কোটি লোক রাস্তায় নামলেও বিএনপি সফল হবে না : জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিএনপি ১ কিংবা ১০ লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইস্টিটিউশন মিলানায়তনে দলের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমার পরিষ্কার ধারণা ছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না। বাংলাদেশে কখনও আন্দোলনের মুখে কোনো সরকার পদত্যাগ করে নাই। জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে এমন ইতিহাস নেই। ফলে, বিএনপির ১ কিংবা ১০ লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না। জাতীয় পার্টির সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে আমি বিভিন্ন বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠকে করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয় আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি এই আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার, সালমা ইসলামসহ অনেকে। দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সারাদেশে জাপার নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি, এজন্য অনেক সমস্যা জড়িত। যেমন শাসক দলের দৌরাত্ম্য, প্রশাসনের নিরপেক্ষতার অভাব। বলা যায়, আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র যারা ছিলেন তাদের পক্ষে প্রশাসন কাজ করেছে। নিরপেক্ষতার অভাবে আমাদের প্রার্থীরা পাস করেনি। যারা দল থেকে চলে গেছেন তারা ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাপা মহাসচিব। বলেছেন, দেশে অন্য কোনো দল থাকুক তা আওয়ামী লীগ চায় না। বিএনপির কী অবস্থা তা বলতে চাই না।  
৩০ নভেম্বর, ০০০১

একটি গাভি থেকে সফল খামারি জিএম কাদের
বাঙালি ও বাংলাদেশের জনসাধারণ পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গরু পালন করে আসছে। বর্তমানে গরু পালন করে শুধু পুষ্টির চাহিদাই পূরণ নয়, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হয়েছেন অনেকেই। এদের মধ্যে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জিএম কাদের অন্যতম একজন। দুগ্ধ গাভি পালনে একজন সফল খামারি হিসেবে এই অঞ্চলে মানুষের কাছে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের প্রধানবাড়ি (খেংটি) এলাকায় নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন জিম নামের একটি ডেইরি ফার্ম। দেশি-বিদেশি মিলে ২৮টি গাভি ও ২টি ষাঁড় রয়েছে তার খামারে। প্রতিদিন ১২০ লিটার দুধ উৎপাদন হয় এ খামার থেকে। এসব গরুর জন্য নিয়মিত বাজার থেকে ঘাস ক্রয় করে গরুকে খাওয়ান তিনি।  জানা গেছে, ২০১৫ সালে দেশি একটি দুগ্ধ গাভি পালনের মধ্য দিয়ে খামারের কাজ শুরু করেন তিনি। কয়েক বছরের ব্যবধানে তার খামারে এখন ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৩০টি গরু রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিম ডেইরি ফার্মের খামারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও দেখভালের জন্য রয়েছে তিনজন শ্রমিক। তারা দিনরাত পরিশ্রম করেন। এদের কেউ গরুকে ঘাস খাওয়াচ্ছেন, কেউ আবার গাভি থেকে দুধ নেওয়ার এবং বাজারজাত করার কাজ করছেন। কেউবা গোবরগুলোকে গ্যাসের কাজে ব্যবহার করার জন্য ব্যস্ত রয়েছেন। এ ছাড়া নিজস্ব কৃষি জমিতে সবজি উৎপাদনে জৈবসার হিসেবে গোবর ব্যবহার করছেন।   উন্নত জাতের এ ফ্রিজিয়ান ৩০টি গাভিতে তার খামার পরিপূর্ণ হয়ে আছে। ৩০টি গাভির ভেতর ৬টি গাভি দুধ দিচ্ছে। বাকি গাভিগুলো খুব অল্পদিনের মধ্যে বাচ্চা দেবে বলেও তিনি জানান। প্রতিদিন গড়ে ১২০ কেজির বেশি দুধ বিক্রি হচ্ছে তার খামারে। এতে প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার টাকা আয় হয়, যা থেকে মাসিক আয় হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং প্রতি বছরে আয় হয় ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। জিম ডেইরি ফামের্র মালিক জিএম কাদের কালবেলাকে বলেন, আমার বড় মেয়ের জন্য বাজার থেকে দুধ কিনে এনে খাওয়াতে খুবই কষ্ট হতো। সেই সুবাদে স্থানীয় হাট থেকে মাত্র ৮৪ হাজার টাকায় ২০১৫ সালে একটি দেশি গরু ক্রয় করি। বর্তমানে আমার খামারে কাজ করে ৩টি শ্রমিকের পরিবার চলে। তবে ধীরে ধীরে এর চেয়ে আরও বড় পরিসরে খামার করার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে বর্তমানে গরুর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমসিম খেতে হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্লোগান দিয়েছিল, বদলে যাবে দেশ, দুধ-মাংসের বাংলাদেশ। সেই স্লোগানকে সামনে রেখে যদি গরুর খাদ্যের সিন্ডিকেটটা ভেঙে একটু সহযোগিতা করে, তাহলে আমারা যারা উদ্যোক্তা আছি তারা সফল হতে পারব। কারণ যখন ৭০০ টাকা ফিটের বস্তা ছিল, তখনও কিন্তু দুধের দাম ৫০ টাকা ছিল। এখন ১৩শ টাকা ফিটের বস্তা এখনও দুধের দাম ৫০ টাকা। তাহলে কীভাবে সম্ভব, আমরা কীভাবে টিকে থাকব। বর্তমানে আমার এখানে প্রায় ৭৫ লাখ টাকার গরু রয়েছে। সিন্ট নির্মাণে আমার প্রায় ১৩-১৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সরকারিভাবে এখনো আমি কোনো কিছু পাইনি। তবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমার খামার পরিদর্শণ করে গেছেন।  বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার মতো উদ্যোক্তা হতে পারেন। ব্যাপক হারে না হলেও দুই-চারটা গরু দিয়ে আপনারা শুরু করতে পারেন। এতেই একজন সফল খামারি হিসেবে পরিচিত হতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শ্যামল চন্দ্র রায় কালবেলাকে বলেন, জিম ডেইরি ফার্ম দেখেছি। গরুগুলোও ভালো স্বাস্থ্যবান। সরকারি সহায়তা পাওয়ার যোগ্য। খামারটি বেশ সম্ভাবনাময়। সরকারি সহায়তা পেলে আরও ভালো করতে পারে।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

