বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর চিকিৎসা ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চিকিৎসকরা মানুষের ব্রত হয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন।
সোমবার (১৩ মে) রাজধানীর অ্যালায়েন্স হাসপাতাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,
আজকাল গ্রামের মানুষটিও চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হয় না। উপজেলা পর্যায়ে তার সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলো মানুষের চিকিৎসা হিসেবে এগিয়ে এসেছে। সমাজের গরীব-দুঃখী মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছে। এখন আর কেউ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় সকল চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি হাসপাতালে পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা সেই দায়িত্ব পালন করবেন।
হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। অনুষ্ঠানে হাসপাতালের ডাক্তার কর্মকর্তা কর্মচারী স্থানীয় কাউন্সিলরসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সচিবালয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, পোশাকশিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সব থেকে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দারিদ্র্যবিমোচনেও এ খাত মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এখাতে প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
তিনি বলেন,
পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। এই শিল্পের কল্যাণে নারীর ক্ষমতায়ন ফিরে এসেছে। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্যান্য জায়গা থেকেও এরকম অভিযোগ এসেছে। এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। আমরা আলোচনার মাধ্যমে পোশাক খাতের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেছি। আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব।
মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এ নীতি নমনীয় করার চেষ্টা করব। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে।
এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান এবং বিজিএমইএ-এর নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)-র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে সহসভাপতি এবং পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন