জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তার সঙ্গেই আমি কাজ করব : আইনমন্ত্রী
কসবা উপজেলা নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে, তার সঙ্গেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  শুক্রবার (১৭ মে) জুমার নামাজের পূর্বে সমবেত দলীয় নেতা-কর্মী ও মুসল্লিদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, আমার ইঙ্গিত জনগণের সঙ্গে, আমার জনগণ যাকে পছন্দ করবে, যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন সেই আমার। আমি হচ্ছি জনগণের। আমি আমার এলাকাবাসীকে পরিষ্কার বলেছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।  তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাকে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমার জনগণকে আমি বলেছি তাদের পছন্দমত ভোট দিতে। প্রতিদ্বন্দ্বি দুই জন প্রার্থীই আমার খুব কাছের। জনগণ যাকে পছন্দ করে তাকেই নির্বাচিত করলে তার সঙ্গে আমি কাজ করতে পারব। আমার কোনো অসুবিধা হবে না।  মন্ত্রী আরও বলেন, দু’জনই আওয়ামী লীগের নেতা এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের যেন তারা গালাগালি না করেন। নির্বাচনের পরের দিন থেকে আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব। সেই জন্য তাদের মার্জিত ভাষায় ভোট চাইতে বলেছি।  এ সময় আইনসচিব গোলাম সারওয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. রাশেদুল কাওসার ভুইয়ার, আইনমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মাসুদ উল আলম, কসবা উপজেলার আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভুইয়া, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এম এ আজিজসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  
১৮ মে, ২০২৪

জনগণ আ.লীগকে ৪২ বছর ক্ষমতার বাইরে রাখবে : আলাল
বাংলাদেশের জনগণ সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগকে ৪২ বছরের জন্য ক্ষমতা থেকে দূরে পাঠিয়ে দিবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। শনিবার (১১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। আলাল বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ অনুভব করছে ২১ বছর যেভাবে বাংলাদেশের ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগ নির্বাসিত ছিল, একটা সুযোগ পেলে ৪২ বছরের জন্য তাদের ক্ষমতা থেকে দূরে পাঠিয়ে দিবে জনগণ। কারণ, ক্ষমতার উপযুক্ত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নয়। তিনি বলেন, জনজীবনে আজ অনেক সমস্যা। বাংলাদেশের মানুষের কাঁধে সিন্দবাদের দৈত্যের মতো চেপে বসা এই আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে দেশের কোনো সমস্যার সমাধান তো হচ্ছেই না, বরং প্রত্যেকটি সমস্যার নতুন শাখা, উপশাখা বের হচ্ছে। এই শাখা, উপশাখা বেয়ে দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্য চলছে বাংলাদেশে। বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একতরফা চাপাবাজির মধ্য দিয়ে দেশের মানুষকে সব কিছু ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম নেতা আমাদের আন্দোলনের বর্তমান ক্যাপ্টেন তারেক রহমানকে অসংখ্য অসত্য বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে দেশে আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশের মানুষ আজকে আশ্রয় খুঁজছে, একটা প্ল্যাটফর্ম খুঁজছে, পতাকা খুঁজছে। সেই সুযোগ থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করার জন্য সরকার ‘আমি মামু খামু যামু’ এই নির্বাচন করছে। তিনি বলেন, এই সরকারটা হচ্ছে জান, মান, সম্মান সবকিছুকে বিসর্জন দেওয়া সরকার। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশের কোনে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই সংকট উত্তরণে আন্দোলনে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে।  সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
১১ মে, ২০২৪

