জয় চৌধুরী সভ্য অভিনয়শিল্পী : শিরিন শিলা (ভিডিও)
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় উত্তাল রয়েছেন বিনোদন অঙ্গন।  ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) অভিনেত্রী ময়ূরীর মেয়েকে ‘আপত্তিকর’ প্রশ্ন করার জের ধরে ইউটিউবার, শিল্পী ও সাংবাদিকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে গেছে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরীর নাম। কিছুসংখ্যক ইউটিউবার ও সাংবাদিক তাকে বয়কটের ডাকও দিয়েছেন। চলমান পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জয় চৌধুরীর পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করছেন অনেকে। তাদেরই একজন হলেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা।  জয়ের আচার আচরণের বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন শিলা। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিলা লিখেছেন, কয়েকদিন ধরে এফডিসিতে মারামারি নিয়ে অনেক নিউজ দেখলাম।  খুব খারাপ লাগল এসব নিউজ দেখে। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সাংবাদিকরা আমরা সবাই একই পরিবারের। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনায় জয় চৌধুরীকে দোষারোপ করা হয়েছে। কিন্তু আমার দেখা জয় চৌধুরী একজন সভ্য চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী। নায়িকা আরও লিখেছেন, জয়কে কোনোদিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করতে দেখিনি।  ও সব সময় শিল্পীদের বিপদে এগিয়ে যায়। সাংবাদিকদের সঙ্গেও তার চমৎকার সম্পর্ক। সাংবাদিক ভাইদের আমরা অনেক সম্মান করি, তাই বলে আপনারা এমন কোনো প্রশ্ন করতে পারেন না যাতে করে শিল্পীদের সম্মানে আঘাত লাগে। কোনো শিল্পীকে অপমান করে কথা বললে অবশ্যই তার প্রতিবাদ করা উচিত।  কিন্তু সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাটা একটি দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়। শিলা দাবি করেন, এই ঘটনায় দুপক্ষেরই ভুল ছিল। দয়া করে আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। প্রত্যেকটা পরিবারই ঝগড়া হয় আবার পরিবারের সদস্যরা সবাই মিলে যায়। আমার বিশ্বাস আমরা সবাই সাংবাদিক ও শিল্পীরা একই পরিবারের। আমরা সব বিবাদ ভুলে সবাই একত্রিত হয়ে পথ চলব।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

কারাগারে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী কারাগারে! তবে বাস্তবে নয়, সিনেমার শুটিংয়ের একটি স্থিরচিত্রে দেখা যায় এই নায়কের পাশে কারা পুলিশ এবং বেশ কয়েকজন কয়েদি। জানা গেছে, নতুন করে শুরু হয়েছে ‘আমার শেষ কথা’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ। নতুন করে সিনেমার দৃশ্যধারণ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ১ নভেম্বর থেকে গাজীপুরে ‘আমার শেষ কথা’ সিনেমাটির শুটিং নতুন করে শুরু হয়েছে। সিনেমাটিতে ভায়োলেন্স ছিল, সেইসঙ্গে একটু ইসলামপন্থিও। সেজন্য সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে যাওয়ার পর সমস্যা হয়। যেসব দৃশ্য নিয়ে সমস্যা, সেসব দৃশ্যের গল্প পরিবর্তন করে নতুন করে শুটিং করা হচ্ছে। আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত শুটিং চলবে। সিনেমাটি নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে এই নায়ক কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা অফিসিয়ালি জানতে পারি, অনেক বেশি অপরাধ এবং সিনেমাটি নারায়ণগঞ্জের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়। যেহেতু সত্য ঘটনার ওপরে গল্প, তাই নির্মাতা সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সেটা হয়তো বা সেন্সর বোর্ড ভালোভাবে নেয়নি। এজন্য কাটিং মেরে দিয়েছে। সেগুলো সংশোধন করে ফের জমা দেওয়া হয়, তার পরও তাদের পছন্দ না হওয়ায় সিনেমাটি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
০৪ নভেম্বর, ২০২৩
X