ডামি নির্বাচন কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না : রাশেদ খান
গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর নাইটিংগেল মোড় এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করে দলটি। পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে গণঅধিকার পরিষদ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আওয়ামী লীগ আমি ও ডামির নির্বাচন করছে। এ নির্বাচন ৬২টি রাজনৈতিক দল বর্জন করেছে। জনগণও ভোটকেন্দ্রে যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু জনগণকে ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্র নেওয়ার জন্য আওয়ামী ভয় দেখাচ্ছে, এনআইডি কার্ড ও ভাতা সুবিধা বাতিলের হুমকি দিচ্ছে। বিরোধীদলবিহীন ডামি নির্বাচন দেশ-বিদেশের কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।  তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমেরিকার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। তাদের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল সংলাপ, সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে। কিন্তু সেটি করা হয়নি। বরং জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছাড় দিয়ে নির্বাচনে নিয়েছে। গতকাল জি এম কাদের বলেছে, তাদের কোনো আসন ছাড় দেওয়া হয়নি। কিন্তু আসন ছাড়ের বক্তব্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।  তিনি আরও বলেন, এটা ১৪ কিংবা ১৮ সাল নয়। এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে ২০২৪ সালে। এখনকার জনগণ অত্যন্ত সচেতন। আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে একতরফা নির্বাচন হওয়ায়, সেখানকার শতাধিক এমপির ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। বাংলাদেশে একতরফা ডামি নির্বাচন হলে এখানেও ৩০০ এমপির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এমপি মন্ত্রীদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করে, অনেকের ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আসলে পড়াশোনা ও ব্যবসা বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে যাবে।  আওয়ামী লীগ যে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্ভিক্ষের গল্প শোনাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন সরকার কর্তৃক অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও গার্মেন্টসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসলে, তার মূল ভুক্তভোগী হবে দেশের জনগণ। সুতরাং সরকারকে বলব, দেশ ও জনগণের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকলে, একতরফা নির্বাচন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিন। এখন সময় আছে, বিরোধীদলগুলোকে ডাকুন, বসুন, আলোচনা করুন। একটা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করুন। আমরাও ভোটকেন্দ্র যেতে চাই, নির্বাচন করতে চাই, ভোট দিতে চাই। অন্যথায় একতরফা নির্বাচনের পরিণতি ভালো হবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল।  আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সম্রাট, উচ্চতর পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন আকাশ, ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানসহ দলের নেতাকর্মীরা।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : জেএসডি
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ পাঁচ বছর এবং আবারও একতরফা নির্বাচন বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পল্টন মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিজয়নগর কালভার্ট রোড হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, বর্তমান সরকারের ৩টি সাফল্য ইতিহাসে উজ্জ্বল স্বাক্ষর হয়ে থাকবে। সেগুলো হলো- ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়’ নির্বাচন, ‘রাতের ভোটের’ নির্বাচন এবং ‘ডামি’ নির্বাচন। আসন্ন ডামি নির্বাচনে সংকট আরও ঘনীভূত হবে, দেশ বৈশ্বিক জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে পারে। সমাবেশে দলের সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেএসডির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান,অ্যাডভোকেট সৈয়দা ফাতেমা হেনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সামছুল আলম নিক্সন, মোশারফ হোসেন মন্টু, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, আবদুল মান্নান মুন্সি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম, এম এ আউয়াল, মোহাম্মদ মোশতাক প্রমুখ।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান রিজভীর
সরকার ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন করছে—মন্তব্য করে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণকালে তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। এটি একটি ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন, এটি একটি ইমিটেশনের নির্বাচন। ভোটারদের প্রতি আহ্বান—এই ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। ভোটের দিন ঘরে থাকুন, ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে এ অবৈধ নির্বাচনকে না বলুন। এ নির্বাচন জনগণের নয়—মন্তব্য করে রিজভী বলেন, জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি ডামি নির্বাচন করে সরকার বিদেশিদের দেখাতে চায় দেশে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। তারা যত ষড়যন্ত্র করুক না কেন, লাভ হবে না, সরকার পার পাবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম প্রমুখ। পরে বিকেলে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, এ সরকারের একটাই লক্ষ্য—৭ জানুয়ারি একটি তথাকথিত ডামি ভোটার উপস্থিতির অভিনব নির্বাচন দেখিয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার খড়গ এবং অনিবার্য পতন থেকে আত্মরক্ষা করা। তবে ভোটকেন্দ্রে ভোটার আসবে—এমন নিশ্চয়তা পাচ্ছে না।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

