ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা
কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় সময়। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। ইতিহাসই আমাদের পথ দেখায় নতুন নতুন দিগন্তের। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনা ইতিহাসে ঠাঁই হয় না। আজ বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি ১৫০২ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার চতুর্থ অভিযাত্রা শুরু করেন। ১৫০৯ - নতুন পৃথিবীর সন্ধানে কলম্বাসের কাদিজ থেকে চতুর্থ এবং সর্বশেষ অভিযাত্রা শুরু। ১৫৭৩ - ডিউক হেনরি পোল্যান্ডের রাজা নির্বাচিত। ১৭৮৮ - ব্রিটেনের ক্রীতদাস প্রথা বিলোপের জন্য পার্লামেন্টে বিল পাস। ১৮৭৪ - বোম্বেতে প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চালু হয়। ১৮৭৯ - নারী সচেতনতা প্রসারকল্পে কেশবচন্দ্র সেন আর্য নারী সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩৬ - ইতালি-ইথিওপিয়া একত্রীভুক্ত। রাজা তৃতীয় ভিক্টর এমানয়েল নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করেন। ১৯৪৫ - নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের অবসানে বিশ্বে বিজয়োৎসব পালিত হয়। ১৯৫৫ - ঠান্ডাযুদ্ধ বা স্নায়ুযুদ্ধের সময় পশ্চিম জার্মানি ন্যাটোতে যোগদান করে এই দিনে। ১৯৬০ - বিশ্বখাদ্য ও ড্রাগ প্রশাসন ঘোষণা করে যে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বড়ি ব্যবহার করা যাবে। ১৯৬৬ - চীন তৃতীয়বারের মতো পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। ১৯৬৭ - জাকির হোসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ - অক্সিজেন না নিয়েই এভারেস্ট জয় করেন ফু দোর্। ১৯৯২ - আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের উপর হামলা চালিয়েছিলো। ১৯৯৪ - নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণবৈষম্যহীন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ - ১৫ বছর পর উগান্ডায় প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ১৯৯৭ - জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লিবীয় নেতা গাদ্দাফির নাইজেরিয়া গমন। ২০০৪ - চেচেন প্রেসিডেন্ট আখমাদ কাদিরভকে হত্যা করা হয় ভিআইপি স্টেজের নিচে মাইন পেতে রেখে। যখন তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবসে সেনা কুচকাওয়াজ দেখছিলেন। জন্ম ১৪৫৪ - আমেরিগো ভেসপুসি, ইতালীয় ব্যবসায়ী, অভিযাত্রী, নৌবিশারদ এবং মানচিত্র নির্মাতা। ১৫৪০ - মেওয়ারের শিশোদিয়া রাজবংশের হিন্দু রাজপুত রাজা মহারাণা প্রতাপ সিং। ১৮০০ - আমেরিকার দাস বিদ্রোহের নেতা জন ব্রাউন। ১৮৬৬ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসংস্কারক গোপালকৃষ্ণ গোখলে। ১৮৯৫ - রিচার্ড বার্থেলমেস, মার্কিন অভিনেতা। ১৯০৭ - জ্যাকি গ্র্যান্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধর্মপ্রচারক। ১৯৩২ - কনরাড হান্ট, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৩৬ - গ্লেন্ডা জ্যাকসন, ইংরেজ অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ। ১৯৪৩ - মরিস ফস্টার, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৫১ - কেভিন কিগান - ইংরেজ ফুটবলার ও ম্যানেজার। ১৯৫৯ - অ্যান্ড্রু জোন্স, নিউজিল্যান্ডীয় সাবেক ক্রিকেটার। ১৯৮৬ - জেনি গান, ইংরেজ আন্তর্জাতিক প্রমীলা ক্রিকেটার। ১৯৮৭ - মুশফিকুর রহিম, বাংলাদেশি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। মৃত্যু ১৮০৫ - জার্মান লেখক কবি নাট্যকার ইহুয়ান ফেডারিক শিলার। ১৯০৩ - পল গোগাঁ, প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর। ১৯৩১ - আলবার্ট আব্রাহাম মাইকেলসন, মার্কিন পদার্থবিদ। ১৯৭১ - পূর্ণেন্দু দস্তিদার, লেখক ও রাজনীতিবিদ। ১৯৮৫ - এডমন্ড ওব্রায়েন, মার্কিন অভিনেতা। ১৯৮৬ - তেনজিং নোরগে নেপালী শেরপা পর্বতারোহী ও এডমন্ড হিলারির সাথে প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়ী। ১৯৯৮ - তালাত মাহমুদ, ভারতীয় গজল গায়ক। ২০০৯ - এম এ ওয়াজেদ মিয়া, বাংলাদেশি পরমাণুবিজ্ঞানী। ২০১৩ - ইন্দ্রনাথ মজুমদার, কলকাতার সুবর্ণরেখা প্রকাশন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের সংগ্রাহক। ছুটি ও অন্যান্য বিজয় দিবস ( রাশিয়া)।
১১ ঘণ্টা আগে

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা
কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় সময়। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। ইতিহাসই আমাদের পথ দেখায় নতুন নতুন দিগন্তের। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনা ইতিহাসে ঠাঁই হয় না। আজ বুধবার, ৮ মে ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি ১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। ১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়। ১৮৮৪ - হ্যারি এস. ট্রুম্যান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি। ১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ১৯০৩ - আলভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি। ১৯১১ - আ. ন. ম. বজলুর রশীদ, বাংলাদেশি সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। ১৯২১ - রুমানিয়ায় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৪ - কলিম শরাফী, বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী। ১৯৪৫ - সোভিয়েত লাল ফৌজের বার্লিন বিজয়ের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্যাসিস্ট জার্মানির পরাজয় ঘটে। ১৯৬২ - রবীন্দ্রনাথের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করা হয়। ১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়। জন্ম ১৭৩৭ - এডওয়ার্ড গিবন, ইংরেজ ইতিহাসবিদ এবং ব্রিটিশ সংসদ সদস্য। ১৭৫৩ - মিগাল হাইদালগো ইয়ে কসটিল্লা, মেক্সিকান রোমান ক্যাথলিক পুরোহিত এবং মেক্সিকান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক নেতা। ১৮২৮ - জঁ হেনরি ডুনন্ট, নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সুইজারল্যান্ডীয় ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী। ১৮৬১ - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নোবেল সাহিত্য পুরস্কারজয়ী, কলকাতার জোড়াসাঁকোতে । ১৮৮৪ - হ্যারি এস ট্রুম্যান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি। ১৮৯৫ -এডমন্ড উইলসন, মার্কিন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও কবি । ১৮৯৯ - ফ্রিড্রিখ হায়েক, একজন অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ। ১৯০৩ - আলভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি। ১৯০৬ - রোবার্তো রোসেলিনি, ইতালীয় চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯১১ - আ ন ম বজলুর রশীদ, বাংলাদেশি সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। ১৯১৬ - জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ, ব্রাজিলীয় ব্যবসায়ী এবং ক্রীড়া কর্মকর্তা। ১৯২৪ - কলিম শরাফী, বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী। ১৯২৬ - জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ, প্রখ্যাত ব্রিটিশ সম্প্রচারক, লেখক এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা। ১৯২৯ - গিরিজা দেবী, সেনিয়া ও বারাণসী ঘরানার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। ১৯৩৭ - থমাস পিনচন, আমেরিকান উপন্যাসিক। ১৯৩৮ - জাভেদ বার্কি, পাকিস্তানের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক। ১৯৪২ - রবিন হবস, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৪৪ - চলপতি রাও, ভারতীয় অভিনেতা ১৯৪৭ - এইচ রবার্ট হরভিটস, মার্কিন জীববিজ্ঞানী। ১৯৪৭ - শর্মিলী আহমেদ, বাংলাদেশি টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৫৭ - রিনো কাতাসে, জাপানি অভিনেত্রী। ১৯৬০ - ফ্রাংকো বারেসি , ইতালীয় ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৬১ - বিল ডি ব্লাজিও মার্কিন রাজনীশাহিত ১৯৭০ - মাইকেল বেভান, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৭০ - লুইস এনরিকে, স্পেনীয় ফুটবল ম্যানেজার এবং প্রাক্তন খেলোয়াড়। ১৯৭৫ - এনরিক ইগলেসিয়াস, স্প্যানিশ-আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা এবং সংগীত প্রযোজন। ১৯৮১ - স্টিফেন এমেল, কানাডিয়ান অভিনেতা। ১৯৯৩ - প্যাট কামিন্স, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। মৃত্যু ১৭৮৮ - জিওভান্নি আন্তোনিও স্কোপোলি, তাইরলীয় চিকিৎসক ও প্রকৃতিবিদ। ১৭৯৪ - অঁতোয়ান লাভোয়াজিয়ে, ফরাসি অভিজাত এবং রসায়নবিদ। ১৮৭৩ - রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ জন স্টুয়ার্ট মিল। ১৮৮০ - ফরাসি ঔপন্যাসিক গুস্তাভ ফোবের। ১৯০৩ - পল গোগাঁ, ফরাসি চিত্রকর। ১৯৬৫ - ওয়ালি হার্ডিঞ্জ, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও ফুটবলার ছিলেন। ১৯৮১ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তী। ১৯৮৮ - রবার্ট এ হাইনলাইন, মার্কিন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক। ১৯৯৩ - দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, ভারতের একজন প্রখ্যাত মার্কসবাদী দার্শনিক। ১৯৯৯ - ডার্ক বোগার্ড, ইংরেজ অভিনেতা ও লেখক। ২০০৮ - জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব। ২০২৩ - প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। ছুটি ও অন্যান্য বিশ্ব রেডক্রস দিবস ৷ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস।
০৮ মে, ২০২৪

অনেক ভয়ংকর ঘটনা আছে মিল্টনের
প্রতারণা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের অনেক ভয়ংকর ঘটনা রয়েছে। তদন্ত শেষে যা বেরিয়ে আসবে বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবিপ্রধান বলেন, কিছু অসহায়, বৃদ্ধ, অনাথ, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে ধরে আনতেন মিল্টন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ নেন। সে অর্থ তার ব্যাংক হিসাবে জমা হচ্ছিল। কিন্তু যাদের নাম করে টাকা এনেছেন, তাদের জন্য খরচ করেননি। তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধে। এক সাইকোপ্যাথ কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে উঠলেন, তা বোধগম্য নয়। তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে অপারেশন থিয়েটারের কথা স্বীকার করেছেন মিল্টন। যেখানে নিজেই কাটাছেঁড়া করতেন। সেসঙ্গে টর্চার সেলের কথাও জানা গেছে। যেখানে ওই অসহায়দের পেটাতেন। এদিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে মানব পাচার আইনের আরেক মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের আরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে কালবেলা। এর পরই মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। একে একে উঠে আসে তার ভয়ংকর সব প্রতারণা আর অপকর্মের তথ্য।
০৭ মে, ২০২৪

ডেমু ট্রেনের ঘটনা অবশ্যই কেলেঙ্কারি!
বাংলাদেশের মানুষের অর্থ বড়ই কষ্টার্জিত। মাথার ওপর ঋণের বোঝা, হাড়ভাঙা পরিশ্রম করা রেমিট্যান্স, পৃথিবীর সবচেয়ে কম মজুরির গার্মেন্টস রপ্তানি, মূল্যবান জীবনের আয়ু বিলিয়ে জাহাজ ভাঙা—অতঃপর সরকারের রাজস্ব আদায়। এ রাজস্ব আয়, শর্তসাপেক্ষে পাওয়া ঋণ ও অনুদান একটি সরকার বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো উন্নয়ন ও সেবা খাত। একটি সরকার যখন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করে, তখন সেই প্রকল্পে অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে তেমনটাই প্রত্যাশিত। যতটা সম্ভব স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতার সঙ্গে কার্যসম্পন্ন করবে। কিন্তু বাংলাদেশে যা চলছে তা শুধু লুটপাটই নয়, দায়িত্বজ্ঞানহীনতারও চরম বহিঃপ্রকাশ। আজ শুধু একটি বিষয় বলব, তাতেই মাথা ঘুরে যাবে। আমার নিজেরই সব খুঁটে দেখতে গিয়ে মাথা ঘুরে গেছে। তবে সব খবর তো আর কাগজে-কলমে থাকে না, অন্ধকারেও থাকে অনেক কিছু, যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের দ্বারা উদঘাটন সম্ভব নয়। এজন্য যে পেশাদার সংস্থাগুলো আছে তাদের সদিচ্ছা, তাদের প্রতি নির্দেশ দরকার হয়। আমরা শুধু অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে ঘেউ ঘেউ করতে পারি। বলছিলাম ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউটিন বা ডেমু ট্রেনের কথা। প্রথম ২০১১ সালের ৪ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাংজিয়ান ৫৮.৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ২০টি মিটারগেজ ডেমু ট্রেন আমদানির একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে কম্পোন্যান্ট, স্টাফ ট্রেইনিং ও মেইনটেন্যান্স; অর্থাৎ যন্ত্রাংশ, স্টাফদের প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের কথাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ট্রেনগুলো কেনা হয়েছিল চীনের হেবেই প্রদেশের সিএনআর থাঙ্কসান কোম্পানির কাছ থেকে। তিন কোচবিশিষ্ট এ ট্রেনের ধারণক্ষমতা ৩০০ যাত্রী এবং সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার। সে অনুযায়ী ২০১৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেমু ট্রেন যাত্রা শুরু করে। ট্রেনগুলো ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামে ব্যবহারের জন্য কেনা হয়েছিল। এ ডেমুর ইঞ্জিনের বয়সকাল ধরা হয়েছিল ২০ বছর এবং ওয়াগনের বয়স ৩৫ থেকে ৪৫ বছর। কিন্তু মাত্র ৫-৬ বছরের মধ্যে সব ট্রেন সম্পূর্ণরূপে অকেজো হয়ে এখন পড়ে আছে। সব ট্রেন ওয়ার্কশপে পড়ে আছে। টেলিভিশনের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ঘন জঙ্গলে ঢেকে আছে, জং ধরে গেছে ট্রেনের যন্ত্র ও বডিতে। রেলওয়ের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে বলা হচ্ছে—দুটি ট্রেন চলছে, কিন্তু বাস্তবে একটিও চলছে না বলে জানা গেছে। ৫-৬ বছরও বাঁচল না? রহস্য কী? চীনের এ ডেমুগুলোতে যে সফটওয়্যার ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে, তা ব্যবহারের লোক বা দক্ষ কর্মচারী বাংলাদেশের নেই। এই ডেমু যখন চলত তখন হঠাৎ করেই রাস্তায় বন্ধ হয়ে যেত। বিভিন্ন সময় এগুলো চালু রাখতে আরও ৩০ কোটি টাকার অধিক ব্যয় করেছে রেলওয়ে। রেলওয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ বিশাল অঙ্কের ব্যয়ে ক্রয় করে এবং চালু রাখতে রেলের সর্বমোট আয় হয়েছে ২২ কোটি টাকা। অর্থাৎ পুরোটাই পানিতে গেছে। পত্রিকান্তরে সংবাদ বের হয়েছে, ডেমু কিনতে ৪৮ লাখ টাকা ব্যয় করে আটজন কর্মকর্তাকে চীনে পাঠানো হয়েছিল ডেমুর কার্যকারিতা দেখতে। এ পরিদর্শনে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রেল ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। প্রকল্পের টাকায় ছয়জন প্রকৌশলীকে চার মাসের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছিল, যেখানে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি টাকা। এর কোনো কিছুই কাজে লাগল না? রেলওয়ে সূত্রই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ট্রেনগুলোর মান ভালো ছিল না! খোদ রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেছেন, এ ট্রেন কেনার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এই ভুল কেমন ভুল? ভুল একজন মানুষ করতে পারেন এবং সেটা হঠাৎ হয়ে যায়। এত মানুষ রেল দেখতে গেলেন, এত মানুষ পরিকল্পনার সঙ্গে রইলেন, তারা সবাই ভুল করলেন? এ ভুল কি ইচ্ছাকৃত ভুল নয়? দুঃখের বিষয়, এজন্য সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়নি। জানামতে, কোনো তদন্ত কমিটিও করা হয়নি। আরও অদ্ভুত বিষয় হলো, এই ডেমু ট্রেন মেরামতের কোনো ওয়ার্কশপ নেই দেশে। কে এখন এই প্রশ্নের জবাব দেবে যে কেন কেনা হলো এবং কেনাই যখন হলো তখন মেরামতের কোনো ওয়ার্কশপ গড়ে তোলা হলো না কেন? আরও দুঃখজনক হলো, চীনের কোম্পানি বিক্রি করে দিয়েই খালাস। তারা এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ অথবা পরিচালনায় সামান্য ভূমিকা রাখেনি। চার মাস যারা ট্রেনিং নিয়েছেন ডেমুর সফটওয়্যারগুলো বুঝতে, তারা কোথায়? ডেমু ট্রেন বিশ্বের বড় বড় দেশে চলে। বেলজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য থেকে শুরু করে ভারতেও চলছে। আমি ইন্টারন্যাশনাল রেলওয়ে জার্নাল থেকে শুরু করে নানা রেলওয়ে সংক্রান্ত সংবাদ ঘেঁটে দেখেছি। কোনো দেশের ডেমুর এমন নাজেহাল অবস্থা কখনো হয়নি। শুধু এই দরিদ্র, হতভাগ্য দেশের ছাড়া! ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে ট্রেন আমদানি করা হয়েছিল, তা এখনো সচল আছে, ১৯৮০ সালে জার্মানি থেকে যে ট্রেন আনা হয় তাও এখনো বহাল তবিয়তে রেলসড়কে সচল রয়েছে। অথচ বেলুনের মতো চুপসে গেল চীন থেকে আনা এই ডেমু? এখন শোনা যাচ্ছে, এগুলো আবার মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আল্লাহ মালুম এবার কী হবে! চীন নিয়ে অনেক গল্প চালু আছে, সত্য-মিথ্যা জানি না। বলা হয় চীনে নাকি একই আইটেমের নানা ধরনের মান থাকে। যারা ক্রয় করতে যান তাদের জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কত টাকা মধ্যে চান? মোবাইল ফোনের কথাই ধরি। ২ হাজার থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকার মোবাইল আছে। সেগুলো চীনাদের মতোই দেখতে সব একইরকম। তবে চীনারা খুবই ‘রসিক’। যারা সেখানে যান তাদের নাকি বাজিয়ে দেখেন। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের সরকারি কর্মকর্তাদের পেলে তো কথাই নেই। কোম্পানিগুলোর নানা লেভেলের সুন্দরী কর্মচারীরা নানা পার্সেন্টেজ বুঝিয়ে দিতে বড়ই পারদর্শী। আর তৃতীয় বিশ্বের সরকারি কর্মচারীরাও তো এখন আর কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বোকা নেই যে, সরকারি কাজে চীন সফরে গিয়ে খালি হাতে ফিরে এসে চীনযাত্রী নামে সুখপাঠ্য বই রচনা করবেন। আমি এক সরকারি কর্মকর্তাকে বলতে শুনেছি, একবার সরকারি ক্রয়ে চীন যেতে পারলে জীবনে আর কিছু লাগে না, পেনশনের টাকা না পেলেও ক্ষতি নেই! আমাদের সহজ একটি প্রশ্ন—দেশের মানুষের এই কষ্টের টাকা যেসব কর্মকর্তা নষ্ট হতে দিয়েছেন, তাদের কি কোনো জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হয়েছে? জানি, চীনা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কোনো আঁতাত হয়ে থাকলে তা বের করার ক্ষমতা বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন সংস্থার নেই। কারণ পেমেন্ট বা ইনভয়েসিংয়ে কোনো ফাঁকফোকর থাকার কথা নয়, কেউ রাখে না। কিন্তু বিকল্পও তো আছে। যেমন আপনার বাসার পাশের একটি ব্যাংকে ডাকাতি হলো। কয়েক দিনের মধ্যে দেখলেন, পাশের কয়েকটি বেকার হতদরিদ্র যুবক ছেলে ভারী সোনার চেইন, দামি মোটরসাইকেল কিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনার কি ওই টাকার উৎস সম্পর্কে আর কোনো সন্দেহ থাকবে? এতক্ষণ ইনিয়ে-বিনিয়ে বললাম, এখন সোজা কথায় বলি। ডেমু ট্রেন কেনায় চীনা কোম্পানির সঙ্গে কোনো না কোনো মহলের যোগসাজশে যে বিশাল অনিয়ম হয়েছে, এতে কোনোরকম সন্দেহ নেই। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম অদক্ষতার কারণে হয়েছে, তাতেও যারা জড়িত তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কারণ যে কোনো অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অদক্ষ লোক দিয়ে চালানোর চেয়ে দক্ষ চোর দিয়ে চালানো শ্রেয়। এই ডেমু ট্রেন ক্রয়ে যারা জড়িত ছিলেন তারা বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন, কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। সরকারের উচিত ডেমু মেরামতের আগে এদের মেরামত করা! তা না হলে এমন ডেমুর ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আমরা চাই ডেমুর ঘটনাকে একটি কেলেঙ্কারি, একটি স্ক্যাম হিসেবে সরকার বিবেচনা করুক। বড়ই কষ্ট হয়। আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ এভাবে ফানুসের মতো উড়ে যাবে! লেখক: সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক
০৭ মে, ২০২৪

মিল্টনের অনেক ভয়ংকর ঘটনা রয়েছে : ডিবিপ্রধান