আ. লীগ সরকারের সঙ্গে জনগণ নেই : মান্না
উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রমাণ করেছে সরকারের সঙ্গে জনগণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে এক অবস্থান কর্মসূচিতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল এবং রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। তিনি বলেন, মানুষ সরকারকে ভোট দেয়নি, এখনো দেয় না। এই যে উপজেলা নির্বাচন (প্রথম ধাপ) হয়ে গেল, বাংলাদেশের ইতিহাসের উপজেলায় এত কম ভোট কখনো পড়ে নাই। জনগণ যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকত তাহলে ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে যেত, উপজেলা নির্বাচনেও ভোট দিতে যেত। সরকারের সমালোচনা করে মান্না বলেন, জিনিসের দাম সরকার কমাতে পারছে না। বিদ্যুতের দাম কমাতে পারে না। বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখন একশ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ঋণের টাকা শোধ করার জন্য আবার বিশেষভাবে অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠক বসায়। তিনি বলেন, তিন মাস বিদেশ থেকে আমদানি করার টাকা নেই সরকারের কাছে। আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধির আর কোনো সুযোগ নাই। বিদেশিরা যদি আমাদের ডলার দেয় তখনই কেবল এই দেশ বাঁচতে পারে, নইলে এদেশ বাঁচতে পারবে না। মান্না বলেন, বিরোধী দল দুর্বল হয়নি। সরকারের এই দুর্বলতা মানুষ যখন বুঝবে তখন আবার রাজপথে নামবে। জনগণকে বলছি, আপনাদের কষ্ট যদি লাগব করতে চান এই সরকার দিয়ে হবে না। সরকার ভোট কেড়ে নিয়েছে, জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, আপনার মাথায় ঋণের বোঝা বাড়িয়ে দিয়েছে। সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছে। তিনি ভীষণ অসুস্থ। চিকিৎসা পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আসলে সরকার আইনের দোহাই দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার পথ রুদ্ধ করে রেখেছে। যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এই নির্লজ্জ বেহায়া নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন দেখার জন্য রাশিয়া যায়। যেখানে নির্বাচনের ন বলতে কিছু নাই। এই কমিশন যখন যেটা মন চায় তারা সেটা বলে। এদের রুখে দিতে হবে। সংগঠনের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মাওলানা শাহ নেছারুল হক, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
১০ মে, ২০২৪

দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়: গয়েশ্বর
বর্তমান সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশি আগ্রাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) উদ্যোগে এ সভা হয়। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসনবিরোধী লড়াই করা কঠিন। বর্তমানে অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ব্যাংকের যে করুণ চিত্র, কিছুদিন পরে কর্মীদের বেতন দেওয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে তাদের বেতন দিতে হবে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, কেউ দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেবে না। নিজেদের দেশে নিজেদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফ আলী আকন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
১০ মে, ২০২৪

দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয় : গয়েশ্বর
বর্তমান সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়।  রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ‌‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশি আগ্রাসন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে নয়, পার্শ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সরকারই তাদের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পণ্য। আমাদের বিদেশি পণ্য বর্জন করা উচিত। তিনি বলেন, গণতন্ত্র কখনো আসবে, কখনো যাবে। গনতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসন বিরোধী লড়াই করা কঠিন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ব্যাংকের যে করুণ চিত্র কিছুদিন পরে কর্মীদের বেতন দেওয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে তাদের বেতন দিতে হবে।  অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে শুনেছি আমেরিকা কঠিন পদক্ষেপ নেবে। দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমি বলি কেউ আপনার দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দিবে না। আপনাদের নিজেদের দেশে নিজেদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের এখন এই সরকারের পতনের পথ কী হবে সেটা বলতে পারি না। তবে এটা বলতে পারি, দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারের পতন চায়। যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারকে চায় না, সে দেশে একদিন না একদিন এই সরকারের পতন হবে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসবে। গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহবায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, এডভোকেট শিরিন আকতার, গণনেতা তারেক রহমান, আতাউল্লাহ, জিয়াউর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের আহবায়ক সাকিব হোসাইন, সদস্য সচিব সুহেল মৃধা, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মোল্লা রহমতুল্লাহ প্রমূখ।।  
০৯ মে, ২০২৪

