বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক দাবি করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি জানায়, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে সকল স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তার অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহে আগামী ১ জুলাই ও তার পরবর্তী সময়ে নুতন যোগদানকৃত সকল চাকরিজীবীকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সারাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে, এই পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন কাম্য নয়। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে যে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেই গুরুত্ব এবং শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। একইসঙ্গে মেধাবীরা শিক্ষকতায় নিরুৎসাহিত হবেন।
বৈষম্যমূলক এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনের দাবি জানায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদাকে সমুন্নত করার জোর দাবিও জানায় শিক্ষক সমিতির নেতারা।
মন্তব্য করুন