জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও অশোভন ইঙ্গিতের অভিযোগে আবারও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় সাজন সাহাকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত পরিচালনা এবং অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তারা। শিক্ষার্থীরা সাজন সাহার কুশপুত্তলিকায় জুতার মালা পড়িয়ে স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে রেজিস্ট্রার বরাবর দাবিসমূহ হস্তান্তর করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে দুপুর ২টায় নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের বিচার দাবি ও নিরপরাধ শিক্ষকদের সম্মান হত্যার প্রতিবাদে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে মানববন্ধন করেন বিভাগটির শিক্ষকরা। পাশাপাশি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা এবং জড়িতদের দ্রুততম সময়ে শাস্তি নিশ্চিতে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীর পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
শিক্ষকরা বলেন, আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে যারা একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সম্মানহানি করছে তাদের প্রতি নিন্দা জানাই। মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার আহ্বানও জানান তারা।
এ ছাড়াও দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলো শিক্ষক কর্তৃক নারী শিক্ষার্থী হেনস্তার প্রতিবাদে মুখে কালো পতাকা বেঁধে মৌন মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে। এ সময় বক্তারা এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ে শাস্তির দাবি জানায়।
এর আগে গত ৪ মার্চ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই বিভাগের নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাবের বিষয়টি সামনে আসে। এ ছাড়া প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় হয়রানি এবং বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মন্তব্য করুন