উপজেলার জনগণ সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে : সালাম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বলেছেন, ডামি নির্বাচনে ডামি প্রার্থী দিয়েও সরকার তাদের প্রহসনের নির্বাচনে জনগণকে ফাঁদে ফেলতে পারেনি। উল্টো জনগণ তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিয়েছে। জনগণ জানে এ নির্বাচনও ৭ জানুয়ারির মতো ‘আমরা আর মামুদের’ নির্বাচন। বুধবার (০৮ মে) রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক যৌথ প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুস সালাম বলেন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন। এগুলো করে কোনো লাভ নেই। জেল-জুলুম শহীদ জিয়ার সৈনিকরা আর ভয় পায় না। আমরা অনেক অত্যাচারিত হয়েছি। এখন প্রতিরোধের সময় এসেছে। সকল অন্যায়ের জবাব দিতে আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে। সভায় সঞ্চালকের বক্তব্যে মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, আমরা আর নেতাকর্মীদের মুক্তি চাই না। এরা গণতন্ত্রের সৈনিকদের মুক্তি দেবে না। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে হবে, মুক্ত করতে হবে গণতন্ত্রকে। এর জন্য জীবনবাজি রেখে হলেও দেশ বাঁচানোর সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, সরকার দাবি করছে বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমেরিকা সম্প্রতি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেখানেও বলা হয়েছে, বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা কোনো করুণা চাই না। জনগণই একদিন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। তবে উন্নত চিকিৎসার অভাবে যদি বেগম জিয়ার কিছু হয়, তাহলে এ সরকার পালিয়েও পার পাবে না। যৌথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, আনম সাইফুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ হারুন, তানভীর আহমেদ রবিন, হাজী মনির হোসেন, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাইদুর রহমান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, শ্রমিক দল দক্ষিণের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া, সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, মহিলা দল দক্ষিণের সভাপতি রুমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর নার্গিস, ছাত্রদল পূর্বের আহ্বায়ক খালিদ হাসান জ্যাকি, দক্ষিণের আহ্বায়ক পাভেল সিকদার প্রমুখ।  
০৯ মে, ২০২৪

জনগণ উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে
জনগণ প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মানুষ স্বৈরাচারের দুঃশাসনে বেশি দিন লুকিয়ে থাকতে ও নীরব থাকতে পারে না। তারা অধিকার আদায়ে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যায়। গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাচনের ভোট চলাকালে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই, সেই দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের স্বজন ছাড়া অন্য কেউ নির্বাচিত হতে পারেন না। ভোটারদের ভোটের প্রয়োজন হয় না। ফল নির্ধারিত থাকে, সেটিই ঘোষিত হয়। তাই প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে দেশের ভোটাররা সর্বান্তকরণে উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আব্দুস সালাম আজাদ, কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
০৯ মে, ২০২৪

