গার্মেন্টস এক্সেসরিস কারখানা করবে চীনা কোম্পানি
চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসবিএস জিপার বাংলাদেশ বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৯ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে একটি গার্মেন্টস এক্সেসরিস কারখানা স্থাপন করবে। এ লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বেপজা নির্বাহী দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। চুক্তি সই করেন বেপজার সদস্য আলী রেজা মজিদ এবং এসবিএস জিপারের প্রধান নির্বাহী ওয়াইফাং শেন। এ সময় ছিলেন বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান। কারখানায় চীনা প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ২৭১ মিলিয়ন পিস মেটাল জিপার, নাইলন বা প্লাস্টিক জিপার, স্লাইডার, চেইন বা জিপার, পার্টস বা টেপস, প্লাস্টিকের বোতাম, বোতামের পার্টস, মোল্ড উৎপাদন করবে। কর্মসংস্থান হবে ২ হাজার ৬৩ বাংলাদেশির। চুক্তি স্বাক্ষরকালে ছিলেন বেপজার সদস্য মোহাম্মদ ফারুক আলম, আশরাফুল কবীর, নির্বাহী পরিচালক ফয়জুল হক, তানভীর হোসেন, খুরশীদ আলম, আনোয়ার পারভেজসহ অন্যরা।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদযাত্রায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের সুখবর দিলেন রেলমন্ত্রী
বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের বাড়ি ফেরা নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদযাত্রা নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে যাতে তারা বাড়ি যেতে পারে এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য আগামী দুই দিন আমরা আলাদা বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ২টায় রাজবাড়ীর পাংশা ডাকবাংলোতে গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাদের জন্য আলাদা বগি ও সকল ধরনের সুবিধার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা মডেল থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ
আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ধাপে ধাপে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  সোমবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। এ ছাড়াও ঈদের ছুটির সময় মহাসড়কে নির্দিষ্ট এলাকায় যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে বের হওয়ার প্রতিটি পয়েন্টসহ দেশের যানজটপ্রবণ সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকবে। দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।   এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) আছে আগামী ১০ থেকে ১২ এপ্রিল। সেখানে এই ছুটি আরও এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তবে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভা জানায়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঈদের ছুটি আরও এক দিন বাড়ানোর যে আবেদন করেছিল তা গ্রহণ করা হয়নি। অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ঈদের অতিরিক্ত ছুটি পাচ্ছে না সরকারি চাকরিজীবীরা। এর আগে ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

২০ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি
২০ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। ১০টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে সমাবেশের আয়োজন করে এ দাবি জানানো হয়। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল। বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা আবু সাঈদ, মো. সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। সমাবেশে নেতারা বলেন, ঈদ হঠাৎ করে আসে না। বছরে দুটি ঈদে নির্দিষ্ট সময়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধ করা না হলে ঈদ উপলক্ষে পরিবারের জন্য কিছু কেনাকাটা করা যাবে না। বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাস, লঞ্চের টিকিট কিনতে পারবে না শ্রমিকরা। ২০ রমজানের মধ্যে বেসিকের সমান ঈদ বোনাস এবং চলতি মাসের বেতন পরিশোধের দাবি জানাই।  সভাপতির বক্তেব্যে মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, শ্রমিক পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা এখন জরুরি বিষয়। ২১ লাখ সরকারি কর্মচারীর রেশন আছে অথচ যাদের সবচেয়ে বেশি দরকার সেই শ্রমিকের রেশনিং নাই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানাই।
৩১ মার্চ, ২০২৪

