চট্টগ্রামে উড়াল সড়ক / খুলছে দ্বার, ১৬ কিমি ২০ মিনিটে
দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও শিগগির চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হচ্ছে। প্রয়াত সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করা সাড়ে ১৬ কিলোমিটারের এ এক্সপ্রেসওয়ে এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান। নগরবাসীর ভোগান্তি হ্রাস ও যানজট মুক্ত করতেই এ উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে লাইট লাগানো, সিসি ক্যামেরা বসানো, সাজসজ্জাসহ শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদুল আজহার আগে এটি গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মহানগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। অথচ এখন ভয়াবহ যানজট পেরিয়ে এটুকু পথ অতিক্রম করতে লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। ফলে এ পথের যাত্রীদের ভয়াবহ ভোগান্তি পোহাতে হয়। গত ১৪ নভেম্বর সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫৪ ফুট প্রস্থের এ এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ ফ্লাইওভার’ নামে এ উড়াল সড়ক উদ্বোধন করেন। নিরাপত্তাবলয়সহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে আসন্ন কোরবানির আগে এটি খুলে দেওয়া হবে। ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের কাজ আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে এক বৈঠকে খুলে দেওয়ার আগেই প্রস্তুতি হিসেবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা, নির্মাণকাজ, এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার পথ (র্যাম্প) ও সংস্কার করা সড়ক নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন এবং অ্যানিমেশন ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। এ সময় প্রকল্পের আওতায় দেওয়ানহাটের জরাজীর্ণ সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সিডিএকে প্রস্তাব দেওয়া হয় চসিকের পক্ষ থেকে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মাহফুজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, যানবাহনের চাপ সামলাতে এ এক্সপ্রেসওয়ে সহায়ক হবে। এটি চালু হলে মাত্র ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর পৌঁছানো যাবে। দিতে হবে নির্ধারিত হারে টোল। দ্রুতযান চলাচলের জন্য এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ এক্সপ্রেসওয়েতে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গাড়ি ওঠানামার জন্য ১৪টি র্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রয়াত সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেকের বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। সিডিএর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ কালবেলাকে বলেন, এ এক্সপ্রেসওয়েসহ চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে কাজ করা হচ্ছে। এতে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে। তৈরি হবে বিনিয়োগ পরিবেশ। বিকশিত হবে পর্যটন শিল্প। যানজটমুক্ত হবে সড়ক।
০৬ মে, ২০২৪

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ
তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধ ছিল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আজ রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।  শনিবার (৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে রোববার (৫ মে) হতে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’ এর আগে প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরের দিন হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন।  পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ধাপে ধাপে দেশের কয়েকটি জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
০৫ মে, ২০২৪

সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ
স্বাভাবিক হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। রমজান, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে খুলছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর আগে থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম স্বাভাবিকই ছিল। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে রোববার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে; তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেমব্লি বন্ধ থাকবে; শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে; তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ গত বৃহস্পতিবার জানান, তাপপ্রবাহের কারণে ২ মে পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছিল। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। ফলে রোববার থেকে আবারও ক্লাস শুরু হবে। তবে তাপপ্রবাহ এখনো চলমান থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া শর্তগুলো মেনে বিদ্যালয় পরিচালনা করতে হবে। বিদ্যালয়গুলো চলবে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আর প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধই থাকবে। জানা গেছে, রমজান, ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। গত ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
০৫ মে, ২০২৪

কাল খুলছে স্কুল-কলেজ
স্বাভাবিক হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম। পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে খুলছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে; শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাহিরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সকল কার্যক্রম সীমিত থাকবে; তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
০৪ মে, ২০২৪

আজ খুলছে স্কুল কলেজ, ঢাকাসহ ২৫ জেলায় বন্ধ
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর শেষে আজ শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তবে তাপপ্রবাহ তীব্র থাকায় আজও ২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ থাকছে। আর রোববার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। শনিবার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একযোগে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে। এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো রোববার থেকে খুলে দেওয়া হবে। ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। গত রোববার স্কুল-কলেজ চালু হলে প্রচণ্ড গরমে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনলে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ ২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ: তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে আজ দেশের ২৫ জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গতকাল শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বন্ধ ঘোষণা করা জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সব জেলা (রাজশাহীর ৮টি ও খুলনার ১০টি)। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলা।
০৪ মে, ২০২৪

মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলছে কাল, প্রাথমিক রোববার
স্বাভাবিক হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম। রমজান মাস, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর আগামীকাল শনিবার খুলছে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলবে রোববার থেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, শনিবার থেকে যথারীতি সারা দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে ক্লাস চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে ছয় দিন (শুক্রবার ছুটি) মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, তাপপ্রবাহের কারণে ২ মে পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছিল। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। ফলে রোববার থেকে আবারও ক্লাস শুরু হবে। তবে তাপপ্রবাহ এখনো চলমান থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া শর্তগুলো মেনে বিদ্যালয় পরিচালনা করতে হবে। বিদ্যালয়গুলো চলবে কয়েক দিন আগে ঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আর প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধই থাকবে। জানা গেছে, রমজান, ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। গত ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। পরের দিন ঢাকাসহ পাঁচ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এ আদেশের পর সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের কথা জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়েছে, শিখন ঘাটতি পূরণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারেও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। সে অনুযায়ী আজ শুক্রবার শেষে পরদিন শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
০৩ মে, ২০২৪

২৮ এপ্রিল খুলছে স্কুল-কলেজ
তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপদাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক মোতাবেক ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলো- ১) আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ২) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। ৩) শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।  ৪) তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।  জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, দেশে এমন তাপমাত্রা এটাই প্রথম নয়। এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নয়। সে কারণে এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। তাই আমরা রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। তবে ছুটি না বাড়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।  
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আজ খুলছে অফিস-আদালত-ব্যাংক-বিমা
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার খুলছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে উদযাপন হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি ছিল বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল)। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ও ১৪ এপ্রিল রোববার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বাংলা নববর্ষের ছুটি। ফলে ১০ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত ছুটি কাটাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। টানা পাঁচ দিন ঈদের ছুটি শেষে কর্মজীবীরা অফিসপাড়ায় যোগ দেবেন আজ। এতে সব জায়গায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে। তবে যারা ঢাকার বাইরে ঈদ করতে গেছেন তাদের অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। এদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অফিস আদালতে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েকদিন লেগে যাবে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজও আগামী সপ্তাহে খুলবে। তখন রাজধানী ঢাকা স্বাভাবিকরূপে ফিরবে। সাধারণত ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে তেমন কর্মব্যস্ততা থাকে না অফিসপাড়ায়। সহকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে ব্যস্ত থাকেন। একইভাবে ব্যাংকপাড়ায়ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লেনদেনও খুব একটা হয় না। এবার ঈদে ৬দিন ছুটি ছিল সংবাদপত্রে। সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। এ কারণে দেশে ১০ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো সংবাদপত্র প্রকাশ হয়নি। তবে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় খোলা ছিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশনগুলো।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশিদের বিরাট সুখবর, জুনেই দুয়ার খুলছে ইউরোপের চার দেশে
ইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিকের জন্য দুয়ার খুলছে। ছয়টি খাতে জার্মানি, ইতালি, গ্রিস ও রোমানিয়াতে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী পাঠানোর রোডম্যাপের কাজ গুছিয়ে এনেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, এর বাস্তবায়ন শুরু হবে জুন থেকেই। ২০২২ সালের এপ্রিলে ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম ঘোষণা করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। যেখানে বলা হয়, ২৭ দেশের এই জোট দক্ষ কর্মী নেবে মোট ৭টি দেশ থেকে। তালিকায় আছে বাংলাদেশও। এই প্রকল্পের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার অধীনে তৈরি করা ডাটাবেজের উপর ভিত্তি করে সাত দেশকে চাহিদাপত্র দেবে ইইউ সদরদপ্তর। এই কর্মসূচিতে যারা কাজে যাবেন মেয়াদ শেষে ফিরতে হবে দেশে। অগ্রাধিকার পাবে তথ্যপ্রযুক্তি, কেয়ারগিভিং, নির্মাণশিল্প, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি, কৃষি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত, জাহাজ নির্মাণ ও তৈরি পোশাকশিল্প। বাংলাদেশ কিভাবে এই সুযোগের সর্বোচ্চটা কাজ লাগাতে পারে তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি হওয়া আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তৈরি করা হয়েছে রোড ম্যাপও। দক্ষ কর্মী পাঠানোর সামর্থ্য অর্জনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ইউরোর আর্থিক সহায়তা দিবে তারা। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ২২ জুনের মধ্যে আমরা রোডম্যাপ ফাইনাল করবো এবং ইমপ্লিমেন্টেশনে যাব। এটা এক ধরণের পাইলট প্রকল্প। সুতরাং অন্যান্য যে ইউরোপিয়ান দেশগুলো আছে তারাও কিন্তু আগ্রহী হবে। ওয়েলডিংয়ের খুব ডিমান্ড রয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ট্যালেন্টহান্ট প্রকল্পের মাধ্যমে যেতে আগ্রহী শ্রমিকদের দেওয়া হবে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রাথমিক ধারণা।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

