ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ০৯:০০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাবি অধ্যাপক বাহাউদ্দিনের থিসিস জালিয়াতির তদন্তে কমিটি  

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা এমফিল ও পিএইচডি থিসিসে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা জানান, অধ্যাপক বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন- মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম জাবেদ আহমদ। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম এমফিল ও পিএইচডি থিসিসের মধ্যে সাদৃশ্যমূলক চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠে ২০২০ সালে। এরপর গত বছরের আগস্টে স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণকারী বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ বিল্লাহ তৎকালীন উপাচার্য, উপউপাচার্য (শিক্ষা), কলা অনুষদ ডিন এবং সব সিন্ডিকেট মেম্বারদের প্রমাণসহ এই অভিযোগ প্রদান করেন। দীর্ঘ ৪ বছরেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল ঢাবি উপাচার্য বরাবর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ফের একটি আবেদনপত্র জমা দেন ড. আরিফ বিল্লাহ।

আবেদনে অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের এমফিল ও পিএইচডি থিসিসের মধ্যে সাদৃশ্যমূলক চৌর্যবৃত্তির কিছু নমুনা ও এতদসম্পর্কিত তথ্যসংযুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের নানাবিধ অনিয়ম বিবেচনা এবং মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন- এর এমফিল ও পিএইচডি থিসিসের মধ্যে সাদৃশ্যমূলক চৌর্যবৃত্তির বিষয়ে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট ভিসি বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে অধ্যাবধি সে আবেদন আমলে নেওয়া হয়নি। এর ফলে বিভাগে অনিয়ম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষ

‘শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করবে সরকার’

অসুস্থ বিএনপি নেতা ডা. রফিকের খোঁজ নিতে বাসায় জোনায়েদ সাকি

আফগানদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হার

যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল ম্যাচ শেষে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৪

চট্টগ্রামে কনসার্টে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১

চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয় : বিএনপি

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে ইমন-সোহান

এনসিপির ‘পলিসি ও রিসার্চ উইং’ গঠন, দায়িত্ব পেলেন যারা

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

১০

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

১১

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

১২

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

১৩

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

১৪

শুধু বক্তব্যে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি মানুষের পাশে রয়েছে : আনোয়ারুজ্জামান

১৫

গুম-খুনে জড়িতদের সঙ্গে আপস নেই : আখতার হোসেন

১৬

বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান দুলুর

১৭

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার

১৮

গুম-দুর্নীতি বন্ধে ধানের শীষে ভোট দিন : আশিক

১৯

গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ, ভাইয়ের পর চলে গেল বোনও

২০
X