জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মো. পলাশ খানকে সভাপতি এবং দৈনিক আজকের দর্পণের জাজিরা প্রতিনিধি শাওন বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন - নির্বাহী সভাপতি জামাল মাদবর (দেশ২৪নিউজ), সহ-সভাপতি সাইদ আকন (দিন প্রতিদিন), মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ্ (বিডি স্টার টিভি ও ঢাকা ক্যানভাস) ও মানজারুল ইসলাম মিলন (দৈনিক মাতৃজগত), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম (দৈনিক কালবেলা), সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর মিয়া (দৈনিক খবরপত্র), দপ্তর সম্পাদক হানিফ বেপারী (দৈনিক দিনের কণ্ঠ), কোশাধ্যক্ষ রাসেদুল ইসলাম রিয়াদ (বাংলাদেশ সমাচার), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল আহমেদ (আমাদের মাতৃভূমি), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজিব মিয়া (আজকের দৈনিক)। কমিটির নির্বাহী সদস্যরা হলেন, মাহমুদুল হাসান, শাহিন আলম, দেলোয়ার মুন্সি, মেহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বাবু এবং সদস্য জাফর আহমেদ, মো: মাহবুব আলম, মনির হোসেন ও শফিকুজ্জামান রুবেল। জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন স্বপন খানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বুলেটের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার, জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা, জাজিরা পৌরসভা মেয়র ইদ্রিস মিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান।
১১ মে, ২০২৪

ঢাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র কল্যাণ সংগঠনের কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ- ‘তিতাস’-এর নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান। সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম রিয়াদ। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। নতুন কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসানের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এবং সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিয়াদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায়। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে সংগঠনের উপদেষ্টা কমিটির এক সভা শেষে সভাপতি নুর আল-আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা মুরাদ হায়দার টিপু, ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, মাহমুদ আবদুল্লাহ বিন মুন্সী, আরিফুল ইসলাম আরিফ, জহিরুল ইসলাম শিশির, নাজমুল হাসান রনি, আমান উল্লাহ আমান, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. লুৎফর রহমান, জাকারিয়া খান শাকিল, মাহমুদুল হাসান পলাশ, তারিকুল ইসলাম রাজিব, ইমরান হাসান, ইসরাত জাহান নূর ইভা, সাকিব আল হাসান, ইরফান খন্দকার সোহেল, ফাল্গনী দাস তন্নী, কে এম শরিফুল আলম প্রমুখ। সংগঠনের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘শতভাগ নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব।’ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিয়াদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিক্ষার্থীদের ভালোবাসার এই সংগঠন। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করব, সাবেকদের পরামর্শ এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালনা করার।’
১০ মে, ২০২৪

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন কাল
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন আজ। শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। দিনব্যাপী এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কমিটি পরিচালনায় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রধান অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। সম্মানিত অতিথি থাকবেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো. সোলায়মান সেলিম ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল জানান, সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
০৯ মে, ২০২৪

যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে অব্যাহতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এতে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য কালবেলাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  সূত্র জানায়, অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি আরও অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। এই তদন্তে শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদিরকে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলকে তদন্ত করতে দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এদিকে, গত সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন দিনের সময় বেঁধে দেয়।  এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে বিভাগের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ড. নাদিরের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন বিভাগটির আরেক নারী শিক্ষার্থী। এরপর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেকটি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে রাজধানীর অন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তার বিভাগীয় অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালায় সিলগালা করে দেন শিক্ষার্থীরা এবং দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ সংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না এমন লিখিত নিরাপত্তার আশ্বাস চাইলে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভাগের একাডেমিক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে এমন একটি বিবৃতি প্রদান করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন। অবশেষে, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় ফলাফল ধসে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি ও যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।
০৮ মে, ২০২৪