সীমান্ত সড়কে খুলছে অর্থনীতি ও পর্যটনশিল্পের নতুন দুয়ার
পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলায় নির্মিত সীমান্ত সড়কে খুলছে অর্থনীতি ও পর্যটনশিল্পের নতুন দুয়ার। এ সড়কের কারণে পাহাড়ি জনপদগুলোতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে যোগাযোগের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং পর্যটনশিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। ফলে এ তিন জেলা শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সড়ক যোগাযোগে অভূতপূর্ব উন্নতি ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এ সড়কের কারণে যোগাযোগ ছাড়াও পার্বত্য জেলার সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার, সামাজিক উন্নয়ন, স্থানীয়দের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ ও পর্যটনশিল্পের নতুন দুয়ার খুলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজস্থলী থেকে জুরাছড়ির দুমদুমিয়ায় ৫৬ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, রাঙামাটির দুর্গম দুমদুমিয়ায় আগে যেতে সময় লাগত দুই থেকে তিন দিন। এখন সীমান্ত সড়কের কারণে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এ সড়কের কারণে সহজে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা যাতায়াত করতে পারছেন। সড়কটির নির্মাণকাজ প্রায়ই শেষ। সড়কের দুপাশে প্রাণ জুড়ানো সবুজ প্রকৃতি। মাঝে মাঝে দেখা মিলে দুয়েকটি পাড়ার। রাজস্থলীর এই সড়ক দিয়ে বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে জুরাছড়ির দুর্গম দুমদুমিয়ায় যাওয়া যায় মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টায়। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে সময় আরও কমে আসবে। আগে যেখানে নদী ও পাহাড়ি পথে হেঁটে বিলাইছড়ির ফারুয়া ও জুরাছড়ির দুমদুম্যায় যেতে সময় লাগত দুই থেকে তিন দিন। সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উদয়াচল, শান্তিপাড়া, রোয়াপাড়া ছড়া, আমকাটাছাড়াসহ বিভিন্ন পাড়ার মানুষ সহজে যাতায়াত করতে পারছে। এলাকাটি উঁচু পাহাড় হওয়ায় কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে জেড আকারে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে।  জানা গেছে, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ২০১৯ সালে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এ তিন পার্বত্য জেলায় সীমান্ত সড়ক নিমার্ণের প্রথম পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সীমান্ত ও সংযোগ সড়কসহ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ১০৩৬ কিলোমিটার। যা কয়েকটি পর্যায়ে সম্পন্ন করা হবে। এর মধ্যে একনেক কর্তৃক প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৩১৭ কিলোমিটার। তার মধ্যে ২২০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ৪৭ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ চলমান আছে, যা ২০২৪ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। প্রকল্পটির বর্তমান ভৌত অগ্রগতি ৮২ ভাগ ও আর্থিক অগ্রগতি ৮৫ ভাগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ঠেগামুখ-লইতংপাড়া-থানচি-দুমদুমিয়া-রাজস্থলী পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার, সাজেক-দোকানঘাট-ঠেগামুখ পর্যন্ত ৯৫ কিলোমিটার, সাজেক-শিলদা-বেতলিং পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার এবং উখিয়া-আশারতলী-ফুলতলী পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ১০৩৬ কিলোমিটারের পুরো সড়কটি নির্মিত হলে খাগড়াছড়ির রামগড় থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম সরাসরি যাওয়া যাবে। প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের অধীনে ছয়টি সেতু, ৩৬টি বেইলি ব্রিজ ক্রয় ও প্রতিস্থাপন, ২২১টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণসহ পাহাড়ি পথে সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। রোয়াপাড়ার বাসিন্দা নন্দলাল চাকমা বলেন, এই সড়কটি হওয়ার পর আমি দোকান খুলেছি। বেচাকেনা দিন দিন বাড়ছে। সড়কটি পুরো হয়ে গেলে তা আরও বাড়বে। দুমদুম্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা শান্তি চাকমা বলেন, আগে আমাদের এখান থেকে হাসপাতালে রোগী নিতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগত। অনেক সময় রোগী পথে মারাও যেত। সড়ক হওয়ার কারণে এখন রোগী যেমন হাসপাতালে নিতে সুবিধা হচ্ছে তেমনি ফসলগুলো বাজারে নিয়ে বিক্রয় করতে সুবিধা হচ্ছে। যার কারণে আগের চেয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছি। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ের পরিচালক কর্নেল ভূঁইয়া মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, সমতলের তুলনায় পাহাড়ে কাজ করা অনেক চ্যালেঞ্জ। এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকাসহ দুর্গম এলাকা হওয়ায় শ্রমিকরা থাকতে চাইতো না। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও গুণগত মান বজায় রেখে কাজ চলছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলনে, সড়ক বিভাগের অধীনে এটি দেশের দীর্ঘতম সড়ক হতে চলেছে। সড়কটি নিরাপত্তাসহ স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পে ভূমিকা রাখবে। সেনাবাহিনীর অধীনে বাস্তবায়ন করা এ সড়ক আগামী মে মাসে কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।
২৪ মার্চ, ২০২৪
X