গরু চোরাচালানে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি
পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত অবৈধ পথে প্রবেশ করছে গরু। রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীরা এসব গরু চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে উভিযোগ উঠেছে। আর পাহাড়ে অবস্থান করা ডাকাত দলের পাহারায় এসব গরু সীমান্ত পার করিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় গন্তব্যে। এতে মিলছে কাড়ি কাড়ি নগদ টাকা। ফলে চোরাচালানে যোগ দিচ্ছেন শ্রমজীবী, বেকারসহ অপরাধীরা। এসব টাকার ভাগ যাচ্ছে শৃংখলা বাহিনীর হাতেও। গরু চোরাচালানের টাকার ভাগকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ডাকাত দলের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে বাবা ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় পৃথক মামলা হলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। এতে একদিকে যেমন অপরাধ বাড়ছে, তেমনি সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে গরু চোরাচালান বন্ধের পাশাপাশি ডাকাত দলের সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। নিহতরা হলেন- স্থানীয় বাসিন্দা আবু তালেব, জাফর আলম এবং তার ছেলে সেলিম। তথ্য মতে, মিয়ানমারের ওপার থেকে প্রতিদিন কয়েকশ গরু অবৈধভাবে বাংলাদেশে সরবরাহ করছে চোরাকারবারি দলের সদস্যরা। বান্দবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলা, লেবুছড়ি, চাকঢালাসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আনা এসব গরু বুঝে দেওয়া হয় গর্জনিয়া পাহাড়ের শীর্ষ ডাকাত ও ডজন মামলার পলাতক আসামি শাহীন গ্রুপকে। শাহীনের নিজস্ব বাহিনী দিয়ে এসব গরু ফুলতলা, লেবুছড়ি হয়ে ব্যঙডেবা, থোয়াইঙ্গাকাটা, মাঝিরকাটা এবং বড়বিল হয়ে বাইশারি সীমান্ত কিংবা জোয়ারিয়ানালা পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। আবার বাইশারী সীমান্ত দিয়ে কালিরছড়া, ঈদগাঁও পর্যন্ত পৌঁছে দিতে থোয়াইঙ্গাকাটা এলাকার শীর্ষ ডাকাত শাহীন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আবছার ডাকাত এবং ঈদগড়ের রুস্তম আলী ডাকাত ওরফে রুস্তম মেম্বার। পরে এসব গরু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিটি গরুর পেছনে ৮-১০ হাজার টাকা পায় ডাকাত দল। যেখানে দিনমজুর থেকে শুরু করে শৃংখলা বাহিনীর সদস্য এবং অন্য স্তরের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এসব গরু চোরাচালানের সঙ্গে ঢাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তাদের সঙ্গে জেলা থেকে নাম উঠে এসেছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন ও তার ভাই আব্দু শুক্কুরের।  প্রথম দিকে সাদ্দামের হয়ে মাঠে কাজ করতেন ছাত্রলীগ নেতা ইমাদ সিকদার, শাকিল আদনান, তারেক উদ্দিন মিশুক। এখন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন সোহেল সিকদার, শাহজাহান সিরাজ শাকিল ওরফে শাকিল মেম্বার এবং ডাকাত সর্দার শাহীন। ব্যবসায়ী হিসেবে আরও যাদের নাম সামনে এসেছে তারা হলেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জসিম উদ্দিন, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল মেম্বার, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দিন, নাইক্ষ্যংছড়ি রূপনগর এলাকার বাসিন্দা ও যুবদল নেতা আনোয়ার ইসলাম রাশেল, গর্জনিয়া বাজার সমিতির সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন আরফাত রিশাদ, মাদকের বিভিন্ন মামলার আসামি জহির উদ্দিন, মো. আলী ওরফে মাতালি, নজরুল ইসলাম (তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাও রয়েছে)। অনুসন্ধানে আরও ওঠে আসে, সীমান্ত পারের পর পাহাড়ি যেসব পথ দিয়ে গরু পাচার করা হয় সেখানে রাত জেগে পাহারা বসিয়েছে পুলিশ। থোয়াইঙ্গাকাটা এলাকায় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি তিতারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন এবং বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া সপ্তাহে যে দুইদিন গর্জনিয়া বাজার বসে সেদিন এসব সোর্সদের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করেন জামায়াত নেতা বেলাল সিকদার। পুলিশের হয়ে টাকা উত্তোলন করেন সোহেল নামে আরেক যুবক। তার সঙ্গে থাকেন পুলিশ সদস্য আজমির। গেল রমজানে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে শাহীন বাহিনীর প্রধান শাহীনের সঙ্গে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আবছারের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপর আলাদা বাহিনী গড়ে তোলে আবছার। পরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২৮ রমজান থোয়াইঙ্গাকাটা এলাকায় দুই গ্রুপের মাঝে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আবছার বাহিনীর সদস্য