অনিয়মের বেড়াজালে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসনিক কাজে তিন বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, বিজ্ঞপ্তির এমন শর্ত ভঙ্গ করে জাল সনদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সুপারভাইজর সোহেল রানার বিরুদ্ধে। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ইউজিসির কাছে অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে। ‘হল সুপারভাইজর’ পদে নিয়োগটি ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটকে চিঠি ইস্যু করেছে ইউজিসি। জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পদের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের জন্য ‘হল সুপারভাইজর’ পদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে পদটির জন্য আবেদনকারীদের অন্যান্য যোগ্যতার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা হিসেবে, (ক) সরকারি/ আধা সরকারি/ স্বায়িত্বশাসিত/ শিক্ষা প্রশাসনে প্রশাসনিক কাজে প্রশাসনিক কাজে তিন বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতার বলা হয়। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২তম সিন্ডিকেটে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের গুজিয়াম আলিম মাদ্রাসা থেকে কমম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব রক্ষক (খণ্ডকালীন) কাজের অভিজ্ঞতার সনদ দাখিল করে এ পদে নিয়োগ পান। আবেদনকারীদের সকল সনদ যাচাইয়ের পর যে তালিকা হয়, রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে সে তালিকা সংগ্রহ করেন জাহানারা মুক্তা নামে অপর এক আবেদনকারী। তাতে দেখা যায়, সোহেল রানা ২ বছর ১ মাসের অভিজ্ঞতার সনদ দাখিল করেছিলেন। তার মন্তব্যের কোঠায়, ‘আবেদনের (ক) শর্ত পূরণ করেননি’ মর্মে উল্লেখ ছিল। তা সত্ত্বেও সোহেল রানার নিয়োগ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা নামক একটি মেয়েদের হলের জন্য একজন পুরুষকে হল সুপারভাইজর করে নিয়োগ দেওয়াসহ নানা অসঙ্গতি নিয়ে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তা।  হল সুপারভাইজর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সোহেল রানা এখন রেজিস্ট্রার দপ্তরের আইন কর্মকর্তার সহকারী হিসেবে কাজ করছেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়। এদিকে এই নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত তথ্য ও মাদরাসা অধ্যক্ষের একটি ভিডিও বার্তাসহ, শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসির উপ-পরিচালক বরাবর নিয়োগ জালিয়াতির লিখিত অভিযোগ করেন একই পদে আবেদনকারী অপর চাকরিপ্রার্থী কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাহানারা মুক্তা। অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরি কমিশনের বিভিন্ন দপ্তরে। অভিজ্ঞতা সনদটি যাচাইয়ের জন্য গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গুজিয়াম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে চিঠি দেন কমিশন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুনের দেওয়া জবাবে ইউজিসির বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয়েছে, প্রকাশিত বিজ্ঞাপণের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হল সুপারভাইজর’ পদে নিয়োগটি ত্রুটিপূর্ণ। গত ১৭ এপ্রিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত খাত হতে সম্মানি দেওয়া হয় এমন খণ্ডকালীন কাজের অভিজ্ঞতার সনদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত/স্থায়ী পদের বিপরীতে জনবল নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ আছে কিনা সেটি বিবেচ্য। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন সিন্ডিকেটে বিষয়টি উপস্থাপন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং কমিশনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’ ওই নিয়োগের পরপরই একজন গণমাধ্যমকর্মীর ধারণ করা একটি ভিডিও রেকর্ড এসেছে কালবেলার হাতে। এতে দেখা যায়, ওই গণমাধ্যমকর্মী গুজিয়াম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রশ্ন করেন, ‘সোহেল রানা নামে কোনো ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাবরক্ষক কর্মরত ছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নে অধ্যক্ষ বলেন, এ নামে কেউ নেই, ছিলেন না।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে এবার সুর পাল্টে অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি তো (সোহেল রানা) এখানে পার্টটাইম কাজ করতেন। নাম প্রকাশে একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা বলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত ওই সোহেল রানার শিক্ষাজীবনে এইচএসসি পাস করেছেন জিপিএ ২.৮০ পেয়ে এবং বেসরকারি ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্সে সিজিপিএ ২.৮৬ পেয়ে স্মাতক পাস করেন। অথচ তার চেয়ে অনেক ফল অর্জন করা আবেদনকারীরাও কেন বাদ পড়েছেন, তার পেছনে রহস্যজনক কারণ আছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইউজিসির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, কমিশনের কাছে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যেহেতু নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সিন্ডিকেটকেই নিয়োগ বাতিল করতে হবে।   