রেলওয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় ৩ কর্মচারী বরখাস্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেলওয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) রেলওয়ের বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী তাদের বরখাস্তের এ আদেশ দেন। বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মচারীর মধ্যে রয়েছেন- শেড খালাসি মানিক দাস, জীবন দাস ও জসিম উদ্দিন। এর আগে গত সোমবার একটি ভ্যানগাড়িতে করে অনুমতি ছাড়া ৬০ থেকে ৭০ কেজি রেলওয়ের সম্পদ (লোহা-যন্ত্রাংশ) নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। পরে আরএনবি চৌকিতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেয় আরএনবি চিফ ইন্সপেক্টর আবু সুফিয়ান। তবে মালামালগুলো আরএনবি অফিসে রেখে দেয়। অভিযোগ ওঠে, আরএনবি চিফ আবু সুফিয়ানকে ম্যানেজ করে ছাড়া পায় লোকোশেডের কর্মচারীরা। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া আরএনবি’র পরিদর্শক মো. আবু সুফিয়ান ভুঁইয়া রফাদফা করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মালামালগুলো উদ্ধারের পর জানতে পারি, এগুলো মূলত ‘আবর্জনা’। সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ কেজি হবে। রেলওয়ের এসব মালামাল আমাদের কাছে রেখে দেওয়া হয়েছে। বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে লোকো ইন্সপেক্টর মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত তিনজন শেড খালাসিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে। বরখাস্ত হওয়া লোকোশেডের কর্মচারী জীবন দাস জানান, এসব মালামাল দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের। ডাম্পিং স্টেশনে রাখার জন্য তারা এগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় আরএনবি সদস্যরা বিষয়টি জানতে চান। পরে তারা মালামালগুলো নিয়ে যান। উল্লেখ্য, আখাউড়ায় রেলওয়ের যন্ত্রাংশ চুরি যেন থামছেই না। রেলওয়ের একটি চক্র এর আগেও যন্ত্রাংশ চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ছাড়া পেয়ে যায়।
১২ মে, ২০২৪

রাবির হল ক্যান্টিন মালিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ক্যান্টিন মালিক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন এক নারী কর্মচারী। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসাইনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন ওই নারী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যান্টিন মালিক। অভিযোগকারী ওই নারী বলেন, হাফিজুরের সঙ্গে আমার তিন বছরের সম্পর্ক। আমায় বিভিন্ন কথা বলে, আশ্বাস দিয়ে ব্যবহার করত। আজকে দুপুরবেলা আমি কাজ করছিলাম ক্যান্টিনে ওই লোক ছাড়া আর কেউ ছিল না। তখন সে আবার আমার শ্লীলতাহানি করে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিবেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এলাকায় মানসম্মান আছে। একটা বড় ছেলে আছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমি অভিযোগ করতে চাচ্ছি না। ক্যান্টিন মালিক হাফিজুর রহমান ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। ওই মহিলা ক্যান্টিন থেকে চাল চুরি করে পেছনের দরজা দিয়ে পালাচ্ছিল। আমি দেখতে পেয়ে ওকে আটক করি। কয়েকটা চড় মেরেছি। তখন সে নিজেই কাপড় ছিঁড়ে বলে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিবে। তারপর হলো গেটে এসে চেঁচামেচি শুরু করে। আরিফুল ইসলাম নামের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যান্টিন সিলগালা করায় ভোগান্তি হবে। এরপর ক্যান্টিনের দায়িত্ব যাকেই দেওয়া হোক না কেন, সেখানে ক্যান্টিনের বৈশিষ্ট যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। তবে আজ এ ঘটনায় ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় আমরা কিছুটা ভোগান্তির মুখোমুখি হলেও বৃহৎ স্বার্থে এটা হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন কালবেলাকে বলেন, দুপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যান্টিন সিলগালা করা হয়েছে। শিগগির একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ক্যান্টিন খোলা হবে।
০৩ মে, ২০২৪

