কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিক্স যুগে পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিক্সের এক নতুন যুগে প্রবেশ করলো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)। সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন প্রধান অতিথি এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ল্যাবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিক্স ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করেন। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিক্স ল্যাবরেটরি  উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি-২ এ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক ও সিএসই বিভাগের সভাপতি ড. মো. আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. নাজমুল হোসেন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে গ্রহণ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগাতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, গবেষণা বাড়ানো এবং রোবট নিয়ে কাজ করতে হবে। নতুন প্রযুক্তিকে গ্রহণ, প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তিকে শিল্পে ব্যবহার করে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে হবে। আর এর মাধ্যমেই আমরা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারব। ‘নাও-সিক্স’ নামে রোবটের সাথে ল্যাবে থ্রিডি প্রিন্টার ও জিপিইউ মেশিনও সংযোজন করা হয়েছে। ‘নাও-সিক্স’ রোবট গবেষণামূলক কাজসহ যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে সেভাবেই পরিচালিত হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ভালো কিছু করতে হলে বিভিন্ন স্তরের সহযোগিতার মাধ্যমেই তা সম্ভব। শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক চেষ্টায় আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। জ্ঞানের বিনিময়ের মধ্য দিয়ে জ্ঞান প্রসারিত হয়। আমাদের আন্তরিক চেষ্টার ফলে একটু একটু করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, রোবট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করে, রোবট উদ্ভাবনের দিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। তোমাদেরকে ইতিবাচক চিন্তার সন্নিবেশ ঘটানো এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। দলভিত্তিক কাজ করা এবং এর ফলে কাজটি সহজে ও সুশৃঙ্খলভাবে করা সম্ভব। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ থেকে শিক্ষা গ্রহণ, নিজে কাজ করা এবং কাজের স্বীকৃতিও অর্জন করতে হবে। কাজের মাধ্যমেই আমাদের বড় হতে হবে।
০২ অক্টোবর, ২০২৩
X