প্রতারণা ও নানা অনিয়মে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের অনেক ভয়ংকর ঘটনা রয়েছে। তদন্ত শেষে যা বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সোমবার (৬ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন কিছু অসহায়, বৃদ্ধ, অনাথ, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে ধরে আনতে। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন। যে অর্থ তার ব্যাংক হিসাবে জমা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি কোনো টাকা খরচ করছিলেন না।  তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ সময় ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধে। মিল্টন একজন সাইকোপ্যাথ সে কীভাবে একজন মানবতার ফেরিওয়ালা হলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অসহায় মানুষদের খাবার ও ওষুধের ব্যবস্থা করতে শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা এগিয়ে এসেছে বলে জানান হারুন অর রশীদ। হারুন অর রশীদ বলেন, এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সবগুলো অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মিল্টন স্বীকার করেছেন তার অপারেশন থিয়েটারের কথা। যেখানে সে এই কাটাছেঁড়া করতেন। সেই সঙ্গে টর্চার সেলের কথাও জানা গেছে। যেখানে সে এসব অসহায় মানুষদের পেটাতেন। এদিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের আরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এ বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৬ মে, ২০২৪

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা
কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় সময়। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। ইতিহাসই আমাদের পথ দেখায় নতুন নতুন দিগন্তের। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনা ইতিহাসে ঠাঁই হয় না। আজ রোববার, ৫ মে ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি ১৫৭০ - ডেনিশদের বিরুদ্ধে তুরস্কের যুদ্ধ ঘোষণা। ১৭৮৯ - ফরাসি বিপ্লব শুরু হয়। ১৭৯৯ - বীর সেনানী টিপু সুলতানকে সমাহিত করা হয়। ১৯৩০ - ভারত শাসনকারী ব্রিটিশ সরকার মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বিনা বিচারে বন্দি করে। ১৯৩৬ - ইতালীয় বাহিনী আদ্দিস আবাবা দখল করে। ১৯৪২ - ব্রিটিশ বাহিনী মাদগাস্কার অধিকার করে। ১৯৪৫ - চেকোশ্লোভাকিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি আত্মগোপন অবস্থা থেকে বের হয়ে দেশব্যাপী গণঅভ্যুত্থানে যোগ দেয়। ১৯৫৫ - জার্মানি সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত। ১৯৬১ - প্রথম মার্কিন নভোচারি এলান শেপহার্ড জুনিয়রের মহাকাশ যাত্রা। ১৯৮১ - দক্ষিণ বেলফাস্টের কুখ্যাত মেজ কারাগারে আটক আইরিশ-ক্যাথলিক নেতা ববি স্যান্ডস ৬৬ দিন টানা অনশনের পর পরলোকগমন করেন। ২০০০ - ইউশিরো মোরি জাপানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত। জন্ম ১৮১৩ - সারেন কিয়েরকেগর ডেনীয় দার্শনিক এবং তাত্ত্বিক। ১৮১৮ - কার্ল মার্কস, প্রভাবশালী জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ও মার্ক্সবাদের প্রবক্তা। ১৮৪৬ - নোবেলজয়ী (১৯০৫) পোলিশ কথাশিল্পী হেনরিক সিয়েনকিয়েভিচ। ১৮৫০ - বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি ছোটগল্পকার গি. দ্য. মোপাসাঁ। ১৮৮৮ - বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী। ১৮৯৬ - ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ভি কে কৃষ্ণমেনন। ১৯১১ - প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের আত্নহুতি দানকারী বাঙালি নারী। মৃত্যু ১৮২১ - নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফরাসি শাসক ১৯৮৬ - এভারেস্ট জয়ী তেনজিং নোরগ।
০৫ মে, ২০২৪

ইউক্রেনের ৯৮ বছরের বৃদ্ধা কেন হাঁটলেন ১০ কিলোমিটার?
ইউক্রেনের ৯৮ বছর বয়সী বৃদ্ধা লিদিয়া লোমিকোভস্কা। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকা দেখেছেন। এরপর বিশ্ব শান্ত হলে বুকভরা আশা নিয়ে পার করেছেন জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু সময়। কিন্তু কে জানত, জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে তাকে আবারও যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে। যুদ্ধের মধ্যে একা প্রায় ১০ কিলোমিটার হেঁটে লিদিয়া আলোচনায় এসেছেন। রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তিনি এ অসাধ্য সাধন করেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের পুলিশ তাকে খুঁজে পান। এরপর এ নারীর করুণ কাহিনী বিশ্বকে জানাতে একটি ভিডিও তৈরি করে তারা। সেখানে দেখা যায়, লিদিয়া আশ্রয়কেন্দ্রের একটি শয্যায় বসে আছেন। তার মাথায় একটি স্কার্ফ বাঁধা। গায়ে অপেক্ষাকৃত বড় মাপের একটি কোট। হাতে একটি কাঠের লাঠি।  ইউক্রেনের পুলিশ জানায়, এ নারী পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের ওসেরেন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে হামলা করে রাশিয়া। দিন-রাত বোমা ফেলা হয়। শহরটি ধ্বংসস্তূপ এবং ধুলায় পরিণত হয়।  এ অবস্থায় স্বজনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। রাশিয়ার হামলার মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। পুরোপুরি দখল হয়ে যায় তার গ্রামটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতায় তিনি বুঝতে পারেন, তাকে এলাকা ত্যাগ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর আর অপেক্ষার সময় ছিল না। তিনি বলেন, আমি একটি লাঠি ও কাঠের টুকরো নিয়ে হাঁটা শুরু করি। আমার পা আমাকে বহন করতে চাইছিল না। কিন্তু আমাকে যেতেই হতো। তিনি আরও বলেন, এভাবে হাঁটতে হাঁটতে কখনো আমি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেছি। ঘাসের ওপর শুয়েছিলাম। এরপর আবার হেঁটেছি। সে সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার মাথার ওপর রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো উড়ছিল। আর্টিলারি থেকে গোলা ছোড়া হচ্ছিল। দুপক্ষের গোলাগুলির মধ্যেও হাঁটা থামাইনি। একপর্যায়ে তিনি অব্যাহত যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেন–নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পৌঁছেছেন। সেখানে ইউক্রেনের পুলিশের আশ্রয় পেয়েছেন। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ওই নারীকে দেখতে পায়। তারপর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যায়। তবে এ যাত্রার সঠিক দিনক্ষণ জানায়নি তারা। এদিকে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ লিদিয়ার নাতনি স্বিতলানাকে খুঁজে পেয়েছে। তার সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ করে বিবিসি। নাতনী জানান, দীর্ঘদিন ধরে দাদিকে খুঁজছিলেন তারা। যুদ্ধের মধ্যে দাদিকে ফিরে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছেন। দাদিকে আর হারাতে চান না। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত দুই বছর ধরে চলমান এই অভিযানে এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন হাজার হাজার রুশ এবং ইউক্রেনীয় সেনা।