বুটেক্সে কর্মচারী মান্নান হত্যায় ১৮ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শহীদ আজিজ হলে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই কর্মচারী আব্দুল মান্নানকে হত্যার ঘটনায় ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৮৩তম সভায় এ শাস্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাদের মধ্যে ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিকুল আলম আতিক, এইচ এম ফুয়াদ হাসান এবং ৪২তম ব্যাচের এনামুল হককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি ৩৯তম ব্যাচের জান্নাতুন নাঈমের স্নাতক ডিগ্রি বাতিল করা হয়। এ ছাড়া ৮ জনকে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, একজনকে হলে ভর্তি নিষিদ্ধ, একজনকে জরিমানা করা ও চারজনকে সতর্ক করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই বুটেক্সের শহীদ আজীজ হল থেকে মোবাইল চুরির ঘটনায় আবাসিক শিক্ষার্থী কর্তৃক আব্দুল মান্নান নামে এক কর্মচারীকে হত্যা হয়। নিহত কর্মচারী হলের ডাইনিংয়ে কাজ করতেন।  সেদিন রাতে আতিকুল আলম ও ফুয়াদ হাসান ডাইনিংয়ের কর্মচারী বয় মান্নানকে হলের ৩১৮ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তারপর মুঠোফোন চুরির অভিযোগ তুলে তাকে হাতুড়ি, ক্রিকেট খেলার স্টাম্প, মশারি টানানোর লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকেন।  একপর্যায়ে মান্নান অচেতন হয়ে পড়লে রাতে হামলাকারীরা তাকে শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন পুলিশ আতিকুল, ফুয়াদ ও মো. নাঈমকে গ্রেপ্তার করে। তেজগাঁও থানায় আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন হলের কর্মচারী মো. মাসুদ।
০১ মে, ২০২৪

শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী নেবে কুয়েট, পদসংখ্যা ৬৪
সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের বিভিন্ন পদে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আগামী ৫ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা পদের নাম : শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী আবেদন শুরুর তারিখ : ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ : ৫ মে, ২০২৪ আবেদনের যোগ্যতা : প্রতিটি পদে আবেদন করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদন ফি : অনলাইন আবেদনের সঙ্গে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫–এর গ্রেড-৯ বা তদূর্ধ্ব পদের জন্য ১০০০ টাকা, গ্রেড-১০ভুক্ত পদের জন্য ৭৫০ টাকা এবং গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-২০ পদের জন্য ৫০০ টাকা অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। আবেদন দাখিল করার পর ক্রমিক নম্বর ১ থেকে ৫ নম্বর পদের জন্য ১০ সেট প্রিন্ট কপি, ক্রমিক নম্বর ৬ থেকে ৩৩ নম্বর পদের জন্য ৬ সেট প্রিন্ট কপি এবং ক্রমিক নম্বর ৩৪ থেকে ৪৪ নম্বর পদের জন্য এক সেট প্রিন্ট কপি আগামী ৬ মে, ২০২৪ তারিখ বিকেল ৫টার মধ্যে রেজিস্ট্রার দপ্তরে পৌঁছাতে হবে। ডাক বিভাগের বিলম্বের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদের সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি হতে পারে। এর ক্ষমতা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

জিয়াউর রহমান ছিলেন ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না। গ্রিসের একটি হোটেলে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে স্থানীয় সময় বুধবার বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। নবম ‘আওয়ার ওশান কনফারেন্সে’ যোগ দিতে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবস্থান করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সে ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে, তা প্রমাণ হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না। স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে নবম ‘আওয়ার ওশান কনফারেন্সে’ যোগদানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় একটি হোটেলে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সে ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়। মুজিবনগর দিবস স্মরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেসক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদের পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতিশোধ নিতে সমুচার ভেতর কনডম দিল কর্মচারী
খাবারের মান খুবই খারাপ তাই ক্যাটারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়। সেই রাগ আর ক্ষোভ থেকে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটাল ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। চুক্তি অনুযায়ী শেষ কয়েক দিন বাকি ছিল খাবার সরবরাহের। এই সুযোগে বিকেলের নাস্তায়, সমুচা-সিঙ্গারার ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় কনডম, পাথর, সুপাড়ির মতো শক্ত উপাদান। এতেই হুলুস্থুল কাণ্ডে ঘটে গেছে।  এই কাণ্ডে ক্যাটারিং সার্ভিতের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত হয়ে গেছে। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ক্যাটালিস্ট সার্ভিস সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড নামের ওই অটোমোবাইল সংস্থার ক্যান্টিনে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের দায়িত্বে ছিল মনোহর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থা। নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করায়, চুক্তি বাতিল করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ষড়যন্ত্র করে এই সব জঘন্য-অখাদ্য রাখা হয়েছিল সমুচার ভেতরে। ওই  অটোমোবাইল সংস্থার কিছু কর্মী সমুচা খেতে গিয়ে তাতে জন্মনিরোধক কনডম, সুপারির টুকরা এবং পাথরকুচি খুঁজে পান। এরপরই এ বিষয়ে সংস্থার তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে সেখানে সমুচা ও শিঙাড়া সরবরাহের জন্য দায়িত্বে ছিলেন একটি সাব-কন্ট্রাক্টিং ফার্মের দুজন কর্মী এইং অন্য তিনজন একটি ফার্মের অংশীদার। স্থানীয় প্রশাসন জানায়, মনোহর এন্টারপ্রাইজের কর্মচারীদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে ফিরোজ শেখ ও ভিকি শেখ নামে দুই কর্মচারী সমুচার ভেতরে এসব অখাদ্য রাখার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, বাকি তিনজন তাদের সমুচায় এগুলো রাখার নির্দেশ দিয়েছিল।   
১০ এপ্রিল, ২০২৪

