ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের হাত ভেঙে দিল কিশোর গ্যাং
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দিয়েছে কিশোর গ্যাং। ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মো. হাসান (৩৪)। তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। গত রোববার (৫ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজারের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, একই দিন বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ওই মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে এই ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে। হামলাকারী মো. রাজু (২৪) ও আবু নোমান (২৫) ওই মাদ্রাসা এলাকার বাসিন্দা। জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মো. শহীদ উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, বেলা পৌনে ১১টার দিকে বহিরাগত রাজু জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে আসে। এরপর সে মাদ্রাসার ছাত্র নোমানের সহযোগিতায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। ওই সময় ছাত্রী তার ভয়ে শ্রেণি কক্ষে থাকা বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে যায়। এরপর ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর অন্য সহপাঠীরা বাধা দিলেও রাজু তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। তিনি বলেন, খবর পেয়ে মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক মো. সোহেল এগিয়ে আসলে ইভটিজার রাজু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মাদ্রাসার ভেতরে ওই শিক্ষককে মারধর করে। তাৎক্ষণিক একই মাদ্রাসার শিক্ষক হাসান এগিয়ে এসে সহকর্মী শিক্ষকের ওপর হামলা ও ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও ইভটিজারদের বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে বিকেল ৫টার দিকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে ৭-৮ জন কিশোর গ্যাং সদস্য গতিরোধ করে। পরে তারা শিক্ষক হাসানের ওপর হামলা চালায়। তখন হামলাকারীরা তাকে রাস্তায় দৌড়াতে দৌড়াতে বেধড়ক পেটায়। এতে তার দুই হাত ভেঙে যায়। হামলার শিকার শিক্ষকের শাশুড়ি বিবি খাদিজা ও শ্বশুর মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে হাসানকে জেলা শহর মাইজদীর জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডাক্তার আবদুর রহমান বলেন, তার একটি হাতে অপারেশন করে পাত বসানো হয়েছে। অন্য একটি হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে। দুটি হাত ভেঙে গেছে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষকের পরিবারকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৭ মে, ২০২৪

ছুরিকাঘাতে কিশোর গ্যাং নেতাকে হত্যা
চট্টগ্রামের পটিয়ায় রাজু হোসেন নামে এক কিশোর গ্যাং নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে আরেক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় উপজেলার সুচক্রদন্ডী পল্লী মঙ্গল সমিতির কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর গ্যাং নেতা রাজু হোসেন রাসেল পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং নেতা জুয়েল চৌধুরী জুলু ও তার সঙ্গীরা ডেকে নিয়ে অপর কিশোর গ্যাং নেতা রাজুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।  ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, হত্যাকারী জুয়েল চৌধুরী জুলুর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। আর নিহত রাজু এর আগে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। সেই থেকে তাকে গুলি রাজু বলেই সবাই চিনে। পৌরসভার কাউন্সিলর প্রকৌশলী রূপক সেন বলেন, এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের বিষয়ে আমি স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুয়েকটি অভিযান হলেও তাদের দাপট কমেনি। ফলে এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীন ছিল।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সম্পাদকীয় / কিশোর গ্যাং আতঙ্ক
নোয়াখালীর সেনবাগে মেলায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দুই কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের আরও ছয়জন আহত হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সেবারহাট বাজারের সায়েন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাজহারুল ইসলাম শাওন (১৮) ওই ইউনিয়নের উত্তর রাজারামপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির আবুধাবি প্রবাসী কচি মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় উত্তর রাজারামপুর বশিরিয়া আলিম মাদ্রাসার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। নোয়াখালীর মতো এমন ঘটনা দেশের অন্য জেলাতেও প্রায়ই