহিরাগতরা এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার ওপরেও হামলা হয়েছে। সানবির, হৃদয় মিয়া, আব্দুর রহমান, রাকিব, সুমন, পলাশ, মারুফ এরা সহ আরো ৩০/৪০ বহিরাগত আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা ছিলাম মাত্র ৮/১০। ওরা আমাদের লোকদের মেরে রক্তাক্ত করেছে। সাবেক সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন বাবু লুঙ্গি পরে কোমরে পিস্তল নিয়ে ক্যাম্পাসে আমাদের হুমকি দিতে এসেছিল। হামলার বিষয়ে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদার বলেন, ঝামেলার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। বিষয়টি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। সমাবেশের সময় যে ঘটনা ঘটেছে তা সেখানেই মিমাংসা করা হয়েছে। আবার ক্যাম্পাসে এসে যে বা যারাই সংঘর্ষ ও ভাংচুরের সঙ্গে জড়িত ছিল আমরা সিসি টিভির ফুটেজ দেখে তাদের নাম কেন্দ্রে পাঠাবো। ছাত্রলীগের অভিভাবক সাদ্দাম ভাই এবং ইনান ভাই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন। কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। পরবর্তীতে এসে জানতে পেরেছি। বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে যারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছে তারা কখনো ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারে না। তারা পিঠ বাঁচানোর জন্য ছাত্রলীগ করছে এবং সুযোগ বুঝে সংগঠনের ভিতরে ঝামেলা সৃষ্টি করছে। যে বা যারাই বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  
২৯ জুলাই, ২০২৩
X