আবু তালেব নিহত হন। এ ঘটনার পর আবছার ঈদগড় ও আশপাশের চিহ্নিত ডাকাতদের একত্র করে বাড়ান নিজের বাহিনীর আকার। এরপরই শাহিনী বাহিনীর ওপর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আবছার গ্রুপ। এরই জেরে ২১ এপ্রিল রাতে থোয়াইঙ্গাকাটা এলাকায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে শাহীনের বিশ্বস্ত শ্রমিক হিসেবে পরিচিত সেলিমকে কুপিয়ে হত্যা করে আবছার বাহিনী। ওই রাত ১২টার দিকে সেলিম একটি দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় মুখোশধারী ২৫-৩০ জনের গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে পিতা জাফর আলমকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। চোরাচালানে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব কাজে আমি কখনো জড়িত নই। এক বছর আগে থেকে আমার নাম ব্যবহার করার বিষয়টি আমি জেনেছি। সে সময় কেউ আমার নাম ব্যবহার করে থাকলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে আগে থেকেই বলা ছিল। সে যদি আমার ভাইও হয়ে থাকে। তার দাবি, চোরাচালানে আমার অনুসারি যাদের নাম আসছে তারা স্থানীয় এমপিরও অনুসারি। কচ্চপিয়া ইউপি সদস্য শাহজাহান সিরাজ শাকিল সিকদার ওরফে শাকিল মেম্বার ও যুবলীগ নেতা নাছির উদ্দিন সোহেল সিকদার তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, হয়তো কেউ কেউ আমাদের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। অথচ আমরাই অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। গরু চোরাচালানে জড়িত নয় দাবি করলেও নিজেকে গাছ ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন শাকিল মেম্বার। পুলিশের অভিযান শুরুর পর মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় শাহীন বাহিনীর প্রধান শাহীনের এবং আবছার বাহিনীর প্রধান আবছারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসব ঘটনার বিষয়ে জানতে গর্জনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি সাইফুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি অভিযানে আছেন উল্লেখ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, বাবা-ছেলে হত্যার ঘটনায় আবছার ও জাহাঙ্গীর নামে দু'জন ডাকাতের নামে উল্লেখ করে ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত দিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত জাফরের ছেলে রুম্মান উল্লাহ। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। পাশাপাশি চোরাচালানিদের কাছ থেকে গরু প্রতি টাকা পাওয়ার বিষয় অস্বীকার করে ওসি বলেন, পাচারকারীদের সহযোগিতার প্রশ্নই আসে না। পুলিশের নামে কেউ টাকা নেওয়ার কথা বললে তা অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়। কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে পুলিশের কোনো কাজ নেই। তারপরও পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সাতক্ষীরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান মামলা
খুলনায় স্বর্ণের বারসহ আসামি আটকের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আল ফেরদাউস আলফাসহ ৪ জনের নামে মামলা হয়েছে।  শনিবার (২০ এপ্রিল) খুলনা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় মাসুম বিল্লাহ নামের এক যুবককে তল্লাশি করে ১২ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় খুলনা লবণচরা থানার এসআই প্রদীপ বৈদ্য বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।  মামলার প্রধান আসামি মাসুম বিল্লাহর স্বীকারোক্তিতে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আল ফেরদাউস আলফাকে ২ নং আসামি, আলফার ভাই আলিম মেম্বারকে ৩ নং আসামি ও শাখরা গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান মিলনকে ৪ নং আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।  আল ফেরদাউস আলফা আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য। আলফার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে জিআর-৮৬৪, মাদক নিয়ন্ত্রণের জিআর-৮৯৭, জিআর-৬০৮/০৯ ছাড়াও বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আলিম মেম্বারের বিরুদ্ধে সদর থানায় জিআর-৮৬৪ মামলা দায়ের আছে। তাদের বিরুদ্ধে সীমান্তে চোরাচালান, মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচারের অভিযোগ রয়েছে। সীমান্তের চোরাঘাট নিয়ন্ত্রণ করেন তারা। তবে মাসুম বিল্লাহ আটকের পর থকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আল ফেরদাউস আলফাসহ অন্যান্য আসামিরা এলাকা থেকে লাপাত্তা। এমনকি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ দেখাচ্ছে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

জোড়া খুনের নেপথ্যে সীমান্তে চোরাচালান সিন্ডিকেট
