শেখ হাসিনার হাতেই গণতন্ত্র সুরক্ষিত : খাদ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা। বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। প্রতিষ্ঠা হতো পাকিস্তান মডেলের গণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধুকন্যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক রাজনীতির দল নয়। দলগুলোর জন্ম হয়েছে সেনা শাসকদের হাতে। ওই দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চাও নেই।  এর আগে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল প্রমুখ।
১৭ মে, ২০২৪

চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে দাম কমবে : খাদ্যমন্ত্রী
চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে দাম কমবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের শুধু ছাঁটাই করে যে চাল নষ্ট হচ্ছে, সেটা অর্ধেক রপ্তানি করলেই হবে। কারণ উৎপাদিত প্রায় চার কোটি টনের মধ্যে তিন শতাংশ হারে প্রায় ১২ লাখ টন চাল ছাঁটাই করার কারণে অপচয় হচ্ছে। আমাদের চাল পাঁচ দফা ছাঁটাই করে চকচকে করা হচ্ছে। দুবার ছাঁটাই করলেও ৫-৭ লাখ টন চাল বাড়বে।  সাধন চন্দ্র বলেন, দফায় দফায় ছাঁটাই করার পর চালের মধ্যে শুধু কার্বোহাইড্রেট ছাড়া অন্য কোনো পুষ্টি থাকছে না। এতে খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ, শ্রমিকের মজুরি সবকিছু মিলে প্রতি কেজিতে প্রায় চার টাকা। যে ভার ভোক্তাকে বহন করতে হচ্ছে। চালের দামে এ খরচ যুক্ত হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন আইন করে চাল ছাঁটাই বন্ধ করছি, মিনিকেট বা বিভিন্ন নামে চাল বাজারজাত করাও বন্ধ করেছি। ভোক্তাদের আমি বলব, আপনারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করুন। তাহলে যেমন চালের দাম কমবে, আমরা চাল রপ্তানি করতেও সফল হব। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর আগামী আমন মৌসুম থেকে চাল ছাঁটাই করলে মিল মালিকরা জরিমানার শিকার হবে। আসুন সবার প্রচেষ্টায় আমরা চাল রপ্তানির প্রস্তুতি নিই। সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিক এর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলামের স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান। আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ হাসান আরিফ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) পরিচালক (বিপণন, নকশা ও কারুশিল্প) আব্দুন নাসের খান। 
০৯ মে, ২০২৪

খাদ্যে ভেজাল রোধে ‘মনের ল্যাবরেটরি’ পরিষ্কার করা দরকার : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যে ভেজাল রোধে ভ্রাম্যমাণ বা স্থায়ী ল্যাবরেটরিতে খাদ্য পরীক্ষা করে কোনো লাভ হবে না সবার আগে মনের ল্যাবরেটরি পরিষ্কার করা দরকার বলে মনে করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বুধবার (৮ মে) রাজধানীতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) কার্যালয়ে সংস্থাটির সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এমনটা বলেন।  সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, অনিরাপদ খাদ্য বর্জন করতে হবে এবং যারা খাদ্য অনিরাপদ করবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নিরাপদ খাদ্যগ্রহণে সবাই মিলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এক সময় মঙ্গা ছিল, তখন মানুষ খাবার পেত না। তবে দেশে এখন আর খাদ্যের অভাব নেই। এটা সরকারের একটি বিরাট অর্জন। এ সময় খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, খাদ্যের পরীক্ষা করতে না পারলে নিরাপদ বা অনিরাপদ কি না বোঝা সম্ভব নয়। জাতীয় পর্যায়ে দেশে ল্যাব সক্ষমতা খুবই সীমাবদ্ধ। ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে জেলা বা বিভাগে পরীক্ষা করা ছিল অকল্পনীয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া, সদস্য আবু নূর মো. শামসুজ্জামান প্রমুখ।
০৮ মে, ২০২৪

