দ্বাদশ জাতীয় সংসদের জন্য ৩৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। এতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি নাটোর-৩ (সিংড়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর আগে অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহীর নাটোরের সিংড়া উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক ১৯৮০ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের নাটোর জেলার সিংডা উপজেলার সেরকোল তেলিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়েজ উদ্দিন ও মায়ের নাম জামিলা আহমেদ। তার স্ত্রীর আরিফা জেসমিন (কনিকা)। অপূর্ণ জুনাইদ, অর্জুন জুনাইদ ও অনির্বাণ জুনাইদ নামে তাদের তিন সন্তান রয়েছে। ১৯৯৫ সালে সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৭ সালে রাজশাহী ওল্ড ডিগ্রি কলেজ (বর্তমানে রাজশাহী কলেজ নামে পরিচিত) থেকে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
জুনাইদ আহমেদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।
রাজনৈতিক জীবন
বাবা মরহুম ফয়েজ উদ্দিনের পথ ধরেই ২০ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ২৮ বছর বয়সে ২০০৮ সালে সিংড়া থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তিনি।
২০১৬ সালের মার্চ মাসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জুনাইদ আহমেদ পলককে ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬ মনোনীত করে। ৪০ বছরের কম বয়সী তরুণদের নাম প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। ইয়াং বাংলা ও সিআরআইয়ের অন্যতম কাণ্ডারি তিনি। ২০১৮ সালে বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণী সংস্থা অ্যাপলিটাকলে প্রকাশিত ডিজিটাল গভর্নমেন্টে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পান তিনি।
মন্তব্য করুন