তুরস্কে চিকিৎসা নিচ্ছে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি যোদ্ধা: এরদোয়ান
তুরস্কের বিভিন্ন হাসপাতালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক হাজারের বেশি যোদ্ধা চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এ সময় তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের কর্মকাণ্ডকে একটি ‘প্রতিরোধ আন্দোলন’ হিসেবে অভিহিত করেন।  গতকাল সোমবার, (১৩ মে) গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কায়রিয়াকোস মিতসোতাকিসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন এরদোয়ান। ওই সময় এরদোয়ান আরও বলেন, গ্রিস হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে—যা তাকে পীড়া দেয়।  তবে পরবর্তীতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক তুর্কি কর্মকর্তা জানান, তুরস্কে মূলত ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদেরকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান হামাসের যোদ্ধা হিসেবে ভুল ভেবেছেন।  এই কর্মকর্তা বলেন, “প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ভুল বলেছেন। তিনি বুঝিয়েছেন গাজার ১ হাজার মানুষ আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন, হামাসের সদস্য নয়।” এরদোয়ানের পাশে দাঁড়ানো গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গাজার যুদ্ধের সব বিষয়ের সঙ্গে গ্রিস ও তুরস্ক একমত হতে পারবে না। তবে গাজায় একটি দীর্ঘকালীন যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন এ বিষয়ে গ্রিস একমত। তুরস্ক ও গ্রিস উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। তবে একই জোটের সদস্য হলেও দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই উত্তেজনা তৈরি হয়। এসব উত্তেজনা নিরসনের জন্য আলোচনা করতে তুরস্কে গেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী।  আলোচনা শেষে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছেন, তুরস্ক এবং গ্রিসের মধ্যে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো ‘সমাধান অযোগ্য সমস্যা’ নয়।  
১৫ ঘণ্টা আগে

নিজের উদ্ভাবিত চিকিৎসায় ক্যানসার থেকে বেঁচে ফিরলেন চিকিৎসক
নিজের উদ্ভাবিত নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্যানসারমুক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক চিকিৎসক। তিনি মস্তিষ্কের জটিল ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন, যাতে রোগীরা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে মারা যান। তবে নিজের উদ্ভাবিত নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করে ওই চিকিৎসক এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্যানসারমুক্ত আছেন।    রিচার্ড স্কোলিয়ার নামের ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, চিকিৎসার এক বছর পরও মরণঘাতী রোগটি নতুন করে তার শরীর আক্রান্ত করতে পারেনি। খবর বিবিসির।  অধ্যাপক স্কোলিয়ার গ্লায়োব্লাস্টোমার নামে ক্যানসারের একটি জটিল ধরনে আক্রান্ত হয়েছিলেন যা খুব মারাত্মক। পরে তার নিজেরই গবেষণার ভিত্তিতে উদ্ভাবন করা একটি পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে তার শরীরে প্রয়োগ করা হয়।  গত বছর পোল্যান্ডে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিচার্ড স্কোলায়ার। এরপর জানা যায় তিনি গ্রেড-৪ ক্যানসারে আক্রান্ত। এই ক্যানসারটি গ্লিওব্লাসতোমা নামে পরিচিত। এটি এতটাই মারাত্মক, যে ব্যক্তি এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন তিনি খুব বেশি হলে এক বছর বা ১২ মাস বাঁচতে পারেন। ৫৭ বছর বয়সী এই চিকিৎসক মেলানোমা নিয়ে গবেষণা করেন। এটি এমন ক্যানসার যেটি শরীরের চামড়ার মাধ্যমে শুরু হয়। এ নিয়ে গবেষণা করে ক্যানসার চিকিৎসার একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তিনি। গতকাল সোমবার (১৩ মে) রিচার্ড স্কোলায়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানান, সর্বশেষ এমআরআইয়ে দেখা গেছে, ক্যানসার তার ব্রেনে ফিরে আসেনি। তিনি বলেছেন, ‘আমি খুবই খুশি।’ প্রফেসর স্কোলায়ার এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন তার সহকর্মী প্রফেসর জর্জিনা লংয়ের সঙ্গে। তারা দুজনই অস্ট্রেলিয়ার মেলানোমা ইনস্টিটিউটের সহপরিচালক হিসেব কাজ করছেন। তারা ইমিউনথেরাপির ওপর ভিত্তি করে উদ্ধাবিত পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। এরমাধ্যমে শরীরের ইমিউনকে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) ক্যানসারের কোষকে হামলা করার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয়। মেলানোমার ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে অস্ত্রোপচারের আগে ক্যানসারের কোষে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করলে ইমিউনথেরাপি ভালো কাজ করে। প্রফেসর স্কোলায়ার বিশ্বের একমাত্র ব্রেন ক্যানসার আক্রান্ত হিসেবে অস্ত্রোপচারের আগে ইমিউনথেরাপির চিকিৎসা নিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী প্রায় তিন লাখ মানুষ গ্লিওব্লাসতোমাতে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হয়। প্রফেসর স্কোলায়ারের এই পদ্ধতির মাধ্যমে তার আয়ু বাড়বে সঙ্গে চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  
১৮ ঘণ্টা আগে

আ.লীগ চিকিৎসা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে : নানক
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর চিকিৎসা ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চিকিৎসকরা মানুষের ব্রত হয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। সোমবার (১৩ মে) রাজধানীর অ্যালায়েন্স হাসপাতাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আজকাল গ্রামের মানুষটিও চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হয় না। উপজেলা পর্যায়ে তার সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলো মানুষের চিকিৎসা হিসেবে এগিয়ে এসেছে। সমাজের গরীব-দুঃখী মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছে। এখন আর কেউ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না।  অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় সকল চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি হাসপাতালে পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা সেই দায়িত্ব পালন করবেন।   হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। অনুষ্ঠানে হাসপাতালের ডাক্তার কর্মকর্তা কর্মচারী স্থানীয় কাউন্সিলরসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সচিবালয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, পোশাকশিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সব থেকে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দারিদ্র্যবিমোচনেও এ খাত মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এখাতে প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি বলেন, পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। এই শিল্পের কল্যাণে নারীর ক্ষমতায়ন ফিরে এসেছে। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্যান্য জায়গা থেকেও এরকম অভিযোগ এসেছে। এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। আমরা আলোচনার মাধ্যমে পোশাক খাতের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেছি। আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব।  মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এ নীতি নমনীয় করার চেষ্টা করব। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে। এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান এবং বিজিএমইএ-এর নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)-র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে সহসভাপতি এবং পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।   
১৩ মে, ২০২৪

বাংলাদেশিদের স্বল্প খরচে চিকিৎসা দেবে ভারতের মণিপাল হাসপাতাল
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল মণিপাল হাসপাতালের সঙ্গে একীভূত হয়েছে কলকাতা ও ভূবনেশ্বরে আমরি হাসপাতালের তিনটি ইউনিটসহ মোট ৫টি হাসপাতাল।  