মানুষের জীবনের যেন দামই নেই : জিএম কাদের
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হৃদয়বিদারক প্রাণহানির এ ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। শুক্রবার (১ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিন এ শোক প্রকাশ করেন। শোকবার্তায় নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।   কাদের বলেন, ভয়াবহ দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন ভয়াবহ দুঃসংবাদ মেনে নেওয়া যায় না। মানুষের জীবনের যেন দামই নেই। তিনি বলেন, তদন্তে কারো দায় প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা এবং নিহতদের পরিবারকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপকসংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু। 
০১ মার্চ, ২০২৪

জাতীয় পার্টি গৃহপালিত দল হয়ে গেছে : জিএম কাদের
জাতীয় পার্টি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, আমরা পরজীবী হতে চাই, গৃহপালিত রাজনৈতিক দল নয়। ধারাবাহিকভাবে পরজীবী থেকে স্বনির্ভরতার দিকে যাব। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, পরজীবী হয়ে আমরা অনেক কিছু করেছি। আমাদের একটা বড় দেনদরবার করার শক্তি ছিল। ২০১৪ সালের পর থেকে আমরা সেই শক্তি হারিয়েছি। আমরা এখন হয়ে গেছি গৃহপালিত রাজনৈতিক দল। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনকে একটি বড় পরীক্ষা বলে মনে করছেন জিএম কাদের। এখন অনেকেই নানা কথা বলছেন নানাভাবে মূল্যায়ন করছেন। কিন্তু মূল্যায়নের জন্য এখনো সঠিক সময় আসেনি। অচিরেই মানুষ বুঝতে পারবে কেন এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ। তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে দেখেছি রাজনীতি কতটা নোংরা হতে পারে। বৈষম্যকে দূর করতেই হয়েছিল ভাষা আন্দোলন কিন্তু বৈষম্য দিনকে দিন বেড়েই চলছে। বৈষম্যের অন্যায় এখনো হচ্ছে। বর্তমান সরকার বৈষম্য তৈরি করেছে আরও বেশি। একুশের চেতনা নিয়ে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধে নয় স্বাধীনতাযুদ্ধে জয়লাভ করেছি। জিএম কাদের বলেন, আমরা যখনই স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে যাই তখন আমাদের মধ্যে ভাঙন তৈরি হয়। সরকারই এমন করে। এর জন্য দায়ী আমাদের লোভ-লালসা। সমস্ত দলের নেতাদের জাতীয় পার্টির রাজনীতি করতে হবে, সরকারি দলের নয়। যারা জাতীয় পার্টিতে থেকে অন্য দলের রাজনীতি করে তাদের বের করে দিতে হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পল্লীবন্ধু সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনে আইন করেন : জিএম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পেলেও সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন করতে দীর্ঘসময় লেগেছে। বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ৩৫ বছর পরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ আইন করে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের উদ্যোগ নেন। আজ বাংলাদেশের সর্বত্র বাংলা ভাষায় সকল কার্যক্রম চলছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।    তিনি বলেন, তাৎপর্যময় এই দিনে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। বিনম্র শ্রদ্ধায় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। মহান এই দিনে দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাভাষীদের প্রতি জানাচ্ছি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।  তিনি বলেন, একুশের অবিনাশী চেতনা আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অসীম অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহস ও শক্তির অনন্য উৎস ছিল আমাদের গৌরবোজ্জ্বল রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন। বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সারা বিশ্বে ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় বিজয়ের প্রতীক হয়ে থাকবে।  তিনি আরও বলেন, অহংকারের একুশে মানেই, মাথানত না করা। মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন আমাদের মাথা উঁচু করে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগায়। একুশের চেতনা লড়াই সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জোগায় অসীম সাহসে।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচনে এসেছি, বর্জন করার কোনো স্কোপ নেই : জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি যে আমাদের ভোটে নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত কোরবানি দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করা হয় কি না। সবসময়ই আমাদের আশঙ্কা ছিল যে নির্বাচনে এনে আমাদের কোরবানি দেওয়া হয় কি না। আমাদের কোরবানি দিলে যা হবে, তা হচ্ছে দেশে একদলীয় শাসন বা একটা নির্ভেজাল একদলীয় শাসনব্যবস্থা দেশে কায়েম হয়ে যাবে। আমরা এই আশঙ্কায় রয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত না দেখে আমি আর কিছু বলতে পারব না। রোববার (৭ জানুয়ারি) রংপুরে সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ সংসদীয় আসনের শিশু মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, রংপুরের পরিস্থিতি ভালো। এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু খবর পেয়েছি এবং যতটুকু দেখলাম, খুবই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের স্বাভাবিক উপস্থিতি রয়েছে। সামনের দিকে ভোটার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছি।   