ডামি নির্বাচন ঘিরে রং-তামাশা চলছে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারির একদলীয় ডামি নির্বাচন ঘিরে রীতিমতো রং-তামাশা চলছে। নৌকা-ডামির কামড়াকামড়ি, গোলাগুলি, খুনোখুনি, সংঘাত-সহিংসতায় জনপদগুলো বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সরকারি কর্মকর্তারাও নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, দেশের জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান গণতন্ত্র হত্যার এই পাতানো নির্বাচনে কেউ ভোট দেবেন না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইন কেটে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ইখতিয়ার কবিরকে জড়িয়ে পুলিশের বক্তব্য অসত্য। পুলিশের দুরভিসন্ধিমূলক ও কল্পিত নির্দেশনার এমন নাটক তারা নিয়মিত করছে। এ পর্যন্ত যারা ধরা পড়েছে, তাদের অনেকে সরকারি দলের লোকজন। আগুনসন্ত্রাস আওয়ামী লীগের মজ্জাগত। বিএনপি সহিংসতা ঘৃণা করে।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

ডামি নির্বাচন সফলে পুলিশকে ব্যবহার করছে সরকার : গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকার ডামি নির্বাচন করতে এবং বিরোধীদলের আন্দোলন দমনে পুলিশ-প্রশাসনকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘একতরফা’ ভোট বর্জনের আহবানে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তারা। নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম। গণতন্ত্র মঞ্চের ধারাবাহিক প্রতিবাদী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ দিন মতিঝিল থেকে ধূপখোলা পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচি ছিল। সে অনুযায়ী গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে নেতারা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে মঞ্চের নেতারা মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় এবং হামলা চালায় বলে নেতারা অভিযোগ করেন। এতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। এর আগে সমাবেশস্থলে আসার পথে জেএসডির মিছিলে কয়েক দফায় বাধা ও ব্যানার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা জেএসডির মিছিলে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে ভোটাররা উৎসব করে ভোট দিতে যায়। অথচ সামাজিক নিরাপত্তাভোগীদের কার্ড জমা রেখে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চাচ্ছে সরকার। তারা আরও বলেন, সরকার একটা ডামি নির্বাচন আয়োজন করতে পুলিশ, প্রশাসনকে দলীয় অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার করছে। পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীকে দিয়ে আওয়ামী লীগ এখন জনগণকে জোর করে ভোটকেন্দ্রে নিতে চায়। এই সরকারের ঐতিহাসিক পরিণতির জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে, লক্ষ কোটি টাকা লুট হয়েছে। রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করুন। অর্থমন্ত্রীর দেখা নেই বাজেটের পর থেকে। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশ আরও বিপদে পড়বে। এর জন্য দায়ী থাকবেন বর্তমান সরকার। নেতারা স্পষ্ট করে বলেন, অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিন। সব দলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানের ১২৩ (৩) এর (খ) অনুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করুন। অন্যথায় দেশকে ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধার করা যাবে না। নেতারা জানান, ‘একতরফা’ ভোট বর্জনের আহবানে গণতন্ত্র মঞ্চ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় মালিবাগ হোসাফ টাওয়ারের সামনে সমাবেশ ও মগবাজার অভিমুখে গণসংযোগ-মিছিল করবে। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ প্রমুখ।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করুন: রিজভী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি‘ আখ্যা দিয়ে তা বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনকে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড ও বেইলি রোড এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ আহ্বান জানান।   বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা গতকাল সিলেটে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি যে ভাষায় কথা বলেছেন তা হলো সন্ত্রাসীদের ভাষা। তিনি বলেন, আপনার এত সাহস থাকলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন না কেন? কারণ জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে আপনাদের প্রার্থীদের জামানত থাকবে না। রিজভী আরও বলেন, রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে ডামি নির্বাচন, নিজেরা নিজেরা নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বাহাদুরি করার কিছু নেই। জনগণ এ ধরনের একতরফা নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। অবৈধ সরকার একটি একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।  