আগামী ১৫ মে থেকে মণিপাল হাসপাতালের অধীনে হাসপাতালগুলো পরিচালিত হবে। একীভূত হওয়া হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশি রোগীদের স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। সেই সেবার মানের শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  শনিবার (১১ মে) নগরীর হোটেল আগ্রাবাদে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে  চট্টগ্রামের সেবাপ্রার্থীদের জন্য মণিপাল হাসপাতালের পক্ষ থেকে একীভূত হওয়ার বিষয়সহ এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে মণিপাল হাসপাতাল গ্রুপের চিফ ম্যানেজার (ইন্টারন্যাশনাল হেলথ কেয়ার এন্ড সার্ভিসেস) রাম গোপাল বর্ধন বলেন, আগামী ১৪ মে কোলকাতায় একীভূত হওয়া হাসপাতালগুলোতে মণিপাল হসপিটালস কার্যক্রম শুরু করবে। এতে করে বাংলাদেশ থেকে যারা চিকিৎসার জন্য যান, তাদের আর দীর্ঘ যাত্রা করে ব্যাঙ্গালোর বা দিল্লি যেতে হবে না। আমরা চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি একাডেমিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামও পরিচালনা করি। বাংলাদেশের চিকিৎসকরাও এর আওতায় অবজারভেটরি ট্রেনিং নিয়েছেন। ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে মণিপাল হাসপাতাল অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সারা ভারতে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। মণিপাল হাসপাতালের কলকাতা ইউনিটের ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ নির্ঝর ঘোষ বলেন, প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় আড়াই হাজার রোগী আমরি হাসপাতালে সেবা নিতে যায়। তারা যাতে সহজে সেবা পান এবং তুলনামূলক কম খরচে চিকিৎসা করাতে পারেন, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। সংবাদ সম্মেলনে মণিপাল হাসপাতালের যশবন্তপুর ইউনিটের ডেপুটি ম্যানেজার কৃষ্ণ গোপাল বর্ধন, দিল্লী ইউনিটের ম্যানেজার আশীষ ধাওয়ান, মণিপাল হসপিটালস'ও ইন্টারন্যাশনাল হেলথ কেয়ার অ্যান্ড সার্ভিসেস বাংলাদেশ কনসালটেন্ট খালিদ হাসান এবং এশিয়ান টুরিজম ইন্টারন্যাশনালের সিইও মারুফ আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১২ মে, ২০২৪

থাইরয়েডের রোগ লক্ষণ ও চিকিৎসা
মানবশরীরের অপরিহার্য অনুষঙ্গ থাইরয়েড হরমোন। এটি কমবেশি হলে সমস্যা দেখা দেয়। নির্দিষ্ট মাত্রায় থাইরয়েড হরমোন থাকা জরুরি। শরীরের বিভিন্ন কোষে শর্করা, আমিষ ও স্নেহ জাতীয় খাবারের বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করাই থাইরয়েড হরমোনের মূল কাজ। এটি শরীরের বৃদ্ধি, স্নায়ুর গঠন, যৌনক্ষমতা, প্রজনন ইত্যাদিও নিয়ন্ত্রণ করে। বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণও থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয় থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে। এই গ্রন্থি গলার সামনের উঁচু হাড়ের পেছনের দিকে ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালিকে পেঁচিয়ে থাকে। থাইরয়েডের হরমোনজনিত সমস্যা চার ধরনের: হরমোনের কার্যকারিতাজনিত সমস্যা, থাইরয়েডের গঠনগত সমস্যা (যেমন গলগণ্ড), থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ ও গ্রন্থির ক্যান্সার। হরমোনের কার্যকারিতাবিষয়ক সমস্যা দুই রকম হয়—হাইপোথাইরয়েডিজম ও হাইপারথাইরয়েডিজম। হাইপোথাইরয়েডিজম: এ রোগে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি ভোগে। কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েডিজম বা জন্মগত থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতির কারণে এটি হয়। আবার থাইরয়েড হরমোনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সক্রিয় হলেও এটি হয়। কারও কারও অপারেশনের কারণে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড বাদ দিতে হলে বা অন্য কারণেও থাইরয়েড নষ্ট হয়ে গেলে এটি হতে পারে। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি যথেষ্ট টিএসএইচ নিঃসরণ না করলেও এ সময় দেখা দেয় এবং গর্ভাবস্থায় মায়ের থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকলে, রক্তে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে এটি হতে পারে। এর লক্ষণ হলো অবসাদ ও অলস ভাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, পায়ে পানি আসা, ক্ষুধামান্দ্য, চুল পড়া, ত্বক খসখসে হওয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তচাপ বৃদ্ধি, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত, শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা, শরীরে শীত শীত ভাব এবং অনিয়মিত পিরিয়ড ইত্যাদি। হাইপারথাইরয়েডিজম: রক্তে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে হাইপারথাইরয়েডিজম হয়। এর প্রধান কারণ গ্রেভস ডিজিজ, যাতে অ্যান্টিবডি অতিরিক্ত