ঢাবি অধ্যাপক বাহাউদ্দিনের থিসিস জালিয়াতির তদন্তে কমিটি  
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা এমফিল ও পিএইচডি থিসিসে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা জানান, অধ্যাপক বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন-  মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম জাবেদ আহমদ। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম এমফিল ও পিএইচডি থিসিসের মধ্যে সাদৃশ্যমূলক চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠে ২০২০ সালে। এরপর গত বছরের আগস্টে স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণকারী বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ বিল্লাহ তৎকালীন উপাচার্য, উপউপাচার্য (শিক্ষা), কলা অনুষদ ডিন এবং সব সিন্ডিকেট মেম্বারদের প্রমাণসহ এই অভিযোগ প্রদান করেন। দীর্ঘ ৪ বছরেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল ঢাবি উপাচার্য বরাবর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ফের একটি আবেদনপত্র জমা দেন ড. আরিফ বিল্লাহ। আবেদনে অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের এমফিল ও পিএইচডি থিসিসের মধ্যে সাদৃশ্যমূলক চৌর্যবৃত্তির কিছু নমুনা ও এতদসম্পর্কিত তথ্যসংযুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নানাবিধ অনিয়ম বিবেচনা এবং মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন- এর এমফিল ও পিএইচডি থিসিসের মধ্যে সাদৃশ্যমূলক চৌর্যবৃত্তির বিষয়ে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট ভিসি বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে অধ্যাবধি সে আবেদন আমলে নেওয়া হয়নি। এর ফলে বিভাগে অনিয়ম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
০৮ মে, ২০২৪

কুবিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও দাবি-দাওয়া নিয়ে পৃথক তদন্ত কমিটি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘উদ্ভূত অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনার তদন্তপূর্বক তথ্য উদঘাটন এবং শিক্ষক সমিতির ‘দাবি-দাওয়া’ পর্যালোচনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে)  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তপূর্বক তথ্য উদঘাটনের জন্য ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্রকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।   কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার ও সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী।  এদিকে একই সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  কমিটির অন্যান্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রফেসর ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী।  এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, এখানে বলা হয়েছে আলোচনা করবে কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। যেখানে উপাচার্য নিজেই হামলা করেছেন সেখানে তার নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সভায় কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত আসবে বলে মনে করি না।   প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর ভিসির কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কিছু দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গেলে দুজন কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক সদস্যরা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন। এরই জেরে তিন দফা ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষক সমিতি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভিসি, ট্রেজারার ও প্রক্টরের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষকরা। সবশেষে, গত ২৮ এপ্রিল শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে ভিসি, ট্রেজারার ও প্রক্টরসহ ভিসিপন্থি সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতারা শিক্ষকদের কিল, ঘুষি ও ধাক্কা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের অবস্থান দখলে নেন। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।   এ ছাড়াও শিক্ষক সমিতির ৭ দফা দাবি হলো- ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের দপ্তরে শিক্ষকদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা ও ঘটনার তদন্ত করা। পাশাপাশি হামলায় মদদ দেওয়া প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে অপসারণ করা।   অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে ঢাকার অতিথিশালা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, অধ্যাপক গ্রেড ১ ও ২ তে আবেদন করা শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান ও ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের প্রত্যাহার করা; শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি স্থায়ীকরণে আইনবহির্ভূত শর্তারোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্নের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা; ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা প্রত্যাহার করে আগের নীতিমালা বহাল এবং ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
০৮ মে, ২০২৪

গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি কেন নয়
পরিবেশ রক্ষায় সারা দেশে গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হলে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত রোববার রিট করে। গতকাল রুলে সারা দেশে গাছ কাটা বন্ধে (ব্যক্তিমালিকানাধীন গাছ ব্যতীত) ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না; ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪-এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না; গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে সাত দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকদের সমন্বয়ে সাত সদস্যের কমিটি করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, এসিল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; কমিটি হওয়ার আগ পর্যন্ত বিবাদীরা নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শুনানিকালে ছিলেন রিটকারী অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। শুনানিতে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল, অ্যাডভোকেট নাছরিন সুলতানা ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা।
০৮ মে, ২০২৪

