গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক / ঢাকায় দূতাবাস স্থাপন ও জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা
গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ জেরাপেট্রাইটিসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৈঠকে ঢাকায় গ্রিসের দূতাবাস স্থাপন, কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি, অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নৌপরিবহন, জনশক্তি রপ্তানি, নবায়নযোগ্য এবং বিকল্প শক্তি উৎপাদন অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার করেন তারা। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সকালে এথেন্সের ক্যালিথিয়ায় স্টাভরোস নিয়াকো ফাউন্ডেশন কালচারাল সেন্টারে ‘আওয়ার ওশান কনফারেন্সের’ ফাঁকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুই মন্ত্রী। এ সময় গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করে বলেন, ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলা গ্রিস সরকারের অগ্রাধিকারের অন্তর্ভুক্ত এবং ঢাকা সফর এই দূতাবাস উদ্বোধনের একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। হাছান মাহমুদ গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মানসম্পন্ন বাংলাদেশি পণ্য আমদানি সহজতর করা এবং এ বিষয়ে গ্রিক ব্যবসায়ীদের উৎসাহদানের আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় অভিবাসন ও চলাচল বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের আওতায় গ্রিসে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির বসবাসে বৈধতা দেওয়ায় গ্রিক সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং সমঝোতা স্মারকের দ্বিতীয় অংশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন এবং উপযুক্ত কৌশল খোঁজার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশি পেশাজীবীরা পরিশ্রমী উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রিস আগামী দিনে তার কৃষি, পর্যটন, আতিথেয়তা এবং নির্মাণ খাতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করবে। পাশাপাশি নৌপরিবহন খাতে দুই দেশের মধ্যে অর্থপূর্ণ সহযোগিতা পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে বর্ণনা করে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো প্রণয়নেও একমত হন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্পেনের উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ দিন দুপুরে স্পেনের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পরিবেশগত পরিবর্তন ও জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জবিষয়ক মন্ত্রী মারিয়া হেসুস মন্টেরোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও কৃষি সহযোগিতা, সবুজ শক্তি, পরিবেশগত সমস্যা এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠায় সম্মত হন দুই মন্ত্রী।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে দুবাইয়ের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা
সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দুবাইয়ে মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশনবিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে বৈঠক করেছেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে দুবাইয়ে মানবসম্পদমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদির মধ্যে দুবাইয়ে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ ও কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সব কর্ম অঙ্গনে আরও বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউএই'র দুবাইয়ের সব ট্রেডে সব শ্রেণির বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু করা, ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণের অনুরোধ জানান।  দুবাইয়ের মানবসম্পদমন্ত্রী বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানে কোনো বাধা নেই জানিয়ে বলেন, দুবাইয়ের সরকার প্রযুক্তি-চালিত চাকরির বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে। তিনি দুবাইয়ের কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া করার জন্য এআই এবং সম্পর্কিত সফ্টওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত করেন এবং চাকরি প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই পদ্ধতি তুলে ধরেন।  এই প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুবাইগামী কর্মীবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানান এবং সেখানকার চাকরির বাজারের চাহিদা অনুসারে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রস্তুত করতে দুবাইয়ের ভাষা প্রশিক্ষক নিয়োগের কথা জানান। ড. হাছান মাহমুদ কুয়েত সরকারের বাংলাদেশি নার্স নিয়োগের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ থেকে যোগ্য নার্স ও চিকিৎসা পেশাজীবী নিয়োগের জন্য দুবাই পক্ষকে অনুরোধ করেন। দুবাইয়ের মন্ত্রী প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকায় আসন্ন যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠকে কুয়েতি নিয়োগের মডেল পরীক্ষা করবেন বলে আশ্বাস দেন। উভয় পক্ষ দুবাইয়ে বাংলাদেশি প্রবাসীদের কল্যাণমূলক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় সাইন অফ করা নাবিকদের সিডিসি নিয়ে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে দুবাইয়ের বন্দরগুলো ব্যবহারের চ্যালেঞ্জের কথা গুরুত্বসহ উত্থাপন করলে দুবাইয়ের মন্ত্রী এটি তার মন্ত্রণালয় জরুরিভাবে দেখবে বলে আশ্বস্ত করেন। দুবাইয়ের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার মহাপরিচালক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ দিন সন্ধ্যায় আবুধাবির আল আইন শহরের রয়্যাল প্যালেসে দুবাইয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। দুবাইয়ে দুই দিনের সফরে মন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সেখানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে একটি কমিউনিটি মিটিংয়ে যোগ দেবেন এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
