শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
উদ্ভাবনে কৃষকরা উপকৃত হবেন ও ফসলের উৎপাদন বাড়বে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মাধ্যমে কৃষকরা উপকৃত হবেন। কারণ উৎপাদনের জন্য যে আধুনিক ও কৌশলগত জ্ঞান প্রয়োজন, এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকরা জানতে পারবেন। এর ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি হবে, কৃষকের গোলা আরও সমৃদ্ধ হবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে।  বুধবার (১৫ মে) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি সংস্থা/গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করার ফলে কৃষি বিষয়ে কৃষকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই। বাজেটে ঘাটতি বা যে সমস্যাই থাকুক, সবসময়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে প্রয়োজনীয় টাকা বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে কৃষিখাতে যেসব নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আছে, তা আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছি। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে কৃষিকাজে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশেও স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা বাস্তবায়নে আমাদের জোর দিতে হবে।  কৃষিখাতে বাজেট আরও বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী।  সভাপতির বক্তব্যে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, আমাদের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের প্রতিদিনের নিয়মিত কাজের পাশাপাশি উদ্ভাবনের দিকেও নজর রাখতে হবে। কী উদ্ভাবন করলে বা নতুন উদ্যোগ নিলে দেশের কৃষকরা আরও বেশি করে উপকৃত হবে, ফসলের আরও উৎপাদন বাড়বে- সেদিকে আরও মনোনিবেশ করতে হবে।  অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ফারজানা মমতাজ, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস ও অন্যান্য সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।  উদ্ভাবনী প্রদর্শনীতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ ১৭টি সংস্থা/গবেষণা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে গৃহীত উদ্ভাবন প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মামলা ও সম্পত্তির স্মার্ট ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্মার্ট রাইস প্রোফাইল মোবাইল অ্যাপ, বিএডিসির সেচ চার্জ আদায় পদ্ধতি ডিজিটালাইজকরণ, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির আইওটি ভিত্তিক মাটিছাড়া চাষ ও ভার্টিক্যাল ফার্মিং, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইওটিভিত্তিক প্রিপেইড মিটার ফর স্মার্ট ইরিগেশন প্রভৃতি।  আইওটিভিত্তিক মাটি ছাড়া চাষ ও ভার্টিক্যাল ফার্মিং উদ্ভাবনের জন্য জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রথম পুরস্কার অর্জন করে।
১৫ মে, ২০২৪

সরকার স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে হলে কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। স্মার্ট কৃষির মাধ্যমে টেকসই কৃষি উৎপাদন, কৃষকের আয় বৃদ্ধি; জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং কৃষিকে লাভজনক করাই সরকারের উদ্দেশ্য। সেলক্ষ্যে বর্তমান সরকার কৃষিক্ষেত্রে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। রোববার (১২ মে) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাইয়ে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।  মন্ত্রী বলেন, আবাদি জমি কমছে, বিপরীতে বাড়ছে জনসংখ্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি। এমন পরিস্থিতিতে বর্ধিত জনসংখ্যার বর্ধিত খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটাতে হবে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে। খামারি অ্যাপ এরকম একটি স্মার্ট প্রযুক্তি। ‘খামারি’ অ্যাপ ব্যবহার করলে ফসল উৎপাদন খরচ কমবে ও ফলন বৃদ্ধি পাবে।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার প্রতিবছর সারে বিশাল পরিমাণ টাকা ভর্তুকি প্রদান করে থাকে। ২০২৩ সালে সারে মোট ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। ‘খামারি’ অ্যাপ ব্যবহার করলে সারের সুষম প্রয়োগ হবে এবং সারের অপচয় রোধের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করছে। কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে অ্যাপসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া কৃষি উপকরণ বিতরণ, সার, বীজসহ নানাভাবে কৃষকের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রান্তিক কৃষকরা যদি অধিক মূল্য না পায় তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশে অধিক ফসল ফলানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটবে।  মন্ত্রী বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে সরকার এই নীতি গ্রহণ করায় কৃষকরা এখন লাভবান হচ্ছেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ারের সভাপতিত্বে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ময়েজ উদ্দিন শরীফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার  প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  বিকালে মন্ত্রী হবিগঞ্জের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পার্টনার প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালায় যোগ দেন। এ সময় মন্ত্রী সিলেট অঞ্চলের অনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় আনতে নিবিড় ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, অনাবাদি জমির ডেটাবেজ তৈরি করে কোনো জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, তার সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা দ্রুত মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। উল্লেখ্য, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) শীর্ষক প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার, বিশ্বব্যাংক এবং ইফাদের এর অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বৃহৎ প্রকল্প। প্রকল্পটি ৭ হাজার কোটি টাকার। 
১২ মে, ২০২৪

ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী
চাল, শাকসবজি, আমসহ অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অব্যাহত কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে ২০০৯ সাল থেকে কৃষি উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রধান খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে পেরেছে এবং কিছু শাকসবজি, ফলমূল ও মাছ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। কৃষিখাতে বিশাল ভর্তুকি প্রদান, গবেষণার মাধ্যমে কৃষিতে উদ্ভাবন, আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।  সোমবার (০৬ মে) সন্ধ্যায় নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চে ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এখন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগারের অভাব ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বা ভ্যালু চেইন ব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ায় ফসল তোলার পর অনেক অপচয় হচ্ছে। এতে কৃষকরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।  তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কৃষিখাত আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বাংলাদেশের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে টেকসই ও লাভজনক করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের কিছু যুগান্তকারী প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশে প্রবর্তন করা হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাস কৃষি উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক অংশীজন ও কৃষি ব্যবসায়ীদের নিকট বাংলাদেশের কৃষিখাতের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি এ অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, কৃষি বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি খাতের ২০০ এর বেশি প্রতিনিধি এ আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কৃষিখাতকে ঝুঁকিমুক্ত, টেকসই, লাভজনক এবং প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য টেকসই করতে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান বৈশ্বিক অংশীদাররা। নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ গোলটেবিল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন। কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য রেন্স বোচওয়াল্ড, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কানাডার সাস্কাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।   বাংলাদেশের কৃষিতে ফসলের আরও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, টেকসই সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) গড়ে তোলা এবং গবেষণায় দক্ষতার ঘাটতি পূরণ- এই চারটি বিষয়ের উপর আলোচনা সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনা শেষে ওয়াগেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে।
০৭ মে, ২০২৪

উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বোরো ধানের উৎপাদন খরচ হিসাব করেই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পান। গত বছরের চেয়ে এ বছর কেজিপ্রতি দুই টাকা বাড়ানো হয়েছে।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের রুস্তমপুর গ্রামে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত বোরো ধান কর্তন উৎসব অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, আমাদের সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি জোগান দেই বোরো ধান। সেজন্য এ বছরও বোরো ধানের আবাদ ও ফলন বাড়াতে ২১৫ কোটি টাকারও বেশি প্রণোদনা কৃষকদের প্রদান করেছি। ফলে এ বছর সারা দেশে ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার ২ কোটি ২২ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।  কৃষিমন্ত্রী বলেন, নতুন উচ্চফলনশীল জাতের ধানের চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে চাল রপ্তানি করাও সম্ভব হবে। আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। বর্তমানে আমাদের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। ক্রমবর্ধমান এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটাতে হলে চালের উৎপাদন আমাদের অবশ্যই আরও বৃদ্ধি করতে হবে। সেজন্য, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বিনা উদ্ভাবিত নতুন জাতের উচ্চফলনশীল ধানগুলোর চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।  তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে চাল রপ্তানি করাও সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৯২, বঙ্গবন্ধু ধান১০০, ব্রি ধান১০২, বিনাধান২৫ প্রভৃতি নতুন জাতগুলোর ফলন আগের পুরোনো জাত ব্রি ধান২৮ ও ২৯ এর তুলনায় অনেক বেশি। এসব জাতের নতুন ধান চাষ করে কৃষকরা অভূতপূর্ব ফলন পেয়েছেন। এলাকাভেদে জাতগুলোর বিঘাপ্রতি গড় ফলন হয়েছে ২৫-৩০ মণ। এগুলোর চাষ বাড়াতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ৭০% ভর্তুকিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দিয়ে যাচ্ছেন। এটি বিশ্বের বিরল উদাহরণ।  এই মুহূর্তে হাওরে প্রায় ৯ হাজার কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলছে।  এর ফলে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে ও হার্ভেস্টের সময় ধানের অপচয়ও কম হচ্ছে।  মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. হেলাল উদ্দীন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মতিউজ্জামান, উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার মনজুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ করেন মন্ত্রী।  এছাড়া, ধামাইল, ঝুমুর নৃত্যসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় গবেষণা বাড়ানো হবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় গবেষণা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।  তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিখাত। এ ক্ষতি মোকাবিলায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনসহিষ্ণু ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে। আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীদের হাত ধরে ইতোমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জলবায়ু কর্মকান্ড ও খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর’ শীর্ষক দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা ও গবেষণা সংস্থাগুলো ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সিনিয়র এসোসিয়েট ডিন জর্জ স্মিথ, ডিরেক্টর অব ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম করিম মেয়ারদিয়া, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর সায়েন্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শেইলা কাকা ওচুগবোজু, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিইও আরিফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন / সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ : কৃষিমন্ত্রী
‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে কৃষকরা এ তরমুজ চাষ করেন। সেই কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও উন্নতির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  মন্ত্রী বলেন, বাফা নেতারা আমার সঙ্গে যখন পরামর্শ করতে এলো, তখন আমি তাদের বললাম, ভোক্তারা তরমুজ খেতে চায়, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কিনতে পারছেন না। আপনারা উদ্যোগ নিন। এরপর তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।  সিন্ডিকেটের তথ্য গণমাধ্যমে আরও বেশি করে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্য রোধে সরকার কাজ করছে। আপনারা গণমাধ্যমে সিন্ডিকেটের তথ্য আরও বেশি করে তুলে ধরুন। কোথাও সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে সেটি ভাঙতে আমরা দেরি করব না।  মন্ত্রী বলেন, সরকার তো জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু সব উদ্যোগ সারা দেশে একসঙ্গে নেওয়ার মতো জনবল ও বিশেষজ্ঞ নেই। তারপরও আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য যতটুকু পারছি কাজ করে যাচ্ছি।  বাফার সভাপতি এ কে এম নাজিব উল্লাহ্ বলেন, কৃষকরা যে মূল্যে পণ্য উৎপাদন করে এবং বিক্রি করে ভোক্তারা সেই দামে পণ্য পায় না। ভোক্তারা কয়েকগুণ বেশি দামে সেই পণ্য কিনে। যার ফলে পণ্যের দামের তফাৎ অনেক বেশি দেখি। এটা সমন্বয় হওয়া দরকার। বাড়তি দামের সুবিধা কৃষকরা পায় না। মধ্যস্বত্বভোগীরা লভ্যাংশটা খেয়ে ফেলে, তাদের আটকাতে হবে। এজন্য আমরা কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির এ উদ্যোগটি নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষকে দেখাতে চাই, তরমুজের দাম বেশি না। কিন্তু বেশি দামে এটি বিক্রি হচ্ছে।  রোজার শুরুতে বা আরও আগে এ উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না- এমন প্রশ্নের জবাবে বাফার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, তরমুজের ভরা মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। রমজানের শুরুতে যেসব তরমুজ বাজারে এসেছিল, তার বেশির ভাগই ছিল অপরিপক্ব। আমরা শুধু কম দাম নয়, কোয়ালিটিও নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সেজন্য, এ সময়টি বেছে নিয়েছি।  বাফা নেতারা জানান, আজ দুপুর থেকে কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসেবে বিক্রি শুরু হয়েছে। কৃষক সরাসরি তার উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করছেন।  রাজধানীর ৫টি স্থানে এই কার্যক্রম চলছে। স্থানগুলো হলো- খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার। ২৭ রমজান পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চলবে এবং পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তরমুজ কেনায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে এবং আজ প্রথমদিনে ৫টি স্থানে ২ হাজার ৫০০টি তরমুজ কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাফা।
২৮ মার্চ, ২০২৪

খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি। দেশের জীবিকা নির্বাহী কৃষি এখন বাণিজ্যিকীকরণের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। তবে জনসংখ্যা বাড়ছে আর চাষের জমি কমছে। এসব কারণে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার জন্য গবেষণা আরও জোরদারের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের স্বল্প জীবনকালীন ও উচ্চফলনশীল নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে এবং খাদ্যের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ গবেষণা দক্ষতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীগণ ও গবেষণা সংস্থাগুলো ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন এবং খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রকে কাজে লাগিয়ে নতুন জাত উদ্ভাবনে সময় কমিয়ে আনতে হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে ফসলের নতুন উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ারের সভাপতিত্বে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব সাস্কাচুয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং, বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক এবিএম খালদুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর মধ্যে ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টটিটিউট চত্বরে বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেছেন। এই কেন্দ্র স্থাপনের ফলে কানাডার প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যাবে এবং দুই দেশের মধ্যে কৃষি খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
২৭ মার্চ, ২০২৪

বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, অনেক সময় দেখা যায় সঠিক সময়ে বাজারে পণ্য সরবরাহ না আসার অজুহাতে কিছু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এরা সততার সঙ্গে ব্যবসা করতে চায় না। বেশি লাভ করতে চায়। শনিবার (১৬ মার্চ) মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবনে জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে নারীদের ল্যাপটপ বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী উদাহারণ টেনে বলেন, বাজারে এখন মাংসের দাম ৭৫০ টাকা। কেউ যদি এখন এটি ১২০০ টাকা বিক্রি করে তাহলে বলতে হবে সে ইচ্ছে করে তা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আমরা এসব বিষয় প্রতিহত করবো। খাদ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠক হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে যাতে খাদ্যদ্রব্যের কোনো মূল্য বৃদ্ধি না হয় এবং মানুষ যাতে কষ্ট না পায়। তিনি বলেন, মজুতদারদের ব্যাপারেও সরকার সজাগ রয়েছে। যে দুর্নীতি করবে তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে মিডিয়ার সহযোগিতাও প্রয়োজন বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। নারীর ক্ষমতায়নে মৌলভীবাজার জেলার ২৬৫ জন প্রশিক্ষণার্থী নারীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।  মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব তাওহীদ আহমদ সজল প্রমুখ।
১৭ মার্চ, ২০২৪

মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমিনিকো স্কালপেল্লির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল, ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই ও বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ইভগেনি শেস্তাকভ পৃথক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কৃষি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সোমবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ওয়েদার ইন্স্যুরেন্স চালু, খাদ্য অপচয় ও নষ্টের পরিমাণ কমাতে পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা এবং বিভিন্ন দেশে কর্মসূচিতে খাদ্য বিতরণের জন্য বাংলাদেশ থেকে খাদ্য কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহযোগিতা কামনা করেন। পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনোভাবেই তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাণিজ্য, কৃষি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই দায়িত্ব পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, রোজায় পণ্যের সরবরাহের ঘাটতি নেই। তাই দাম বেড়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের ধরিয়ে দিন এবং তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করুন। কোথাও সিন্ডিকেটের খবর পেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের অফিসাররা সেখানে গিয়ে হাজির হবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মন্ত্রী আরও বলেন, ক্রেতার আচরণও অনেক সময় পণ্যের হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখন আমার প্রয়োজন ২ লিটার তেল, বাজারে গিয়ে একবারে ১০ লিটার কিনলে- তা অনেক সময় হঠাৎ করে দাম বাড়াতে পারে। এই আচরণেরও পরিবর্তন প্রয়োজন।
১১ মার্চ, ২০২৪

শেখ হাসিনার সরকার কোনো ধর্মের সরকার নয় : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বর্তমান সরকার কোনো ধর্মের সরকার নয়, এ সরকার জনগণের সরকার। সকল জনগণের কল্যাণই এই সরকারের মূল লক্ষ্য।  সম্প্রতি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উদ্বোধন হয়েছে প্রভু জগদ্ববন্ধু সুন্দরের বাংলাদেশের বৃহৎ আশ্রম ও মিশন। এ উপলক্ষে শনিবার (২ মার্চ) শ্রীমঙ্গলের ভৈরবতলী এলাকায় প্রভু জগদ্বন্ধুর মন্দির থেকে শ্রীশ্রী প্রভু জগদ্বন্ধু আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বন্ধু প্রিতম ব্রহ্মচারীর নেতৃত্বে বের হয় বিশাল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মহারাজ, ধর্মগুরুসহ প্রায় ৫০ হাজার ভক্ত উপস্থিত হন। র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে আবার মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ছিল শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ ও অষ্ট প্রহর নামযজ্ঞ, শ্রীশ্রী বিগ্রহগণের অভিষেকে এবং মন্দির প্রতিষ্ঠা ও মন্দিরের শুভদ্বার উদঘাটন ও ১০৮ মাদলসহ নগর সংকীর্তন, ধর্মসভা, পদাবলি কীর্তন, ভক্তিগীতি, সাধু সম্মেলন ও বাংলাদেশ ভারতীয় দুই দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ সময় শ্রীশ্রী প্রভু জগদ্ববন্ধু আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বন্ধু প্রিতম ব্রহ্মচারী বলেন, এ আশ্রম ও মিশন থেকে শুধু পূর্জাচনািএবং প্রসাদ বিতরণ করা হবে না। এখান থেকে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে করা হবে মানব সেবামূলক কাজ। এ অনুষ্ঠানমালায় প্রায় দেড় লাখ ভক্তের জন্য প্রসাদসহ অন্যান্য আয়োজন করা হয়েছে। এই আশ্রমে ৫০০ ভক্ত নিবাস করা হয়েছে। এখান থেকে দেওয়া হবে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা। দলমত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করবে এ মিশন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারত থেকে আগত মহানাম সম্প্রদায়ের সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রীমৎ উপাসক বন্ধু ব্রহ্মচারী, মহানাম সম্প্রদায়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রীমৎ বন্ধু গৌরব ব্রহ্মচারী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা হরিপদ রায়, সাধারণ সম্পাদক শ্রীপদ দেব, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, ভারত ও বাংলাদেশ থেকে আগত মহারাজবৃন্দসহ প্রায় ৪০ হাজার ভক্ত।
০২ মার্চ, ২০২৪
X