পুলিশ-বিজিবির কঠোর নজরদারি ও অব্যাহতভাবে অভিযানের মধ্যেও ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় শক্তিশালী চোরাচালান সিন্ডিকেট নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামে এক চোরাকারবারির গুলিতে দুই ব্যক্তি খুন হয়েছেন। গত বুধবার ওই হত্যাকাণ্ডের পর এক দিন পার হলেও এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের বা কেউ আটক হয়নি বলে মহেশপুর থানা সূত্রে জানা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই চোরাচালান সিন্ডিকেট মূলত ভাড়ায় অস্ত্র আনা-নেওয়া, স্বর্ণের বার ও মানব পাচার করে থাকে। বুধবার বিকেলে বাঘাডাঙ্গা গ্রামে শামিম হোসেন ও মন্টু মিয়া নামে দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার নেপথ্যে ছিল চোরাকারবারের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব। তারা মূলত বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মতিয়ার রহমান মতির নিয়ন্ত্রণে পাচার কাজে নিয়োজিত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। নেপা ইউনিয়নের ৮নং বিটের এসআই মো. জমির হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, তরিকুল ইসলাম আকালে ও রফিকের মধ্যে প্রায় ছয় মাস ধরে চোরাচালানের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। সীমান্তে তাদের একটি সিন্ডিকেট আছে। এই বিরোধের জেরে দেড় মাস আগে নিহত শামিমকে কুপিয়ে আহত করেছিল আকালে। বুধবার সকালে নিহত শামিমের বাবা শামসুল ঘাস কাটতে মাঠে যাওয়ার সময় আকালে ও তার ভাই ইব্রাহীম এবং ভগ্নিপতি আব্দুল জলিল তাকে গালাগাল করে। বিষয়টি বাড়ি এসে জানালে শামিম, চাচা মন্টু মণ্ডল ও বাবা শামসুল দেশি অস্ত্র নিয়ে আকালের বাড়িতে যায়। এ সময় আকালে তার কাছে থাকা অবৈধ নাইনএমএম পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়ে মন্টু মণ্ডল ও তার ভাতিজা শামিমকে খুন করে পালিয়ে যায়। ঘটনায় সামছুল মণ্ডলও আহত হন। মহেশপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। এদিকে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, মহেশপুর সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে একাধিক চোরাচালান ও পাচার সিন্ডিকেট রয়েছে। যার মধ্যে বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে কিছু ব্যক্তি এই চোরাচালান সিন্ডিকেট পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার সীমান্তের বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহেশপুরের ৯টি গ্রাম একেবারেই সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় সেখান দিয়ে স্বর্ণ, অস্ত্র, গরু ও মানব পাচার করা হয়। গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে বাঘাডাঙ্গা, পলিয়ানপুর, যাদবপুর, জুলুলী, লেবুতলা, মরকধ্বজপুর, শ্যামকুড়, রায়পুর ও কচুয়ারপোতা। এর মধ্যে মকরধ্বজপুর, বাঘাডাঙ্গা ও রায়পুর দিয়ে ভারতীয় গরু এবং বাংলাদেশি ধুড় (মানুষ) পাচার, বাঘাডাঙ্গা ও শ্যামকুড় বর্ডার দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র এবং লেবুতলা ও রায়পুর বর্ডার দিয়ে স্বর্ণ পাচার হয়ে থাকে। বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যক্তি সীমান্তের এই ঘাটগুলো নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। আরও জানা যায়, রায়পুর সীমান্তে চোরাকারবারি নিয়ন্ত্রণ করে কুটি মিয়া, শ্যামকুড় এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে আলী, ন্যাপা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে নওশের খোড়া, হুদাপাড়া, কাঞ্চনপুর ও বাঘাডাঙ্গা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে আল আমিন ও রতনপুর এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে আল আমিন। এ বিষয়ে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক ও পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা বলেন, আমাদের কোনো সোর্স নেই। আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিক্তিতে ৫৮ বিজিবি চোরাচালানসহ সীমান্তে সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

ডিসেম্বরে ২৬৭ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ
গত ডিসেম্বরে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ ২৬৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল বুধবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, জব্দ করা দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১১ কেজি ৬৪৩ গ্রাম স্বর্ণ, ৫ কেজি ২০০ গ্রাম রৌপ্য, ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১২ হাজার ৪০৬টি শাড়ি, ৪৪ হাজার ৫১৫ কেজি কয়লা, ১২টি ট্রাক, ৩টি বাস, ৫৮টি মোটরসাইকেল ইত্যাদি। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৯টি পিস্তল, ২টি গান, ১৩টি ম্যাগাজিন, ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২০ কেজি গান পাউডার, ১২ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ১৭ কেজি ২০০ গ্রাম পটাশিয়াম নাইট্রেট এবং ৩১৬ রাউন্ড গুলি। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে—১১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৮ পিস ইয়াবা, ৩৪ কেজি ৫৭৪ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৪২.৯৩৫ কেজি হেরোইন, ১৪ হাজার ৪৬৮ বোতল ফেনসিডিল, ৩০ হাজার ৪৮৯ বোতল বিদেশি মদ, ১ হাজার ২৯৪ কেজি গাঁজা, ৬৪ হাজার ১৯৭ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪৬ হাজার ৯৪টি নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ অন্যান্য ট্যাবলেট। বিজিবি জানায়, চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৩ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে বাংলাদেশের ২৩, ভারতের ৩ এবং মিয়ানমারের ১৫০ জন নাগরিককে আটকের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ডিসেম্বরে ২৬৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ বিজিবির
গত ডিসেম্বরে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ২৬৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে ৯টি পিস্তল, ১৩টি ম্যাগাজিন ও ২০ কেজি গান পাউডার জব্দ করা হয়।  বুধবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১১ কেজি ৬৪৩ গ্রাম স্বর্ণ, ৫ কেজি ২০০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১ হাজার ৩৫৮টি ইমিটেশন গহনা, ১২ হাজার ৪০৬টি শাড়ি, ৭ হাজার ৯৭১টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর, কম্বল ও তৈরি পোশাক, ৩ হাজার ৮৬৪ ঘনফুট কাঠ, ১৭ হাজার ১২৭ কেজি চা পাতা, ৪৪ হাজার ৫১৫ কেজি কয়লা, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১২টি ট্রাক, ৩টি বাস, ৭টি পিকআপ, ৬টি প্রাইভেটকার ওমাইক্রোবাস, ১৮টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ৫৮টি মোটরসাইকেল।    উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৯টি পিস্তল, ২টি বিভিন্ন প্রকার গান, ১৩টি ম্যাগাজিন, ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২০ কেজি গান পাউডার, ১২ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ১৭ কেজি ২০০ গ্রাম পটাশিয়াম নাইট্রেট এবং ৩১৬ রাউন্ড গুলি।   এছাড়াও বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ করে বিজিবি। জব্দকরা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৮ পিস ইয়াবা, ৩৪ কেজি ৫৭৪ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৪২.৯৩৫ কেজি হেরোইন, ১৪ হাজার ৪৬৮ বোতল ফেনসিডিল, ৩০ হাজার ৪৮৯ বোতল বিদেশি মদ, ৬ হাজার ৫১২ লিটার বাংলা মদ, ৫ লাখ ৯১ হাজার ৬০০ পিস মদ তৈরির ট্যাবলেট, ২ হাজার ২৭০ ক্যান বিয়ার, ১৫ বোতল লাইসারজিক এসিড ডাই-ইথাইল অ্যামাইড (এলএসডি) ১২৯৪ কেজি গাঁজা, ৬৪ হাজার ১৯৭ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪৬ হাজার ৯৪টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৩ হাজার ৩৬৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৯০০ কেজি কোকেন, ১ হাজার ১৩১ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৫ লাখ ১২ হাজার ৭৪৬ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ৭৮১ প্যাকেট কিটনাশক এবং ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪৪টি অন্যান্য ট্যাবলেট। বিজিবি জানায়, সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪৩ জন চোরাচালানিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে বাংলাদেশের ২৩ জন, ৩ জন ভারতীয় নাগরিক ও মিয়ানমারের ১৫০ জন নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
জাতীয় নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তা ছাড়া মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ গ্রুপগুলোর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণেও দেশের সীমান্তে সতর্কতা রয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল আহসান। বিজিবির ১০০তম নবীন রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দেন। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবি ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি) পেরেড গ্রাউন্ডে ওই অনুষ্ঠান হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিজিবির পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচনে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে বিজিবি।  এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নতুন সৈনিকদের উদ্দেশে বলেন, আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনও পিছপা হয় না সে-ই প্রকৃত সৈনিক, বীরযোদ্ধা। সততা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, আনুগত্য ও নির্ভরযোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা ও কর্মতৎপরতা, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাপকাঠি। শৃঙ্খলাই সৈনিকের মূলভিত্তি।  