উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ কোটিপতি প্রার্থী : টিআইবি
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী। এই ধাপে অংশ নিতে যাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি প্রার্থী পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী। এবার লড়ছেন ১১৬ জন কোটিপতি প্রার্থী। প্রথম ধাপে ১৩ জন সংসদ সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন অংশ নিয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয় ধাপে সেটি বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।  দুর্নীতিবিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪-এর দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণের তথ্য তুলে ধরতে টিআইবি রোববার (১৯ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে ১৫৭টি উপজেলার প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য পাওয়া গেছে৷ এই ১৫৭টি চেয়ারম্যান পদে ৫৯৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৮৯ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ২১ মে। টিআইবির বিশ্লেষণে দেখা যায়, দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশই নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন কৃষিকাজকে। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন আইনজীবী (৪.১৭%) ও শিক্ষক (৪.১৭%)। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদেরও প্রায় ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৫২ শতাংশই গৃহিণী—গৃহস্থালির কাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। পরের অবস্থানে শিক্ষক ও কৃষিজীবী। টিআইবি বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গৃহিণী/গৃহস্থালি, কৃষিজীবী ও শিক্ষক প্রার্থীদের পরিমাণ দিন দিন কমছে। এর আগে প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের প্রায় ৭০ শতাংশই ছিলেন ব্যবসায়ী। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি ছিলেন ৯৪ জন। টিআইবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুধু নির্বাচিত ব্যক্তি নন, তাদের স্ত্রী/স্বামী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যাঁরা দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় আছেন, তাদের আয় ও সম্পদ বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতাও স্পষ্ট। প্রার্থীদের ১৩.১৩% বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অধিকাংশই ‘আওয়ামী লীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী’ এবং দলের স্থানীয় নেতৃত্বের সমর্থনপুষ্ট। দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দ্বিতীয় ধাপেও লড়ছেন বিএনপির স্থানীয় প্রার্থীরা। যদিও দলের নির্দেশ না মেনে বহিষ্কৃত হয়েছেন ৬৪ জন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায়ও কম। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে নারী প্রার্থী আছেন ২৪ জন। যেসব মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের আত্মীয় ভোটে: মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যের স্বজনরা মূলত চেয়ারম্যান পদেই ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তিন জন সংসদ সদস্যের সন্তান ও একজনের বাবাও আছেন নির্বাচনী দৌড়ে। পাবনার সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম হাসনায়েন প্রার্থী হয়েছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলায়। নোয়াখালীর সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম দীপু দাঁড়িয়েছেন সেনবাগ উপজেলায়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের রাকিবুজ্জামান ওই এলাকার সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে। একই উপজেলার আরেক প্রার্থী মাহবুবুজ্জামান আহমেদ সম্পর্কে নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে। বগুড়ার সংসদ সদস্য সাইফুল্লাহ মেহেদীর বাবা সিরাজুল ইসলাম খান রাজু দাঁড়িয়েছেন আদমদিঘী উপজেলায়। নরসিংদীর মনোহরদীর নজরুল মজিদ মাহমুদ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের ছোট ভাই, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গোলাম সারওয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই, জামালপুরের বকশীগঞ্জে প্রার্থী নজরুল ইসলাম সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের ভাই, কুষ্টিয়ার সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ভাই বুলবুল আহমেদ টোকন দাঁড়িয়েছেন দৌলতপুর উপজেলায়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় জামিল হাসান দুর্জয় প্রার্থী হয়েছেন শ্রীপুর উপজেলায়। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বাইরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রার্থী এহসানুল হাকিম সাধন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের চাচাতো ভাই। শরীয়তপুরের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া সদর উপজেলার প্রার্থী। নড়াইলের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার চাচা শ্বশুর ফয়জুল হক রোম লোহাগড়া উপজেলায়, চুয়াডাঙ্গার সংসদ সদস্য সোলায়মান হজ জোয়ার্দারের ভাতিজা নঈম হাসান জোয়ার্দার সদর উপজেলায়, ভোলার সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলের ভগ্নিপতি মো. জাফির উল্যাহ বোরহানউদ্দিন উপজেলায়, সিলেটের সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরের শ্যালক বাহুবল উপজেলায়, লক্ষ্মীপুরের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরীর ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ রায়পুর উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থীদের মধ্যে অস্থাবর সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন নোয়াখালীর সেনবাগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তার মোট অস্থাবর সম্পদ ৮৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তালিকার ২ নম্বরে আছেন ঢাকার ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী, তার সম্পদ ৩৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী, তার অস্থাবর সম্পদমূল্য ২২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। জমির মালিকানার দিক দিয়ে আইনি সীমা অতিক্রম করেছেন চারজন প্রার্থী। আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা বা ৩৩ একর জমির মালিক হতে পারেন। এই তালিকার শীর্ষে আছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলাম। তার মোট জমির পরিমাণ ৫৪ দশমিক ৬ একর। চার নম্বরে থাকা শিবালয়ের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবদুর রহিম খানের রয়েছে ৩৪ দশমিক ২৯ একর জমি। ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় আয় বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার ওপরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সোনালী খাতুনের। তাঁর আয় বেড়েছে ১০ হাজার ৯০০ শতাংশ। ২০০০ শতাংশের বেশি আয় বেড়েছে আরও সাত প্রার্থীর। তাঁদের তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও দুজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ঝালকাঠি সদরের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খান আরিফুর রহমানের। তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১১ হাজার ৬৬৬ শতাংশ। ২০০০ শতাংশের বেশি অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে আরও ৯ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বড় দুই দলই মাঠপর্যায়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা নির্বাচনকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন। জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের পদকে আয় ও সম্পদ বিকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। যার ফলে জনস্বার্থের বিষয়ে প্রাধান্য থাকছে না। সংবাদ সম্মেলনে হলফনামা বিশ্লেষণের তথ্য তুলে ধরেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কো–অর্ডিনেটর ইকরামুল হক ইভান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) সুমাইয়া খায়ের, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের সহকারী সমন্বয়ক (অ্যাসিস্ট্যান্ট কো–অর্ডিনেটর) রিফাত রহমান ও কে এম রফিকুল আলম।
২০ ঘণ্টা আগে

৬ প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি তিনজন
ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছয়জন। হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার তিন প্রার্থী অর্থের দিক থেকে এগিয়ে। তারা স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নুরুল আমিন খান সুরুজ: সম্পদের হিসাবে সবচেয়ে এগিয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলার প্রার্থী নুরুল আমিন খান সুরুজ। ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বার্ষিক আয় ৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। হলফনামা অনুযায়ী তিনি পেশায় ঠিকাদার। তার সম্পদ আছে ২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার। কৃষি খাত, ব্যবসা, এফডিআর ও সম্মানী ভাতা থেকে তিনি ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বছরে আয় ৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে শুধু ব্যবসা থেকে আয় ৮ কোটি ১ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজের জমি, ভবন, বাড়ি ও স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট এবং পৈতৃক সম্পত্তির মূল্য ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকার। স্ত্রী ১ কোটি ২ লাখ টাকার সম্পদের মালিক। খান আরিফুর রহমান: দ্বিতীয় অবস্থানে বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমানের। তার বার্ষিক আয় ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সম্পদ আছে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। নগদ ১২ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ৬ কোটি ৮ লাখ টাকাসহ মোট অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার। কৃষি, বাসা ভাড়া, ব্যবসা, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ থেকে তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং স্ত্রী-সন্তানদের আয় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি আছে ৩ কোটি ৮৩ লাখ আর নির্ভরশীলদের ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার। নিজের ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। যৌথ মালিকানায় আরও দুটি বাড়ি আছে জানানো হলেও দাম উল্লেখ নেই। সুলতান হোসেন খান: ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বার্ষিক আয় নিয়ে পরের অবস্থান ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান হোসেন খানের। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। কৃষি খাত, ব্যবসা, সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, ডিপিএসসহ তার এবং নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। নিজ নামে জমি, অ্যাপার্টমেন্টসহ স্থাবর সম্পত্তি আছে ৪৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার। নগদ ৫ কোটি ৪১ লাখ, এফডিআর ৭৪ লাখ টাকাসহ তার মোট ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। স্ত্রীর সম্পত্তির মূল্য দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, যা সুলতান খানের সম্পদের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। জি কে মোস্তাফিজুর রহমান: নলছিটি উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার অ্যাডভোকেট জি কে মোস্তাফিজুর রহমানের বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। তিনি ও তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য হলফনামায় দেখিয়েছেন ২১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। তসলিম উদ্দিন চৌধুরী: নলছিটি পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তসলিম উদ্দিন চৌধুরীর মোট ১৭ লাখ ৬২ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সালাহ উদ্দিন খান সেলিম: মো. সালাহ উদ্দিন খান সেলিম ঝালকাঠি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি এবং নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি হলফনামায় ব্যাংক ঋণ দেখিয়েছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকা। সম্পত্তির মূল্য মোট ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
১২ মে, ২০২৪

জাল এনআইডি বানিয়ে কোটিপতি
চাহিদামতো টাকা দিলেই মেলে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন বা কভিড-১৯ টিকার সনদ। নিজের তৈরি ওয়েবসাইট থেকে এসব সনদ বানিয়ে সরবরাহ করতেন লিটন মোল্লা নামে এক প্রতারক। আর তাকে এনআইডি সার্ভার থেকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতেন খোদ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন। দেখতে হুবহু একই রকম হলেও নকল ওয়েবসাইট থেকে বানানো এসব জাল সনদ বাণিজ্যে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করে চাহিদামতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আদায় করা হয় এসব টাকা। দীর্ঘদিন গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে অবস্থান শনাক্ত করে অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। তাদের মধ্যে লিটন মোল্লাকে বাগেরহাট থেকে ও জামাল উদ্দিনকে পাবনা থেকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের পৃথক টিম। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসিপ্রধান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করতে গিয়ে এ চক্রের সন্ধান পায় ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ। দীর্ঘদিন তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। জামাল নির্বাচন কমিশনের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। তার সহায়তায় লিটন ইসির সার্ভার থেকে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতেন। তারা অর্থের বিনিময়ে জাল এনআইডি প্রদান, হারানো এনআইডির কপি তৈরি, এনআইডির তথ্য সংশোধন, জন্মনিবন্ধনের ডিজিটাল কপি ও নাম সংশোধন, কভিড-১৯-এর টিকা সনদ ও টিন সার্টিফিকেটের কপি তৈরি করে সরবরাহ করতেন। সিটিটিসিপ্রধান আরও বলেন, তারা কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী তিন হাজার টাকা পর্যন্ত নিতেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা গ্রাহক সংগ্রহ করতেন। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লিটন নিজের তৈরি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব জাল সনদ তৈরি করে গ্রাহকদের দিতেন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবে তারা প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। রমনা থানায় করা একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসিপ্রধান বলেন, এ প্রতারক চক্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী জড়িত। চক্রে আর কারা জড়িত তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
১০ মে, ২০২৪

প্রথম ধাপে কোটিপতি প্রার্থী ১১৭
জাতীয় নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দাপট বেড়েছে ব্যবসায়ী প্রার্থীদের। প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রায় ৭০ শতাংশই ব্যবসায়ী। আর কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জনই কোটিপতি। নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া সম্পদের হিসাবে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। আর এমপিদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ। পাঁচ বছরে একজন চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৩১৯ শতাংশ, ১০ বছরে এই বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ২৩৩ শতাংশ। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদ বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ। দুর্নীতিবিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫৬০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১১ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ১৩ জন মন্ত্রী-এমপির স্বজন। চেয়ারম্যান পদে ৭, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে। টিআইবি জানিয়েছে, মাদারীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও এমপি শাহাজান খানের পুত্র আসিবুর রহমান ও চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন। এমপি সাহাদারা মান্নানের পুত্র সাখাওয়াত হোসেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই আবদুল বাতেন ও ভাইয়ের ছেলে আবদুল কাদের পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই হারুন অর রশীদ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায়, শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এসএম নূর-ই আলম পিরোজপুরের নাজিরপুর, মাজহারুল ইসলামের চাচা সফিকুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আলী আফসার ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়, মাহবুবউল-আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান কুষ্টিয়া সদরে এবং কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার জামাতা বিশ্ব প্রদীপ কারবারী খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। টিআইবির বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে কোটিপতি রয়েছেন ৯৪ জন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোটিপতি ছিলেন ৩৭ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের মধ্যে ১৭ জন কোটিপতি এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে কোটিপতি রয়েছেন ছয়জন। অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে এই কোটিপতির হিসাব করা হয়েছে। ভূমির মতো স্থাবর সম্পদের মূল্য নির্ধারণ কঠিন হওয়ায় কোটিপতির হিসাবে তা আনা হয়নি। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৬৯ দশমিক ৮৬ শতাংশই নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন কৃষি কাজকে। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন আইনজীবী (৬.৩২%) ও শিক্ষক (৪.১৫%)। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদেরও প্রায় ৬৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৫২ শতাংশই গৃহিণী। তারা গৃহস্থালির কাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ ব্যবসায়ী। পরের অবস্থানে আছেন সমাজকর্মী বা সংগঠক, এ হার ৫ শতাংশ। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষক (৪.৮৭%) ও কৃষিজীবী (৩.৪৮%)। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সুস্থ ধারার রাজনীতিবিদরা নিজেদের বিলুপ্ত শ্রেণির ভাবছেন। রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে। ব্যবসায়ীরা নির্বাচনকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন। তারা বিনিয়োগ করে নির্বাচনে আসবেন এবং পরে মুনাফা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গাগুলো মুনাফাকেন্দ্রিক হয়। ফলে এখানে জনস্বার্থের বিষয়ে প্রাধান্য থাকে না।
০৭ মে, ২০২৪

মেয়ের জন্য কোটিপতি পরিবারের প্রস্তাব পেতে বাবার কাণ্ড
সন্তানের জন্য মানানসই পাত্র-পাত্রী পেতে কতকিছুই না করেন মা-বাবা। তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকে যেন বিয়ের পর সন্তান সুখী থাকে। এবার এক বাবা মেয়ের জন্য ধনী পরিবারের পাত্র পেতে তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন।  ভারতে ঘটনাটি ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একজন ব্যবহারকারী এ তথ্য জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। এরপর সেটি ভাইরাল হলে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। মিশকা রানা নামে ওই ব্যবহারকারীর পোস্টটি ছিল এ রকম- ‘একজন মেয়ে বন্ধুর বাবা ধনী পরিবারের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেতে তিন লাখ টাকা ফি হিসেবে খরচ করেছেন। তিনি চান, এর মাধ্যমে অন্তত ২০০ কোটি টাকার ফল তুলবেন। আপনারাও কি একই কাজ করবেন?’ পোস্টের পরপরই সেটি নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। একের পর এক কমেন্ট আসতে শুরু করে। পোস্টটি আড়াই লাখ ভিউ ছাড়িয়ে যায়। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, উচ্চ মানের পরিবারের জন্য এমন খরচ করতেই হয়। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘চাচার সম্পদ কেমন। মেয়ের তার কতটা উত্তরাধিকারী হবে। অথবা কন্যা যদি এটির যোগ্য কি না (সৌন্দর্য, বুদ্ধি, চাকরি, পদ, পদক) তার ওপর মন্তব্য নির্ভর করে। অভিজাতদেরই অভিজাতদের বিয়ে করা উচিত। এতে কোনো ক্ষতি নেই।’ অনেকে আবার বলেছেন, ভারতে এটি স্বাভাবিক। ম্যাচমেকারের ফি এমনই হয়। সাধারণত বিয়ের মোট খরচের ১ থেকে ২ শতাংশ ফি দিতে হয়। সেই হিসেবে বিষয়টি স্বাভাবিক। তবে এ ঘটনাটি কোন পরিবারের সঙ্গে ঘটেছে বা কাকে ফি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। পোস্ট দাতা রানা অবশ্য একজন ব্যবহারকারীকে উত্তর দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মেয়ের বাবার মোট সম্পদ কোটি টাকা বলে জানান।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

কৃষি ও ব্যবসার আয়ে কোটিপতি প্রার্থীরা
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। নির্বাচন কমিশনে তাদের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কৃষি খাত ও ব্যবসা থেকে আয়ে কোটিপতি এই প্রার্থীরা। রাজনীতি করে গত ৫-১০ বছরে বহুগুণ বেড়েছে তাদের সম্পদ। এ উপজেলায় এবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন মিশন (কাপ-পিরিচ), এসএম আনোয়ার হোসেন (আনারস), ফোরকান উদ্দিন (দোয়াত-কলম), শেখ মো. জুয়েল (হেলিকপ্টার) ও অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন (মোটরসাইকেল)। ফুলেফেঁপে উঠেছে ঘাট ইজারাদার আনোয়ারের সম্পদ: এক মামলার আসামি মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আনোয়ার হোসেনের সম্পত্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। স্বশিক্ষিত সন্দ্বীপের আলোচিত এই ঘাট ইজারাদার দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। গরুর খামার থেকে বছরে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫৬ টাকা আয়ের কথা বলা হলেও তিনি মূলত একজন ব্যবসায়ী। সাইমুন এন্টারপ্রাইজ নামে এক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি আয় করেন বছরে প্রায় ৮৩ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪২ টাকার মতো। স্ত্রীর রয়েছে ৮ ভরি স্বর্ণ। হলফনামায় আনোয়ার উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে তার নামে রয়েছে মাত্র ৫ লাখ টাকা। কিন্তু সন্দ্বীপ ঘাটের ইজারার জন্য জামানত বাবদ ৫৪ লাখ টাকা এবং এক মাসের জন্য অগ্রিম ২৭ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ৮১ লাখ টাকা জেলা পরিষদে জমা করেন তিনি। সেটি উল্লেখ করেননি। তার নামে রয়েছে ১৩.