ঘটছে। কেননা, কিশোর গ্যাং কালচার সারা দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে। মাদক কারবার ও দখলবাজিতেও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। গত দুই দশকে ঢাকায় কিশোর অপরাধীদের হাতে শতাধিক মানুষ খুন হয়েছে। অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মদদ দিচ্ছে। ‘হিরোইজম’ প্রকাশ করতেও পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ‘বড় ভাই’রা। ঢাকায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের খুনাখুনিতে কিশোর ও তরুণদের ব্যবহার করার ঘটনাও ঘটেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকায় শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। ঢাকার মিরপুর ও উত্তরা এলাকায় সবচেয়ে বেশি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। এ দুই এলাকায় প্রায় অর্ধশত কিশোর গ্যাং সক্রিয়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা খুনাখুনি, মাদক, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। ‘কিশোর গ্যাং’ মোকাবিলার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ক্ষেত্রে তিনি প্রথাগতভাবে অপরাধী মোকাবিলার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে কিশোর অপরাধীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিতে বলেছেন। আর এ কাজে তিনি অভিভাবক, শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিশোর গ্যাং বা কিশোর অপরাধীদের যখন মোকাবিলা করা হয়, সে ক্ষেত্রে যেন মনে রাখা হয়, তারা ভবিষ্যতের নাগরিক। প্রথাগত অন্য অপরাধীদের সঙ্গে যেন মিলিয়ে ফেলা না হয়। তাদের জন্য বিশেষ কাউন্সেলিং, কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা—এ ধরনের সুযোগ-সুবিধাগুলোও যেন রাখা হয়। সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, মূলত দুটি কারণে কিশোররা এসব গ্যাং সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়ছে। প্রথমত, মাদক, অস্ত্রের দাপটসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। দ্বিতীয়ত, এখনকার শিশু-কিশোররা পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে না। ফলে কিশোরদের কেউ যখন বন্ধুদের মাধ্যমে কিশোর গ্যাংগুলোতে ঢুকছে এবং মাদক ও অস্ত্রের জোগান সহজেই পেয়ে যাচ্ছে তখন তার প্রলুব্ধ হওয়া এবং অপরাধপ্রবণ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তাই সংকট নিরসনে বন্ধ করতে হবে সমাজে অপরাধী হওয়ার সুযোগ। পাশাপাশি পরিবারে কিশোরদের একাকী বা বিচ্ছিন্ন না রেখে যথেষ্ট সময় দিতে হবে। আমরা মনে করি, পরিবার ও সমাজের ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের মাধ্যমে গ্যাং কালচার রোধ করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে পিতামাতা তথা অভিভাবকদের। শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে কিশোর অপরাধ দমন করা যাবে না।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

থাপ্পড় দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা করল কিশোর গ্যাং
ঢাকার সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছুরিকাঘাতে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক রংমিস্ত্রিকে হত্যা করেছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে সাভার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আরাপাড়ার বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত সাজ্জাদ হোসেন সাভারের রায়েরবাজার ছাতা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি আরাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্জামান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বেপরোয়া কিশোর গ্যাংকে থামাতে পুলিশের চেষ্টা ও আন্তরিকতার অভাব নেই। নিহতের খালু নজরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, সাজ্জাদ হেমায়েতপুরের একটি ফার্নিচারের দোকানে রংমিস্ত্রির কাজ করত। সাজ্জাদের বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পারি, ওই এলাকায় সাজ্জাদ ও তার বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছিল। তিনি বলেন, এ সময় স্বপন গ্যাংয়ের দুই সদস্য রিকশা দিয়ে যাওয়ার সময় সাজ্জাদ ও তার বন্ধুদের পরিচয় জানতে চায়। পরে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই কিশোরকে থাপ্পড় মারে সাজ্জাদসহ তার বন্ধুরা। কিছুক্ষণ পরে স্বপনসহ  আরও ৭/৮ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে সাজ্জাদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। নজরুল ইসলাম আরও বলেন, গুরুতর আহত সাজ্জাদকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

পটুয়াখালীতে কিশোর গ্যাং নেতার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