০৮ মার্চ, ২০২৪

জনশক্তি রপ্তানি অনুপাতে বাড়ছে না রেমিট্যান্স
জনশক্তি রপ্তানি রেকর্ড পরিমাণ বাড়লেও সেই অনুপাতে বাড়ছে না প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৩ সালে রেকর্ডসংখ্যক কর্মী বিদেশে গেলেও রেমিট্যান্স এসেছে তার চেয়ে অনেক কম। তবে সবচেয়ে বেশি জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। তাই সেখান থেকেই আসছে সিংহভাগ রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বৈধ পথে অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৮৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকেই এসেছে ৭১০ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় অর্ধেক। বরাবরের মতো আলোচ্য সময়ে মধ্যপ্রাচ্যেই সর্বোচ্চ পরিমাণে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালে যে সংখ্যক কর্মী বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে, সে অনুযায়ী আরও বেশি রেমিট্যান্স আসা উচিত ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে সবসময়ই বেশি রেমিট্যান্স আসে। তবে অর্থ পাচারের কারণে সেই রেমিট্যান্সের সবটুকু হয়তো ব্যাংকিং চ্যানেলে আসছে না। ফলে এসব দেশ থেকে কাঙ্ক্ষিত হারে রেমিট্যান্সও আসছে না। এক্ষেত্রে হুন্ডি প্রবণতা বা অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর কালবেলাকে বলেন, অনেক বেশি শ্রমিক বিদেশে গেলেও সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স আসছে না বা আসতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ অর্থ পাচারকারীরা তা কিনছে এবং সমপরিমাণ অর্থ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। নির্বাচনের কারণে ২০২৩ সালে এই প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স খুব বেশি বাড়েনি। অর্থ পাচার রোধে সরকার কিছুই করছে না। এমনকি ডলার সংকটের মধ্যেও জোরপূর্বক ডলারের দর কমিয়ে রাখছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের সাত মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৪২ কোটি ৫২ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব আর তৃতীয় অবস্থানে ব্রিটেন। এ ছাড়া রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, কাতার ও বাহরাইন। অর্থাৎ রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে সাতটিই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত সৌদি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬০ কোটি ১০ লাখ ডলার। এ ছাড়া ব্রিটেন থেকে ১৬১ কোটি ডলার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৩৩ কোটি ২৮ লাখ ডলার, ইতালি থেকে ৮৯ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ৮৪ কোটি ডলার, কুয়েত থেকে ৭২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার, কাতার থেকে ৬৩ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, ওমান থেকে ৫৩ কোটি ৪৯ লাখ ডলার এবং বাহরাইন থেকে এসেছে ৩১ কোটি ১৭ লাখ ডলার। জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি জনশক্তি রপ্তানি করে রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। সৌদিতে বাংলাদেশি কর্মী (জনশক্তি) নিয়োগে কোটা বাড়ানো এবং মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবার খুলে দেওয়ার ফলে জনশক্তি রপ্তানির এই রেকর্ড সম্ভব হয়েছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, গত বছর বিশ্বের ১৩৭টি দেশে বাংলাদেশের ১৩ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার। তবে জনশক্তি রপ্তানিতে মাইলফলক অর্জন সত্ত্বেও সে অনুযায়ী বাড়েনি রেমিট্যান্স প্রবাহ। ২০২৩ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ১৯২ কোটি (২১ দশমিক ৯২ বিলিয়ন) ডলার। আগের বছর যা ছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি (২১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন) ডলার। সে হিসেবে গত দুই বছর ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে স্থবির হয়ে আছে। রেমিট্যান্স সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল করোনার মধ্যে। মূলত তখন হুন্ডি চাহিদা তলানিতে নামায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে বেশি। কিন্তু করোনার প্রকোপ না থাকায় গত বছর ফের অবৈধ অর্থ লেনদেনের সুযোগ তৈরি হয়। এ কারণে দেশে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোরতায় হুন্ডি কিছুটা কমেছে। এতে বাড়ছে প্রবাসী আয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, চলতি বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জানুয়ারিতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স অনেকটাই বেড়েছে। এই মাসে ২১০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, যা সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রায় ৪৫ কোটি ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী উদ্যোগে আগামী দিনে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদী। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির অন্যতম শর্ত হচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো। যদিও জনশক্তি রপ্তানির পরিমাণ অনুযায়ী প্রবাসী আয় বাড়ছে না। রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ হুন্ডিতে। এটা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমার অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থপাচারেও এই হুন্ডি ভূমিকা রাখছে। বিষয়টির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কর্মকর্তারাও একমত পোষণ করেছেন। আর তাই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X