অভিযোগকারী জাহানারা মুক্তা বলেন, অবৈধপন্থা অবলম্বন করে অর্থের বিনিময়ে জাল সনদে সোহেল রানাকে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর এজন্যই বিভিন্ন তথ্যউপাত্ত সরবরাহ করে ইউজিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ত্রুটিপূর্ণ হয়নি জানিয়ে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি বলেছে, সিন্ডিকেটে নিয়ে যাও, ইউজিসির কথামতো আমরা সিন্ডিকেটে নিয়ে যাব। সিন্ডিকেট সদস্যরা যে মত দেবে, তাতে যদি কারও চাকরি থাকে থাকবে, না থাকলে থাকবে না। কারও প্রতি আমাদের আলাদা পক্ষপাত নেই।
১৪ মে, ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় গবেষণা মেলা শুরু
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে দুই দিনব্যাপী দ্বিতীয় গবেষণা মেলা ২০২৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের আয়োজনে সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গবেষণা মেলা। বুধবার (৮ মে) বিকেলে গবেষণা মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা। ৮ ও ৯ মে দুইদিনব্যাপী গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি বিভাগ ৩২টি স্টলের মাধ্যমে তাদের গবেষণা কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশুরেন্স সেলসহ বিভিন্ন ইন্সটিটিউটসমূহ তাদের কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রকাশ করবে। গবেষণা মেলার সমাপনী আয়োজনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট গবেষক, বিজ্ঞানী ও বুয়েটের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। 
০৯ মে, ২০২৪

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব
সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য বিশ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে হাসান শিশির। ‘ঝিরি পথ পেরিয়ে’ নামের যে চলচ্চিত্রটির জন্য অনুদান পেয়েছেন, সেটার চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করলেও চলচ্চিত্র নির্মাণ ও বোঝাপড়ার দিকে তুলনামূলক ঝোঁক ছিল, বেশি ছিল শিশিরের। সেই সময় তুলনামূলক নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টির চলচ্চিত্রপ্রেমীদের সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব। শিশিরের ভাষায়, আমরা যে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখনো বেশ ঘরোয়া পরিবেশ বিরাজ করছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে। তবে যেহেতু বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে থাকেন না, তাই ক্লাস-পরবর্তী সময়েই একটা শূন্যতা বশ করে ফেলত ক্যাম্পাসে। আমাদের ক্লাবের উদ্দেশ্য ছিল চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র শিল্পকে উপজীব্য করে নিজেদের আরও পরিশীলিত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। ক্লাবটি যাত্রা শুরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ চালুর সাত বছর আগে; ২০০৯ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ক্লাবটি নিয়মিতভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী আয়োজন শুরু করে। কখনো থিয়েটার ডিপার্টমেন্টের স্টুডিও থিয়েটার হলে কিংবা কখনো ইংরেজি বিভাগের বারান্দায়। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বা বৃহস্পতিবারে চলতো ক্লাসিক্যাল সব চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর এমন আয়োজন। এরপর ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় শর্টফিল্ম ফেস্টিভালের আয়োজন করে ক্লাবটি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যারা শর্টফিল্ম নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত, তারা আয়োজনটিতে অংশগ্রহণ করেন। দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে শতাধিক শর্টফিল্ম জমা পড়ে এবং প্রদর্শনী করা হয় ৫৪টি চলচ্চিত্র। পরে ফিল্ম অ্যাপ্রিশিয়েশন কোর্স চালু করা হয় ক্লাব থেকে। ২০১৭ সালের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নিয়ে প্রথমবারের ফিচার ফিল্ম তৈরি করে ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি; ১০ মিনিটের এই ফিল্মটি সর্বমহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সঙ্গে যৌথ আয়োজনে সংগঠনটি ক্যাম্পাসে তিন দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এ উৎসবে একাত্তরের মা জননী (পূর্ণদৈর্ঘ্য), একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি (প্রামাণ্যচিত্র), ভুবন মাঝি (পূর্ণদৈর্ঘ্য) ও সেই রাতের কথা বলতে এসেছি (প্রামাণ্যচিত্র) এবং আগামী ১৪ ডিসেম্বর তারিখ দেখানো হবে স্টপ জেনোসাইড (প্রামাণ্যচিত্র), অনিল বাগচীর একদিন (পূর্ণদৈর্ঘ্য), বধ্যভূমিতে একদিন (প্রামাণ্যচিত্র) ও বিশ্বসভায় বাংলাদেশ (প্রামাণ্যচিত্র) প্রদর্শন করা হয়। তারা ইউনাইটেড ন্যাশনস, বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার ফেস্টিভ্যাল, দ্য