মাত্রায় থাইরয়েডকে উত্তেজিত করলে হাইপারথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দেয়। অন্যান্য কারণের মধ্যে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের প্রদাহ, ওষুধের প্রতিক্রিয়া, টিউমার ইত্যাদি। এর লক্ষণগুলো হলো, ক্ষুধা বেড়ে গেলে ওজন কমা, শরীরে গরম অনুভব, বুক ধড়ফড় করা, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, ত্বক কালো হওয়া, রক্তচাপ বাড়া, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, পিরিয়ডের সমস্যা ও বন্ধ্যাত্ব। পরীক্ষা ও চিকিৎসা: থাইরয়েড গ্রন্থি ও হরমোনের রোগ নির্ণয়ে যে পরীক্ষাগুলো করা হয়: রক্তে হরমোনের মাত্রা, এফএনএসি, আলট্রাসনোগ্রাম ও রেডিও-অ্যাকটিভ আয়োডিন আপটেক ও স্ক্যানটেস্ট। হাইপো বা হাইপার দুই ক্ষেত্রেই ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে হাইপারথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে ওষুধে কাজ না করলে সার্জারি বা রেডিও-অ্যাকটিভ আয়োডিনথেরাপি দেওয়া হয়। থাইরয়েড গ্রন্থির গঠনগত সমস্যা: থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে গেলে তাকে থাইরয়েড নডিউল বলে। অনেক সময় হরমোন নরমাল থেকেও থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে। সাধারণত আয়োডিনের অভাবে গলাফোলা রোগ হয়ে থাকে। যাকে সাধারণ ভাষায় বলে ঘ্যাগ বা গলগণ্ড রোগ। আয়োডিনের অভাব: বেশিরভাগ স্কুলগামী শিশু ও অন্তসঃত্ত্বার আয়োডিনের অভাব রয়ে গেছে। এ আয়োডিন শরীরে অতি প্রয়োজনীয় থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুঃখের বিষয়, সারা পৃথিবীতে এখনো ২০০ কোটি মানুষ আয়োডিনের অভাবে ভুগছে। জিনগত কারণেও থাইরয়েড নডিউল হতে পারে। আবার থাইরয়েড নডিউল বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সার) দুই রকমই হতে পারে। চিকিৎসা: সময়মতো রোগ নির্ণয় করা গেলে এ ক্যান্সার নিরাময় করা যায়। বিনাইন নডিউলের চিকিৎসা রোগ অনুযায়ী ওষুধ দ্বারা অথবা নডিউল থেকে পানি বের করে অথবা রেডিও-অ্যাকটিভ আয়োডিন সেবনের মাধ্যমে করা হয়। ক্যান্সার হলে অপারেশন ও ওষুধ দিয়েও চিকিৎসা করা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে রেডিও-অ্যাকটিভ আয়োডিন সেবনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
১২ মে, ২০২৪

৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার পর জানা গেল তিনি ডাক্তারই নন
নেত্রকোনার মদনে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে জনতা। বেশ কয়েক দিন ধরে মদন পৌর শহরের স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেডিসিন, মা ও শিশু, যৌন ও চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন তিনি। ডা. সাধন কুমার মন্ডল পরিচয়ধারী এ ব্যক্তির প্রকৃত নাম শংকর দাস (২৮)। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা সুমেশ দাসের ছেলে। বিএমডিসি রেজি. নম্বর ব্যবহার করে ৫০০ টাকা ভিজিট নিতেন তিনি। দুই মাস ধরে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি। মূলত তিনি একজন প্রতারক ও ভুয়া চিকিৎসক এমন একটি সংবাদ স্থানীয় লোকজনের কানে আসে। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্থানীয়রা তার খোঁজ করলে, তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।  এ সময় এলাকার লোকজন তাকে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে নিয়ে গেলে মো. শাহ আলম মিয়া ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. তায়েব হোসেন তার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, সে একজন ভুয়া চিকিৎসক। চট্টগ্রামের একজন ডাক্তারের নাম ও রেজি. নম্বর ব‍্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন তিনি। তার আসল নাম শংকর দাস। তার পিতার নাম সুমেশ দাস। তার কাছে ভিন্ন নামের তিনটি আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। আমরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। পরে শংকর দাস সাংবাদিকদের জানান, আমি কোনো ডাক্তার না। আমি অর্থ উপার্জনের উদ্দেশে এমন প্রতারণা করেছি। আমি দেড় মাস যাবৎ স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকগণের সহযোগিতায় ডাক্তার সেজে রোগী দেখছি।  স্বদেশ ডায়াগানস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষের খাইয়ুম জানান, সে আমাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে। ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া কি সঠিক হয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি নীরবতা অবলম্বন করেন। মদন থানার ওসি উজ্জল কান্তি সরকার কালবেলাকে জানান, শংকর দাস নামে একজন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে ইউএনও সাহেব সন্ধ্যায় মদন থানায় সোপর্দ করেছেন। আমি প্রকৃত ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি চট্টগ্রাম হতে রওনা দিয়েছেন। তিনি আসার পর আটককৃত ভুয়া ডাক্তার শংকর দাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ মে, ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনায় জরুরি চিকিৎসা
প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত হচ্ছেন অনেকে। আহতদের বেশিরভাগেরই প্রাথমিক জরুরি চিকিৎসা দেওয়া যায় না। তবে কিছু বিষয় জানা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচানোও সম্ভব। নিজেকে পরীক্ষা করুন নিজে দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর যদি জ্ঞান থাকে তবে আতঙ্কিত না হয়ে আগে দ্রুত সব পরীক্ষা করুন। হাত-পা ঠিকমতো নাড়াতে পারছেন কি না, সেটাও দেখুন। মাথাঘোরা, বমির মতো উপসর্গ অনুভব করলে দ্রুত সাহায্যের আহ্বান জানান ও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে বলুন। অন্যদের ক্ষেত্রে কেউ দুর্ঘটনায় পড়ার পর তার মাথা, ঘাড়, হাত-পা, পেট ইত্যাদি চেক করুন। লোকটি সঠিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন কি না দেখুন। তাকে তার নাম জিজ্ঞেস করুন, সাহস দিন। যদি ঠিকঠাক সাড়া দিতে পারেন তবে বুঝতে হবে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পাননি এবং পরিস্থিতি বুঝতে সক্ষম। সাহায্যের জন্য ডাকুন প্রয়োজন মনে হলে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন বা চলমান কোনো গাড়ি থামিয়ে ওই ব্যক্তিকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। রোগীর অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসককে সঠিক তথ্য দিন। মুখ ও গলার বাধা পরীক্ষা কেউ আহত হয়ে কাতরাতে থাকলে আগে দেখুন তিনি শ্বাস নিতে পারছেন কি না। নড়াচড়া না করে থাকলে নাড়ি পরীক্ষা করুন। শ্বাসের শব্দ শোনা না গেলে গলার ভেতর কোনো বাধা আছে কি না, তা দেখতে মুখ পরীক্ষা করুন। শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিরোধে কিছু থাকলে মধ্যম আঙুল ঢুকিয়ে তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সংকোচ করবেন না। যদি নাড়ির স্পন্দন না থাকে তাহলে সিপিআর (কার্ডিও ফুসফুসের পুনর্বাসন) বা এয়ার (বাহ্যিক এয়ার রিসাসক্যাটিকেশন) শুরু করুন। এর জন্য আহত ব্যক্তির ঘাড় সোজা রাখুন। যদি বমি হয় বা মুখ দিয়ে রক্ত বের হয় তবে আহতকে পাশ করে শোয়ান। এতে তার হিক্কা থামবে। এরপর একটি হাত ব্যক্তির পিঠের নিচে এবং অন্য হাত বুকের ওপর সামান্য চেপে ধরুন, বাহু সোজা বুক বরাবর রাখুন। যদি বেশি ক্ষত থাকে, তবে কাপড় দিয়ে স্থানটি শক্তভাবে বেঁধে রক্তপাত বন্ধ করার চেষ্টা করুন। ফ্র্যাকচার হয়েছে বা হাড় ভেঙে গেছে মনে হলে, সতর্কভাবে কাঠের বা শক্ত সমান বস্তু ভাঙা অংশের দুই পাশে দুটি এবং নিচে একটি অংশ রেখে টাইট করে ব্যান্ডেজ দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। মেরুদণ্ড যদি ব্যক্তির ঘাড় অসুবিধাজনক বা অস্বাভাবিক অবস্থায় থাকে বা ব্যক্তি অজ্ঞান হয়, তাহলে তাকে নাড়াবেন না। হতে পারে যে ঘাড় ভেঙে গেছে। তখন দ্রুত হাসপাতালেই নিতে হবে। দাঁত যদি ব্যক্তির দাঁত ভেঙে যায়, তবে দাঁতের ক্রাউন বা সাদা অংশটি ধরে পড়ে যাওয়া দাঁতটি খুঁজে বের করুন, তবে দাঁতের শিকড়ের গায়ে হাত দেবেন না। দাঁতে ময়লা লেগে গেলে তা ধোয়ার জন্য একটি বাটিতে নরমাল স্যালাইন অথবা দুধ নিয়ে তাতে দাঁতটি রাখুন। এরপর দাঁতের ক্রাউন অংশটি ধরে মুখের মধ্যে চোয়ালের জায়গামতো অর্থাৎ আগে যেখানে ছিল সেখানে বসিয়ে দিন। এরপর কামড় দিয়ে আলতো চাপে তা ধরে রাখতে বলুন। এক ঘণ্টার মধ্যেই যদি চিকিৎসকের সহায়তায় দাঁতটি তার আগের জায়গায় বসিয়ে দেওয়া যায়, তবে তা লেগে যায়। উষ্ণ রাখুন দুর্ঘটনায় আহতরা শকের কারণে ভয় পেতে পারে। হতাশও হয়ে পড়ে। সুতরাং বেঁচে থাকার জন্য তাদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করুন। এজন্য শার্ট, টি-শার্ট, জ্যাকেট ইত্যাদি তার গায়ে চাপান। খাওয়া বন্ধ এ অবস্থায় আহতকে কোনো খাদ্য বা তরল দেবেন না। এতে রোগীর ঢেকুর উঠে বিপদ বাড়তে পারে। রক্তক্ষরণ হতে থাকলে আঘাতের অংশটি ওপরে তুলে ধরে হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত রুমাল, গামছা জাতীয় বস্তু দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে।
