ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হকের আড়াই ঘণ্টা
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে ছিলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। পুরো সময় তিনি ডিএমপির ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কক্ষে অবস্থান করেন বলে জানা গেছে। রাত প্রায় পৌনে ৮টার দিকে বেরিয়ে যান মামুনুল। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ডিবি কার্যালয়ে তার অবস্থান করা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। যদিও এ বিষয়ে ডিবি কর্মকর্তারা মুখ খুলছেন না। তবে মামুনুল হক দাবি করেছেন, তাকে গ্রেপ্তারের সময় তার মোবাইল ফোনটি ডিবি হেফাজতে ছিল। তিনি সেটিই নিতে এসেছিলেন। ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মামুনুল হক বলেন, ‘আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন মামলার আলামত হিসেবে মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজকে ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।’ মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নে হেফাজতের এই নেতা কোনো উত্তর না প্রাইভেটকারে ডিবি কার্যালয় এলাকা ছেড়ে যান। মামুনুল হকের ডিবি কার্যালয়ে আসার বিষয়ে ডিবি কর্মকর্তারাও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা বলেননি। পরে বিষয়টি জানতে ডিবিপ্রধানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় এক নারীর করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও অর্ধশতাধিক মামলা হয়। এসব মামলায় জামিন হলে ৩ মে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
১৯ মে, ২০২৪

চাঁদপুরে ৫ ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক
চাঁদপুর সদরের রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড থেকে পাঁচজন ভুয়া ডিবিকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে মধুরোধ রেলস্টেশনের পাশে সিএনজিযোগে এসে লোকজনের পথ অবরুদ্ধ করে তল্লাশি করার সময় তাদের আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার এএসআই জসীম উদ্দিন। রামপুরের মধুরোড রেলস্টেশন এলাকার দোকানি অলী আহমদ বেপারী জানান, রেলস্টেশনের ক্যানটিনের পাশে পাকা রাস্তার ওপর চাঁদপুর-থ-১১৪২২৫ নাম্বার প্লেটের সিএনজি নিয়ে ওত পেতে ছিল ৫ যুবক। তাদের সকলেই ডিবির পোশাক পরেছিল। তারা নানা স্থানে লোকজনকে আটক করে এখানে এসে অবস্থান নেয়। তাদের আচার আচরণে সন্দেহ দেখে সবাই অবরুদ্ধ করে পুলিশকে খবর দেয়। থানা পুলিশ সূত্র জানায়, আটককৃতরা হচ্ছেন ফরিদগঞ্জের পশ্চিম গোবিন্দিয়ার ইলিয়াস কাজীর ছেলে নাজির হোসেন (৩৬), শাহরাস্তির উয়ারুকের ফকির বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে মহিবুল ইসলাম (৩০), মতলব দক্ষিণের গোবিন্দিয়া পিংড়ার মিলন খানের দিদার খান (৪২), মতলব দক্ষিণের ভাংগারপার এলাকার সোহরাব উদ্দিনের ছেলে শরিফুল্লা প্রদানিয়া (৪০) এবং চাঁদপুর সদরের মান্দারি এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে খোকন সর্দার (৪০)। স্থানীয়রা জানান, এই ৫ জন এর আগেও সিএনজিযোগে এসে লোকজনকে ডিবির নাম ব্যবহার করে বোকা বানিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করে প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদাবাজি করেছে। আজকেও কয়েক জায়গায় এরা লোকজনকে হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর মধুরোড রেলস্টেশন এলাকায় এসে তরুণ যুবকদের তল্লাশিকালে অনেকের সন্দেহ হয় এবং তাদেরকে অবরুদ্ধ করা হয়। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই জসীম উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা খবর দিলে আমরা ডিবির এপ্রোন পরা অবস্থায় তাদের পাই। পরে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে ওরা যে ভুয়া ডিবি সেজে মানুষ হয়রানি এবং প্রতারণা করছিলে তার সত্যতা পাই। পরে ওদেরসহ সিএনজিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসি। এদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন সঙ্গে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৬ মে, ২০২৪

