বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় কানাডা
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দেশটির এক প্রতিনিধিদল এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল থোপিল। এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হতে যাচ্ছে। বাজার সুবিধা পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশন শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল থোপিল বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ-কানাডার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি করতে চায় কানাডা। অবকাঠামোগত প্রকল্প, সাইবার নিরাপত্তা একই সঙ্গে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী দেশটি। ক্যানোলা তেল রপ্তানি হতে পারে এ দেশে। এ তেলের কারখানা এখানে স্থাপন হলে তেল প্রক্রিয়া করা আরও সহজ হবে। এ সময় ছিলেন বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর দেবরা বইয়েস, এশিয়া-প্যাসিফিক ভাইস-প্রেসিডেন্টের চিফ স্টাফ ব্র্যাড কোয়েল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ডিজি) খন্দকার মাসুদুল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজ প্রমুখ।
১৫ ঘণ্টা আগে

কানাডা ও জাপান সফরে গেলেন গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্যক্তিগত সফরে কানাডা এবং রাষ্ট্রীয় সফরে জাপানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। শনিবার (১৮ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি কানাডার ভ্যানকুভারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভ্যানকুভার যাওয়ার পথে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তার যাত্রাবিরতি করার কথা রয়েছে। আগামী ২৫ মে তিনি টোকিওর উদ্দেশ্যে ভ্যানকুভার ত্যাগ করবেন এবং ২৭ মে তিনি টোকিও থেকে নাগাসাকি পৌঁছাবেন। ২৮ মে নাগাসাকিতে অবস্থিত পিস মেমোরিয়াল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাপানের প্রতি উপহারস্বরূপ প্রদত্ত পিস মনুমেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মন্ত্রীর।    সফর শেষে আগামী ৩১ মে শুক্রবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
১৮ মে, ২০২৪

কানাডা ছেড়ে কেন চলে যাচ্ছে মানুষ?
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের প্রতিবেশী হয়েও নাগরিকদের ধরে রাখতে পারছে না কানাডা। এত এত সুযোগ-সুবিধা, তারপরও নিজ দেশে মন টিকছে না কানাডীয়দের। উন্নত জীবনের জন্য মানুষ যখন কানাডায় যেতে চাইছে, তখন সেই দেশটির নাগরিকরা পাড়ি জমাচ্ছেন অন্য দেশে- মহাদেশে। স্বপ্নের দেশ কানাডা। শিল্পোন্নত দেশটিতে পাড়ি জমানো অনেকেরই স্বপ্ন। কিন্তু এখন কানাডায় থাকাটাই না কি দুঃস্বপ্নের মতো। তাই দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন নাগরিকরাই। উন্নত জীবনের আশায় কানাডায় আশ্রয় নেওয়া অভিবাসীরাও দেশ ছাড়ছে দলে দলে। নতুন এক গবেষণায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস- টিক্সস কানাডা। দেশটিতে অভিবাসী হয়ে আসা ব্যক্তিদের ১৫ শতাংশেরও বেশি ২০ বছরের মধ্যেই কানাডা ছেড়ে গেছে। ১৯৮২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই ৩৫ বছর ধরে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এমন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্ট্যাটিস-টিক্সস কানাডা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট করে কারা এবং কেনই বা তারা দেশ ছাড়ছেন। জানা গেছে, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, হংকং ও লেবাননের মতো দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের ২৫ শতাংশেরও বেশি কানাডায় ঢোকার ২০ বছরের মধ্যে নিজ দেশে ফেরত গেছেন। মাতৃভূমিতে ভ্রমণ, চাকরি ও পড়াশোনার সুযোগ বাড়ায় তারা কানাডায় আর থাকতে চাইছেন না। অবশ্য কানাডা ছাড়ার পেছনে অন্য আরও কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, কানাডায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া। অনেক অভিবাসীর কাছে কানাডা একটি থ্রি স্টার হোটেল। কিন্তু খরচ ফাইভ স্টার হোটেলের মতো। এ ছাড়া শ্রমবাজারে একীভূত হতে না পারা, নিজ দেশে স্বজনের মৃত্যু, প্রতিকূল আবহাওয়া, ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ না খাওয়াতে পারার মতো বিষয়গুলোর কারণে উত্তর আমেরিকা ছাড়ছে অনেকে। কানাডায় প্রতি বছর গড়ে ২ থেকে ৩ লাখ অভিবাসী প্রবেশ করেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ অন্য দেশে জন্ম নিয়েছে। তবে ২০২২ সালে কানাডায় রেকর্ড পরিমাণ মানুষ প্রবেশ করে, যা ১৯৫৭ সালের পর সর্বোচ্চ। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে সামনের দশকগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কানাডাকে অভিবাসীদের ওপর নির্ভর করতে হবে। স্ট্যাটিস-টিক্সস কানাডার হিসাব বলছে, ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ কানাডীয় অন্য দেশে বাস করছেন। নিয়ম মেনে তারা কর দিলেও প্রাদেশিক নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। আবার স্বাস্থ্যসেবার মতো সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন। এখন এই কানাডীয়দের কীভাবে দেশের স্বার্থে কাজে লাগানো যায়, সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
০৮ মে, ২০২৪

বিমানের কাছে এবার উড়োজাহাজ বিক্রিতে আগ্রহী কানাডা
এবার বাংলাদেশের কাছে ড্যাশ-৮ মডেলের এয়ারক্র্যাফট বিক্রি করতে চায় কানাডা। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত, ওভারহুইলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাস। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে ওই সাক্ষাৎকার হয়। বোয়িং এবং ড্যাশ-৮ দিয়ে বিমানের ফ্লাইট পরিচালিত হলেও সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় এ সংস্থা ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নেয়। তবে বোয়িং আবারও বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বৈঠক করে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। এরই মধ্যে কানাডা উড়োজাহাজ বিক্রির আগ্রহ প্রকাশ করল। গতকাল বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কানাডার রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্প বিশেষ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই। কানাডা জি টু জি ভিত্তিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের মাধ্যমে বিমানের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত, ওভারহুইলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে আগ্রহী। এ সময় তিনি অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে ব্যবহারের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে আরও ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ বিক্রির করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রত্যুত্তরে মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে বিমানের বহরে ডি হ্যাভিল্যান্ডের তৈরি তিনটি নতুন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। নতুন করে উড়োজাহাজ বিক্রির বিষয়ে কানাডার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে বিমানের প্রয়োজন এবং দেশের মানুষের মঙ্গল বিবেচনায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশেই বিমানের নিজস্ব প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে উড়োজাহাজের সি-চেক পর্যন্ত সব টেকনিক্যাল কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
২২ মার্চ, ২০২৪

এবার উড়োজাহাজ বিক্রি করতে চায় কানাডা
এবার বাংলাদেশের কাছে ড্যাশ-৮ মডেলের এয়ারক্র্যাফট বিক্রি করতে চায় কানাডা। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত, ওভারহলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাত করে এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাস। সাক্ষাৎকালে কানাডার রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্প বিশেষ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই। কানাডা জি টু জি ভিত্তিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের মাধ্যমে বিমানের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত, ওভারহলিং ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার বিষয়ে আগ্রহী। তিনি অভ্যন্তরীণ ও  আঞ্চলিক রুটে ব্যবহারের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে আরও ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ বিক্রির বিষয়েও কানাডার আগ্রহের কথা জানান।   