প্রতিবন্ধীর পরিবারের কোটি টাকা আত্মসাৎ আ.লীগ নেতার
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুর আলম মিস্টারের বিরুদ্ধে জমি দখল ও কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন এক প্রতিবন্ধী পরিবার। নুর আলম মিস্টার সোনাগাজী উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। শনিবার (১১ মে) সকালে সোনাগাজী পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের শেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের পরিবার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানান।  এ সময় শেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের সন্তান শেখ শামীমা আক্তার, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শেখ শাহিদা আক্তার, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শেখ আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।  তারা বলেন, আমাদের পিতা শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। আমাদের চার ভাইবোনের মধ্যে তিনজনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাবা ছাড়া পরিবারে সামর্থবান কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় আমাদের পার্শ্ববর্তী পোস্টমাস্টার বাড়ির নুর আলম মিস্টার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে উল্টো প্রতারণার মাধমে কয়েক ধাপে মূল্যবান জমি বিক্রির টাকা, ভূমি অধিগ্রহণের টাকা ও জমির কাগজপত্রের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে বলে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।  একসঙ্গে এতো অর্থ খোয়া যাওয়ায় আমাদের বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। নুর আলম কোনো চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্য করে না। আমাদের পরিবারের টাকা আত্মসাৎ করে দ্বিতল বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। তারা আরও বলেন, কিছুদিন আগেও বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে খাদ্য গুদাম সংলগ্ন আমাদের বাড়ির সামনের দোকানঘরসহ ৬ শতক জমি বিক্রিতে সহযোগিতার কথা বলে জমি বিক্রির বেশিরভাগ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। একইসঙ্গে শারীরিক প্রতিবন্ধী পিন্টুর প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের জমি বিক্রির জন্য তৈরি স্বাক্ষরযুক্ত নন রেজিস্ট্রি দলিল তার জিম্মায় রেখেছেন।  আমরা ধারণা করছি, আমাদের বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তিনি হয়তো আমাদের বসতবাড়িসহ অবশিষ্ট সম্পত্তিতেও নানা গরমিল করেছেন। বর্তমানে তার এ সব কাজের কারণে আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্য চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নুর আলম মিস্টার জানান, শেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের পরিবার আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
১১ মে, ২০২৪

মেটাল কয়েন প্রতারণায় কোটি টাকা আত্মসাৎ
মেটাল কয়েনে মাত্র ৩০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে দুদিনের ব্যবধানে পাওয়া যাবে শতকোটি টাকা, এমন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। রাজধানীর উত্তরার এয়ারপোর্ট থানায় এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর ও ফেনী থেকে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার বাদী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ২০১৫ সালে পূর্বপরিচিত ইউসুফের মাধ্যমে পরিচয় হয় আরেক অভিযুক্ত মানিক মোল্লার। পরিচয়ের সূত্র ধরে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। তিনি জানান, প্রথমে চক্রটি মানুষের সঙ্গে সখ্য ও বিশ্বাস স্থাপন করে। পরে তাদের মেটাল কয়েনে ইনভেস্ট করানোর কথা বলে তাকে নিয়ে চাঁদপুরের আসামি মানিক মোল্লার বাসায় যান। সেখানে মেটাল কয়েনকে বৈদ্যুতিক আলোর স্পর্শে এনে বিভিন্ন রিফ্লেকশনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখান। আর এতেই অনেকটা লোভে পড়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন রফিকুল। চুক্তি অনুযায়ী, তিনি ধাপে ধাপে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে দেন চক্রের সদস্যদের হাতে। একই সঙ্গে চুক্তির কথা কেউ যেন জানতে না পারেন, সে শর্তে শাহ জালাল ও শাহ পরানের নামে শপথ পড়ানো হয় রফিকুল ইসলামকে। পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, বাস্তবে এমন কোনো কয়েনের অস্তিত্ব এখনো কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকেটা ‘তক্ষক’ ‘সীমান্ত পিলার’-এর মতো এটাও একটি প্রতারণার কৌশল মাত্র। মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
০৩ মে, ২০২৪