তিনি বলেন, এটা কোনো নির্বাচন নয়। এটা একটা প্রতারণা ও জনগণের সঙ্গে তামাশা করা। এই নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে, তারা চিরকালের জন্য মীরজাফর এবং দালালে পরিণত হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরকার পতনের একদফা দাবিতে ভোট বর্জনের আহ্বানের পাশাপাশি অসহযোগ আন্দোলনের যে ডাক দিয়েছেন, দেশবাসীকে সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স, ইউটিলিটি বিল প্রদান স্থগিত ও মামলার হাজিরা না দিয়ে সরকারকে অসহযোগিতার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা সফল করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান রিজভী।   এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব মো. আব্দুর রহিম, সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহবুব, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন।  আরও উপস্থিতি ছিলেন দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক মিয়া, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দা সুমাইয়া পারভীন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি শাহাবুদ্দীন ইমন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, ডা. মুনতাসির, রাজ, আইএইচটি সাবেক সদস্য সচিব রাফসান হোসেন, বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সম্পাদক হৃদয়সহ নেতারা।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ডামি নির্বাচন জাতি মানবে না : বাম ঐক্য
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় থাকতে রাজনৈতিক দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে ফের একতরফা, ডামি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশবাসী, জাতি এই ধরনের কোনো নির্বাচন মানবে না।  তারা আরও বলেন, একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক সব রাজনৈতিক দল একযোগে আন্দোলন গড়ে তুলবে। আন্দোলন ক্রমেই বেগবান হবে এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটবে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে মেহেরবা প্লাজার সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের এক বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন নেতারা। এর আগে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর দেশব্যাপী চলমান অবরোধের সমর্থনে মেহেরবা প্লাজার সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে মেহেরবা প্লাজার সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান। সরকার ও সরকারি দলের উদ্দেশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতারা বলেন, এখনও সময় আছে, গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলবতের কার্যকারী ব্যবস্থা নিন। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে এর কোনো বিকল্প নেই।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

ডামি নির্বাচন করতে দেব না: গণতন্ত্র মঞ্চ
ডামি নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ফের ক্ষমতায় থাকতে ডামি ও একতরফা তামাশার নির্বাচন করে দেশকে দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে; কিন্তু এ দেশে কোনো ডামি, তামাশার নির্বাচন আমরা করতে দেব না। জনগণও এমন হতে দেবে না। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা জানান নেতারা। এর আগে অবরোধ সমর্থনে তোপখানা রোড থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল শুরু হয়। মিছিল নিয়ে দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, পুরানা পল্টনে সড়ক হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন প্রমুখ। এ ছাড়া নওয়াব আলী আব্বাস, শাহাদাত হোসেন সেলিম ও রাশেদ প্রধানের নেতৃত্বে ১২ দলীয় জোট, ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, লেবার পার্টির মতো জোট ও সংগঠন বিজয়নগর ও নয়াপল্টনে পৃথক মিছিল করে।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

ডামি নির্বাচন করতে দেব না: গণতন্ত্র মঞ্চ
ডামি নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ফের ক্ষমতায় থাকতে ডামি ও একতরফা তামাশার নির্বাচন করে দেশকে দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে; কিন্তু এ দেশে কোনো ডামি, তামাশার নির্বাচন আমরা করতে দেব না। জনগণও এমন হতে দেবে না। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল-পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা জানান নেতারা। এর আগে অবরোধ সমর্থনে তোপখানা রোড থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল শুরু হয়। মিছিল নিয়ে দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড, পুরানা পল্টনে সড়ক হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন প্রমুখ। এ ছাড়া নওয়াব আলী আব্বাস, শাহাদাত হোসেন সেলিম ও রাশেদ প্রধানের নেতৃত্বে ১২ দলীয় জোট, ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, লেবার পার্টির মতো জোট ও সংগঠন বিজয়নগর ও নয়াপল্টনে পৃথক মিছিল করে।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
X