বিমানবন্দর থেকেই ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক গ্রেপ্তার
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় ‘কাচ্চি ভাই’ এর মালিক সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় করা মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।  মঙ্গলবার (৭ মে) মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগুনের ঘটনার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। জানা গেছে, বিমানবন্দরে নামার পরই অভিবাসন পুলিশ সোহেল সিরাজকে আটক করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডির হাতে তুলে দেয়। বেইলি রোডে আগুন লাগার পর তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।  ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজামউদ্দিন ফকির জানান, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় করা মামলায় সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকালে সিআইডি সোহেল সিরাজকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠায়। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ৮ তলা ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। এ ছাড়া ভবনটির অন্যান্য তলায়ও ছিল অনেকগুলো খাবারের দোকান। বৃহস্পতিবার রাতে ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়া আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন নারী এবং ৮ শিশু ছিল। তারা সবাই খাবার খেতে ভবনটির বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।  
১ ঘণ্টা আগে

মাটির নিচে পাওয়া গেল মদ তৈরির উপকরণ
নওগাঁর রাণীনগরে এক অভিযানে চোলাই মদ তৈরির ৭৫ লিটার মাদকদ্রব্য ওয়াসসহ (জাওয়া) এক মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ মে) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত আজিজার রহমান (৬৬) কাশিমপুর সরদারপাড়া গ্রামের মৃত আফসার সরদারের ছেলে। রাণীনগর থানার ওসি মো. আবু ওবায়েদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আজিজার নিজ বাড়িতে চোলাই মদ তৈরি করে বিক্রি করে -এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে তার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী আজিজারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বাড়ি তল্লাশি করে বাড়ির আঙিনায় মাটির নিচ থেকে ড্রাম ভর্তি চোলাই মদ তৈরির ৭৫ লিটার মাদকদ্রব্য ওয়াস (জাওয়া) উদ্ধার করে পুলিশ। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় রাতেই আজিজারের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা রুজু করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আজিজারের বিরুদ্ধে ৭টি মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগে

উপজেলা নির্বাচন / কুষ্টিয়ায় প্রার্থীর ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৩
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহাদ আল মামুনের ওপর হামলা ও অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে তিনি বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিশোর কুমার ঘোষকে (জগৎ) প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন চরমিলপাড়া এলাকার রেজাউল করিম, শহীদ ও গিরিশ শাহিম। ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর পলাতক আছেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, ১১ জনের নাম উল্লেখ করে বাদী মামলা করেছেন। কিশোর কুমার ঘোষকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। আজ বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে আবু আহাদ মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। ভোটের প্রচারের শেষ দিন সোমবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কিশোর কুমার ঘোষের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহাদের নির্বাচনী অফিসে ঢুকে তাকে মারধর ও অপহরণের চেষ্টা করে। আহত অবস্থায় তাকে রাতেই কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আতাউর রহমান আতাকে অভিযুক্ত করেছেন আবু আহাদ। তবে আতাউর রহমান আতা কালবেলাকে বলেছেন, ‘কেউ ভিত্তিহীন কথা বললে এতে আমার কিছুই করার নেই। আমি একজন প্রার্থী ও রানিং উপজেলা চেয়ারম্যান। আমিই তাকে (আবু আহাদ) চিনি না। কী কারণে আমার লোকজন তাকে মারবে।’
১৭ ঘণ্টা আগে

দিনে ২ হাজার টাকা উপার্জনের স্ক্যাম, গ্রেপ্তার ১
ঘরে বসে অনলাইনে পার্টটাইম চাকরির অফার দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গতকাল মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের নাম সাইদুর রহমান। এটিইউর পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মাহফুজুল আলম রাসেল এ তথ্য জানান। তিনি জানান, নুসরাত কামাল নামে প্রতারণার শিকার একজন অভিযোগ করে জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ‘সাবিনা আক্তার’ নামে একজন ভাইবার অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগকারীকে কল করে ঘরে বসে অনলাইনে পার্টটাইম চাকরির লোভনীয় প্রস্তাব দেয়। এরপর তার মোবাইলে একটি এসএমএস আসে যে, আপনি ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং আপনার অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকা পাঠানো হয়েছে। এ টাকা তুলতে প্রথমে সিকিউরিটি মানি ও ট্যাক্সের সার্ভিস চার্জ বাবদ ৩ হাজার টাকা দিতে হবে। অভিযোগকারী চাকরির প্রস্তাবে রাজি হলে তার বিশ্বাস অর্জনের জন্য তাকে অনলাইনে কিছু কাজ করতে দেওয়া হয়। বারবার টাকা চাইলে অভিযোগকারীর সন্দেহ হয়। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে টেলিগ্রাম গ্রুপ থেকে ব্লক করে দেওয়া হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে

জেলেনস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্র বানচাল : গ্রেপ্তার দুই কর্নেল
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। তবে এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে এবং ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইউক্রেনের সরকারি সুরক্ষা বিভাগের দুই কর্নেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।  ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ বলেছে, এই দুই কর্নেল রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির চরদের একটি নেটওয়ার্কের সদস্য। তারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষীদের মধ্যে এমন লোক খুঁজছিলেন, যাঁরা জেলেনস্কিকে জিম্মি করে হত্যা করবেন।  এসবিইউয়ের প্রধান ভাসিল মালিউক বলেছেন, মঙ্গলবার পঞ্চম মেয়াদে শপথ নেওয়ার আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ব্যর্থ হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রটি “উপহার” হিসেবে দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক পোস্টে এসবিইউ দাবি করেছে, রাশিয়ার নিযুক্ত এজেন্ট প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিত রকেট হামলা চালানোর আগে একটি সেফ হাউসে চলে গিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্টকে নিশানা বানাতে ব্যবহৃত ড্রোনের সব আলামত ধ্বংস করতে রাশিয়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল। এসবিআই বলেছে, ভলোদিমির জেলেনস্কি ছাড়াও শত্রুরা ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধান ভ্যাসিল মালিউক, প্রশাসনের প্রধান কিরিল বুদানভ এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ইউক্রেনীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, সামরিক আইনের আওতায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের প্রস্তুতির অভিযোগে দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সাড়া দেয়নি।
২২ ঘণ্টা আগে