ডেইলি স্টার-সেলিব্রেটিং লাইফ, উইম্যান পিস ক্যাফেসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র নির্মাণবিষয়ক ওয়ার্কশপ আয়োজন করে থাকে। ১৪ বছরের ব্যবধানে শিশির ছাড়াও ক্লাবের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য চলচ্চিত্র নির্মাণ, শর্টফিল্ম নির্মাণ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ী, বিদেশে ফিল্ম নিয়ে উচ্চশিক্ষাসহ চলচ্চিত্রের নানাক্ষেত্রে অবদান রাখছে। শিশির নিজে ফিল্ম স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে কাজ করছেন বাংলা ভাষার সিনেমা নিয়ে। ক্লাবের সাবেক সদস্য সাব্বির আহমেদ আবির আলোকচিত্র নিয়ে পড়াশোনা করছেন ভারতের হায়াদ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাদ আহমেদ ফুয়াদ সেকেন্ড রানার্সআপ হয়েছেন তারেক মাসুদ শর্ট ফিল্ম কম্পিটিশন-২০২০ এ। ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সভাপতি জি এম মেহেদী হাসান জানান, ক্লাবের প্রতিটি সদস্যদের ফটোগ্রাফি ও সিনেমাটোগ্রাফিতে পারদর্শী করে তোলা। আন্তর্জাতিক কোলাব্রেশন। এবং ত্রিশাল তথা ময়মনসিংহ অঞ্চলকে ক্যামেরার লেন্স দিয়ে পুরো বিশ্বকে দেখানো।
০৫ মে, ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাউল ও লোকগানের কর্মশালা
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশ্ব সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের বাউল ও লোকদর্শন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুই দিনব্যাপী বাউল ও লোকগানের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সংস্থার সভাপতি বাউল শফি মন্ডল কর্মশালায় মুখ্য প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সোম ও মঙ্গলবার (২৯ ও ৩০ এপ্রিল) দুই দিনব্যাপী আলোচনা সভা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও রাতে ভাব গানের আসরের মধ্য দিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের আয়োজনে কর্মশালাটি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ বাউল ও লোকশিল্পী সংস্থা।  নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, আজকের পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে প্রশান্তির সংকট। মানুষের ভেতরে শান্তি নেই, বাকি সব আছে। বাউলরা সেই প্রশান্তিই খোঁজে। তারা মনের প্রশান্তি খুঁজে দেয়। আজকে পাশ্চাত্য যে অভিঘাত তা থেকে বাউল সাধকরা আমাদের মুক্তি দিতে পারে। তাদের যে দর্শন এই দর্শনকে দেখবার জন্য, উপলব্ধি করবার জন্য বিদেশ থেকে লোক আসছে। এই বাউল আমাদের নিজস্ব সম্পদ। যে সম্পদ দিয়ে আমরা সারা বিশ্বে পরিচিত হতে পারি। সংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম। গানের দর্শন নিয়ে আলোচনা করেন সংগীত বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. জাহিদুল কবীর, লেখক-গবেষক রুবেল সাইদুল আলম ও মো. তাজউদ্দিন। সংগীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, বাউল শফি মন্ডল একজন গুণী মানুষ। অনেক শিল্পী ওনার গান শুনে বড় হয়েছে, অনুপ্রাণিত হয়েছে। আমাদের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ওনার কাছ থেকে সরাসরি গান শেখার সুযোগ পেয়েছে। আমি মনে করি, ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটা বড় প্রাপ্তি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন সমৃদ্ধ হয়েছে, একইসঙ্গে আমাদের বিভাগও সমৃদ্ধ হয়েছে।  দুই পর্বের অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্বে ভাব গানের আসরটি পরিবেশিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুরুলিয়া মঞ্চে। এ সময় সংগীত পরিবেশন করেন বাউল শফি মন্ডল, অধ্যাপক ড. জাহিদুল কবির, রুবেল সাইদুল আলম, সরদার হীরক রাজা, প্রকৌশলী মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান সবুজ, দিতি সরকার, মিজানুর রহমান ভুট্টো এবং সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
০১ মে, ২০২৪

সরকারের পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির
বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক দাবি করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি জানায়, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে সকল স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তার অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহে আগামী ১ জুলাই ও তার পরবর্তী সময়ে নুতন যোগদানকৃত সকল চাকরিজীবীকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সারাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে, এই পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন কাম্য নয়। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে যে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেই গুরুত্ব এবং শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। একইসঙ্গে মেধাবীরা শিক্ষকতায় নিরুৎসাহিত হবেন। বৈষম্যমূলক এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনের দাবি জানায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদাকে সমুন্নত করার জোর দাবিও জানায় শিক্ষক সমিতির নেতারা।
