চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ১১:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১১ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার

উদ্ধার করা বিমানের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা বিমানের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত বিমানটি উদ্ধার করেছে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘বলবান’।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১০টার দিকে বিধ্বস্ত বিমানটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে সন্ধ্যায় নদীর তলদেশে বিমানটি শনাক্ত করে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। বিধ্বস্তের পর থেকেই কর্ণফুলী নদীতে বিমানটির খোঁজে নামে নৌবাহিনী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর ম্যানুয়াল এ দুই পদ্ধতি ব্যবহার করেই খোঁজা হয় বিমানটি।

বিমানটি পরিদর্শন করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বর্তমানে বিমানটি বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।

বঙ্গোপসাগর আর কর্ণফুলী নদীর মোহনা হওয়ায় নদীর তলদেশ খুব গভীর। এজন্য এটি খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয় নৌবাহিনীকে। বিমানটি দ্রুত শনাক্ত করতে না পারলে এ পথে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটত বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী। এ ছাড়াও এ পথেই দেশি-বিদেশি জাহাজ পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবতরণের আগে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানে আগুন লেগে পতেঙ্গার কর্ণফুলী নদীর মোহনায় পড়ে। আইএসপিআর তখন জানায়, বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনায় পড়ে।

দুর্ঘটনার পর বৈমানিক উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। দুই বৈমানিককে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয়।

বৈমানিকদের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ অসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিধ্বস্তের আগে নিরাপদেই প্যারাসুট দিয়ে নেমে পড়েন পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদ। কিন্তু সাহসী এই বীরকে বাঁচানো যায় না।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এ সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে আসেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অভিনয়-নির্মাণে ব্যস্ত পলাশ

কত বয়সে শুরু করবেন কোলেস্টেরল টেস্ট? চিকিৎসক যা বলছেন

অবৈধ পার্কিংয়ে বাসচালককে জরিমানা, পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা

পাল্টে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপের সময়

১৭ জেলায় রাতে ঝড়ের আভাস

ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই

দিল্লিতে বসে হাসিনার অপরাজনীতি চলবে না : রাশেদ প্রধান

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন শহিদুল আলম

এরদোয়ানের সবুজ সংকেত, গাজা মিশনের জন্য প্রস্তুত তুর্কি সেনা

শাহবাগের তিন জায়গায় ৩ জনের মরদেহ

১০

মিয়ানমারে আবারও সংঘাত, সীমান্তে গোলাগুলি

১১

এক রাতে ছয়টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি

১২

এবার ইসরায়েলে মোতায়েন হবে মার্কিন সেনা

১৩

ট্রাম্পের নোবেল না পাওয়ার কারণ জানাল শান্তি কমিটি

১৪

সেলস বিভাগে নিয়োগ দিচ্ছে রূপায়ন গ্রুপ

১৫

ডিএমপির ঊর্ধ্বতন ৮ কর্মকর্তাকে রদবদল

১৬

বিএনপির ৩১ দফা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে : কফিল উদ্দিন

১৭

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত নজরুল / ‘যদি ফোন বন্ধ থাকে, ধরে নিও আমি বেঁচে নেই’

১৮

টাইফয়েড টিকা নিয়ে জরুরি ৫ প্রশ্নের সমাধান

১৯

টি ব্যাগ দিয়ে তৈরি চা কি শরীরের জন্য নিরাপদ? কি বলছেন পুষ্টিবিদ

২০
X