মেডিগ্রাফিকের ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ : দুই আসামি রিমান্ডে 
মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের ২০ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় আসামি মো. রবিউল করিম ও শান্তনু কুমার দাশের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক বিলাল আল আজাদ। শুনানি শেষে আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে গত ১ এপ্রিল পর্যন্ত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের ২০ কোটি আত্মসাৎ করেন। পাশাপাশি তারা ব্যবসায়িক ৩০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেন। এ ঘটনায় রাজধানীর গুলশান থানায় মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডের এডমিন অফিসার শেখ জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।   
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ
সুমন আল রেজা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজনের পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয় দেন। বলেন, ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের একজন ক্লায়েন্টের ৬০ লাখ ডলার ডিপোজিট রয়েছে। সেই ডলার যদি সুমন পেতে চান তাহলে তাকে ১ কোটি টাকা খরচ দিতে হবে। প্রলোভনে পড়ে সুমন তার বোন ও দুলাভাইয়ের কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা নেন। এরপর সেই টাকা পাঠান প্রতারক চক্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এরপর সেই টাকা তুলে নেয় চক্রটি। এভাবে বিভিন্নজনকে ডলার পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়েছে চক্রটি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চক্রটির মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির সাইবার ইউনিট। গ্রেপ্তাররা হলেন—সোহেল আহমেদ অপু (২৮), ইব্রাহিম (৩০) ও আকাশ (২৪)। সিআইডি জানিয়েছে, মূলহোতা তপুকে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুজনকে গত মাসে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তপু মিরপুরের আব্দুল মান্নানের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সিআইডিপ্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, সুমনের সঙ্গে প্রতারক চক্রের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের এক সদস্য নিজেকে ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, একজন ক্লায়েন্টের ৬০ লাখ ডলার ডিপোজিট রয়েছে ব্যাংকে। ক্লায়েন্ট হাইতিতে থাকেন। সেই ব্যক্তি ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর মারা গেছেন। কিন্তু তার কোনো ওয়ারিশ নেই। এরপর সুমনকে ওই ক্লায়েন্টের ওয়ারিশ হওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করেন প্রতারক। ডিপোজিট করা টাকা উত্তোলনের পর দুজনে সমানভাগে ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাবও দেন তাকে। এরপর প্রতারক চক্রটি সুমনের কাছে লাগেজভর্তি ডলার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর চার্জ বাবদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। সেই টাকা দেওয়ার পর চক্রটি ফেডারেল ট্যাক্স হিসেবে ৫৫ হাজার ডলার (৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) দাবি করে। সুমন এই পরিমাণ টাকা গোল্ডেন লজিস্টিক এন্টারপ্রাইজের ডাচ-বাংলা ব্যাংক ঢাকার মিরপুর-১০ শাখায় পাঠিয়ে দেন। এরপর সুমন অ্যাকাউন্ট চেক করে জানতে পারেন, কোনো ডলারই ঢোকেনি। বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় তিনি একটি মামলা করেন। সেই মামলায় তপুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৫ মার্চ, ২০২৪

হজে পাঠানোর নামে ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ওমরা হজে পাঠানোর নামে ১৮ জনের কাছ থেকে ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আবু তালহা (৪২) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে এজেন্সির নামে টাকা আদায়ের নকল রশিদ বই ও ওমরা হজ পালনে আগ্রহী ব্যক্তিদের ৫টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আবু তালহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তালহা ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সাতটিকরি গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।  মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবু তালহা বগুড়ার শিবগঞ্জ এলাকায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। অধিক লাভের আশায় তিনি প্রায় ৫ বছর আগে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে নিজ এলাকায় আসেন। এরপর বিভিন্ন এলাকার সহজ সরল লোকজনকে হজে পাঠানোর নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেন। তিনি ঢাকার আবাবিল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস হজ এজেন্সির নামে নকল রশিদ তৈরি ও বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব নম্বর খোলেন। স্থানীয় দালাল চক্রের মাধ্যমে হজ পালনে আগ্রহীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলেন। তিনি ওই এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে ওমরা হযে পাঠানোর নামে ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের একজনকেও তিনি সৌদি আরবে ওমরা হজ পালনের জন্য পাঠাতে পারেননি। ওমরা হজ পালনে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সময় ওই এজেন্সির নামে তৈরি করা নকল রশিদ ও ব্যাংক হিসাব নম্বর ব্যবহার করেছেন। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের পক্ষে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলি ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের হাসেন আলী প্রামাণিকের ছেলে বেল্লাল হোসেন বাদী হয়ে আবু তালহার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে প্রতারণার শিকার ১৮ ব্যক্তির কাছে থেকে ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামি আবু তালহা নকল রশিদ ও হিসাব নম্বরের মাধ্যমে হজে পাঠানোর নামে শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১০ জানুয়ারি, ২০২৪