তিনি বলেন, কুমিল্লাই আমাদের একজন প্রার্থীর সব পোলিং এজেন্টকে জোর করে আওয়ামী লীগের লোকজন বের করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তাকেও বের করে দিচ্ছেন। এখন তিনি কী করবেন তা বুঝতে পারছেন না।   ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমরা কাল রাতে খবর পেয়েছি ঢাকা-১ (দোহার নবাবগঞ্জ) এলাকায় প্রায় সব ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের কর্মী দিয়ে ভোট ডাকাতি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। এমনটাই মনে করেছেন সেখানকার লোকেরা। তা ছাড়া ভয়ভীতিও প্রদর্শন করা হচ্ছে। এজেন্টদের কাগজপত্র কেড়ে নেয়া হচ্ছে। এসব পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ঘটেছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।  জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এখন তো আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিয়েছি। এখন তো আর বর্জন করার কোনো স্কোপ নেই। নির্বাচনের ফলাফল দেখে পরবর্তী কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। কারণ, একটি জিনিস শুরু হয়ে গেলে হঠাৎ করে থামিয়ে দিয়ে খুব অসুবিধা। তবে ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টা বা ২ ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি হতাশ বা পুরোপুরি আশাবাদী হওয়ার মতো সময় এখনও আসেনি মন্তব্য করেন জি এম কাদের।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোট দিতে পারছেন না জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না। রংপুর-৩ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তিনি ভোটার হয়েছেন ঢাকার। তবে ভোট দিতে না পারলেও নির্বাচনের দিন নিজ আসনের ভোটের পরিস্থিতি ঘুরে দেখবেন এবং সারা দেশের ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আলহাজ আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জি এম কাদের নির্বাচনের দিন রংপুরে অবস্থান করবেন। তিনি সকাল ৯টার মধ্যেই বাসা থেকে বের হয়ে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। রংপুরে থেকেই সারা দেশের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং দেশের ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। জাপা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জন্মসূত্রে রংপুরের বাসিন্দা এবং এইচএসসি পর্যন্ত রংপুরেই পড়ালেখা করেছেন। তিনি মেকানিক্যালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে মেকানিক্যাল প্রকৌশলী হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বাংলাদেশ টোব্যাকো কোম্পানি, ইরাকের কৃষি মন্ত্রণালয় ও যমুনা তেল কোম্পানিতে চাকরি করেন। সবশেষ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে পরিকল্পনা ও অপারেশন্স পরিচালক থাকাকালীন চাকরি থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যুক্ত হন। জি এম কাদের মূলত বড়ভাই সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আহ্বানে রাজনীতিতে যুক্ত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জি এম কাদের সপ্তম, অষ্টম, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লালমনিরহাট-৩ ও রংপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও ছিলেন জি এম কাদের।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

থানায় জিডি করলেন জিএম কাদের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে সপরিবারে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জিএম কাদেরের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল হান্নান রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত ১৪ ডিসেম্বর জিডি করা হয় বলে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান। জিএম কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল হান্নান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্যারের (জিএম কাদের) নম্বরে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মেসেজ প্রদান করে নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে হুমকি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচন থেকে সরে না আসলে তাকে ও দেশ বিদেশে অবস্থান করা তার পরিবার-পরিজনকে হত্যা করা হতে পারে। স্যার আইনে বিশ্বাসী। তাই তিনি বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখতে আমাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। জিডিতে বলা হয়, ‘অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ফোন নম্বর +৩৫১****** থেকে গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত ৪টা ৩ ঘটিকায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি’র ফোন নম্বর ০১৬১১****** তে মেসেজ প্রদানের মাধ্যমে মাননীয় চেয়ারম্যানকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে সফল করার প্রয়াস থেকে বিরত থাকার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করা হয়। উক্ত ব্যক্তির কথামতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত না থাকলে মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়সহ তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদেরকে প্রাণনাশ করা হবে। এমতাবস্থায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, তার পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজন জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