২২ মার্চ, ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তা, ২ শিক্ষক বরখাস্ত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুই শিক্ষককে বরখাস্তের পাশাপাশি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটির কার্যক্রম অব্যাহত রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের সভা শেষে দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত এবং বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, সিন্ডিকেট আজকের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটির কাজ চলমান থাকবে। তদন্ত সাপেক্ষে সিন্ডিকেট আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রসঙ্গত, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় হয়রানি এবং বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর থেকেই একাধিকবার প্রশাসনিক ভবনে তালা, বিক্ষোভ ও মৌন মিছিল, মোমবাতি প্রজ্বলন, অনুষদ ভবনে তালাসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। এ ঘটনায় গত ৬ মার্চ ৩ সদস্যের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৪ মার্চ, ২০২৪

ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও অশোভন ইঙ্গিতের অভিযোগে আবারও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।  এ সময় সাজন সাহাকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত পরিচালনা এবং অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তারা। শিক্ষার্থীরা সাজন সাহার কুশপুত্তলিকায় জুতার মালা পড়িয়ে স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে রেজিস্ট্রার বরাবর দাবিসমূহ হস্তান্তর করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে দুপুর ২টায় নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের বিচার দাবি ও নিরপরাধ শিক্ষকদের সম্মান হত্যার প্রতিবাদে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে মানববন্ধন করেন বিভাগটির শিক্ষকরা। পাশাপাশি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা এবং জড়িতদের দ্রুততম সময়ে শাস্তি নিশ্চিতে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীর পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। শিক্ষকরা বলেন, আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে যারা একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সম্মানহানি করছে তাদের প্রতি নিন্দা জানাই। মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার আহ্বানও জানান তারা। এ ছাড়াও দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলো শিক্ষক কর্তৃক নারী শিক্ষার্থী হেনস্তার প্রতিবাদে মুখে কালো পতাকা বেঁধে মৌন মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে। এ সময় বক্তারা এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ে শাস্তির দাবি জানায়। এর আগে গত ৪ মার্চ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই বিভাগের নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাবের বিষয়টি সামনে আসে। এ ছাড়া প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় হয়রানি এবং বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১০ মার্চ, ২০২৪

ছাত্রীকে অশোভন ইঙ্গিত শিক্ষকের, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত এবং অশোভন ইঙ্গিতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। রোববার (৩ মার্চ) সাজন সাহার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে মধ্যরাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অঙ্ক বোঝাতে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা,  প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নম্বর কমিয়ে দেওয়া ও থিসিস রিপোর্ট তৈরিতে হয়রানি করার বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে।  শুধু তাই নয়, শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাড়ি পরে দেখা করতে বলা, ইনবক্সে ছবি চাওয়া, রিকশা নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, ক্যাম্পাসের বাইরে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার নিমন্ত্রণ, ম্যাসেঞ্জারে অন্তরঙ্গ ভিডিওর লিঙ্ক শেয়ার করার মতো নানা অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।  এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাজন সাহাকে শাস্তির আওতায় এনে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণসহ ৬ দফা দাবি জানান। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।  এ ধরনের ঘটনাকে বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি, সে নিজেও উপস্থিত হয়নি। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি, সে দেখা করবে।  তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি উপাচার্য, প্রক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ই-মেইলে অভিযোগ পাঠিয়েছি। এর আগে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে জানালে তিনি কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং গোপন রাখতে বলেন। এ ঘটনায় প্রশাসন যদি সুষ্ঠু ব্যবস্থা না নেয় প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নেব। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোনো নারী শিক্ষার্থী এ রকম হেনস্তার শিকার না হয়। বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র বলেন, বিষয়টি শোনার পর আমি ওই শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ রিপোর্ট তৈরির বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেই। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় আমি বিভাগে কয়েকদিন আসতে পারিনি। আমার কাছে শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব সবার আগে। অপরাধ করলে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
০৪ মার্চ, ২০২৪

বইমেলায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ফোকলোর গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও তরুণ ফোকলোর গবেষক আরমিন হোসেনের চতুর্থ গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘উত্তর-আধুনিকতা ও ফোকলোর’ প্রকাশিত হয়েছে। ফোকলোরের সাথে তত্ত্বগত আলোচনা সমৃদ্ধ এ গবেষণাগ্রন্থটি পাওয়া যাবে বইমেলার ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে। গবেষণাগ্রন্থটিতে ফোকলোরের সাথে উত্তর-আধুনিক কাঠামো নিয়ে লেখক বিস্তর আলোচনা করেছেন। এ ছাড়াও ফোকলোরের রিসাইকেল, ফোকলোরের বহুত্ববাদসহ উত্তর-আধুনিকতার বিভিন্ন দশা, আরবান ও ডিজিটাল ফোকলোরকে উত্তর-আধুনিক তত্ত্বের আলোকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণা গ্রন্থটিতে। আরমিন হোসেন জানান, ফোকলোর গবেষণা একদিকে যেমন ঐতিহ্যকেন্দ্রিক, তেমনি চলমান। চিরাচরিত দৃষ্টিভঙ্গিতে অর্থাৎ গ্রামের সাথে ফোকলোর শব্দটিকে একচ্ছত্র করে না দেখে তত্ত্বালোকে ফোকলোরের প্রবণতাগুলোকে শনাক্তকরণের মাধ্যমে গবেষণা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ঐতিহ্যে প্রথা, আচার, বিশ্বাস, উৎসব, প্রবাদসহ বিভিন্ন উপাদান, সেদিক থেকে নগরে উদ্ভব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যাশ্রিত ফোকলোর একইসাথে প্রবাহিত হচ্ছে নাগরিক মননে। কখনো দীর্ঘসময় অতিক্রান্তের ফলে তা অবিকৃত থাকছে না। কখনো-বা কিছু উপাদান একবারেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কখনো সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে রূপান্তরিত রূপ হিসেবে নগরে টিকে রয়েছে। গ্রন্থটি আমার প্রায় ৪ বছরের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার ফল। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি উত্তর-আধুনিকতা প্রবণতার আলোকে ফোকলোরের তাত্ত্বিক ডিসকোর্স উপস্থাপন করার। আরমিন হোসেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ফোকলোরের বিভিন্ন বিষয়ে তার গ্রন্থ ও গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের ইতিকথা পাবলিকেশন থেকে তার তৃতীয় গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘পরিবেশ ফোকলোর’ প্রকাশিত হয়েছে। অন্য দুটি গ্রন্থ হলো ‘হিজড়া লোকগোষ্ঠীর পরিবর্তিত সমাজ কাঠামো: বিবাহকেন্দ্রিক কৃত্যানুষ্ঠান’ এবং ‘১৫০ বছরের ঐতিহ্যে গহনাপল্লী’।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। পরে ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ২২২ টি ভোটের বিপরীতে জমা পড়েছে ২১৯টি ভোট। এর মধ্যে সশরীরে ১৮৪টি এবং অনলাইনে ৩৫টি ভোট জমা পড়ে। নির্বাচন কমিশনার কাজী মো. সাহিদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। নির্বাচনে সহসভাপতি পদে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসিফ ইকবাল আরিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক একেএম মাসুদুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জনি, কোষাধ্যক্ষ পদে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আলিম মিয়া, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দেবাশীষ বেপারী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জনি এবং দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইন্দ্রানী মন্ডল নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ছয়টি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আইন ও বিচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ ইরফান আজিজ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ফিরোজ আহমেদ ও স্বপ্না পাপুল, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুশফিকুর রহমান, চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাশেদুর রহমান, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সবুজ চন্দ্র ভৌমিক এসিএমএ। নির্বাচনে সহকারী নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হাসান, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা ইসলাম লিলি, আইন ও বিচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরিন্দম বিশ্বাস এবং ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক আব্দুল করিম।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X