ঈদে গার্মেন্টস কারখানায় ৮ দিন ছুটির দাবি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গার্মেন্টস কারখানায় আট দিন ছুটি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। ঘরমুখী মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে এ সুপারিশ উত্থাপন করেছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজি মো. শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকার ও বিজিএমইএ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতি ঈদে প্রায় এক কোটি মানুষ বৃহত্তর ঢাকা ছাড়ে। এর মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক প্রায় ৩৫ লাখ। ঈদের আগে মাত্র এক সপ্তাহে ঘরমুখী এক কোটি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা সড়ক, রেল ও নৌপরিবহন খাতে নেই। এর ফলে প্রতি ঈদেই সড়ক ও রেলপথে বিশৃঙ্খলা এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, যাতায়াতের বিড়ম্বনা এড়াতে গার্মেন্টস কারখানায় ৮ দিন ছুটি ঘোষণা করলে ৩৫ লাখ শ্রমজীবী মানুষ ধাপে ধাপে বাড়ি যেতে পারবে। তাই এ সুপারিশ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।
২১ মার্চ, ২০২৪

গার্মেন্টস মালিকদের আজ ভোটের লড়াই
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২৪-২৬ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন আজ শনিবার। তপশিল অনুযায়ী সংগঠনটির ঢাকা ও চট্টগ্রাম কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। নতুন পর্ষদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য প্রার্থী ৭০ জন। এর মধ্যে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম থেকে ৩৫ জন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঢাকা অঞ্চলের ২৬ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে ৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। নির্বাচিত পরিচালকরা ১৯ মার্চ সংগঠনের সভাপতি ও প্রথম সহসভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি এবং দুজন সহসভাপতি নির্বাচন করবেন। এর আগে ২০২১ সালের নির্বাচনে পরিষদ থেকে ২৪ এবং ফোরাম থেকে ১১ প্রার্থী পরিচালক হিসেবে জয়লাভ করেন। এবার ২ হাজার ৪৯৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ঢাকার ভোটার ২ হাজার ৩২ জন এবং চট্টগ্রামের ৪৬৪ জন। সম্মিলিত পরিষদের দলনেতা এস এম মান্নান কচি বর্তমানে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। আর ফোরামের দলনেতা বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ। নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের কাছে হাজির হয়েছেন প্রার্থীরা। জাঁকজমকভাবে আয়োজনে ঘোষণা করা হয়েছে নির্বাচনী ইশতেহারও। স্বচ্ছ বিজিএমইএ গড়তে মোট ২৫টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফোরাম এবং টেকসই পোশাক খাত নির্মাণে ১৫টি প্রতিশ্রুতি সম্মিলিত পরিষদের। জানা যায়, বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে দুই বছরের জন্য পর্ষদ গঠিত হয়। তবে জাতীয় নির্বাচনসহ খাত-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে এক বছর সময় বাড়িয়ে নেয় বর্তমান পর্ষদ। ফলে ২০২৩ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। ২০১৩ সালের পর দুই মেয়াদে বিজিএমইএর সদস্যরা নেতা নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। তখন সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে দুই মেয়াদে নেতৃত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছিল।
০৯ মার্চ, ২০২৪

গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় আশরাফুল আলম নামে একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল শ্যামল এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আশরাফুল আলম লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা গ্রামের মৃত সোলেমান আলীর ছেলে। পুলিশ জানায়, নিহত ওই গার্মেন্টস কর্মী তার স্বামীর সঙ্গে সিদ্বিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় বাড়া ভাড়িতে থাকতেন। প্রতিদিন সকালে কারখানায় গেলেও ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর ঘরের কাজের জন্য তিনি কাজে যাননি। দুপুরে তার স্বামী ও বড়ভাইয়ের স্ত্রী খাবার খাওয়ার জন্য এসে দেখে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা ও খাটের ওপর তার মরদেহ পড়ে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।  এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মশিউর রহমান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তে জানা যায়, প্রতিবেশী আশরাফুল সেদিন ঘরে ঢুকে ওই নারীকে ধর্ষণের পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ মামলার একমাত্র আসামি আশরাফুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা।  মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ আসামি আশরাফুলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর প্রতারণায় নিঃস্ব পদ্মা সেতুর পাথর সাপ্লাইয়ার