ধানের শীষ মানেই দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও এতিমের টাকা আত্মসাৎ : সোহেল তাজ 
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বঙ্গতাজকন্যা সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, আজ নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে, নির্বাচনে নৌকার জয় হবে। আমরা আবারও সরকার গঠন করে আপনাদের সেবা করব। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার চাঁদপুর, তারাগঞ্জ, রানীগঞ্জ, ফুলবাড়িয়া, নাসুমার্কেটসহ বিভিন্ন পথসভায় নৌকার ভোট চেয়ে এসব কথা বলেন। অপরদিকে রিমির ভাই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে এবং আওয়ামী লীগের সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, ধানের শীষ মানেই দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, অর্থপাচার, এতিমের টাকা আত্মসাৎ। আর নৌকা মানেই স্বাধীনতা, সমৃদ্ধি, জনগণের ভাগ্যবদল ও কল্যাণ, যার শুভফল আপনারা ভোগ করছেন। সোহেল তাজ আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ-দুর্ভিক্ষের দেশ নয়, উন্নয়নের রোল মডেল। আজকে কারও কাছে আমাদের হাত পেতে চলতে হয় না। গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না, লোডশেডিং, রাস্তাঘাট ছিল না, তবে ছিনতাই-জঙ্গিবাদ ছিলই। সব কিছু কাটিয়ে উঠেছি আমরা। ২০০৮ সালে যেখানে আমাদের বিদ্যুৎ ছিল ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, এখন আমরা ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। বঙ্গতাজকন্যা সিমিন হোসেন রিমি বলেন, আমি বঙ্গতাজ তাজউদ্দীনের মেয়ে নিজেদের ভাগ্যবদল নয়, জনগণের ভাগ্যোন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। নিম্নবিত্তের লোকজনের জীবনমান উন্নয়নের জন্যও কাজ করে এসেছি। আগে চিকিৎসার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ওই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হতো। আজকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দেশের সেরা, মাতৃমৃত্যু শূন্যের কোঠায়, প্রত্যেকটি গ্রাম এলাকায় কমোনিউটি ক্লিনিক করে দিয়েছি।   এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের স্থান বাংলাদেশে নেই। নৌকায় ভোট দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে এবং এই উপজেলার প্রতিটি গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের পাশে রাখার আহ্বান জানাই।   এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে নৌকার জন্য ভোট চান তিনি। উপস্থিত জনতাও হাত তুলে নৌকায় ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। নির্বাচনী পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, ইউপি চেয়ারম্যান হিরন মোল্লা প্রমুখ। 
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ : দুই ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
জালিয়াতির মাধ্যমে ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার মির্জা কামরুল হাসানকে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। অন্য আসামি সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আনিচুর রহমান সরকারকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। মামলার সূত্রে জানা যায়, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম। ভুয়া চেক সৃষ্টি ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ৯০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম। এরপর ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

পাসওয়ার্ড হ্যাক করে গ্রাহকের ৭৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ
গ্রাহকের স্বাক্ষরিত চেক জালিয়াতি এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের আইডি ও পাসওয়ার্ড হ্যাক করে ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে পূবালী ব্যাংকে সন্দ্বীপের শিবিরহাট শাখার বর্তমান চাকরিচ্যুত সিনিয়র মেসেঞ্জার কাম গার্ড আবুল কালাম আজাদের (৩১) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুদক চট্টগ্রাম ২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। বিষয়টি দুদক চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আতিকুল আলম কালবেলাকে নিশ্চিত করেন। অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ (৩১) চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার মুছাপুর ৯নং ওয়ার্ডের বেলাল মাস্টারের বাড়ির বাসিন্দা হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের ছেলে।  মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে সন্দ্বীপের শিবিরহাট শাখায় অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে মেসেঞ্জার কাম গার্ড পদে যোগ দেন আবুল কালাম আজাদ। ২০১৫ সালে তার চাকরি স্থায়ী হয়। ২০১৯ সালে ওই পদে ‘সিনিয়র’ পদোন্নতি হয় তার। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকের ওই শাখার ১১ জন গ্রাহকের স্বাক্ষরিত চেক কৌশলে নিয়ে এবং আইটি বিষয়ে দক্ষ হওয়ার সুবাদে তাদের ১১টি ব্যাংক হিসাব থেকে ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন আবুল কালাম আজাদ। একই বছরের ২৭ জানুয়ারি পূবালী ব্যাংকের শিবিরহাট শাখা ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন সন্দ্বীপ থানায় বাদী হয়ে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন।  দুদকের তপশিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় সন্দ্বীপ থানা এজাহারটি ২৭ জানুয়ারি দুদক চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর পাঠিয়ে দেন। ২ মার্চ দুদক চট্টগ্রাম ২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ এজাহারটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান। পরে অনুসন্ধান করে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর দুদক ঢাকা প্রধান কার্যালয় আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন দিলে এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৯ অক্টোবর দুদক চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেককে মামলা রুজু কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবর আব্দুল মালেক বাদী হয়ে আবদুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৩