আসামি ধরতে গিয়ে নারী শিশুকে মারধর ডিবি পুলিশের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে বাড়ির নারী ও শিশুদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, এক নারীর মাথায় পিস্তল তাক করেছেন ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নূরুল আলম নূরুর বিরুদ্ধে মাস খানেক আগে সদর থানায় ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ আত্মসাতের মামলা হয়। এতে অভিযোগ আনা হয়, নূরুল আলম সৌদি আরব থেকে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তির স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি। এ ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে এনামুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সেই মামলায় গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে প্রবাসী নূরুল আলম বাড়িতে আছেন—এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ধরতে সাদা পোশাকে অভিযানে যান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রেজাউল করিমসহ কয়েকজন। এ সময় নূরুল আলমের বাড়িতে তার ভাতিজার সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠান চলছিল। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, সাদা পোশাকে ডিবি পরিচয়ে একদল লোক নূরুলকে খুঁজতে বাসায় আসে। তারা তাকে না পেয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এ সময় অনুষ্ঠানে আসা বাড়িতে উপস্থিত নারীসহ অন্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তারা নূরুল আলমের স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ বাবাসহ পরিবারের অন্যদের মারধর করে। একপর্যায়ে প্রবাসীর স্ত্রী বন্যার কপালে পিস্তল তাক করে রাখেন এসআই রেজাউল করিম। ঘটনার সময় উপস্থিত নূরুল আলমের ভাই সারোয়ার আলম বলেন, ‘সাদা পোশাকে যাওয়া লোকজন বাড়িতে প্রবেশ করেই তার ভাইকে খোঁজ শুরু করে। ভাই বাড়িতে নেই বলা হলেও তারা মানতে নারাজ। এ সময় সাদা পোশাকে আসা লোকজন নূরুল আলমের স্ত্রী বন্যা বেগমসহ কয়েকজনকে মারধর করে। নিশাত নামে ৯ বছরের এক শিশুও তাদের মারধর থেকে রক্ষা পায়নি। আমার ওপরও হামলা হয়। এ সময় মোবাইল ফোনে করা কিছু ভিডিও তারা কেটে দিয়ে যায়।’ এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাদা পোশাকে আসা লোকজন পিস্তল তাক করার পাশাপাশি গুলিও করেছে। গুলির খোসাও আমাদের কাছে আছে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে খোসা কার।’ নূরুল আলমের স্ত্রী বন্যা বলেন, ‘ডিবি পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছ থেকে আলমারির চাবি নেয়। এ সময় তারা তল্লাশি করে কিছু পায়নি। কিন্তু আমাদের ঘরে থাকা প্রায় ৫ লাখ টাকাসহ গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি দেখে চিৎকার করায় শিশু নিশাতের মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয় এবং সুন্নতে খতনা করা ভাতিজাকে থাপ্পড় মারে। প্রতিবাদ করায় তারা আমার কপালে পিস্তল ঠেকায় এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’ অভিযোগের বিষয়ে জেলা ডিবির এসআই রেজাউল করিম বলেন, ‘বাদীপক্ষ বিষয়টি আমাদের জানালে প্রথমে পরিদর্শক মোফাজ্জল আলী একজন কনস্টেবলকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আমি যাই। দূর থেকেই ওই বাড়িতে চিল্লাফাল্লা শুনছিলাম। আমি যাওয়ার পর তারা খারাপ আচরণ করে। আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। আমার হাতে পিস্তল ছিল। তবে কারও দিকে তাক করিনি। কাউকে মারধরও করা হয়নি।’ এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোনো অফিসার আসামি ধরতে গিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকালেন ডিবি কর্মকর্তা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে পিস্তল তাক করে বাড়ির নারী ও শিশুদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে। শনিবার (১১ মে) এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক নারীর মাথায় পিস্তল তাক করে আছেন ডিবির এক কর্মকর্তা। এর আগে শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী নূরুল আলম নূরুর বিরুদ্ধে মাসখানেক আগে সদর থানায় মামলা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় নুরুল ইসলাম সৌদি থেকে আরেকজনের স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি। শুক্রবার বিকেলে নুরুল ইসলাম বাড়িতে থাকার খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়িতে উপস্থিত নারীসহ অন্যদের সঙ্গে পুলিশে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশকে পিস্তল তাক করতে দেখা যায়। তবে আসামি না পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে চলে আসে। ঘটনার সময় উপস্থিত নূরুল আলমের ভাই সারোয়ার আলম অভিযোগ করে বলেন, সাদা পোশাকে যাওয়া লোকজন বাড়িতে ঢুকেই ভাইকে খোঁজ করতে থাকে। ভাই বাড়িতে নেই বলা হলেও তারা বিষয়টি মানতে চাননি। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ভাইয়ের স্ত্রী বন্যা বেগমসহ কয়েকজনকে মারধর করে। নিশাত নামে ৯ বছরের এক শিশুও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এমনকি তার ওপরও হামলা হয়। এ সময় মোবাইল ফোনে করা কিছু ভিডিও তারা কেটে দিয়ে যায়।  তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণসংক্রান্ত বিষয়ে মামলা হয়েছে। স্বর্ণ আমার ভাই আনেনি। অন্যের মাধ্যমে আমার ভাইয়ের কাছে দেওয়া হয় বলছে তারা। আমার ভাইকে ধরতে হলে কেন আমাদের বাড়িতে এভাবে হামলা হবে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানিয়েছি। আদালতে এ নিয়ে মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুলিশ পিস্তল তাক করার পাশাপাশি গুলিও করেছে। গুলির খোসাও আমাদের কাছে আছে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে খোসা কার।’  ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, বাদী পক্ষ বিষয়টি আমাদের জানালে প্রথমে পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোফাজ্জল আলী একজন কনস্টেবলকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আমি যাই। দূর থেকেই ওই বাড়িতে চিল্লাচিল্লি শুনছিলাম। আমি যাওয়ার পর তারা খারাপ আচরণ করে। আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। তিনি বলেন, আমার হাতে পিস্তল ছিল। তবে কারো দিকে তাক করিনি। কাউকে মারধর করা হয়নি। আমাদের টার্গেট যেহেতু আসামি ধরা সেহেতু সেই লক্ষ্যেই আমরা এগুচ্ছি। যে কারণে তখন আমরা অ্যাকশনে যাইনি। এসআই রেজাউল করিম আরও বলেন, মামলার তদন্তভার আমাদের হাতে। মূল আসামির বিরুদ্ধে প্রায় ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ আত্মসাতের অভিযোগ আছে। মামলা হওয়ার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। সদর উপজেলা বিশ্বরোড এলাকার বাদী এসে বাড়িতে আসামির অবস্থানের কথা জানালে সেখানে যাওয়া হয়। ডিবির ওসি মো. আফজাল হোসাইন কালবেলাকে বলেন, আসামি ধরতে গিয়ে ওই বাড়িতে সমস্যা হয়। তবে যেহেতু কোনো পুলিশ আহত হননি সে কারণে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গুলি করা কিংবা পিস্তল তাক করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
১২ মে, ২০২৪