বড় বিনিয়োগ, বড় মুনাফা আর বড় ব্যবসার হাতছানি। এমন ফাঁদে পা দিয়ে হয়েছেন সর্বশান্ত। মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে পাথর ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামকে ডুবিয়েছেন কাপড় ব্যবসায়ী মো. আসাদুল ইসলাম। এই ঘটনায় প্রতারণা ও সই জালের অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা করেছেন আমিনুল। সেই মামলায় আসাদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন আসাদুল।  দেশের আলোচিত মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে পাথর সরবরাহ করে পুরস্কার পাওয়া আমিনুল ইসলাম ভাই ভাই ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। বড় ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে তার কোটি কোটি টাকা মেরে দিয়েছেন অ্যাস্ট্রোটেক্স গ্রুপ নামের পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আসাদুল ইসলাম ও তার সহযোগী আমির হোসাইন। বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে সুনামের সঙ্গে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করা আমিনুল এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের চিন্তা বাদ দিয়ে প্রতিকারের আশায় ঘুরছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে যৌথভাবে বিদেশ থেকে পাথর আমদানির ব্যবসা করতে গিয়ে কাপড় ব্যবসায়ী আসাদুলের ফাঁদে পড়েন আমিনুল। ওই বছর ভুক্তভোগী আমিনুলকে নিয়ে মো. আসাদুল ইসলাম ও তার সহযোগী মো. আমির হোসাইন স্ট্যান্ডার্ড হোলিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেন মো. আসাদুল ইসলাম এবং তার সহযোগী আমির হোসাইনকে করা হয় পরিচালক। আসাদুল ও আমিরের সুনিপুণ প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যবসার মূলধনই হারিয়ে ফেলেছেন আমিনুল। পাথর আমদানির নামে ব্যাংকে জমা থাকা প্রায় ১৪ কোটি টাকার সবই আমিনুলের চেক ও সই জাল করে তুলে নেন তারা। এ ঘটনায় মামলা করেন আমিনুল। এরপর সেই মামলা থেকে বাঁচতে আবারও প্রতারণার আশ্রয় নেন আসাদুল। ১৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলা থেকে বাঁচতে আসাদুল মীমাংসার চুক্তি করেন। যেখানে সকল হিসাব তুলে ধরে উল্টো ভুক্তভোগী আমিনুলের কাছে আরও ৫ কোটি টাকা পাওয়া আছেন এমন একটি হিসাব দাখিল করেন। যে চুক্তির কথা আমিনুল জানেন না। এই চুক্তি দেখিয়ে আদালত থেকে আরও পাঁচ কোটি টাকা আদায়ের আদেশ জারি করিয়ে নেন। এর প্রতিকার চেয়ে আদালতে অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন আমিনুল। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আর এই সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে আসে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আসাদুল ও তার সহযোগী আমিরের প্রতারণার বিষয়টি।  সম্প্রতি দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন সিআইডির এসআই হাবিবুর রহমান। আদালত সূত্রে পাওয়া সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তার যৌথ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড হোলিং লিমিটেডে ১৪ কোটি ২ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯ টাকা বিনিয়োগ করেন। এই টাকা যৌথ ব্যাংক হিসেব থেকে সই জাল করে আসামি আসাদুল ও আমির বিভিন্নভাবে তুলে নেন। সেই টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করেন আমিনুল। আর এই মামলা থেকে বাঁচতে আসামিরা মামলা আপস করার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে সালিশির জন্য আরবিট্রেটর নিয়োগের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে আমিনুল রাজি হলে আরবিট্রেটর সালিশে বিচারকদের সামনে বানোয়াট হিসাব বিবরণ উপস্থাপন করেন দুই প্রতারক। এই হিসাব দেখিয়ে নিজেদের পক্ষে রায় নেন তারা। পরবর্তীতে জাল হিসাবের বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আমিনুল। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আদালত সিআইডিকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন।  দীর্ঘ তদন্তে সিআইডি তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ফরেনসিক রিপোর্টে মামলার বাদীর স্বাক্ষর জাল করে নতুন হিসাব বিবরণ দেওয়া ও টাকা তুলে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার তথ্য উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত চলতি বছরের গত ৩০ জানুয়ারি মামলার দুই আসামি আসাদুল ও আমিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকে পলাতক দুই আসামি।  ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ব্যবসায়িক ক্যারিয়ারে এমন বিপদে কখনো পড়িনি। ভালো ব্যবহার দেখিয়ে তারা আমাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। তবে সিআইডির অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করা তদন্তে জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। দ্বারে দ্বারে ঘুরে সঠিক বিচার পাইনি। এবার সিআইডি আমাকে বেঁচে থাকার সাহস জোগাল। এখন আসামিদের যেন গ্রেপ্তার করা হয় এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেন আমি আমার টাকা ফেরত পাই সেটাই আমার দাবি।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ধামরাইয়ে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
ঢাকার ধামরাইয়ে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে মাহমুদা এ্যাটায়ার্স লিমিটেডের (রাইজিং গ্রুপ) শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সূতিপাড়া ইউনিয়নের মাহমুদা এ্যাটায়ার্স লিমিটেডের (রাইজিং গ্রুপ) শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে। অবরোধে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা জানান, সরকার ঘোষণা অনুযায়ী কারখানার কর্তৃপক্ষ বেতন বৃদ্ধি করেনি। এখানে কোনো গ্রেড নেই। সবাই সমান হারে বেতন পায়। আমরা বেতন বৃদ্ধির জন্য কথা বললে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়। এ ছাড়া মালিক পক্ষের ভাড়া করা মজনু নামে এক স্থানীয় নেতার লোকজন দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের সহকর্মী মামুনসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। ধামরাই থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।  
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

নগদ সহায়তার বকেয়া টাকা চাচ্ছেন গার্মেন্টস মালিকরা
দেশের তৈরি পোশাক খাতের নানামুখী সমস্যার কথা উল্লেখ করে চলতি ডিসেম্বরে বস্ত্র খাতসহ অন্যান্য খাতের রপ্তানি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তার বকেয়া ৪ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত একটি দরখাস্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে দিয়েছে সংগঠনটি। দরখাস্তে বলা হয়, চলতি সময়ে শিল্পে যে পরিমাণ রপ্তানি আদেশ রয়েছে, তা উৎপাদন ক্ষমতার ৫০ থেকে ৬০ ভাগ। এ ছাড়া গ্যাস সংকট, ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের অর্থ পরিশোধে বিলম্ব, বছর শেষে ব্যাংকের ঋণের কিস্তির চাপ এবং কারখানা শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন ও ব্যর্থ হলে শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সই করা দরখাস্তে উল্লেখ আছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান এক কঠিন সময় পার করছে। বিশ্ব মন্দার কারণে অধিকাংশ কারখানাতেই পর্যাপ্ত কার্যাদেশ নেই। রপ্তানি আদেশ যা হাতে আছে, তা-ও আবার চরম গ্যাস সংকটের কারণে সময়মতো রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এর পরও যা রপ্তানি হচ্ছে, তা দিয়ে মাস শেষে শ্রমিকের বেতনের টাকা সংস্থান করাই কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ, রপ্তানি বিল ক্রেতা গোষ্ঠী যথাসময়ে পরিশোধ করছে না। টিকে থাকার সংগ্রামে দেশের শিল্প খাত যখন হিমশিম খাচ্ছে চরমভাবে, তখন আবার পোশাক খাতের মজুরি কাঠামো বাড়ানো হয়েছে অস্বাভাবিক হারে, যা পরিশোধের সক্ষমতা বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ গার্মেন্টস মালিকদের নেই বললেই চলে। এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে যথা সময়ে নতুন কাঠামোর বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে না পারলে শ্রম অসন্তোষ ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ পরিস্থিতিতে সরকারের তথা অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহযোগিতা ছাড়া এ চাপ সামলানো খুবই কঠিন হয়ে যাবে। বিকেএমইএ জানিয়েছে, গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) জুন পর্যন্ত রপ্তানি ভর্তুকির ১ হাজার ৭০০ টাকা এখন পর্যন্ত ছাড় করা হয়নি, যা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমান অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা গত ২২ আগস্ট ছাড় করা হলেও বর্তমানে মোট ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি নগদ সহায়তা বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংকে বকেয়া দাবি রয়েছে, যা এ খাতকে চরম আর্থিক সংকটে ফেলে দিয়েছে। এ অবস্থায় চলতি ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে নগদ সহায়তার ৪ হাজার কোটি টাকা ছাড় করার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
X