জনগণ উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে : রিজভী 
জনগণ প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (০৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন। বর্জনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মানবজাতি স্বৈরাচারের দুঃশাসনে বেশি দিন লুকিয়ে থাকতে ও নীরব থাকতে পারে না। অধিকার আদায়ে বুক বেঁধে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একনায়কতন্ত্রের অপরাধগুলো ধিক্কার জানায়। দমনমূলক শক্তি ভোটারদের নিগ্রহ করছে, উগ্র রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। নিকৃষ্ট লুণ্ঠনের মাধ্যমে উপজেলা প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে লুটেরা ও দস্যু দলের আখড়া। রিজভী বলেন, এমনও দেখা যাচ্ছে ভোটারবিহীন নির্বাচনে দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে একশো বিঘার বেশি জমির মালিক হয়েছে। অথচ আইন অনুযায়ী ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকতে পারে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি যতই উচ্চারিত হয় ততই সরকারের কাছে জেল-জুলুমের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। যারা দ্বিতীয়বার প্রার্থী হয়েছেন তাদের আগের হলফনামায় ঘোষিত আয়ের চেয়ে কয়েকজনের আয় বেড়েছে ৩ হাজার শতাংশের বেশি। কারও আয় বেড়েছে ১ হাজার শতাংশের বেশি। গাইবান্ধায় একজন প্রার্থীর আয় বেড়েছে ৪ হাজার শতাংশ। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের সম্পদও বেড়েছে কোথাও কোথাও ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার শতাংশ। রিজভী আরও বলেন, যে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই, সেই দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে ভোটারবিহীন নির্বাচনে কেউ চেয়ারম্যান ঘোষিত হলে হাতিশালে হাতি ও ঘোড়াশালে ঘোড়ার কোনো অভাব হয় না। আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের স্বজন ছাড়া অন্য কেউ নির্বাচিত হতে পারে না। ভোটারদের ভোটের প্রয়োজন হয় না। ফলাফল নির্ধারিত থাকে, সেটিই ঘোষিত হয়। সুতরাং আওয়ামী প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে দেশের ভোটারগণ সর্বান্তকরণে উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) আসরের নামাজের সময় মসজিদে যাওয়ার পথে সিদ্ধেশ্বরী মাঠ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মহিদুল হাসান হিরুকে সাদা পোশাকধারীরা মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। যে গাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তার নম্বর- ঢাকা মেট্রো-চ, ৫২-১৪৫০। নিজ কক্ষে ৩ ঘণ্টা আটকিয়ে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দুই নেতা নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খানকে মারধর ও চরম নির্যাতন করা হয়। পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। অবৈধ সরকারের অনাচারমূলক স্বার্থসিদ্ধির সুসজ্জিত সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে ছাত্রলীগকে। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে এরা হিংস্র হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে গণতন্ত্রমনা ছাত্রদের ওপর। এরা হামলা চালাচ্ছে সাধারণ মানুষের উপরও। জীবন-জীবিকা সব কেড়ে নিঃস্ব, রিক্ত ও বিপর্যস্ত করছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ দেশের সবচেয়ে খতরনাক বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
০৮ মে, ২০২৪

আওয়ামী লীগ আমলে ভোট দিতে পারে না জনগণ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে জনগণ ভোট দিতে পারে না। আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করার পর আবার উপজেলা নির্বাচন করছে। এ নির্বাচনও ডামি। গতকাল রোববার বেইলি রোডে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, বর্তমানে দেশের জনগণ ভোট দিতে পারে না। তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বানাতে পারে না। দেশের এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বর্তমান ডামি নির্বাচনের সরকার। এ সময় ছিলেন ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, জাকির সিদ্দিকী, মেহেবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কাওসার, তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
০৬ মে, ২০২৪

এই সরকারের আমলে জনগণ ভোট দিতে পারে না : রিজভী
বর্তমান সরকারের আমলে জনগণ ভোট দিতে পারে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করার পরে আবার উপজেলা নির্বাচন করছেন। এ নির্বাচনও ডামি। রোববার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহবানে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।  রিজভী বলেন, বর্তমানে দেশের জনগণ ভোট দিতে পারে না। তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বানাতে পারে না। দেশের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বর্তমান ডামি নির্বাচনের সরকার শেখ হাসিনা। তিনি এই পরিস্থিতি কেন করেছেন কারণ তিনি এদেশের সম্রাজ্ঞী হয়ে থাকতে চায়।  তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করার পরে শেখ হাসিনা আবার উপজেলা নির্বাচন করছেন। এ নির্বাচনও ডামি কারণ দেশের গণতান্ত্রিকামী কোনো দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এ সময় তিনি দেশের সব জনগণকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা এই ডামি সরকারের অধীনে ডামি নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করবেন না এবং এখানে যারা উপস্থিত আছেন সবাই কোনো না কোনো উপজেলার বাসিন্দা আপনারাও কেউ এই ডামি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডাক্তার জাহেদুল ক‌বির জাহিদ, যুবদলের সহসভাপতি জাকির সিদ্দিকী, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেবুব মাসুম শান্ত, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক কাওসার, ছাত্রদলের সাবেক নেতা ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ বিএন‌পির অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
০৫ মে, ২০২৪
X