বেলুন উড়িয়ে শুরু হলো জব্বারের বলী খেলা
শতাধিক কুস্তিগিরের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হলো ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার ১১৫তম আসর। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামের লালদিঘি মাঠে অস্থায়ী মঞ্চে এ কুস্তি প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিন। প্রতিবছর বিকেল ৩টায় প্রতিযোগিতা শুরু হলেও এ বছর তাপদাহের কারণে শুরু হয় বিকেল ৪টায়। এর আগে সকাল ১১টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শতাধিক কুস্তিগির এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি। আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটির সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে বলী খেলার মূল আসরের সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে বিকেল ৪টায় শুরু হয়েছে। এই সময়ে তাপপ্রবাহ কমবে। এবার শতাধিক বলী নাম জমা দিয়েছেন। মেলার আয়োজকরা জানান, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের তরুণদের সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলী খেলা। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

জব্বারের বলী খেলা ২৫ এপ্রিল
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার ১১৫তম আসর বসছে এবার ২৫ এপ্রিল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৫ টায় লালদীঘি এলাকায় সিটি করপোরেশনের লাইব্রেরি ভবনে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন এবং সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে বলী খেলা ও মেলার সময় নির্ধারণ করা হয়। আব্দুল জব্বারের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সভাপতি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বলেন, ‘প্রতিবছরের মত এবারও ১২ বৈশাখ তথা ২৫ এপ্রিল বলী খেলা হবে। আর মেলা হবে ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে আহ্বান জানাব তাদের প্রাণের মেলায় অংশ নিতে।’ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘মেলাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শুনে আমার খুব কষ্ট লেগেছিল। আমি পড়তাম মুসলিম স্কুলে। আমি বলেছি মেলা হবে। খেলা হবে। টাকা আমি দেব।’ তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে আবেগ জড়িত ছিল। আমি বলেছি মাঠ না পেলে মোড়ে বলীর মঞ্চ করবো। কমিটির উৎসাহ, দৃঢ়তায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সবাই এগিয়ে এলে ঐতিহ্য হারাবে না। চট্টগ্রাম ভারতবর্ষকে পথ দেখিয়েছে।’ নতুনদের বলী খেলা শেখানোর অনুরোধ করে মেয়র বলেন, ‘যা কিছু লাগে আমি দায়িত্ব নেব, ব্যবস্থা করবো। এ বলী খেলায় বিক্রির জন্য ঘরে ঘরে পসরা তৈরি করে। কোটি টাকার ব্যবসা হয়। নৌকা বাইচ, হাডুডু খেলাসহ অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা ঐতিহ্য নষ্ট হতে দিতে পারি না।’ জানা যায়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর নগরীর লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা। পরে যা আব্দুল জব্বারের বলী খেলা নামে পরিচিত হয়। এর জনপ্রিয়তা এখনও অক্ষুণ্ন রয়েছে। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে বৈশাখ মাসের ১২ তারিখে লালদিঘীর ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় এই খেলা। খেলার আগের দিন থেকে শুরু করে পরদিন পর্যন্ত তিন দিন ধরে লালদিঘীর মাঠ ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে বসে বৈশাখী মেলা।
২০ এপ্রিল, ২০২৪
X