০৫ মে, ২০২৪

নিজের চিকিৎসা নিজেই করল ওরাং-ওটাং
রাকুস নামে ওরাং-ওটাং প্রজাতির একটি প্রাণীর গালে ক্ষত হয়েছিল। সেই ক্ষত স্থানে ‘আকর কুনিং’ নামে একটি গাছ চিবিয়ে পেস্ট লাগায় সে। তাতেই ক্ষতটি মাসখানেকের মধ্যে পুরোপুরি সেরে ওঠে। ঘটনাটি ক্যামেরায় ধারণও করা হয়। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে এমন ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো উদ্ভিদ ব্যবহার করে বন্যপ্রাণীর নিজেকে সারিয়ে তোলার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের জীববিজ্ঞানী ও এ গবেষণা দলের প্রধান ড. ইসাবেল্লা লমার বলেছেন, ‘ওরাং-ওটাংয়ের সঙ্গে যে আমাদের মিল রয়েছে সেটি আবারও নির্দেশ করেছে এ বিষয়টি। আমাদের মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে বেশি মিল রয়েছে।’ ২০২২ সালের জুনে ইন্দোনেশিয়ার গুনং লিউসার ন্যাশনাল পার্কে ওরাং-ওটাংটির গালে একটি বড় ক্ষত দেখতে পান একদল গবেষক। তাদের ধারণা, অন্য একটি পুরুষ ওরাং-ওটাংয়ের সঙ্গে সে মারামারিতে জড়িয়েছিল। কারণ এ ওরাং-ওটাংয়ের গালে ক্ষতচিহ্ন দেখার কয়েকদিন আগে তারা এটির চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন। এরপর গবেষকরা দেখতে পান, রাকুস নামে এ ওরাং-ওটাংটি ‘আকর কুনিং’ নামে একটি প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়ারোধী উদ্ভিদ চিবুচ্ছে। এ ঔষধি গাছটি স্থানীয়ভাবে ম্যালেরিয়া ও ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। প্রাণিটি ওই উদ্ভিদের রস সাত মিনিট ধরে বেশ কয়েকবার প্রয়োগ করে। এরপর চাবানো পেস্ট সে পুরো ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেয়। পরে গবেষকরা লক্ষ করেন, ক্ষতটিতে কোনো সংক্রমণ হয়নি এবং পাঁচ দিনের মাথায় এটি প্রায় সেরে গেছে। এক মাসের মধ্যে ক্ষতটি পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যায়। গবেষকরা বলেছেন, প্রাণিটি জেনেবুঝেই এ কাজ করেছে। কারণ এ গোত্রের প্রাণিরা এ উদ্ভিদ খায় না। রাকুস কীভাবে গাছটিকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের প্রক্রিয়া জানল, সেটির দুটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলেন, হয়তো ওই ঔষধি গাছটি ধরার পর ওরাং-ওটাংটি তার গালে হাত দেয় এবং বুঝতে পারে যে, এটি তার যন্ত্রণা কমিয়ে দিয়েছে। এরপর সে উদ্ভিদটি একাধিকবার প্রয়োগ করে। অথবা সে অন্য কোনো ওরাং-ওটাংকে ওষুধ হিসেবে এ উদ্ভিদটি ব্যবহার করতে দেখেছে। রাকুসের মতো অন্য ওরাং-ওটাংও এই একই পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজেদের ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে কি না সেটি এখন নজরে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। জীববিজ্ঞানী লমার বলেন, আমি মনে করি আগামী কয়েক বছরে আমরা এ প্রাণিদের আচরণ সম্পর্কে আরও বেশি করে জানতে পারব।
০৪ মে, ২০২৪

বিএমডিসি ছাড়া ভুল চিকিৎসা দাবির অধিকার কারও নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ছাড়া ভুল চিকিৎসা নির্ণয় ও দাবি করার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসা অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয় এটা খুবই নেক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। বুধবার (০১ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সার্জন সোসাইটির ১২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন। চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন পাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাশ করাবো। আমাদের দ্বায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দ্বায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না। আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো। এর আগে গতকালও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ডা. সামন্ত লাল একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নাই৷ এটা আমি-আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে, সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি।
০১ মে, ২০২৪
X