কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা (আইটিইএস) খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন এবং আবারও করা হবে। শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর উদ্যোগে “বাক্কো মেম্বারস মিট-২০২৪” অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পলক বলেন, বর্তমানে দেশে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বার্ষিক রপ্তানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ খাতে সরকার কর ছাড় দেওয়ায় অল্প সময়ে বাজার এত বড়  হয়েছে। চলমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে এ খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিশ্বমানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজার বড় করতে হবে। সেটা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। সে লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা রাখা প্রয়োজন।  তিনি বলেন, বাক্কো’র প্রায় চার’শ কোম্পানিতে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা প্রত্যেকে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এবং বাংলাদেশের সম্পদ।  বাক্কো’র প্রেসিডেন্ট মি. ওয়াহিদ শরিফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাক্কো’র সেক্রেটারি জেনারেল মি. তৌহিদ হোসেন, বাক্কো’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট  আবুল খায়ের।
০৫ মে, ২০২৪

‘ওরাকল ক্লাউড ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিঙ্গাপুর’ এ স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরলেন পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ওরাকল ক্লাউড ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিঙ্গাপুর’ অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ওরাকলের গ্লোবাল চিফ ইনফরমেশন অফিসার এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ইভান্সের সঙ্গে এক আলোচনায় অংশ নেন পলক। এ সময় ‘বুদ্ধিমান ক্লাউড বিনির্মাণে এআই এর ব্যবহার’ শীর্ষক এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি।  আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। আলোচনায় পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুব অল্প সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাফল্যের পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। যার লক্ষ্য স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি; এ চারটি প্রধান ভিত্তির ওপর ২০৪১ সাল নাগাদ অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদ্ভাবনী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট জাতিতে রূপান্তর করা।  প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো বিকাশ করেছি, আমরা আমাদের সমস্ত সরকারি পরিষেবাগুলোকে ক্লাউড ফার্স্ট অ্যাপ্রোচের ভিত্তিতে তৈরি করেছি। ডিজিটাল সরকারি পরিষেবা প্রদানে ওরাকলের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রথম সরকারি ক্লাউড, যা ওরাকলের সাথে অংশীদারিত্বে আমরা চালু করেছি। আমাদের পরিষেবাগুলোকে নির্বিঘ্নে প্রদান করা এবং নিরাপত্তাসহ ক্লাউড স্টোরেজ, প্রসেসিং সুবিধা এবং এই সমস্ত এআই ফিউশন সুবিধায় ওরাকলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে অগ্রাধিকারে রয়েছে ৩ খাত: পলক
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে তিনটি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেসিস) পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন তিনি। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ভীষণ ২০৪১-এর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় মূল স্তম্ভ ঘোষণা করেছেন। এগুলো হলো স্মার্ট নাগরিক তৈরি করা, অর্থনীতি, সরকার ও স্মার্ট সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ তিনটি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। গত ১৪ বছরে আমরা ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। ১৩ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।’ এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদন প্লান্ট পরিদর্শন করেন। পরে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতের সেবার মান আরও বাড়াতে এবং টেলিফোন শিল্প সংস্থাকে আরও এগিয়ে নিতে নানা পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের জন্য ৩৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। এতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি নাটোর-৩ (সিংড়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহীর নাটোরের সিংড়া উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন। জুনাইদ আহমেদ পলক ১৯৮০ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের নাটোর জেলার সিংডা উপজেলার সেরকোল তেলিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়েজ উদ্দিন ও মায়ের নাম জামিলা আহমেদ। তার স্ত্রীর আরিফা জেসমিন (কনিকা)।  অপূর্ণ জুনাইদ, অর্জুন জুনাইদ ও অনির্বাণ জুনাইদ নামে তাদের তিন সন্তান রয়েছে। ১৯৯৫ সালে সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৭ সালে রাজশাহী ওল্ড ডিগ্রি কলেজ (বর্তমানে রাজশাহী কলেজ নামে পরিচিত) থেকে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।  জুনাইদ আহমেদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। রাজনৈতিক জীবন বাবা মরহুম ফয়েজ উদ্দিনের পথ ধরেই ২০ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ২৮ বছর বয়সে ২০০৮ সালে সিংড়া থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তিনি। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জুনাইদ আহমেদ পলককে ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬ মনোনীত করে। ৪০ বছরের কম বয়সী তরুণদের নাম প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। ইয়াং বাংলা ও সিআরআইয়ের অন্যতম কাণ্ডারি তিনি। ২০১৮ সালে বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণী সংস্থা অ্যাপলিটাকলে প্রকাশিত ডিজিটাল গভর্নমেন্টে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পান তিনি।
১১ জানুয়ারি, ২০২৪
X