১২ কানি জমি। যার মূল্য তিনি দেখিয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ৭২১ টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১১৮ কড়া জমি। আনোয়ারের ওপর নির্ভরশীলদের নামেও রয়েছে ১১ কানি ২ গন্ডা জায়গা। অন্যদিকে ডেইরি খামার রয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার। আয় কম নাজিমের, তবে নগদ-সম্পদ ছাড়িয়েছে কয়েক কোটি টাকা: এলএলবি পাস নাজিম উদ্দিন (জামশেদ) সুপ্রিম কোর্ট ও সন্দ্বীপ উপজেলা কোর্টে চর্চা করেন। পাশাপাশি সন্দ্বীপ শাপলা ফিশারিজ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। কৃষিকাজ থেকে এই নেতার আয় ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮০ টাকা। এ ছাড়া বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ তার আয় ৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৫ টাকা। তবে আইন পেশা থেকে প্রতি মাসে পান মাত্র ৮ হাজার ৩৩৩ টাকার মতো। বর্তমানে তার নগদ রয়েছে প্রায় ৫৬ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। নিজের নামে স্বর্ণ রয়েছে প্রায় ১২ ভরি এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪ ভরি। জমি রয়েছে ৫৫০ শতাংশ, যার মূল্য ৪৮ লাখ ২৫ হাজার ৪২০ টাকা। অকৃষিজমি রয়েছে ২৮ শতাংশ, যার মূল্য ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭১৭ টাকা। রয়েছে ৫ তলা আবাসিক ভবন, যার মূল্য ৯২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬৮ টাকা। ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি মৎস্য খামারও আছে তার। নবম শ্রেণি পাস জুয়েলের নগদ নেই এক টাকাও: উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ জুয়েল নবম শ্রেণি পাস। তিনি ব্যবসা থেকে বছরে আয় করেন ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৫০ টাকা। তার প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স জুয়েল ট্রেডার্স। তবে কৃষি খাত থেকেও তিনি আয় করেন ১ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকা। নগদ এক টাকা না থাকলেও বাড়িতে তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫ ভরি স্বর্ণ। তবে পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে এক একর ২১.৫১ শতাংশ। যার মূল্য তিনি উল্লেখ করেছেন ৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে তার সেমিপাকা বাড়ির মূল্য ৩ লাখ টাকা। এসএসসি পাস প্রার্থী ফোরকান উদ্দিন আহমেদ: এসএসসি পাস প্রার্থী ফোরকান ব্যবসা করেন। তার আয়ের মূল উৎস ব্যবসা ও বাড়ি ভাড়া। বাড়ি ভাড়া থেকে বছরে আয় করেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫৭২ টাকা, আর ব্যবসা থেকে আয় ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৫ টাকা। বর্তমানে তার নগদ রয়েছে ১২ লাখ ৮৮ হাজার ১৫২ টাকা। অন্যদিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে জমা রয়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৫৭২ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৩ টাকা। নিজের নামে ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ থাকার কথা জানালেও পরিমাণ উল্লেখ করেননি হলফনামায়। তার যে বাড়ি রয়েছে, সেটির দাম ৩৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। সম্পদ তেমন বাড়েনি মিশনের: হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন তেমন একটা বাড়েনি মাইন উদ্দিন মিশনের সম্পদ। কৃষি খাত থেকে তার আয় বছরে ২ লাখ টাকা। বর্তমানে নগদ টাকা রয়েছে ৫ লাখ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে মাত্র ২ লাখ টাকা। আসবাব রয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকার। স্বর্ণ রয়েছে ১০ তোলা। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা। বাবার থেকে পাওয়া কৃষিজমি রয়েছে ১৬০০ শতাংশ। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৮ লাখ টাকা।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

