কমিটি গঠনের দুই মাসেও ক্যাম্পাসমুখী হতে পারেনি ঢাবি ছাত্রদল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার নতুন কমিটি ঘোষণার দুই মাস পার হতে চলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংগঠনটি ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেনি, এমনকি ক্যাম্পাসে প্রবেশই করতে পারছে না। কোনো কর্মসূচিতে না গিয়ে ক্যাম্পাসভিত্তিক কয়েকটি ঘটনায় শুধু প্রেস রিলিজ দিয়ে নিজেদের দায়মুক্ত রাখতে চাইলেও বিষয়টিকে কর্মীরা নতুন কমিটির দুর্বলতা হিসেবেই দেখছেন। তবে কমিটি বলছে, ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের দখলদারি ও আগ্রাসী মনোভাব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসহযোগিতা, ঈদের ছুটি এবং তাপদাহের কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। নেতাকর্মীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে গঠিত এই কমিটি ক্যাম্পাসমুখী না হয়ে দলের পার্টি অফিসমুখী হয়েছে। দুই মাস পার হতে চললেও কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠন ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কোনো দৃশ্যমান ও কার্যকরী কর্মসূচিই এখন পর্যন্ত হাতে নিতে পারেনি, এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎই করতে পারেনি।  এর আগে, গত ১ মার্চ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণেশ চন্দ্র রায় সাহসকে সভাপতি ও নাহিদুজ্জামান শিপনকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এই আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত শাখাটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাবি ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক মাত্র দুটি ঘটনায় শুধু প্রেস রিলিজ দিয়েছে সংগঠনটি।  সেগুলো হলো- রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিনসমূহে খাবারের মূল্যবৃদ্ধি ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহের প্রতিবাদ এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান। এছাড়া, গত ২৯ মার্চ ছাত্রলীগ-ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছিলো সংগঠনটি।  এর বাইরে, বিভিন্ন সময়ে দলীয় পার্টি অফিসে দৌড়াদৌড়ির পাশাপাশি রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত এক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নতুন কমিটি উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ ও ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান, সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের আত্মীয়স্বজনের মৃত্যুতে ৪টি শোক বিজ্ঞপ্তি এবং বিভিন্ন সময়ে বিএনপির কয়েকজন নেতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নিন্দা ও প্রতিবাদে বিবৃতি প্রদান করতে দেখা গেছে এই শাখার নতুন কমিটিকে। যেগুলো ঢাবি ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট কোন কর্মসূচি ছিল না। অভিযোগ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এক কর্মী কালবেলাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কাজ না হওয়াটা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দুর্বলতা এবং আমাদের জন্য অবশ্যই হতাশাজনক বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ে না যেতে পারাটা আমাদের মতো কর্মীদের মনোবলকে দুর্বল করে তুলছে বারবার।  তিনি বলেন, সংগঠন চালাতে হলে সেটার মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং ক্ষেত্র সব কিছুর প্রতি দৃষ্টি দিতে হয়। আমাদের মূল ক্ষেত্র হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানেই যদি আমরা নিষ্ক্রিয় থাকি, তাহলে সংগঠন এগোবে না, এটাই বাস্তবতা। এ নিয়ে আমরা হতাশ। নতুন কমিটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা বাড়ানো উচিত। এই মুহূর্তে পার্টি অফিসে গিয়ে পড়ে থাকলে শাখা সংগঠন বাঁচবে না। ক্যাম্পাসের বাইরে বসে বসে প্রেস দিলে সংগঠনের কার্যকারিতা থাকেনা। সংগঠনের নতুন কমিটিতে যারা দায়িত্বশীল আছেন এই ব্যাপারে তারা একটি কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে অতি শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করবে বলে আমরা আশা করছি। এক্ষেত্রে সংগঠনের সাবেক নেতৃবৃন্দ, এমনকি অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পরামর্শ নিয়েও কাজ করা যেতে পারে।  আরেক কর্মী বলেন, ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের জন্য যা করা প্রয়োজন, সংগঠন বা নতুন কমিটিকে তাই করতে হবে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সর্বোচ্চটা দিয়ে দাবী জানাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আছেন তাদেরকে পরিবেশ সংসদের মিটিং আহবান করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও মিছিল আয়োজন, একটি গণতান্ত্রিক দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করার জন্য সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে, সেটা হোক ঘোষিত বা অঘোষিত। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন কালবেলাকে বলেন, ঢাবি ছাত্রদলের কমিটি হওয়ার পরেই রমজান মাস শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রমজান মাসে রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম থাকে না। রোজার ঈদের পর তাপদাহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে গিয়েছে। সুতরাং কমিটি পাওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করার সুযোগ আমাদের এখনো তৈরি হয়নি। তারপরও আমরা রমজানে ক্যাম্পাসে খাবারের দাম কমানো ও মান বৃদ্ধি করার দাবি জানানো, ইফতার মাহফিল আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা, এবং শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা কথা বলেছি।  