০২ মে, ২০২৪

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা
কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় সময়। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। ইতিহাসই আমাদের পথ দেখায় নতুন নতুন দিগন্তের। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনা ইতিহাসে ঠাঁই হয় না। আজ বৃহস্পতিবার , ০২ মে ২০২৪। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি ১১১২ – চীনা জ্যোতির্বিদরা সূর্যের অভ্যন্তরে কালো বায়বীয় বস্তুর অস্তিত্ব লক্ষ করেন। ১৮৮৩ - শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে কলকাতার কাশীশ্বর মিত্রের নন্দনবাগান বাড়িতে। ১৯৪৫ – সোভিয়েত বাহিনী বার্লিন দখল করে নেয়। বার্লিন জার্মানির রাজধানী এবং ইউরোপ মহাদেশের একটি ঐতিহাসিক শহর। বার্লিন শহরে ৩৪ লাখেরও বেশি লোক বাস করেন। ১৯৪৫ – ইতালিতে মোতায়েন প্রায় ১০ লাখ জার্মান সৈন্য নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। ১৯৫৯ - ভারতের প্রথম বিজ্ঞান সংগ্রহশালা, বিড়লা শিল্প ও কারিগরি সংগ্রহশালা কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৪ – তৎকালীন সায়গন বন্দরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রে নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএসএনএস কাড বিস্ফোরণে ডুবে যায়। ১৯৭২ - দক্ষিণ আমেরিকান দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয় কলম্বিয়া, কোস্টারিকা এবং ভেনেজুয়েলা। জন্ম ১৭২৯ - রাশিয়ার দ্বিতীয় ক্যাথেরিন। ১৭৭২ - নোভালিশ, জার্মান লেখক এবং কবি। ১৮৬০ - থিওডোর হের্জল, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির একজন ইহুদি সাংবাদিক ও লেখক। ১৯০১ - বব ওয়াট, ইংলিশ ক্রিকেটার। ১৯১৭ - বিভূতিভূষণ সরকার, বাঙালি বিপ্লবী ও শিল্পোদ্যোগী। ১৯২১ - সত্যজিৎ রায়, বাংলা সাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রকর ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯২৮ - ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ। ১৯২৯ - এদুয়ার বালাদুর, ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৯২৯ - জিগমে দর্জি ওয়াংচুক, ভূটানের তৃতীয় ড্রূক গ্যালাপ (রাজা)। ১৯৩১ - পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথিতযশা ভারতীয় বাঙালি গীতিকার ও সুরকার। ১৯৩৫ - দ্বিতীয় ফয়সাল, ইরাকের তৃতীয় ও শেষ বাদশাহ। ১৯৩৯ - সুমিও ইজিমা, জাপানি পদার্থবিদ, প্রায়শই কার্বন ন্যানোটিউব আবিষ্কারের জন্য যাকে স্মরণ করা হয়। ১৯৪২ - জ্যাকুয়েস রগ, বেলজিয়ামের ক্রীড়া অধিকর্তা। ১৯৫৮ - ডেভিড ও'লিয়ারি, আয়ারল্যান্ডীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার। ১৯৬০ - স্টিভেন ডাল্ড্রি, ইংরেজ পরিচালক ও প্রযোজক। ১৯৬৯ - ব্রায়ান লারা, ত্রিনিদাদিয়ান ক্রিকেটার। ১৯৭২ - ডোয়েইন জনসন, মার্কিন-কানাডীয় অভিনেতা, প্রযোজক এবং পেশাদার কুস্তিগির। ১৯৭৫ - ডেভিড বেকহ্যাম, ইংরেজ ফুটবলার। ১৯৮২ - যোহান বোথা, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার। ১৯৯৬ - জুলিয়ান ব্র্যান্ড, জার্মান ফুটবলার। ২০১৫ - প্রিন্সেস শার্লট অব কেমব্রিজ, প্রিন্স উইলিয়াম, ডিউক অব কেমব্রিজ, এবং ক্যাথরিন, ডাচেস অফ কেমব্রিজ এর কনিষ্ঠতম এবং একমাত্র কন্যা। মৃত্যু ১৫১৯ - লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, ইতালীয় রেনেসাঁসের কালজয়ী চিত্রশিল্পী। ১৮৫৭ - ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড ডি মুসেট। ১৯০৮ - প্রফুল্ল চাকী ভারতীয় উপমহাদেশে বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী। ১৯৫৭ - জোসেফ ম্যাকার্থি, মার্কিন রাজনীতিবিদ। ১৯৭২ - জে. এডগার হুভার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই প্রথম পরিচালক এবং মার্কিন আইন প্রণয়নকারী কর্মকর্তা। ১৯৭৭ - মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, বাঙালি কবি। ১৯৭৯ - জুলিও নাত্তা, ইতালীয় রসায়নবিজ্ঞানী। ১৯৮০ - ক্ল্যারি গ্রিমেট, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। ১৯৯৯ - অলিভার রিড, ইংলিশ অভিনেতা। ২০১০ - লিন রেডগ্রেভ, ইংলিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী এবং গায়ক। ২০১১ - ওসামা বিন লাদেন, সন্ত্রাসবাদী গেরিলা যোদ্ধা এবং আল-কায়দা এর প্রতিষ্ঠাতা।
০২ মে, ২০২৪

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা
কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় সময়। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। ইতিহাসই আমাদের পথ দেখায় নতুন নতুন দিগন্তের। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনা ইতিহাসে ঠাঁই হয় না। আজ বুধবার , ১ মে ২০২৪। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি ৩০৫ – ডায়োক্লেটিয়ান ও ম্যাক্সিমিয়ান, রোমান সম্রাটের অফিস থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ৮৮০ – কন্সটান্টিনোপলে নিয়া একেলেসিয়া চার্চের উদ্বোধন হয়। এর ফলে পরবর্তীতে অর্থোডক্স চার্চগুলোতে ক্রস-ইন-স্কয়ার নির্মাণশৈলীর ব্যবহার শুরু হয়। ১৩২৮ – স্কটল্যান্ডীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হয়: এডিনব্র-নর্দাম্পটন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, এবং কিংডম অফ ইংল্যান্ড, কিংডম অফ স্কটল্যান্ডকে তার একটি স্বাধীন প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করে। ১৫৭৬ – প্রিন্স অফ ট্রান্সিলভানিয়া পদে অধিষ্ঠিত স্টেফান ব্যাট্রয়, অ্যানা জ্যাগিয়েলনকে বিয়ে করেন, এবং তারা দুজন একই সাথে পোলিশ-লিথুনিয়ান কমনওয়েলথের শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। ১৫৭৮ - ইংল্যান্ডের উইলিয়াম হার্ভে রক্ত সঞ্চালনু আবিষ্কার করেন। ১৭০৭ – অ্যাক্ট অফ ইউনিয়ন স্বাক্ষরিত হয়; এর ফলে কিংডম অফ ইংল্যান্ড ও কিংডম অফ স্কটল্যান্ড একত্রিত হয়ে কিংডম অফ গ্রেট ব্রিটেন গঠিত হয়। ১৭৪৮ - পম্পেই নগরীর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। ১৭৫১ – আমেরিকায় প্রথম ক্রিকেট খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৭৫৩ – কার্ল লিনিয়াস রচিত স্পেসিস