প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বছর বাহিনীতে সীমান্ত রক্ষার শপথ নিয়েছেন ৩৮ জন নারীসহ ৫৮২ জন নবীন সৈনিক। নবীন সৈনিকদের প্রদর্শিত তেজোদীপ্ত কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বিজিবির মহাপরিচালক।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এই বাহিনীর নানা সাফল্য ধরে বিজিবি ডিজি বর্তমান সরকারের আমলে বাহিনীর নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপ দেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নবীন সৈনিকদের তিনি বলেন, সবার আগে দেশ, এরপর বাহিনীর স্বার্থ, অতঃপর অধীনস্থ ও সহকর্মীদের স্বার্থ এবং সর্বশেষে নিজের স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।  বিজিবির চারটি মূলনীতি-‘মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা’-এ উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে বিজিবির ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সুশৃঙ্খল ও সুচারুরূপে পালন করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান নবীন সৈনিকদের।  সীমান্তে চোরাচালান রোধসহ পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।  অনুষ্ঠানে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।    
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

যশোরে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় ৩ জনের ফাঁসি
যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে বহুল আলোচিত ৭২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, দুই ভারতীয় নাগরিকের যাবজ্জীবন ও অপর ৪ আসামির ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় প্রদানকালে দণ্ডিতদের মধ্যে ৬ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। সরকার পক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলো, যশোরের শার্শার শিকারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন তরফদারের ছেলে মহিউদ্দিন তরফদার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেরে মুজিবুর রহমান। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলো, ভারতীয় নাগরিক ভারতের গোকর্ন গ্রামের মাঝের পাড়ার আলী হোসেন সরদারের ছেলে মাসুদ রানা, ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার গাংগুলিয়া গ্রামের নুর জালাল মন্ডল। ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্তরা হলো, শার্শার আব্দুল মোমিনের ছেলে ইমরান হোসেন, আব্দুল কাদেরের ছেলে রুবেল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নওসাদ আলীর ছেলে কবির হোসেন ও ওরফে মেছের আলীর ছেলে এবং যশোরের শার্শার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল মন্ডল ওরফে মোল্যা ওরফে লিদু।  মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাতে শার্শার শিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য হাবিলদার মুকুল হোসেন নিয়মিত টহলের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন একদল চোরাকারবারী স্বর্ণ নিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবে। এরপর তারা নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের সীমান্ত পিলারের পাশে অবস্থান নেন। রাত ১০টার দিকে কয়েকজন লোক নারিকেলবাড়িয়া মাঠের মধ্যে দিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করে বিজিবি। এ সময় মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক ও দুইজন ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। মহিউদ্দিনের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ২২৪ পিচ স্বর্ণের বার ও ফেলে যাওয়া দুইটি ব্যাগ থেকে ৪০০ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে ৪শ গ্রাম।  পর দিন শিকারপুর বিওপির বিজিবির হাবিলদার মুকুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।  দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ এ মামলায় মহিউদ্দিন তরফদার শান্তি, জাহিদুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, ভারতীয় নাগরিক মাসুদ রানা ও শফিকুল মন্ডলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং সাফি, ইমরান হোসেন, কবির হোসেন ও রুবেল হোসেনকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এপিপি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যশোর অঞ্চলের এই ধরে সবচেয়ে বড় স্বর্ণ চালানের মামলায় দৃষ্টান্তমূলক রায় হয়েছে। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।  এদিকে, রায়ের খবরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে। স্বজনেরা রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই রায়ে তারা অসন্তুষ্ট। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।  আসামি পক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম শান্তি বলেন, সরকার যে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা কার্যকর করেছে, এতে বিচারকরা সঠিকভাবে মামলা তদন্ত করতে পারছে না। ফলে আসামিপক্ষ প্রকৃত রায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করব।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