গোপন বৈঠক, গ্রেপ্তার ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ ৬ জন কারাগারে
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাদাই গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক মো. বিল্লাল হোসাইন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আব্দুল ওয়াদুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।  গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. জুলহাজ উদ্দীন জানান, ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত জড়িত চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম জানা যায়নি।  তবে দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদ ইউসুফ জুয়েলের দাবি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ওই বৈঠকের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেন তিনি।  সোমবার (৬ মে) দিনভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, পৌর এলাকার এস বি রেলওয়ে কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আবু সামা, বাহুকা কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত এবং এদের সমন্বয়ক শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুর ইসলাম। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় নিজ কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, রোববার (৫ মে) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাদাই এলাকার গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে সদর উপজেলার তালিকাভুক্ত কয়েকজন প্রিসাইডিং অফিসার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য গোপন বৈঠক করছেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিসের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়া গেলেও ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের থানায় নিয়ে আসা হয়।  জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন বৈঠকের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। রিপোর্টের পরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন।  তিনি বলেন, এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১০ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে নতুন ১০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 
২৩ ঘণ্টা আগে

ট্রাক থেকে ত্রাণ রাস্তায় ফেলে দিল ইসরায়েলিরা, গ্রেপ্তার ৬
গাজামুখী ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে দেয় একদল কট্টরপন্থি ইসরায়েলি। এরপর তারা ট্রাক থেকে কিছু ত্রাণসামগ্রী রাস্তায় ফেলে দেয়, কিছু নষ্ট করে ফেলে এবং ট্রাকের টায়ারও তারা কেটে ফেলার চেষ্টা করে। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ কাজে জড়িত ছয় ইসরায়েলিকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। জর্ডান থেকে ইসরায়েল হয়ে ট্রাকগুলো গাজায় যাচ্ছিল। পথে ইসরায়েল অংশে ট্রাক থামিয়ে স্লোগান দিতে থাকে আন্দোলনকারীরা। তারা বলতে থাকেন, গাজায় একজন ইসরায়েলি জিম্মি থাকা অবস্থায় সেখানে ত্রাণ যেতে দেবেন না। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে প্রায় ডজনখানেক চরম ডানপন্থি ইসরায়েলি। ওই মহাসড়ক দিয়ে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ইসরায়েলি সম্প্রচার মাধ্যম কান যে ফুটেজ প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করছে। জানা গেছে, জাভ নাইন গ্রুপের সদস্যরা এই বিক্ষোভ করেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার রাতে ওই ইসরায়েলিরা ট্রাকের সামনে স্লোগান দিচ্ছে এবং ইসরায়েলি পতাকা দোলাচ্ছে। ওয়াই-নেট-নিউজ আউটলেট জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ট্রাক থামিয়ে খাবার ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী হাতে তুলে নেয়। পরে সেগুলো রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে তারা। জর্ডান থেকে গাজায় ওই ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ট্রাকগুলো অধিকৃত জেরুজালেমের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। তখনই এ ঘটনা ঘটায় জাভ নাইন। তবে এখানেই থেমে না থাকার ঘোষণা দিয়েছে জাভ নাইন। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, গাজায় জিম্মি থাকা সব ইসরায়েলিকে হামাস মুক্তি না দিলে তারা ট্রাক আটকে দেওয়া অব্যাহত রাখবে।
০৭ মে, ২০২৪

গোপন বৈঠক / ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ গ্রেপ্তার ৬
সিরাজগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একজন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠকের অভিযোগে ৫ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ১০ প্রিসাইডিং অফিসারকে বাতিল করে নতুন ১০ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।  সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, এস বি রেলওয়ে কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক আবু সামা, বাহুকা কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত এবং এদের সমন্বয়ক শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুর ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বলেন, রোববার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার কাদাই এলাকার গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে সদর উপজেলার তালিকাভুক্ত কতিপয় প্রিসাইডিং অফিসার সদর উপজেলার একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য গোপন বৈঠক করছেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিসের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়া গেলেও ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ ও ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় সোমবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও এদের মাস্টার মাইন্ড সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে কোন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল সে বিষয়টি আরও তদন্তের পর জানানো হবে বলে জানান তিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭১টি কেন্দ্র রয়েছে। এ ঘটনার পর ইতোমধ্যে ১০ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বদল করে নতুন ১০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
০৬ মে, ২০২৪

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৭
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৭  জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার (৫ মে) ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা যায়, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ২৫৭ পিস ইয়াবা, ১৫৩ গ্রাম হেরোইন, ১৩ কেজি ৭০ গ্রাম গাঁজা ও ২১৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২২টি মামলা করা হয়েছে।
০৬ মে, ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দারকে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখালেন আদালত 
মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখান। আদালতের মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এ বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৫ মে, ২০২৪
X