‘হ্যাক প্রতারণা’ করে কোটিপতি দুই ভাই
শামীম আহমেদ জয় নিজেকে ফ্রিল্যান্সার পরিচয় দেন। হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি উদ্ধারে ‘দক্ষ’ তিনি। কেউ আইডি উদ্ধারের জন্য যোগাযোগ করলে তার কাছে সব তথ্য নেন শামীম। আইডি উদ্ধারের পর তা নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। প্রকৃত মালিকের পরিচিতদের কাছে মেসেজ করেন, মা অসুস্থ বলে অর্থ সহায়তা চান। এ ছাড়া আইডিতে স্পর্শকাতর তথ্য পেলে তা দিয়ে শুরু করেন ব্ল্যাকমেইল। হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা। এসব টাকা তিনি নেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। আর এ টাকা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তোলেন তার ছোট ভাই মোহাম্মদ স্বাধীন আহমেদ। এই দুই ভাইয়ের প্রতারণার টার্গেট প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম আইডির নিরাপত্তার দুর্বলতা ঠিক করে দেওয়া, হ্যাক হওয়া আইডি উদ্ধারের নামে প্রতারণা করতেন তারা। গত শুক্রবার রাজধানীর ডেমরা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। এ সময় একটি সিপিইউ, দুটি মোবাইল ফোন, একটি রাউটার ও ১২টি ভুয়া এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। এক কানাডিয়ান প্রবাসীর আইডি উদ্ধারের নামে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে সাড়ে ৮ হাজার কানাডিয়ান ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন জয়। পরবর্তী সময়ে প্রবাসীর বাবার করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। গতকাল শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শামীম প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বন্ধু তালিকার পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে মেসেজ করে অর্থ নিতেন। হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেও আদায় করা হতো অর্থ। এমনকি হ্যাক করা আইডি থেকে গুরুত্বপূর্ণ-স্পর্শকাতর তথ্য, গোপন ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ফেসবুক আইডি ফেরিভায়েড করে দেওয়া বা অ্যাকাউন্টের সমস্যা সমাধানের কথা বলে মালিককে মোবাইল নম্বর অথবা ইমেইল অ্যাড্রেস যোগ করতে বলতেন শামীম। এরপর শামীম ‘ফরগেট পাসওয়ার্ড’ অপশনটি ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টটি নিয়ন্ত্রণে নিতেন। পরে লেমিনেটিং মেশিন ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের নামে ভুয়া এনআইডি তৈরি করে ফেসবুকে সাবমিট করে হ্যাক করা অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে নিতেন। অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান জানান, শামীমের কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের প্রায় ৫০০ ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাওয়া গেছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছিল তার টার্গেট। এ পর্যন্ত ৫০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন শামীম। প্রত্যেক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে সর্বনিম্ন এক হাজার ডলার নিতেন তিনি।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

মরা মুরগির ঘিলা-কলিজা বিক্রি করেই কোটিপতি সুজন
মরা ও পচা মুরগির দুর্গন্ধযুক্ত পা, ঘিলা ও কলিজা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জামালপুরে সদরের বাসিন্দা সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে। ঘিলা কলিজা বেচে রীতিমতো কোটিপতি বনে গেছেন এই অসাধু ব্যবসায়ী।  সুজন মিয়া জামালপুর সদরের শরিফপুর ইউনিয়নের ডেঙ্গারঘর গ্রামের বাসিন্দা হলেও ব্যবসার সুবাদে তিনি পৌর শহরের বানিয়া বাজারে ভাড়া বাসায় থাকেন। জানা গেছে, এক সময় কুলা-চালনি বিক্রি করে কোনোরকমে দিন চালালেও বর্তমানে মরা ও পচা মুরগির ব্যবসা করে শহরের ছনকান্দা এলাকায় জমি কিনেছেন সুজন মিয়া। গ্রামেও কিনেছেন আবাদি জমি। বানিয়েছেন কংক্রিটের বাড়ি। চড়েন ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন ১২০-২৪০ কেজি পোল্ট্রি মুরগির পা, ঘিলা ও কলিজা জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেন সহযোগী শুক্কুর আলী। জামালপুর ব্রহ্মপুত্র সেতুর নিচে অবৈধভাবে গড়ে তোলা একটা ভাড়া ঘর থেকে এ ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, মুরগির পা, ঘিলা, কলিজার বস্তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, চারপাশে মাছি ভনভন করছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা করি। আমি এত কিছু বুঝি না, কোম্পানি থেকে মাল কিনে এনে বিক্রি করি। কোম্পানির মালের চালান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চালান বাড়িতে। চালান বাড়িতে মাল দোকানে কীভাবে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ সময় তিনি হন্তদন্ত হয়ে ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসব কতটা স্বাস্থ্যকর জানতে চাইলে জামালপুর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকতা ডা. উত্তম কুমার সরকার বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া কোনো কিছু এভাবে কেউ বিক্রি করতে পারেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করার পরামর্শ দেন তিনি। জানতে চাইলে জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। সহকারী ভূমি কর্মকর্তাও নতুন যোগদান করেছেন। ছুটি থেকে ফিরে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বাবার দেওয়া লটারির টিকিটে কোটিপতি তিনি
অন্যান্য দিনের মতো সেদিন সকালেও বাবার সঙ্গে নাশতার টেবিলে বসেছিলেন তিনি। গল্প করতে করতে খাবার খাচ্ছিলেন বাবা ও ছেলে। হঠাৎ ছেলেকে একটি লটারির টিকিট দিয়ে বাবা বলেন, ‘এটা তার পক্ষ থেকে উপহার।’ সেই লটারিতেই ভাগ্য খোলে যায় ছেলের। লটারিতে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার জিতে যান তিনি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৩ কোটি টাকার বেশি। বলছিলাম স্টিভেন রিচার্ডের কথা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। বাবার কাছ থেকে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ১০ ডলার মূল্যের ওই লটারির টিকিট উপহার পান স্টিভেন। এর কিছু দিন পর লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ‘ম্যাসাচুসেটস স্টেট লটারি’র আয়োজক কর্তৃপক্ষকে রিচার্ড বলেন, বাবার কাছ থেকে উপহারটি পাওয়ার পর সেদিনই লটারির টিকিট ঘষে নম্বর বের করেন তিনি। এরপর নম্বর মিলিয়ে দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। দেখেন, লটারির প্রথম পুরস্কার অর্থাৎ ৪০ লাখ ডলার জিতেছেন তিনি। তবে প্রথম দফায় টিকিটের নম্বর মিলিয়েও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না রিচার্ড। নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি নিজের মুঠোফোনে ম্যাস লটারি নামের একটি অ্যাপের সাহায্য নেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে কোনো লটারি জিতলে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়। মুঠোফোন অ্যাপেও লটারির নম্বর পুরোপুরি মিলে যাওয়ার পর রিচার্ড নিশ্চিত হন যে এই ৪০ লাখ ডলারের দাবিদার তিনিই। লটারি জেতার খবর সবার আগে নিজের স্ত্রীকেই জানান রিচার্ড। এরপর ফোন করে বাবাকে জানান যে তাঁর উপহার দেওয়া লটারিতে তিনি বিপুল অর্থ জিতেছেন। এতে তার বাবাও অনেক খুশি হন।  
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

কোটিপতি স্বামীর জন্য বিজ্ঞাপন, এরপর যা ঘটল...
ভারতের ৩৭ বছর বয়সী এক নারী নিজের জন্য পাত্র খুঁজছেন। তার হবু বরের যোগ্যতার মাপকাঠিও তিনি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ নিয়ে নেটিজেনদের নেট দুনিয়া তোলপাড়। কারণ, ওই নারী আকাশকুসুম চাহিদাপত্র দিয়েছেন বলে আলোচনা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমবার নামের একজন ‘এক্স’-এ একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন। মূল লেখাটি মারাঠি ভাষায়। তা ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, এক তরুণী স্বামী খুঁজছেন। তবে তার স্বামী হতে হলে বার্ষিক বেতন হতে হবে কোটি টাকা। তাও যেন তেন চাকরি হলে হবে না। তিনি চিকিৎসক বা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অগ্রাধিকার দেবেন। এ ছাড়া মুম্বাইয়ে বাড়ি বা ব্যবসা থাকার কথাও ওই নারী উল্লেখ করেন। ওই পোস্টে নারী নিজের বিষয়েও তথ্য তুলে ধরেছেন। সে হিসেবে, বছরে তার আয় চার লাখের কাছাকাছি। ২ এপ্রিল পোস্টটি করা হয়। তা এরই মধ্যে ৭৪ হাজার ভিউ হয়েছে। অসংখ্য মানুষ পক্ষে-বিপক্ষে কমেন্ট করছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, প্রত্যেকের নিজের জীবন সঙ্গী নিজের মতো করে খুঁজে নেওয়ার অধিকার আছে। তেমনি পুরুষদেরও অধিকার আছে ওই নারীকে পাত্তা না দেওয়ার। তাই বিষয়টি খারাপভাবে দেখার সুযোগ নেই। অনেকে বলেছেন, ভারতে গুটি কয়েক ব্যক্তি কোটি টাকা বেতন পান। সুতরাং ৩৭ বছর বয়সে এমন স্বামী পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪
X