পটুয়াখালীর দুমকিতে মো. সিয়াম নামের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নির্জন জঙ্গলে নিয়ে জবাই করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোর গ্যাংয়ের নেতা মো. রিফাত নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া নামক এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিম শিকদারের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে সিয়াম এবং কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রিফাত ছোটবেলা থেকেই পাঙ্গাশিয়া নলদোয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একসঙ্গে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে সিয়াম লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত রিফাত পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কাঞ্চন হাওলাদারের মেয়ের ঘরের নাতি। ছোট থেকেই রিফাত নানা বাড়িতেই  থাকেন। তাই সিয়াম ও রিফাতের বসবাস পাশাপাশি এলাকায়। বর্তমানে সিয়াম অন্য প্রতিষ্ঠানে পড়লেও সহপাঠী হিসেবে সিয়াম ও রিফাতের মধ্যে মোটামুটি একটা বন্ধুসুলভ সম্পর্ক ছিল। আহত সিয়ামের বাবা জসিম সিকদার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সিয়াম ও রিফাতের মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠতা লক্ষ করেছি,  তবে ওদের মধ্যে কোনোসময় কোনো ঝগড়া হয়নি। তবে শুনেছি রিফাত কিশোর গ্যাংয়ের নেতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিয়ামকে ডেকে অটোরিকশায় করে তেতুলবাড়িয়া নামক এলাকার এক নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং সেখানে নিয়ে সিয়ামকে বেধড়ক মারধর করে একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করার চেষ্টা করলে সিয়ামের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে রিফাত পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় সিয়ামকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় রেফার করেন। বর্তমানে সিয়াম ঢাকার আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
৩১ মার্চ, ২০২৪

সাভারে দুজনকে কুপিয়ে জখম করল কিশোর গ্যাং
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাভারে কর্মরত এক সাংবাদিকের ছেলেসহ দুজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোববার (১৭ মার্চ) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার রেডিও কলোনি স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন- সাংবাদিক মতিউর রহমান ভান্ডারীর ছেলে জিসান প্রামাণিক (১৫) ও তার সহপাঠী সিয়াম রাজা (১৫)। তারা দুজনই বিপিএটিসি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তবে হামলাকারীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত জিসানের বাবা মতিউর রহমান ভান্ডারী বলেন, হামলাকারীরা ও আমার ছেলে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। স্কুল বাসে বসা নিয়ে ওই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন আগে বাকবিতণ্ডা হয়। সেই বাকবিতণ্ডার জেরে আমার ছেলে ও তার সহপাঠীকে আজ বাড়ি থেকে ডেকে নেয় হামলাকারীরা। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পূর্ব পরিকল্পনা মতো তাদের ওপর হামলা চালায় তারা। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার এসআই সাব্বির বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে খবর নিয়েছি। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

পল্লবীতে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। আধিপত্য বিস্তার এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে ঘটছে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা। শনিবার রাতে কিশোর গ্যাং সদস্যদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন মোহাম্মদ ফয়সাল নামে এক যুবক। তাকে বাঁচাতে গেলে ছুরিকাঘাতে আহত হন তার বন্ধু রাশেদ। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই রাতে আরেক কিশোর গ্যাং সদস্যদের মারধরে গুরুতর আহত হয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল নামে এক ব্যক্তি। এ সময় তার সন্তান স্বাধীনকেও পিটিয়েছে তারা। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ১৩ নম্বর রোডের ‘সি’ ব্লকে পূর্বশত্রুতার জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় আরেক পক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ফয়সাল ও রাশেদ। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ফয়সালের ভাই আব্দুর রহমান কালবেলাকে বলেন, মাসুম নামে ফয়সালের এক বন্ধু ছিল। মাসুমের সঙ্গে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আকাশ, রাব্বি, ন্যাটা শাহীনসহ কয়েকজনের দ্বন্দ্ব ছিল। তিন দিন আগে মাসুমের সঙ্গে ওদের কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর মাসুম ফয়সালকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। ফয়সাল তাদের মধ্যকার বিবাদ মেটাতে গেলে ওই কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে ফয়সালেরও কথা-কাটাকাটি হয়। এতে তারা ফয়সালের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। শনিবার ফয়সাল গিয়েছিল একটি ইফতারে। সেখান থেকে রিকশা দিয়ে ফেরার পথে ফয়সালের রাস্তা আটকে তাকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় তারা। এ সময় ফয়সালের সঙ্গে রিকশায় ছিলেন রাশেদ। ফয়সালকে বাঁচাতে গেলে রাশেদকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এ বিষয়ে পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত ফয়সালের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের চিহ্নিত এবং গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। এদিকে পল্লবীর ১১ নম্বর সেকসনের ‘ই’ ব্লক এলাকায় শনিবার রাত ৮টার দিকে তালতলা বস্তি এলাকায় শহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাং। মো. আশিক এ গ্রুপের প্রধান। তার নেতৃত্বেই হামলা হয়। এ ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শহিদুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে আমার ছোট ছেলে সিয়াম তার সমবয়সীদের সঙ্গে ঘুরতে তালতলা বস্তি এলাকায় পাকা রাস্তার ওপর যায়। তখন আশিকের আত্মীয় আমার ছেলেকে অযথাই মারধর করে। ছোট ছেলে এসে আমাকে জানালে মারধরের কারণ জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিলাম। তখন আশিকের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন মিলে আমাকে এবং আমার ছেলেকে ব্যাপক মারধর করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তা আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। পল্লবী থানার এসআই দেবাশীষ হালদার কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

দলবল নিয়ে মাদক সেবন করছিল কিশোর গ্যাং লিডার, অতঃপর...
রাজশাহীতে কিশোর গ্যাং লিডার সাব্বির ওরফে কানা সাব্বিরসহ (২৩) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বুধবার (৬ মার্চ) গভীর রাতে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তারা মাদক সেবনরত ছিল।এ সময় তাদের কাছ থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার কিশোর গ্যাংয়ের বাকি দুজন হল- চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকার তৈমুরের ছেলে তন্ময় ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার সেলিম বাবুর ছেলে নাজমুল হক (২৩)। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) র‌্যাব-৫-এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকার একটি আমবাগানে অভিযান চালায় র‌্যাব ৫-এর সদর কোম্পানির অভিযানিক দল। অভিযানকালে মাদক সেবনরত অবস্থায় তিন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে সাব্বির ওরফে কানা সাব্বির ওই কিশোর গ্যাংয়ের লিডার। তার বাড়িও চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রাম এলাকায়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অভিযানকালে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৬৫ গ্রাম গাঁজা, ট্যাপেন্ডাল ট্যাবলেট ১০টি, ৪টি চাকু ও ৪টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে আরও চারজন পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারদের আরএমপির চন্দ্রিমা থানায় সোপর্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
০৭ মার্চ, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আমিরসহ গ্রেপ্তার ৯
নারায়ণগঞ্জের সদর মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং আমির গ্রুপের লিডার মো. আমিরসহ (৩২) ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১১। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-১ এর উপপরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। র‍্যাব-১১ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর মডেল থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশি অস্ত্র ছুরি, লোহার পাইপ ও অপরাধসংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা পরস্পর যোগসাজশে ছোট ছোট দলে দলবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসহ দাপট এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জনমনে ত্রাসের সৃষ্টি করে আসছে। এ সকল কার্যক্রম দ্বারা অর্থের বিনিময়ে অন্য লোকের হয়ে সহিংস কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ ছাড়াও তারা নগরীর বিভিন্ন স্পটে মাদকসেবন ও কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। র‍্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ছোট ছোট গ্রুপ লিডার হয়ে পরিকল্পিতভাবে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করে থাকে বলে স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
০১ মার্চ, ২০২৪
X