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ময়মনসিংহ যুব মহিলা লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
ময়মনসিংহ জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জেরে দুই বছরের মাথায় এই কমিটি বিলুপ্তি করা হয় বলে মনে করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৭ মে) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি এবং সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি’র সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ময়মনসিংহ জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হলো। এর আগে, সম্প্রতি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য রানী মালার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় গত ২ মে ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারকে প্রধান আসামি করে মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়।  পরে আদালত কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে বাদীর অভিযোগটি এফআইআর করার আদেশ দিলে মঙ্গলবার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন।  এর আগে সোমবার (৬ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে রানী মালা অভিযোগ করে বলেন, দুই বছর আগে ময়মনসিংহ নগরীতে জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারের একটি বাসায় দাওয়াত খাওয়ানো শেষে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে একজন লোকের সঙ্গে বসিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই পুরুষের কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইল করে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেয়। একই সঙ্গে ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি নিয়ে বিভিন্ন সময় নগদ টাকাও নেয়। বিষয়টি জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ককে জানানোর কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন রানী। বিতর্কিত এসব কর্মকাণ্ডের কারণেই জেলা যুব মহিলা লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক বিলকিস খানম পাপড়ি। তিনি বলেন, ময়মনসিংহ যুব মহিলা লীগ নিয়ে বেশি তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই মুহূর্তে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া কেন্দ্রের উপায় ছিল না। আমার নিজের মান-সম্মান রক্ষার জন্যও এটি ভালো হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, এগুলো একেকজনের ব্যক্তিগত সমস্যা। বেশিরভাগ নারীর চরিত্র কলঙ্কিত। তারা যখন সংগঠনের পদে থাকে তখন ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো এসে পড়ে সংগঠনের ব্যানারে, তখন সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন চরিত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জীবন বৃত্তান্ত দেখে নেতৃত্ব নির্বাচন করা উচিত। যেহেতু এটি নারী সংগঠন সেজন্য গুরুত্ব পদে অবশ্যই ব্যক্তিগত চরিত্র দেখে যেন দেওয়া হয়, কমিটিতে যেন বিতর্কিত কাউকে না রাখা হয় এটিই আমি চাই।  উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুনে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট যুব মহিলা লীগের ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
০৭ মে, ২০২৪

বাকৃবিতে ছাত্রী-শিক্ষকের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক ছাত্রী ও শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা এবং ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রীর দেওয়া স্বীকারোক্তির বিষয়ে তদন্তের জন্য ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আরিফ সাকিল।  এ ছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম, একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির এবং মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. আজিমুন নাহার। কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বা সুপারিশ প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম ও কৃষি অনুষদের অধ্যয়নরত শেখ রোজী জামাল হলের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।  শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীকে হলে নিয়ে আসেন। পুরো ঘটনাটিই শনিবার রাত ১০টায় লিখিত স্বীকারোক্তি দেন ওই ছাত্রী।
০৭ মে, ২০২৪

ইউনিয়ন পরিষদ বিলের ২টি ধারা সংশোধন চায় সংসদীয় কমিটি
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিকভাবে শক্তিশালীকরণ, সরকার প্রদত্ত বরাদ্দের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইনকে আরও যুগোপযোগী করার জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল, ২০২৪ এর দুটি ধারা পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।  স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম রোববার (৫ মে) সংসদ অধিবেশনে বিলটি উপস্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।  নতুন এই বিলে ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলটি পাস হলে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান চালু হবে। এ ছাড়া বিলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদের নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা।  জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় আজ সোমবার (৬ মে)। বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, বিলের দফা ৯ এর প্রস্তাবিত ধারা ৩০ ও বিলের দফা ৭ এর প্রস্তাবিত ধারা ১ এর প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও পরিমার্জনপূর্বক বিলটি গৃহীত হয় এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিলটি সংশোধনী আকারে উত্থাপনের সুপারিশ করা হয়।   বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ এমপি, মোহাম্মদ সাইদ খোকন এমপি, মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, মো. মতিয়ার রহমান এমপি, মোহাম্মদ আলী এমপি ও ফরিদা খানম এমপি। বৈঠকে প্রথম বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। এ ছাড়াও বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ, স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  
০৬ মে, ২০২৪
X