সিইসিকে পাঠানো চিঠিতে কী লিখলেন জিএম কাদের
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবার সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন দলটি। চিঠিতে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জিএম কাদেরের নাম জানানো হয়। শনিবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে চিঠি দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ভোটকে সামনে রেখে এ সংক্রান্ত ফর্মালিটিজ জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। এজন্য তার নাম, পদবি ও নমুনা সই নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।  চিঠিতে জিএম কাদের সিইসিকে জানান, গত ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে মো. মাহবুব আলম শাহ, উপসচিব (নি:স:ওস:), নির্বাচন কমিশন সচিবালয়য়ের স্বাক্ষরিত একটি ইমেইল পেয়েছি যার স্মারক নয়- ১৭.০০.০০০০.০২৫.৫০.০৯৪.২৩-৯৫১। সেই ইমেইলের আলোকে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রধানের ক্ষেত্রে RPO এর Article 12, (3a) (b) এবং 16. (2) (3) অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন। চিঠিতে দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ৪টি নমুনা স্বাক্ষর দেওয়া হয়।  গতকাল শুক্রবার জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছিলেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই জাতীয় পার্টি দ্বাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিলকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ বলেছেন, সুষ্ঠু ভোট হবে। তবে দলের মহাসচিব সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তপশিল ঘোষণার পর গতকাল বুধবার তারা সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান। রওশন এরশাদ বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের জন্য তপশিল ঘোষণার পর সব দলের অংশগ্রহণে সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে আশা করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে জাপা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাপা কখনো নির্বাচন বর্জন করেনি। এবারও করবে না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমাদের ভালো প্রস্তুতি আছে। দলের প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়কার অবস্থা তুলে ধরে রওশন এরশাদ বলেন, ‘অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কারাগারে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে পাঁচটি আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন।’ তবে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘তপশিল হলেই সমঝোতার পথ শেষ হয়ে যায় না। এখনো সময় আছে। তারা আশা ছাড়েননি জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, সব দলকে নিয়ে মিলেমিশে আলোচনার মাধ্যমে একটি পথ বের করা হবে। আমরা অনুরোধও করেছিলাম, এটি হলে ভালো হতো। সরকারি দল আলোচনার উদ্যোগ নিতে পারে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আছে।’
১৮ নভেম্বর, ২০২৩

পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে অমানবিক বৈষম্য সভ্য সমাজে বেমানান : জিএম কাদের
তৈরি পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৩ হাজার করার দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক। তাদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি মেনে নিতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান জাপা চেয়ারম্যান।  বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, যে শ্রমিকরা বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তারাই সবচেয়ে বেশি মানবেতর জীবনযাপন করছে। দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখা শ্রমিকদের সঙ্গে অমানবিক বৈষম্য চলছে। সভ্য সমাজে এমন বৈষম্য বেমানান। তিনি বলেন, শুরু থেকেই তৈরি পোশাকশিল্প শ্রমিকদের খুবই সামান্য বেতন দেওয়া হতো। তাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ৩০০ টাকা। অথচ ওই সময় শ্রমিকরা সর্বনিম্ন ১৬ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছিল। ২০১৮ সালের প্রবল শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পুনরায় শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয় ৮ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়।  বিবৃতিতে গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, ২০১৮ সালের ৮ হাজার টাকা বেতন কাঠামোতে শ্রমিকদের জীবন চলে না। তিনি বলেন, দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ৮ হাজার টাকায় একটি পরিবারের খাবার খরচই অসম্ভব। এমন বাস্তবতায় তারা বাসা ভাড়া, চিকিৎসা, পোশাক ও শিশুদের লেখাপড়া চালাবে কীভাবে?  গবেষণা সংস্থা সিপিডির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে ৪ সদস্যের একটি পরিবারে মাসিক খাবার খরচ হচ্ছে ২২ হাজার ৪২১ টাকা। আন্দোলনরত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের সর্বনিম্ন ২৩ হাজার টাকা বেতনের দাবি মানবিক কারণেই মেনে নিতে হবে। তাই আন্দোলনরত তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের সঙ্গে সদয় আচরণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান জপা চেয়ারম্যান।
২৬ অক্টোবর, ২০২৩
X