করোনা পরীক্ষার আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সিভিল সার্জন
করোনা ভাইরাস পরীক্ষার দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদকে ওএসডি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, গোপালগঞ্জের নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. জিল্লুর রহমান। প্রজ্ঞাপনে সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীতে ওএসডির আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাকে আগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য বলা হয়। অন্যথায় ষষ্ঠ কর্ম দিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি বা স্ট্যান্ড রিলিজ মর্মে গণ্য হবেন। এর আগে, চলতি বছরের ২৭ জুলাই দুপুরে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার ফির দুই কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পাঠানো হতো। তবে ল্যাবে যে পরিমাণ নমুনা পাঠানো হতো তার থেকে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে টেস্টের ফি আত্মসাৎ করা হয়। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয়েছিল চার কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছিল এক কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি দুই কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৭ জুলাই তিনি গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। আসামিরা হলেন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী, ক্যাশিয়ার তপতী সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, তৎকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করা খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রসিদ বইয়ের বাইরে ডুপ্লিকেট রসিদ বই ব্যবহার করে তারা ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

প্রতারণা / ব্যাংকের জাল স্লিপে সিডিএর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ
চট্টগ্রামে ভবন নির্মাণ করতে হলে নকশা অনুমোদনের জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে (সিডিএ)। এ জন্য ফরমপ্রতি ২ হাজার টাকা নগরের কোতোয়ালি এলাকায় সিডিএ ভবন-সংলগ্ন পূবালী ব্যাংকের শাখায় জমা দিতে হয়। কিন্তু চার বছর ধরে একটি চক্র ব্যাংক স্লিপ জাল করে সিডিএর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সিডিএর কিছু কর্মী জড়িত বলে জানা গেছে। সিডিএ সূত্র জানায়, গত ২৮ আগস্ট প্রথম একটি জাল স্লিপ এক কর্মকর্তার নজরে আসে। পরে তিনি স্লিপটি যাচাইয়ের জন্য ওই ব্যাংকে যান। সেখানে গিয়ে আরও কিছু জাল স্লিপ পান, যার বেশিরভাগেই রয়েছে সিডিএর দুজন কর্মচারীর স্বাক্ষর। বিষয়টি গ্রাহকরা জানতে পারলে ওই দুই কর্মচারীর কাছে টাকা ফেরত চান। বাধ্য হয়ে টাকা ফেরতও দেন তারা। একইভাবে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্রের জন্য জমা দেওয়া নথিতেও ব্যাংক স্লিপ জাল করে জমা দেওয়ার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। ফলে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র অনুমোদন আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে গত ৩১ আগস্ট সিডিএর কোটি টাকা রাজস্ব আত্মসাৎ এবং তদন্তপূর্বক শাস্তির জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানটির সচিব বরাবরে চিঠি দেন সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সিডিএর সুনাম নষ্ট হয়েছে। সিডিএর এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, আরও দুই বছর আগে এ ধরনের একটি ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটেছিল। তখন বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো প্রমাণ ছিল না। একই ঘটনা আবারও ঘটেছে। তার মানে এখানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী থেকে শুরু করে অনেকেই জড়িত। সই জাল করে সিডিএর কোটি কোটি টাকা লুট হচ্ছে। এ বিষয়ে সিডিএর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি ততদিন অনিয়ম করে কেউ পার পাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X