কত টাকা দরে ধান-চাল কেনা হবে, জানালেন খাদ্যমন্ত্রী
চলতি মৌসুমে দেশব্যাপী বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু করেছে সরকার। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধান-চাল ও গম কেনা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এই মৌসুমে ৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ধান, চাল ও গম কেনা হচ্ছে। এবার ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, আতপ চাল এক লাখ টন এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৪ টাকায় সংগ্রহ করবে সরকার। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত হাওরে ৯৮ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চল ১০ ভাগ এবং সব মিলিয়ে ৬৬ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।  মন্ত্রী বলেন, চালের বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা শুরু হয়েছে। মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা যত দ্রুত জাতের নাম লিখবে তত ভালো। নিয়ম লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এ জন্য ধানের আর্দ্রতা পরিমাপে ময়েশ্চার মিটার ব্যবহার করতে হবে। ধান ও চালের গুনগত মান যেন ভালো হয় সেদিকে খাদ্য কর্মকর্তাদের নজর রাখতে হবে। এ সময় মন্ত্রী বলেন, গোডাউনে ধান দিতে গিয়ে কোনো কৃষকদের যেন হয়রানি না হতে হয়, সেজন্য ডিসি ও আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। কোনো কৃষক যেন কোনোভাবে অপমানিত ও হয়রানি না হয়, সেই বিষয়ে আমরা সদা সচেষ্ট থাকব। যদি সেটা (কৃষককে হয়রানি) করে তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। প্রসঙ্গত, আগের বছর ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৫ টাকা।
০৭ মে, ২০২৪

ধান-চালের গুণগতমান নিয়ে আপস নয় : খাদ্যমন্ত্রী
ধান ও চালের গুণগতমানে কোনো আপস করা হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। শিলাবৃষ্টিতে হাওরের ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, হাওরের ৯৮-৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। শুকিয়ে তা ঘরে তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। তিনি বলেন, সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওরকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষক যাতে হয়রানি না হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লক সুপারভাইজার বলা হতো, তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেওয়া আছে। মন্ত্রী বলেন, কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাহলে সেই ধান শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এজন্য কৃষি দপ্তরের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তারা আর্দ্রতার যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন। আর গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো লেবার যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেদিকে জেলাপ্রশাসক (ডিসি) এবং আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। যারা লেবার সাপ্লাই দেন, সেই ল্যান্ডিং ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হয়, এজন্য আমরা সচেষ্ট থাকব। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময়ে ধান ও চালের গুণগতমান যাতে ভালো হয়, সেক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
০৭ মে, ২০২৪

চাল চকচকে করতে পুষ্টির অংশ ছাঁটাই করে ফেলা হয় : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাল সরু ও চকচকে করতে পুষ্টির অংশ ছাঁটাই করে ফেলা হয়। এতে চাল চকচকে হলেও কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই থাকে না। এ ছাড়া পরিমাণেও চাল কমে যায়। আগামী আমন মৌসুম থেকে পালিশ (ছাঁটাই) বিহীন চাল বাজারজাত করতে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বাজারে পালিশবিহীন চাল থাকলে ভোক্তারা সেদিকে আকৃষ্ট হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে নওগাঁ সার্কিট হাউসে বোরো সংগ্রহ অভিযান সফল করার লক্ষ্যে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা / কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষক বা মিল মালিক কেউ যেন হয়রানি না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে। হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বস্তায় ধানের দাম ও জাত লেখার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। বাজারে বস্তার গায়ে দাম ও জাত আসতে শুরু করেছে। মিল মালিকদের কাছে ধানের জাতের নমুনাসহ নাম ও উদপাদিত চাল কেমন হবে তার নমুনা পাঠানো হয়েছে। মিল গেটে চালের দাম বস্তায় লেখা থাকলে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর বিষয়ে মিল মালিকদের দোষারোপ করতে পারবে না। ধানের সংগ্রহ সফল হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব কারণে ধান সংগ্রহ সফল হয় না, সেগুলোকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায় এবছর চালের ন্যায় ধান সংগ্রহও সফল হবে। বিগত বছর আমাদের দেশে চাল আমদানি করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপে কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে অনেক গুণ। এবছরও বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী মো. জহিরুল ইসলাম খান। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চোকদার প্রমুখ।
০২ মে, ২০২৪

শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে : খাদ্যমন্ত্রী
‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ; স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যে দেশে পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, শ্রমিকরাই জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত কর্মপরিবেশ শ্রমিকের কর্মদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। তাই শোভন কর্মপরিবেশ তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে। বুধবার (১ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয়  শ্রমিক লীগ নওগাঁ জেলা শাখা আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার বাংলার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, একদিন এই বিধ্বস্ত বাংলাকেই আমি সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলায় রূপান্তরিত করব।’ বাংলাদেশ এখন খাদ্য শষ্য উৎপাদনে স্বয়সম্পূর্ণ। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের কল্যাণে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন। দেশের ভেতরে ও বাইরে কর্মরত শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মজিদ , ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
০১ মে, ২০২৪

বিচার ও শাস্তির মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে : খাদ্যমন্ত্রী
সব মর্যাদা ও সব উন্নয়ন না হলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে না বলে মনে করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সবাই মিলে যুদ্ধ করেছি। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।  শনিবার (১৬ মার্চ) বাাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে দেওয়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবাইকে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এর সারথি হতে চাই।  তিনি বলেন, সারা দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় সরকার সোচ্চার। মূল কথা হলো অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত হলে এমন অঘটন হবে না। বিচার ও শাস্তির মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।  তিনি বলেন, আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু বলে আর ছোট করতে চাই না।
১৬ মার্চ, ২০২৪

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি কৃষিতে প্রভাব ফেলবে না : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করে। ভর্তুকি মূল্যেই জমিতে বিদ্যুতের সেচ সুবিধা পায় কৃষক। ফলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে তেমন প্রভাব পড়বে না। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এক লাইসেন্সের বিপরীতে একাধিক গুদাম রাখা যাবে না। ভিন্ন ভিন্ন নামের লাইসেন্স থাকলে গুদামগুলো সেভাবেই চিহ্নিত করে রাখতে হবে। সেটার হিসাবও আলাদা দেখাতে হবে। তিনি বলেন, কৃষকের ধান কেনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধবে ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওএমএসে  ডিজিটাল করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি এর উদ্বোধন করা হবে।  বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিকে লক্ষ্য রেখে বাজেটে গম কেনার যে কথা ছিল, এরই মধ্যে সাত দিন আগেই সাড়ে তিন লাখ টন গম কেনার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। এ সময় গুজবে কান না দিয়ে একসঙ্গে বেশি চাল না কিনতে ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। এর আগে নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, নওগাঁ জেলায় সরকারি আটা-ময়দা ক্রাসিং মিল স্থাপনের জায়গার খোঁজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া এ জেলায় সাইলোর নির্মাণকাজ চলমান।  উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী জহিরুল ইসলাম, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. এহসানুর রহমান এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান। এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও ধান-চাল ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৭ মার্চ, ২০২৪

রমজানে ৫০ লাখ পরিবার চাল পাবে : খাদ্যমন্ত্রী
রমজান উপলক্ষে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবার দেড় লাখ টন চাল পাবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।  সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে এ কথা বলেন তিনি।  সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ মার্চ থেকেই লিফটিং (ডিলারদের চাল উঠাতে) করতে বলেছি। ১ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত আমাদের একটি সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা কমিয়ে ১০ মার্চের মধ্যে ৫০ লাখ পরিবারের কাছে দেড় লাখ টন খাদ্য বিতরণ শেষ করা হবে। এই খাদ্য কর্মসূচিতে বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেড় লাখ টন চাল যদি বাজারে ১৫ টাকা দরে যায়, তাহলে ৫০ লাখ পরিবারকে তো আর বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না। এতে স্বস্তি আসবে বলে মনে করি। খাদ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বস্তায় চালের দাম ও জাত লেখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিপত্র জারি করব বলেছিলাম, আর কার্যকর করব ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ থেকে। তখন বাজারে বোরোর নতুন চাল আসবে। যেসব চাল এখন বাজারে বস্তায় এবং সিল মারা আছে সেগুলো এখন আর কেউ প্যাকেট চেঞ্জ করবে না। কাজেই নতুন বছরে বোরো চাল উঠবে, তখন থেকে এটা কার্যকর হবে। এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসি-মিল মালিকদের সঙ্গে মিটিং শুরু হয়েছে। ধান ও চালের জাতের যে নমুনা, সেটা তাদেরও সরবরাহ করা হচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আউশ, আমন ও বোরোতে কোন কোন জাত, কোনটা মোটা, মাঝারি ও সরু সেই জাত দিয়েছে, সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করছি।
০৪ মার্চ, ২০২৪
X