টর্চার সেলে অমানবিক অত্যাচার করতেন মিল্টন সমাদ্দার : ডিবি
প্রতারণা ও নানা অনিয়মে গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার তার আশ্রমে থাকা অসহায়দের পেটাতেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার মাদকসেবী এবং তিনি ইয়াবা সেবন করতেন। নিজেই ইয়াবা সেবনের কথা স্বীকার করেছেন। তার টর্চার সেলে অত্যাচারের মাত্রা ছিল অমানবিক। সোমবার (৬ মে) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হারুন অর রশীদ।  ডিবিপ্রধান বলেন, একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি ছাড়া শিশু ও বৃদ্ধদের এভাবে কেউ পেটাতে পারে না। তার পেটানোর চিত্র এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি বলেন, মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারিত করে বৃদ্ধ, অনাথ শিশু ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের পুঁজি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা কামাচ্ছিলেন মিল্টন। এই টাকাগুলো মিল্টনের অ্যাকাউন্টে জমা হলেও অসহায় মানুষদের জন্য তিনি খরচ করেননি। তিনি হাসপাতালে না নিয়ে নিজেই চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। হারুন অর রশীদ বলেন, এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সবগুলো অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মিল্টন স্বীকার করেছেন তার অপারেশন থিয়েটারের কথা। যেখানে সে এই কাটাছেঁড়া করতেন। সেই সঙ্গে টর্চার সেলের কথাও জানা গেছে। যেখানে সে এসব অসহায় মানুষদের পেটাতেন। এদিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের আরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। উঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এ বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৬ মে, ২০২৪

ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, পুলিশ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার পর স্থানীয়রা গোদাগাড়ীর প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আনোয়ারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় উত্তেজিত জনতা ইটপাটকেল মেরে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। অবরুদ্ধ এএসআইকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় তারা। শনিবার (৪ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গোগ্রাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের শিকার যুবকের নাম সোহান। তিনি গোগ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী মুর্ত্তজার ছেলে। সোহানের অভিযোগ, রাত ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে সামনের মোড়ে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিল। এই সময় দুটি মোটরসাইকেলে চারজন এসে নিজেরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর নাম জিজ্ঞাসা করে। নাম ঠিকানা বলার পর সোহানকে জোর করে মোটরসাইকেল তুলে নেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর সোহানের হাতে হ্যান্ডক্যাপ পরানো হয়। এরপর তাকে প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তারা বলে তোর বাপকে ফোন দিয়ে টাকা আনতে বল, নইলে মাদক মামলায় চালান দিয়ে দিব। এই সময় আমার ফোনে বারবার কল আসছিল। কিন্তু তারা ফোনে কথা বলতে দেয়নি। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসন্তপুর-খেতুরধামের রাস্তায় ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দিয়ে যায়। সেখান থেকে তিনি একা গোগ্রাম বাজারে চলে যান। গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সোহানকে অপহরণের পর এএসআই আনোয়ার সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে যান। সেখানে স্থানীয় লোকজন তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে প্রেমতলী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওসমান অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনতার ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে ৭-৮ জন আহন হন। পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে লোকজন। এতে পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে গোদাগাড়ী থানার ওসি আব্দুল মতিন ও গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। মজিবুর রহমান আরও বলেন, উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছে সোহানকে ফেরত চান। এ সময় সোহানের মোবাইল ফোনে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ওসি আব্দুল মতিন। এর পর তারা সোহানকে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি জানতে চাইলে এএসআই আনোয়ার বলেন, সোহানকে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে আমি জানি না। শনিবার রাতে আমার ডিউটি শেষে গোগ্রাম বাজার পার হয়ে কিছুটা গেলে কয়েকজন এসে আমার সঙ্গে কথা বলেন এবং সোহানের বিষয়ে জানতে চান। এ সময় অনেক লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরে আমি প্রেমতলী কেন্দ্রের ইনচার্জকে ফোন করে বিষয়টি জানাই। তবে রাতে সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে কেন গিয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান। ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, রাতেই পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। সোহানকে কারা অপহরণ করেছে সেটি তদন্ত করে বের করার জন্য বলেছি। এ সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছি। গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, কারা সোহানকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাঁদা দাবি করেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও গুরুত্বসহকারে দেখছেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
০৫ মে, ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে ভয়ংকর সব তথ্য পাচ্ছে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসছে ভয়ংকর সব তথ্য। সংবাদ সম্মেলন করে মিল্টনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। তিনি জানিয়েছেন, কোন ধরণের জানাজা ছাড়াই রাতের আধারে দাফন করা হতো মরদেহ। যত মানুষ মারা গেছে তার সবকিছু নিয়ে জবাবদিহি করতে হবে মিল্টন সমাদ্দারকে। ডিবি প্রধান বলেন, যারা তার আশ্রমে মারা গেছে তাদের কোন চিকিৎসা করানো হয়নি। ভুয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে তাদের দাফন করা হয়েছে। এমনকি তার আশ্রমে থাকা অসহায় মানুষের হাত-আঙুল কেটে মিল্টন সমাদ্দার পৈশাচিক আনন্দ পেতেন বলেও জানান ডিবি প্রধান। এদিকে মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন ভুয়া মৃত্যু সনদ প্রদানের অভিযোগে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তখন এ মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। এ ছাড়া মানবপাচার আইনের আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান। এর আগে রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এ বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৫ মে, ২০২৪

মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে লোমহর্ষক তথ্য দিল ডিবি
প্রতারণা ও নানা অনিয়মে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের লোমহর্ষক তথ্য পেয়েছে ডিবি। মাদকাশক্ত মিল্টন মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রোববার (৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।  ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ সময় ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধে। মিল্টন একজন সাইকোপ্যাথ সে কীভাবে একজন মানবতার ফেরিওয়ালা হলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।  তিনি বলেন, মিল্টন বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী শিশু ও রোগাক্রান্তদের ধরে আনতেন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান নিতেন, যা এসব মানুষদের পেছনে খরচ করতেন না। বরং তারা অসুস্থ হলে নিজেই তাদের চিকিৎসার নামে অঙ্গ-প্রতঙ্গ কেটে ফেলতেন।  হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মিল্টন স্বীকার করেছেন তার অপারেশন থিয়েটারের কথা। যেখানে সে এই কাটাছেঁড়া করতেন। সেই সঙ্গে টর্চার সেলের কথাও জানা গেছে। যেখানে সে এসব অসহায় মানুষদের পেটাতেন।  এ ছাড়াও মিল্টনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন হারুন অর রশীদ। সংবাদ সম্মেলন শেষে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।  এর আগে শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৫ মে, ২০২৪

মিল্টনের অ্যাকাউন্টে কত টাকা, জানাল ডিবি
প্রতারণা ও নানা অনিয়মে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রোববার (৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।  এ সময় ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এতে ভয়াবহ ও রোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মাদকাশক্ত মিল্টন মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন।  তিনি বলেন, মিল্টন বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্তদের ধরে আনতেন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান নিতেন, যা এসব মানুষের পেছনে খরচ করতেন না। বরং তারা অসুস্থ হলে নিজেই তাদের চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফেলতেন।  সংবাদ সম্মেলন শেষে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে নেওয়া হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়েছে।  এর আগে শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৫ মে, ২০২৪

ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী
প্রতারণা ও নানা অনিয়মে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।  রোববার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে আসেন তিনি। জানা গেছে ডিবি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এর আগে শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গত বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে মিরপুরের পাইকপাড়া এবং বরিশালের উজিরপুরের সাধারণ মানুষজন। এ ছাড়া বুধবার রাতেই রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই ভুক্তভোগীদের অনেকে মিল্টনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ এবং ‘জীবনের ধাপে ধাপে প্রতারণা’ শিরোনামে দুটি সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক কালবেলা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে শুরু করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর মাঠে নামেন ডজন ডজন সাংবাদিক। ওঠে আসে তার একের পর এক ভয়ংকর প্রতারণার আর অপকর্মের তথ্য। প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ষাট লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট ছিল বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।
০৫ মে, ২০২৪
X