১৬৫ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ অক্টোবরে
অক্টোবর মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১৬৫ কোটি ১৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসামগ্রী, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। জব্দ করা চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে—১৪ কেজি ৭৯৪ গ্রাম স্বর্ণ, সাড়ে ৪ কেজি রুপা, ৮৩ হাজার ৪৮৫টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১১ হাজার ৫০২টি ইমিটেশন গহনা, ২৮টি সিএনজি/ ইজিবাইক, ৬৬টি মোটরসাইকেল, ৫টি পিস্তল, ৭ কেজি ৪৫০ গ্রাম গান পাউডার ইত্যাদি। এ ছাড়া জব্দ করা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৯৩৬টি ইয়াবা, ৬ কেজি ৭৬৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩৪ কেজি হেরোইন, ১১ হাজার ৯৪২ বোতল ফেনসিডিল, ১ কেজি কোকেন। চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২২ চোরাচালানিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭১ বাংলাদেশি, ৭ ভারতীয় ও ১৬০ জন মিয়ানমারের নাগরিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

মিয়ানমার থেকে আসা স্বর্ণের বারসহ টেকনাফে আটক ১
মিয়ানমার সীমান্ত থেকে পাচার হওয়া ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৩০৩ টাকার স্বর্ণসহ টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে মো. আরাফাত (৩৫) নামে এক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার কোস্ট গার্ড টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন টেকনাফ সড়কে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন গভীর রাতে সন্দেহজনক এক  ব্যক্তিকে বন্দরের মেইন গেট দিয়ে বের হয়ে সড়কে আসতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে কোস্ট গার্ড সদস্য তাকে থামার সংকেত দেয়। এ সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় মো. আরাফাত নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তি জাদিমুড়া শরণার্থী ক্যাম্প-২৭ এর একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী। পরবর্তীতে, কোস্ট গার্ড সদস্যরা আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি চালিয়ে কোমরে পলিথিনে মোড়ানো রাবারের টিউবের মধ্য থেকে চারটি স্বর্ণের বার জব্দ করে। যার বাজারমূল্য ৫৩ লাখ ২২ হাজার ৩০৩ টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে জড়িত। কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ জানান, জব্দ স্বর্ণের বার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষের নিকট এবং আটক ব্যক্তিকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

২১৫ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ বিজিবির
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্ত এলাকাসহ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক মাসেই ২১৫ কোটি ২৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে। আগস্ট মাস ধরে এ অভিযান চালানো হয়। গতকাল রোববার বিজিবি সদর দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, অন্যান্য চোরাচালন পণ্যের বাইরে গত মাসে ৫টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন এবং ১৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ওই সময়ের মধ্যে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৫ পিস ইয়াবা, ৮ কেজি ৪২০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৯ কেজি ৫৪৬ গ্রাম হেরোইন, ১০ হাজার ৪২৮ বোতল ফেনসিডিল, ২৪ হাজার ৭১৭ বোতল বিদেশি মদ, ৪ হাজার ৬৪৪ ক্যান বিয়ার, এক হাজার ২১৫ কেজি গাঁজা, ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৫ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৬৫ হাজার ৩৪৭টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ২ কেজি ৫০০ গ্রাম কোকেন, ২৬ হাজার ৫০২টি অ্যানেগ্রা বা সেনেগ্রা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, এসব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের পাশাপাশি মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X