কর্মচারী হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত একমাত্র স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল। পাঁচ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় হাসপাতালকে ৪ তলা থেকে ১৬ তলা এবং ১৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণের প্রস্তাব অনুমোদন করেন। এরপর উদ্যোগ নেওয়া হয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কেনাকাটার। এই প্রকল্পে হাইটেক মেডিকেল যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় পদে পদে হয়েছে নজিরবিহীন অনিয়ম। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসকে (পিপিআর) বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দরপত্র আহ্বান করেন প্রকল্প পরিচালক। এরপর কৌশলে পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একের পর এক কাজ বাগিয়ে দিয়েছেন। এ-সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে এর আগেও কালবেলায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এখন আবার দরপত্রের শর্ত শিথিল করে পুনঃদরপত্রের মাধ্যমে আরও তিনটি প্যাকেজের কাজ পাইয়ে দিতে প্রকল্প পরিচালক উঠেপড়ে লেগেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের (এসকেএইচইউপি জিডি-১০) প্যাকেজে ভারী মেডিকেল ইকুইপমেন্ট কেনাকাটার দরপত্র আহ্বান করা হয়। যার প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় আনুমানিক ৪০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এই প্যাকেজে এমআরআই, সিটিস্ক্যান, এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসাউন্ডসহ অন্যান্য স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি কেনার কথা। দরপত্রে স্পেসিফিকেশনে উন্নত প্রযুক্তি ও উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতির উল্লেখ করা হয়। কিন্তু কেনাকাটার সময় প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে স্পেসিফিকেশন যথাযথভাবে অনুসরণ হয়নি। উল্টো অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে যন্ত্রপাতি সরবরাহের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়। এরপর একে একে এসকেএইচইউডি জিডি-১১, ১২, ১৩, ১৪ এবং ১৫ নম্বর প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। তার মধ্যে ১৪ ও ১৫ নম্বর প্যাকেজে সর্বোচ্চ দরদাতা মেডিকিট করপোরেশনকে নিয়ম লঙ্ঘন করে কাজ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর প্যাকেজে উন্নত প্রযুক্তি ও উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি কেনাকাটার কথা বলা হয়। সেখানে বাধে বিপত্তি। পিপিআর অনুসারে এসব দরপত্রে অংশ নিতে হলে এককভাবে অন্তত ৭০ ভাগ কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। হাসপাতালের কেনাকাটার ১১ নম্বর প্যাকেজে আহ্বানকৃত দরপত্রে প্রাক্কলিত মূল্য ৪৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার কাজের সরবরাহের অভিজ্ঞতা ৭০ ভাগ হিসেবে একক চুক্তিমূল্য ৩৩ কোটি টাকা চাওয়া হয়। সেই হিসেবে ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর প্যাকেজে প্রকল্প পরিচালকের পছন্দের ঠিকাদারের অভিজ্ঞতা না থাকায় টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ সরবরাহকারী দরপত্রে উন্নত প্রযুক্তি ও উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন স্পেসিফিকেশনের যন্ত্রপাতি সরবরাহের লক্ষ্যে তিনটি প্যাকেজে দরপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং পিপিআরের শর্ত ভঙ্গ করে পছন্দের ঠিকাদারকে তিনটি প্যাকেজের কাজ পাইয়ে দিতে প্রকল্প পরিচালক দরপত্রটি বাতিল করে পুনঃদরপত্র আহ্বান করেন। ফের আহ্বানকৃত দরপত্রের ১১ নম্বর প্যাকেজে তার পছন্দের ঠিকাদারের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী অভিজ্ঞতা সনদ হিসেবে ন্যূনতম একক চুক্তিমূল্য ৩৩ কোটি টাকার পরিবর্তে দুটি চুক্তিতে ২০ কোটি টাকার সরবরাহ কাজের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের এসকেএইচইউপি জিডি-১৪ (সিএসএসডি) এবং এসকেএইচইউডি জিডি-১৫ (ফার্নিচার) দুটি প্যাকেজের কাজও পছন্দের ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হয়েছে সর্বনিম্ন দরদাতাকে। ১৪ নম্বর প্যাকেজে মোট চারটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল ক্রমানুসারে মেডিস্কয়ার লিমিটেড, এইচটিএমএস, নিউ ভিশন মেডিসিস্টেম। কিন্তু এদের বাদ দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা মেডিকিট করপোরেশনকে কাজ দেওয়া হয়েছে। একাধিক দরদাতা জানান, মেডিকিট করপোরেশন করোনার সময় কভিড টেস্টের কিট সরবরাহ করত। সেই সময় তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তারা কখনো হাইটেক যন্ত্রপাতি কোনো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেনি। এরপরও অনভিজ্ঞ এই প্রতিষ্ঠানকে একের পর এক কাজ পাইয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন প্রকল্প পরিচালক শরীফ মো. ফরহাদ হোসেন। অভিযোগ উঠেছে, এর আগে অনভিজ্ঞ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হাইটেক মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে। তাদের সরবরাহ করা এমআরআই, সিটি স্ক্যান, ডিজিটাল এক্স-রেসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালেও এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (নিমিউ অ্যান্ড টিসি) টেকনিক্যাল ম্যানেজার (ট্রেনিং) এবং সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল সম্প্রসারণ প্রকল্পের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম এন নাশিদ রহমান কালবেলাকে বলেন, যন্ত্রপাতি কেনাকাটার স্পেশিফিকেশন নিয়ে কোনো জটিলতা কিংবা মানের প্রশ্ন হলে বিষয়টি আমরা তদারকি করি। এর বাইরে দরপত্রের শর্ত পরিবর্তন কিংবা পরিমার্জনের এখতিয়ার আমাদের নেই। দরপত্রের সবকিছু দেখভাল করেন প্রকল্প পরিচালক। অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রকল্প পরিচালক শরীফ মো. ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে গতকাল বুধবার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর তার ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। পরে তার ব্যক্তিগত নম্বরে খুদেবার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