প্লান্টারাম প্রকাশিত হয়, এবং আইসিবিএন কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার শুরু হয়। ১৭৫৯ – জোসিয়াহ ওয়েজগুড গ্রেট ব্রিটেনে ওয়েজগুড তৈজসপত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানের সূচনা করেন। ১৭৭৬ – ব্যাভারিয়ায় অ্যাডাম ভেইসহপ্ট কর্তৃক ইলুমিনাতি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৭৭৮ – আমেরিকান বিপ্লব: পেনসিলভ্যানিয়ার হ্যাটবোরোতে ক্রুকড বিলেটের যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৮৫ – হাওয়াইয়ের রাজা প্রথম কামেহামেহা, কালানিকুপুলেকে পরাজিত করেন ও কিংডম অফ হাওয়াই প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৭৮৬ – অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে, মোৎসার্ট তার লে নজে দি ফিগারো অপেরার প্রথম পরিবেশনাটি পরিবেশন করেন। ১৮০১ - ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয়। ১৮৩৪ – যুক্তরাজ্য তার উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বাতিল করে। ১৮৪০ – যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পেছনে আঠাযুক্ত ডাকটিকিট চালু করে, যার নাম পেনি ব্ল্যাক। ১৮৪১ - লন্ডন লাইব্রেরি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। ১৮৪৬ – যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের নভুতে বসবাসরত সামান্য কিছু মর্মোন সে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। আগে তারা নভুকে মন্দির হিসেবে উৎসর্গ করেছিল। ১৮৫১ – রানি ভিক্টোরিয়া লন্ডনে গ্রেট এক্সিবিশনের উদ্বোধন করেন। ১৮৫২ – ফিলিপাইনে ফিলিপিনো পেসো মুদ্রা হিসেবে বাজারে আসে। ১৮৬৩ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ: চ্যান্সেলরসভিলের যুদ্ধ শুরু হয়। ১৮৬৫ – ব্রাজিল সাম্রাজ্য, আর্জেন্টিনা, এবং উরুগুয়ে ট্রিপল অ্যালায়েন্স চুক্তি স্বাক্ষর করে। ১৮৬৮ - সালের এই দিনে হ্যাম্পটন ইনস্টিটিউট খুলে দেওয়া হয়। ১৮৬৯ – প্যারিসে মিউজিক হল ফলিয়েস বার্গে চালু হয়। ১৮৭৫ – ১৮৭৩ সালে আগুনে পুড়ে যাবার পর পুনরায় আলেক্সান্দ্রা প্যালেস খুলে দেওয়া হয়। ১৮৭৫ - কলকাতার আলীপুর চিড়িয়াখানা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৮৮৪ – আট ঘণ্টা কর্মদিবস আদায়ের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারণা শুরু হয়। ১৮৮৪ – মোসেস ফ্লিটউড ওয়াকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার বেসবল খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ১৮৮৫ – ব্যবসার জন্য মূল শিকাগো বোর্ড অফ ট্রেড বিল্ডিং খুলে দেওয়া হয়। ১৮৮৬ – যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে-মার্কেটে পুলিশ বিক্ষোভরত শ্রমিকদের উপর গুলি চালালে ব্যাপক প্রাণহানি হয়। ১৮৯০ - খ্রিস্টাব্দের এই দিন থেকে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালন শুরু। ১৮৯১ - লন্ডন-প্যারিস টেলিফোন যোগাযোগ শুরু হয়। ১৮৯৩ – শিকাগোতে ওয়ার্ল্ড’স কলাম্বিয়ান এক্সপোজিশন শুরু হয়। ১৮৯৪ – কক্সে’স আর্মি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বড় ধরনের প্রতিবাদ মিছিল ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে পদার্পণ করে। ১৮৯৭ - স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯৮ – স্প্যানিশ-আমেরিকান গৃহযুদ্ধ: ম্যানিলা বে’র যুদ্ধ: প্রথম যুদ্ধে ইউনাইটেড স্টেটস নেভি প্রশান্ত মহাসাগরে স্পেনের নৌবহর ধ্বংস করে দেয়। ১৯০০ – ইউটা’র স্কোফিল্ডে স্কোফিল্ড খনি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়, এবং ২০০-এর বেশি মানুষ মারা যায়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পঞ্চম বৃহত্তম খনি দুর্ঘটনা। ১৯০১ – নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে প্যান-আমেরিকান এক্সপোজিশন শুরু হয়। ১৯১৩ - বিখ্যাত শিশু পত্রিকা সন্দেশ প্রকাশিত হয়। ১৯১৫ – আরএমএস লুসিটানিয়া নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে তার ২০২তম ও সর্বশেষ যাত্রা শুরু করে। ছয় দিন পর উত্তর আটলান্টিক পাড়ি দেবার সময় আয়ারল্যান্ডের উপকূলে টর্পেডোর আঘাতে জাহাজটি নিমজ্জিত হয়ে ১,১৯৮ জন মানুষ মারা যায়, যার মধ্যে ১২৮ ছিল মার্কিন। এর ফলে জার্মানির বিরুদ্ধে আমেরিকার ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে। ১৯২৫ – চীনে অল-চায়না ফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ট্রেড ইউনিয়ন, যার সদস্য সংখ্যা ১৩ কোটি ৪০ লাখ। ১৯২৭ – লন্ডন-প্যারিস বিমান যাত্রায় ইম্পেরিয়াল এয়ারওয়েজ সর্বপ্রথম কোনো বিমান যাত্রায় রান্না করা খাবার পরিবেশন করে। ১৯২৭ – আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার, দ্য ইউনিয়ন লেবাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৩০ – আনুষ্ঠানিকভাবে বামন গ্রহ প্লুটো’র নামকরণ করা হয়। ১৯৩১ – নিউইয়র্ক সিটিতে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং-এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ১৯৪০ – যুদ্ধের কারণে ১৯৪০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৪১ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: জার্মান বাহিনী লিবিয়ার টুব্রাকে বড় ধরনের হামলা চালায়। ১৯৪৫ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: একজন জার্মান সংবাদপাঠক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন যে, আডলফ হিটলার রাইখ চ্যান্সেলরি’র নিয়ন্ত্রণকর্তার ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন এবং জার্মানির জন্য তার শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত বোলহেশিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন। ১৯৪৫ – যুগোশ্লাভ সামরিক বাহিনী কর্তৃক ত্রিয়েস্ত দখলমুক্ত হয়। ১৯৪৬ – অস্ট্রেলীয় আদিবাসীদের ৩ বছর ব্যাপী পিলবারা ধর্মঘট শুরু হয়। ১৯৪৬ – প্যারিস পিস কনফারেন্স শেষ হয়, এবং সিদ্ধান্ত হয় যে, ইতালিকে ডোডিকানিজ দ্বীপপুঞ্জকে গ্রিসের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। ১৯৪৭ – ইতালির সিসিলিতে মে দিবস উদ্‌যাপনের সময় গুণ্ডা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা স্যালভাতোরে গিলিয়ানো কর্তৃক পোর্তেল্লা দেল্লা গিনেস্ত্রা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়; এতে ১১ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়। ১৯৪৮ – গণতান্ত্রিক কোরিয়া প্রজাতন্ত্র (উত্তর কোরিয়া) প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং দ্বিতীয় কিম-সাং নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৫০ – গুয়াম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমনওয়েলথের আওতাধীন হয়। ১৯৫৬ – জোনাস সল্ক আবিষ্কৃত পোলিও টীকা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৯৫৬ – জাপানী একজন ডাক্তার মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রের একটি রোগের ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেন যা মিনামাটা রোগের আনুষ্ঠানিক আবিষ্কার হিসেবে ধরা হয়। ১৯৬০ – পশ্চিম ভারতের নতুন দুটি প্রদেশ হিসেবে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের জন্ম হয়। ১৯৬০ – স্নায়ু যুদ্ধ: ইউ-২ ঘটনা – ফ্রান্সিস গ্যারি পাওয়ারস, লকহিড ইউ-২ মডেলের একটি গোয়েন্দা বিমানে করে সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর দিয়ে উড়ে যান, এবং সোভিয়েত বাহিনী সেটিকে গুলি করে নামায়। পরবর্তীতে এই ঘটনা একটি কূটনৈতিক জটিলতার সৃষ্টি করে। ১৯৬১ – কিউবার প্রধানমন্ত্রী ফিদেল কাস্ত্রো কিউবাকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন ও নির্বাচন বাতিল করেন। ১৯৬৫ – আরওসি ও পিআরসি’র মধ্যে ডোং-ইনের নৌযুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৭০ – ভিয়েতনামে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স শত্রুবাহিনীকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র কম্বোডিয়ার দিকে ঠেলে দিবে—মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনের এরকম ঘোষণার পর ওয়াশিংটনের সিয়াটলে বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৭১ – যুক্তরাষ্ট্রে রেলযাত্রীদের সেবা দিতে এমট্র্যাক প্রতিষ্ঠান চালু হয়। ১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কোস্টারিকা। ১৯৭৭ – শ্রমিক দিবস উদ্‌যাপনের সময় ইস্তানবুলের টাকসিম স্কয়ারে এক হামলায় ৩৬ জন মানুষ নিহত হন। ১৯৭৮ – জাপানের নাওমি উয়েমুরা কুকুর চালিত গাড়িতে করে সর্ব প্রথম মানুষ হিসেবে, সম্পূর্ণ এককভাবে উত্তর মেরুতে পৌঁছান। ১৯৭৮ - বাংলাদেশে জাগদল, যাদু মিয়ার ন্যাপ, কাজী জাফরের ইউপিপি, মুসলিম লীগ মিলে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করেন। ১৯৮২ – টেনেসির নক্সভিলে ১৯৮২ ওয়ার্ল্ড’স ফেয়ার শুরু হয়। ১৯৮২ – অপারেশন ব্ল্যাক বাক: ফকল্যান্ডস যুদ্ধের সময় রয়েল এয়ার ফোর্স, আর্জেন্টিনা এয়ার ফোর্সকে আক্রমণ করে। ১৯৮৩ – গ্রিক সুরকার মিকিস থিওডোরাকিস লেনিন শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৭ – পোপ দ্বিতীয় জন পল এডিথ স্টেইন নামক জন্মগতভাবে ইহুদি একজন নানকে স্বর্গবাসী হিসেবে ঘোষণা করেন। স্টেইনকে অশভিটজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়। ১৯৮৯ – ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডে ডিজনি-এমজিএম স্টুডিও চালু হয়। ১৯৯৪ – তৃতীয় বারের মতো ফর্মুলা ওয়ান জয়ী এয়ারটন সেনা, ইমোলাতে স্যান মারিনো গ্র্যান্ড প্রিক্সে দূর্ঘটনায় নিহত হন। ১৯৯৫ – ক্রোয়েশিয়া সেনাবাহিনী ক্রোয়শীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অপারেশন ফ্ল্যাশ শুরু করে। ১৯৯৫ - সার্কভুক্ত দেশগুলো সাপটা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯৭ - ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনে টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। ২০০১ – ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি গ্লোরিয়া মাকাপাগাল আরোইয়ো তার উত্তরসূরী জোসেফ এস্ত্রাদার শত শত সমর্থকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করেন। ২০০৩ – ২০০৩ ইরাক আক্রমণ: ‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’ বা ‘অভিযান সম্পন্ন’ নামক বক্তৃতা নামে পরিচিত, মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ. বুশ ইরাকে মার্কিন বাহিনীর মূল যুদ্ধ শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। ২০০৪ – সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, মাল্টা, পোল্যান্ড, এবং স্লোভাকিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করে, যা ডাবলিনে, আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতির বাসভবনে উদ্‌যাপন করা হয়। ২০০৬ – পুয়ের্টো রিকো সরকার অর্থের অভাবে শিক্ষা অধিদপ্তরসহ আরও ৪২টি সরকারী দপ্তর বন্ধ ঘোষণা করে। ২০০৯ – সুইডেনে সম-লৈঙ্গিক বিবাহ স্বীকৃতি পায়। ২০১০ – নিউ ইয়র্ক সিটির টাইম স্কয়ারে একটি গাড়ি বোমা হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। জন্ম ১২২০ - জাপানের সম্রাট গো-সাগা। ১৬৭২ - জোসেফ এডিসন, ইংরেজ সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ। ১৭৬৯ - আর্থার ওয়েলেসলি, আইরিশ বংশোদ্ভূত ইংরেজ ফিল্ড মার্শাল ও রাজনীতিবিদ। ১৮২৫ - জোহান জ্যাকব বামার, সুইস গণিতবিদ এবং পদার্থবিদ। ১৮৫২ - সান্তিয়াগো রামোন ই কাহাল, স্পেনীয় রোগবিজ্ঞানী, কলাস্থানবিদ, স্নায়ুবিদ এবং চিকিৎসাশাস্ত্রে ১৯০৬ সালে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। ১৮৮১ - পিয়ের তাঁয়ার দ্য শারদাঁ, ফরাসি দার্শনিক ও জীবাশ্মবিদ। ১৮৯৮ - মাহবুব-উল আলম, বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক, সৈনিক এবং ইতিহাসবিদ। ১৯০৯ - ইয়ানিস রিটস্‌, গ্রিক কবি ও নাট্যকার। ১৯১৩ - বলরাজ সাহনি, খ্যাতিমান ভারতীয় চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেতা। ১৯১৬ - গ্লেন ফোর্ড, কানাডিয়ান-আমেরিকান অভিনেতা এবং প্রযোজক। ১৯১৯ - মোহাম্মাদ করিম লামরানি, মরক্কোর ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও ৭ম প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার মান্না দে। ড্যান ওহার্লিহি, আইরিশ-আমেরিকান অভিনেতা। ১৯২৩ - জোসেফ হেলার, মার্কিন ঔপন্যাসিক। ১৯২৫ - সরদার ফজলুল করিম, বাংলাদেশের বিশিষ্ট দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার। ১৯২৯ - সনি রামাদিন, ত্রিনিদাদিয়ান ক্রিকেটার। ১৯৩২ - তবিবর রহমান সরদার, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। ১৯৪৬ - জন ওয়, হংকং পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। ১৯৫১ - গর্ডন গ্রীনিজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার। ১৯৫৪ - মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ১৯৫৭ - রিক ডার্লিং, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। ১৯৬৮ - অলিভার বিয়েরহফ, জার্মান ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৬৯ - ওয়েস অ্যান্ডারসন, মার্কিন পরিচালক ও লেখক। ১৯৭২ - জুলি বেঞ্জ, আমেরিকান অভিনেত্রী। ১৯৭৩ - অলিভার নেউভিলে, জার্মান ফুটবলার। ১৯৭৫ - নিনা হোসেন, ইংরেজ সাংবাদিক। ১৯৮১ - আলেকজান্ডার হ্লেব, বেলারুশীয় ফুটবল খেলোয়াড়। ১৯৮৬ - শাহরিয়ার নাফীস আহমেদ, সাবেক বাংলাদেশী ক্রিকেটার। ১৯৮৭ - লিওনার্দো বনুচি, ইতালিয়ান ফুটবল খেলোয়াড়। মৃত্যু ০৪০৮ - আরকাডিউস, বাইজান্টাইন সম্রাট। ৬৮০ - উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়া। ১১৮৫ - শেনজঙ, চীনের সম্রাট। ১২৩৫ - দিল্লির সুলতান শামসুদ্দিন আলতামাশ। ১৩০৮ - প্রথম আলবার্ট, জার্মানির রাজা। ১৭০০ - জন ড্রাইডেন, সপ্তদশ শতাব্দীর ইংরেজ লেখক, কবি ও নাট্যকার। ১৮৫৯ - ড. জন ওয়াকার, দেশলাইয়ের উদ্ভাবক। ১৮৭৩ - ডেভিড লিভিংস্টোন, স্কটস বংশোদ্ভূত ইংরেজ মিশনারি ও পর্যটক। ১৯০৮ - প্রফুল্ল চাকী, ভারতীয় বিপ্লবীর আত্মবলিদান করেন। ১৯৪৫ - জোসেফ গোয়েবলস, নাৎসি প্রচারমন্ত্রী। ১৯৭৩ - আসগের জর্ন, ডেনিশ চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর। ১৯৭৮ - অরাম খাচাটুরিয়ান, জর্জিয়ান বংশোদ্ভূত আর্মেনিয় সুরকার ও কন্ডাকটর। ১৯৮০ - শোভা, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৯৩ - পিয়ের‌ বেরেগোভোয়া, ফরাসি প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৩ - রানাসিংহে প্রেমাদাসা, শ্রীলংকান রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রেসিডেন্ট। ১৯৯৪ - তৃতীয় বারের মতো ফর্মুলা ওয়ান জয়ী এয়ারটন সেনা, ইমোলাতে স্যান মারিনো গ্র্যান্ড প্রিক্সে দূর্ঘটনায় নিহত হন। ১৯৯৮ - কিরণশঙ্কর সেনগুপ্ত, বিশিষ্ট বাঙালি কবি। ২০০০ - স্টিভ রিভস, আমেরিকান বডি বিল্ডার এবং অভিনেতা। ২০০০ - বিদ্যুৎ গাঙ্গুলী, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী। ২০১১ - হেনরি কুপার, ইংরেজ মুষ্টিযোদ্ধা। ২০১৫ - অমিতাভ চৌধুরী, বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। ২০১৮ - অশোক মিত্র প্রখ্যাত ভারতীয় অর্থনীতিবিদ বামপন্থী লেখক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ছুটি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস/মে দিবস: ভারত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য অনেক দেশে এই দিনটি শ্রমজীবী মানুষের সাথে সংহতির দিবস হিসেবে পালিত হয়।
০১ মে, ২০২৪

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা
কালের গহ্বরে হারিয়ে যায় সময়। আর এই সময়ে ঘটে চলে নানা ঘটনা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। ইতিহাসই আমাদের পথ দেখায় নতুন নতুন দিগন্তের। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণী। বিশ্বজুড়ে ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘটনা। তবে সব ঘটনা ইতিহাসে ঠাঁই হয় না। আজ সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি ১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ১৬৮২ - পিটার দ্য গ্রেইট মাত্র দশ বছর বয়সে রাশিয়ার সম্রাট পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৮২৭ - ফরাসি সম্রাট একাদশ চার্লস ফরাসি জাতীয় রক্ষীবাহিনীর বিলুপ্তি ঘোষণা করেন। ১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯৩৯ - দিল্লির লাল কেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ১৯৪৫ - ইতালিতে জার্মান বাহিনী মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে। ১৯৫৪ - তিব্বত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত হয়। ১৯৯১ - ঘূর্ণিঝড় BOB 01 বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০ কিমি/ঘণ্টা বেগে আঘাত করে। ১৯৯৭ - ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়। জন্ম ১৮৩৭ - জর্জ এর্নেস্ত বুলঁজে, ফরাসি জেনারেল ও রাজনীতিবিদ। ১৮৪৪ - সমাজসেবী ও দানশীল ব্যক্তিত্ব যদুলাল মল্লিক। ১৮৪৮ - রাজা রবি বর্মা, বিখ্যাত ভারতীয় চিত্রশিল্পী। ১৮৫৪ - অঁরি পোয়াঁকারে, ফরাসি গণিতবিদ, তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ও দার্শনিক। ১৮৬৫ - বিশ্বজনীন ত্রিভাষিক ইতালিয়ান-স্লোভেনিয়ান স্থপতি ম্যাক্স ফেভিয়ানি। ১৮৯৩ - বাঙালি লেখিকা ও ঔপন্যাসিক শান্তা দেবী (নাগ)। হ্যারল্ড ক্লেটন ইউরি, নোবেল বিজয়ী মার্কিন ভৌত রসায়নবিদ। ১৯০১ - হিরোহিতো, জাপানী সম্রাট। ১৯০৭ - ফ্রেড জিনেমান, অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণকারী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। ১৯০৯ - বিপ্লবী রবি নিয়োগী। ১৯১০ - ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত। ১৯১৭ - দিলীপকুমার রায়, ভারতীয় বাঙালি সংগীতবিশারদ। মায়া ডেরেন, ইউক্রেনিয়-বংশদ্ভূত মার্কিন পরিচালক, কবি এবং ফটোগ্রাফার। ১৯১৯ - ওস্তাদ আল্লারাখা, বিখ্যাত ভারতীয় তবলা বাদক। আতাউর রহমান, ছাত্র সংগঠনের সূচনাকারী, সাহিত্যিক ও সম্পাদক। ১৯৩৩ - উইলি নেলসন, আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, গিটারিস্ট, প্রযোজক এবং অভিনেতা। ১৯৩৬ - আলেহানদ্রা পিসারনিক, আর্জেন্টিনার কবি। ১৯৩৬ - জুবিন মেহতা, প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভারতীয় পরিচালক। ১৯৪০ - ব্রায়ান টাবের, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। ১৯৪৮ - আইনুন নিশাত, বাংলাদেশি ইমেরিটাস অধ্যাপক, এবং পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ। ১৯৪৯ - প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরী। ১৯৫৪ - জেরি সাইনফেল্ড, মার্কিন মঞ্চ-কৌতুকশিল্পী, অভিনেতা, লেখক, প্রযোজক এবং পরিচালক। ১৯৫৭ - ড্যানিয়েল ডে-লুইস, ব্রিটিশ-আইরিশ অভিনেতা। ১৯৬৬ - ফিল টাফনেল, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। ১৯৭০ - আন্দ্রে আগাসি, আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড়। ১৯৭৭ - টাইটাস ও'নিল, মার্কিন পেশাদার কুস্তিগির এবং অবসরপ্রাপ্ত আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড়। মৃত্যু ১৯২১ - আর্থার মোল্ড, ইংরেজ ক্রিকেটার। ১৯৪৫ - মুসোলিনী। ১৯৫১ - লুডভিগ ভিটগেনস্টাইন, অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত ইংরেজি দার্শনিক এবং শিক্ষাবিদ। ১৯৮০ - স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচকক, ইংরেজ চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক। ১৯৯২ - গোলাম ফারুক খান, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। ১৯৯৬ - আবেদ হোসেন খান, একজন বাংলাদেশি উচ্চাঙ্গ সংগীতশিল্পী, সেতার বাদক ও সুরকার। ২০০৫ - লিওনিদ খাচিয়ান, আর্মেনীয়-বংশোদ্ভূত রুশ গণিতবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী। ২০০৬ - জন কেনেথ গলব্রেইথ, মার্কিন অর্থনীতিবিদ। ২০০৭ - ডিক মোৎজ, ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ২০১৪ - বব হস্কিন্স, ইংরেজ অভিনেতা। ২০২০ - ইরফান খান, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। ছুটি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। 
২৯ এপ্রিল, ২০২৪
X