প্রত্যুত্তরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, এরইমধ্যে বিমানের বহরে ডি হ্যাভিল্যান্ডের তৈরি তিনটি নতুন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। নতুন করে উড়োজাহাজ বিক্রির বিষয়ে কানাডার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে বিমানের প্রয়োজন এবং দেশের মানুষের মঙ্গল বিবেচনায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুনভাবে গড়ে তুলছেন। তার আগ্রহে ইতোমধ্যেই বিমানের বহরে নতুন ও অত্যাধুনিক ১৫টি উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। আমরা বিমানের বহর সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন নতুন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক রুট চালু করার বিষয়ে কাজ করছি।   ফারুক খান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশেই বিমানের নিজস্ব প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে উড়োজাহাজের সি-চেক পর্যন্ত সকল টেকনিক্যাল কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। বিমানের বিভিন্ন উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মেরামত ও ওভারহুইলিং এর বিষয়ে কানাডার প্রস্তাবের উপর আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় মন্ত্রী কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।  প্রসঙ্গত, কানাডার এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ডি হ্যাভিল্যান্ড’ ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ তৈরি করে। অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে চলাচল উপযোগী এই উড়োজাহাজ খুব ছোট রানওয়ে থেকে উড্ডয়নে সক্ষম। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা ২১ উড়োজাহাজের মধ্যে পাঁচটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ, অপরগুলো মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের। ৭৮ আসনের ড্যাশ-৮ দিয়ে বিমান অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালিয়ে আসছে। বোয়িং এবং ড্যাশ-৮ দিয়ে বিমানের ফ্লাইট পরিচালিত হলেও সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় এই সংস্থা ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে বোয়িংও ফের বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বৈঠক করে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। এরমধ্যেই কানাডা উড়োজাহাজ বিক্রির আগ্রহের কথা জানালো।  
২১ মার্চ, ২০২৪

ইসরায়েলে অস্ত্র বেচা বন্ধ করছে কানাডা
ইসরায়েলে সব ধরনের অস্ত্র বেচা বন্ধ করবে কানাডা। বুধবার (২০ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলির কার্যালয় থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার। এক বিবৃতিতে মেলানি জোলি বলেন, গত ৮ জানুয়ারি থেকে কানাডা সরকার ইসরায়েলে নতুন অস্ত্র রপ্তানির অনুমতি দেয়নি। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা আমাদের রপ্তানি নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সামাঞ্জস্য নিশ্চিত করতে না পারি, ততক্ষণ তা অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলে প্রাণঘাতী অস্ত্র রপ্তানির জন্য কোনো উন্মুক্ত অনুমতি নেই। তবে ৮ জানুয়ারির আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া বিষয় কার্যকর থাকবে বলে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এগুলো বাতিল করা হলে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো, গোয়েন্দা জোট ফাইভ আইজ, কানাডা ও এর মিত্রদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েল কানাডা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রপ্তানি করে থাকে। কানাডার অস্ত্র রপ্তানির শীর্ষ গ্রাহক হলো ইসরায়েল। ২০২২ সালে কানাডার কাছ থেকে ১৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র আমদারি করেছে ইসরায়েল।
২১ মার্চ, ২০২৪

কানাডা ভ্রমণে এজেন্সির প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী
তেজগাঁওয়ের ইয়ানথুন চায়নিজ রেস্টুরেন্টের মালিক আলবার্ট প্রদীপ ব্যাপারী। এই ব্যবসায়ী সপরিবারে কানাডা ভ্রমণের জন্য ‘ট্রিপ টক’ নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে কানাডায় আসা-যাওয়ার বিমানের টিকিট কেনেন। টিকিটের মূল্য বাবদ তিনি ওই এজেন্সিকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এজেন্সি থেকে টিকিটও বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সেই টিকিট নিয়ে ঠিকঠাক কানাডায় গেলেও বিপত্তি বাধে ফেরার সময়। বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন তার টিকিট বাতিল করে টাকা তুলে নিয়েছে এজেন্সি। এরপর ওই এজেন্সির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন। দেশে ফিরে যোগাযোগ করা হলেও ভুক্তভোগী তার অর্থ ফেরত পাননি। এরপর থানায় মামলা দিতে গেলেও প্রথম অবস্থায় মামলা নেয়নি পুলিশ। এক মাস ধরে দফায় দফায় সমঝোতার চেষ্টা করে থানা পুলিশ। গত শুক্রবার থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়। আসামি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মাহের হাসান এবং তাদের দুজন প্রতিনিধি মো. হাসিবুর রহমান ওরফে জীবন ও শফিকুল শেখকে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলবার্ট প্রদীপ তার সন্তান, স্ত্রীসহ সপরিবারে কানাডা যাওয়ার জন্য ট্রিপ টক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে প্রথমে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। ফোনে তার কথা হয় মো. হাসিবুর রহমানের সঙ্গে। এ সময় তার কাছে কানাডায় যাতায়াতের জন্য জনপ্রতি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। তিনজনের জন্য মোট দাবি করা হয় ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এরপর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তাতে রাজি হলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও মামলার ৩ নম্বর আসামি শফিকুল শেখ গত বছরের ১০ জুলাই ভুক্তভোগীর মালিকানাধীন ইয়ানথুন চায়নিজ রেস্টুরেন্টে আসেন। পরে অগ্রিম বাবদ তাকে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেন ওই ব্যবসায়ী। ২ লাখ ১৬ হাজার টাকার ট্রিপ টক এজেন্সির একটি মানি রিসিটও ভুক্তভোগীকে দেন তিনি। রিসিট নম্বর নং-১৭০১। এরপর টিকিট নিশ্চিত করা হলে গত বছরের ১২ জুলাই পরিশোধ করেন আরও ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা। এরপর একই বছরের ১০ অক্টোবর ওই ব্যবসায়ী সপরিবারে কানাডায় চলে যান। তবে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি তিনি কানাডার টরোন্টো বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন, তাকে নিশ্চিত করা রিটার্ন টিকিট বাতিল করে টিকিটের মূল্য তার অজ্ঞাতসারে তুলে নিয়ে গেছে এজেন্সি। ট্রিপ টক এজেন্সির দেওয়া মানি রিসিট এবং নিশ্চিত করা টিকিটের কপি রয়েছে কালবেলার হাতে। সেখানে দেখা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৮৭-৯ এয়ারক্রাফটে তিনি গত বছরের ১০ অক্টোবর কানাডায় যাওয়ার টিকিট কনফার্ম করেছেন। যার ফ্লাইট নম্বর বিজি ৩০৫। এ ছাড়া বাংলাদেশ বিমানের একই এয়ারক্রাফটে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি তিনি কানাডা থেকে ঢাকার টিকিট কনফার্ম করেছেন। যার ফ্লাইট নম্বর ৩০৬। ই-টিকিট নম্বর যথাক্রমে: ৯৯৭৯৩৪২৩৯১০২২, ৯৯৭৯৩৪২৩৯১০২৩ ও ৯৯৭৯৩৪২৩৯১০২৪। জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আলবার্ট প্রদীপ ব্যাপারী কালবেলাকে বলেন, টরেন্টোর বিমানবন্দরে গিয়ে এজেন্সির প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে আমি তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করি। একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেননি। ফলে আমি হতাশ ও নিরুপায় হয়ে আমার নিকটাত্মীয়র সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের থেকে ধারদেনা করে কানাডিয়ান ৫ হাজার ৫০০ ডলার (বাংলাদেশি টাকা ৪ লাখ ৯৫ হাজার) জোগাড় করে নতুন টিকিট ক্রয় করে দেশে ফিরি। তিনি বলেন, আমার মালপত্র বিমানে পাঠিয়ে দেওয়ার পরে জানতে পারি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তখন সেসব মালপত্র ফেরত নিয়ে কানাডায় যে রয়ে যাব, সেই সুযোগও ছিল না। অন্যদিকে আমার পরিবারের অন্য তিন সদস্যের টিকিট কনফার্ম করায় তারা বিমানে উঠে যাচ্ছে। সেই সময়টায় মানসিকভাবে এতটা কষ্ট পেয়েছি, যেটা বলে বোঝানো যাবে না। ভুক্তভোগী আরও বলেন, এরপর আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। বরং ট্রিপ টক এজেন্সির কর্তৃপক্ষকে বারবার ডেকে দফায় দফায় সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। ট্রিপ টক ট্রাভেল এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মাহের হাসান কালবেলাকে বলেন, ওই ব্যক্তি আমাদের কোম্পানির সাবেক পার্টনার মো. হাসিবুর রহমান জীবনের কাছ থেকে টিকিট ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, পুলিশ আমাদের ডেকেছিল। থানায় বসে তার সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেছিলাম; কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। উনি (আলবার্ট) অন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে টিকিট কেটে প্রতারিত হয়ে তার দায় কোম্পানির ওপর দিচ্ছেন। কোম্পানি এর দায় নেবে না। ওই টাকা জীবন আত্মসাৎ করেছে। তেজগাঁও থানার ওসি মো. মোহসিন বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।’ দীর্ঘ এক মাস ধরে সমঝোতার বিষয়ে ওসি মোহসিন বলেন, ‘এটা সমঝোতার কিছু নেই। কেউ একটা অভিযোগ দিলে আমরা ওটা তদন্ত করে দেখি ঘটনা সত্য কি না। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই মামলা নেওয়া হয়েছে।’
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দেশে ভিনদেশি টিউলিপের মুগ্ধতা, যেন একখণ্ড কানাডা
সূর্যের আলো ও তাপ নিয়ন্ত্রণ করা বিশেষ ছাউনির নিচে সারি সারি ফুটেছে টিউলিপ। কোনোটা সাদা, কোনোটা লাল, সঙ্গে রয়েছে হলুদ-গোলাপিও। একেকটি ফুলের বাহারি রঙে রাজসিক সৌন্দর্যের এ ফুল ছড়াচ্ছে মুগ্ধতা। শীতের দেশের এই টিউলিপ তৃতীয়বারের মতো আবারও ফুটেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। ফুলের এমন সৌরভ দেখতে দর্শনার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। কেউ ছুঁয়ে দেখছেন আবার কেউ প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলছেন। মনে হচ্ছে আকাশ থেকে যেন জমিনে নেমে এসেছে একখণ্ড রংধনুর গালিচা।  জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্তের দর্জিপাড়া গ্রামে দুই ধাপে সফলতার পর তৃতীয়বারের মতো আবারও ফুল চাষ হয়েছে। ফুল ফোটার পর এই ফুল দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নানা বয়সের দর্শনার্থীরা। দর্শনার্থীরা জনপ্রতি ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে টিউলিপ বাগানে ঢুকছেন। তাদের সুবিধার্থে ক্ষুদ্র চাষিরা বাগানের পাশে স্থাপন করেছেন ‘হোটেল টিউলিপ’ নামে একটি রেস্তোরাঁ। যেখানে ফুল দেখতে আসা মানুষ খেতে পারবেন তেঁতুলিয়ার স্থানীয় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবার। সেই সঙ্গে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের অবস্থানের জন্য করা হয়েছে আবাসনের ব্যবস্থা। বাহারি রঙের টিউলিপে মজেছে নানান বয়সী পর্যটকরা। গতবারের মতো এবারও দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টিউলিপের একখণ্ড নেদারল্যান্ডস হয়ে উঠেছে। বাহারি রঙের ভিনদেশি টিউলিপ দেখতে সকল বয়সের পর্যটকের ঢল নেমেছে জেলার সীমান্তবর্তী টিউলিপ গ্রাম দর্জিপাড়ায়। বিভিন্ন দেশে দেড়শরও বেশি প্রজাতির টিউলিপ চাষ হয়। এর মধ্যে ১৯ প্রজাতির ২৫ হাজার বীজ বোনা হয়েছে দর্জিপাড়া গ্রামে। গত বছর লাভের মুখ দেখে তেঁতুলিয়ার মাটিতে এ ফুল নতুন করে চাষ করেছেন উদ্যোক্তারা। এতে করে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি অর্থনৈতিক আয়ে ঘুরেছে তাদের সংসারের চাকা। সাধারণত কানাডা, কাশ্মীর, তুরস্কের মতো শীত প্রধান দেশে চাষ হয় এমন ফুলের। তবে শীতপ্রবণ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার আওতায় টিউলিপ চাষ হচ্ছে। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি টিউলিপ চাষের জন্য আদর্শ। বেসরকারি সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন (ইএসডিও) উদ্যোগে ১৬ জন নারী কৃষাণী নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রায় এক একর জমিতে চাষ করা হচ্ছে এ ভিনদেশি ফুল। পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করতে ফিতা কেটে টিউলিপ গার্ডেনের উদ্বোধন করেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন, (পিকেএসএফ) এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ও ইএসডিওর পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার দম্পতি। সহ ইএসডিও-পিএকেএসের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও টিউলিপ চাষিরা উপস্থিত ছিলেন। দর্শনার্থী ও পর্যটকের সমাগমে টিউলিপ বাগান দেখতে ব্যাপক সমাগম ঘটে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে জেলার সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম দর্জিপাড়ায় রোপণ করা হয় টিউলিপ ফুল। মাত্র ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে কয়েক সারিতে ফুল ছড়িয়ে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে টিউলিপ। এবার ১৯ প্রজাতির টিউলিপের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টার্কটিকা (সাদা), ডেনমার্ক (কমলা ছায়া), লালিবেলা (লাল), ডাচ সূর্যোদয় (হলুদ), স্ট্রং গোল্ড (হলুদ), জান্টুপিঙ্ক (গোলাপি), হোয়াইট মার্ভেল (সাদা), মিস্টিক ভ্যান ইজক (গোলাপি), হ্যাপি জেনারেশন (সাদা লাল শেড) ও গোল্ডেন টিকিট (হলুদ)। নারী কৃষাণী মোছা. আয়শা সিদ্দিকা বলেন, আমরা তৃতীয়বারের মতো নেদারল্যান্ডের রাজকীয় টিউলিপ চাষ করেছি। টিউলিপ ফুল দেখতে এ অঞ্চলে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটতে শুরু করেছে। যদিও এ বছর সব গাছে এখনো ফুল আসেনি, ফুল ফুটতে শুরু করেছে। আশা করছি গত দুই বছরের মতো এবারও টিউলিপের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য ও হাসিতে মুগ্ধ করবে। টিউলিপ চাষি ও উদ্যোক্তা সুমি আক্তার বলেন, ‘বর্তমানে বাগান থেকেই একেকটি ফুলের স্টিক ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া একেকটি টবসহ ফুল ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। অল্প সময়ের মধ্যে হওয়া এই ফুল চাষ করে আমরা লাভবান হব বলে আশা করছি। আর এবার লাভবান হলে ভবিষ্যতে আমরা আরও বড় পরিসরে টিউলিপ চাষ করতে চাই।’ দিনাজপুর থেকে বাবার সঙ্গে টিউলিপ ফুল দেখতে এসে আশামনি বলেন, টিউলিপের সৌন্দর্যে মোহিত হয়েছি। আসলে এর সৌন্দর্যের অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ভাষা পাচ্ছি না। এতো ভালো লেগেছে। আমি যখনই শুনেছি তেঁতুলিয়ায় টিউলিপের চাষ হচ্ছে, তখন থেকেই মাথায় আসে এ টিউলিপ আমাকে দেখতে হবে। টিউলিপ বাগানে এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি। ইকো টুরিজম চালু করতে টিউলিপ ফুল ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ইএসডিও প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ শহীদ উজ জামান। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে উপার্জনমুখী করতে টিউলিপ ফুল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে জানান পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। এ গ্রামে গত ২০২২ সালে পরীক্ষামূলক টিউলিপের চাষ হয়। এবার ১৬ জন চাষি ১০০ শতক জমিতে এ ফুলের চাষ করেছেন। তবে বিগত দুই বছরের সাফল্যে এবারও বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়েছে। এ ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় এবার টিউলিপ চাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এবার ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে কানাডা
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে উগ্র ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে কানাডা। গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরে সহিংসতায় জড়িত চার ইসরায়েলির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই পদক্ষেপের পরের দিন শুক্রবার এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অন্টারিওর ওয়াটারলুতে সাংবাদিকদের ট্রুডো বলেন, পশ্চিম তীরে উগ্র সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের কীভাবে জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায় সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। গাজা ছাড়াও এই পশ্চিম তীর নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখে ফিলিস্তিনিরা।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X