৭০ হাজার সরকারি কর্মচারী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা আর্জেন্টিনার
৭০ হাজার সরকারি কর্মচারী ছাটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে আর্জেন্টিনা। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্তে নিতে চলেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু সরকারি কর্মচারীদের ছাঁটাই নয়, প্রাদেশিক সরকারগুলোর জন্য বিভিন্ন বরাদ্দ ও দুই লাখের বেশি সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচিও বাতিল করেছেন তিনি। তার মতে, এসব বরাদ্দ দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ।  গত মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে একটি অনুষ্ঠানে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ভাষণে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন হাভিয়ের মিলেই। যে কোনো মূল্যে এ বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক বাজেটে ভারসাম্য আনতে চান তিনি।  ভাষণে তিনি বলেন, আমাদের এখনও অনেকগুলো কাজ বাকি। তিনি জানান, আরও কঠোর সিদ্ধান্ত আসছে। দেশের ২৭৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি সময়ে সরকারি কর্মচারীদের বেতনভাতা ও পেনশনের কারণে ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে।  এনডিটিভি জানিয়েছে, বর্তমানে আর্জেন্টিনায় প্রায় ৩৫ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কর্মচারীদের সংগঠন ধর্মঘট ডেকেছিল। ফলে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিতে গেলে শ্রমিক সংগঠনের বাধার মুখে পড়তে পারেন।  গত বছরের নভেম্বরে আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ডানপন্থি রাজনীতিবীদ হাভিয়ের মিলেই। নির্বাচিত হয়েই দেশটিতে নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনার ঘোষণা দেন তিনি।  নির্বাচনের আগেই আর্জেন্টিনার এ প্রেসিডেন্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির জন্য বেশকিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তার পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ, পেসোকে মুদ্রা হিসেবে বাতিল বা সংস্কার করা এবং সরকারি ব্যয় কমানো।
২৮ মার্চ, ২০২৪

লটারির মাধ্যমে রাজউকের ১২১ কর্মচারী বদলি
লটারির মাধ্যমে ১১টি পদের ১২১ কর্মচারীকে বদলি করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ পদ্ধতিতে বদলি করা হলে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও কাজের গতি বাড়ার সঙ্গে নগরবাসী আরও বেশি সেবা পাবেন বলে আশা করছেন রাজউক সংশ্লিষ্টরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজউক ভবনের সভাকক্ষে এ লটারি হয়। পদগুলো হলো- কানুনগো (গ্রেড-১০), ইমারত পরিদর্শক (গ্রেড-১০), হিসাবরক্ষক (গ্রেড-১১), নথিরক্ষণ কর্মকর্তা (গ্রেড-১২), নকশাকার (গ্রেড-১২), উচ্চমান সহকারী (গ্রেড-১৪), সুপারভাইজার (গ্রেড-১৬), ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (গ্রেড-১৬), কনিষ্ঠ হিসাব সহকারী (গ্রেড-১৬), অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর (গ্রেড-১৬) এবং নথিরক্ষক (গ্রেড-১৭)। রাজউক চেয়ারম্যান (সচিব) আনিছুর রহমান মিঞা জানান, পদায়ন, বদলি ও অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে লটারির মাধ্যমে বদলির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৭ আগস্ট রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বিভিন্ন পদে নতুন যোগদান করা ১৩০ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সার্ভেয়ার পদে নতুন যোগদান করা ৩২ কর্মচারীকে একই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দপ্তরে পদায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী ও সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২২ মার্চ, ২০২৪
X