তিনি বলেন, রমজানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে আমরা ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম এবং তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে সহাবস্থানমূলক ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে আমরা আমাদের দাবিদাওয়া জানিয়েছি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে সেহেতু উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আমরা আবার যোগাযোগ করব, যেন আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হয়।  ঢাবি শাখার সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নানা ঘটনায় আমরা সশরীরে ও বিবৃতির মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দায়িত্বটা পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে রমজান মাস চলে আসায় সে মাসের আলাদা পরিবেশ ও ভাবগাম্ভীর্য অনুযায়ীই আমাদের কার্যক্রম কিছুটা ধীরস্থিরভাবে চালাতে হয়েছে। আবার ঈদের ছুটির পর ক্যাম্পাস খুলতে না খুলতেই হিটওয়েভের কারণে ক্যাম্পাস ছুটি দিয়ে অনলাইন ক্লাসে চলে যাওয়ায় ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টাও খানিক ব্যহত হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে- সেটা এখন সকলেরই জানা। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ প্রস্ততি নিয়ে সে ত্রাসকে গণতান্ত্রিক উপায়ে মোকাবেলা করে ক্যাম্পাসে নিজেদের স্বাভাবিক উপস্থিতি জানান দেয়ার জন্য, যাতে করে গণতন্ত্রপ্রেমী সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্তভাবে রাজনৈতিক চর্চার পূর্ণ স্বাধীনতা ফিরে পেতে পারে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কালবেলাকে বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যাম্পাসে সহাবস্থান এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্রদলের যে পথচলা সেটিকে আমরা ত্বরান্বিত করার পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়েছি। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সাংগঠনিক অনেক কাজ করেছে, ক্যাম্পাসে না যাওয়ার কারণে হয়তো সেটি দৃশ্যমান হয়নি। ক্যাম্পাসে যাওয়াসহ যাবতীয় সাংগঠনিক কাজ দৃশ্যমান করার জন্য আমরা তৎপরতা চালাচ্ছি।   কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কমিটির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি এবং তাদের ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক কার্যক্রম কেমন হতে পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর আমরা শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবো এবং উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করবো। তারপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা যেভাবে প্রয়োজন, সেভাবেই কাজ করবে।
০১ মে, ২০২৪

ঢাবি ছাত্রদল সভাপতিসহ ১১ জন রিমান্ডে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশসহ ১১ জনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অপর আসামিরা হলেন- হাজি বাহাউদ্দিন নোবেল, মো. জাকির হোসেন, মো. খন্দকার নজরুল ইসলাম, মো. সুমন, মো. রাকিবুল ইসলাম, মো. নুরুল আমিন পায়েল, মো. কায়কোবাদ হোসেন কবির, মো. লিটন হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর আলম। এদিন রাজধানীর নিউমার্কেট থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ মামলায় তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।  এ সময় তাদের কাছ থেকে নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে ছাপানো ৫০ হাজার লিফলেট, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, তাজা বোমা, গান পাউডারসহ নাশকতায় ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাবি ছাত্রদল সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ১১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অভিযোগে গতকাল বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, সোহেল ও পলাশকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী রাজধানীর কাঁটাবনে প্রাইম প্রিন্টারসে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজারের বেশি লিফলেট জব্দ করা হয়। রাতে সেখান থেকে আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ বলেন, রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে নাশকতার উদ্দেশ্যে তারা গান পাউডার মজুত করেছিল। এসব গান পাউডার দিয়ে দুইশর বেশি ককটেল বানানো যেত। এ ছাড়া পেট্রোল ও ২০টি ককটেল পাওয়া গেছে। জব্দ করা লিফলেট সম্পর্কে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি কেউ যেন ভোট দিতে না যায়, সেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছিল লিফলেটে। তারা রাষ্ট্রবিরোধী, সংবিধান ও দেশবিরোধী কাজ করছে।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

ডিবির অভিযানে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতিসহ আটক ১১
ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, ভয় সৃষ্টির জন্য ককটেল বিস্ফোরণসহ নানাবিধ নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম সোহেল (৩২) এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশসহ ছাত্রদল ও যুবদলের ১১ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে, নীলক্ষেত এলাকার একটি ছাপাখানা থেকে ৫০ হাজার লিফলেট, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, তাজা বোমা, গান পাউডারসহ নাশকতায় ব্যবহৃত নানা ধরনের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে তাদের আটক করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানায়, রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে নাশকতার উদ্দেশ্য এসব লিফলেট এবং গানপাউডার মজুত করেছিল। তিনি আরও জানান, এসব গানপাউডার দিয়ে ২০০টির বেশি ককটেল বানানো যেত। এ ছাড়া ২০টি ককটেল ও পেট্রোলবোমা পাওয়া গেছে। ৭ জানুয়ারি কেউ যেন ভোট দিতে না যায়, সেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছিল লিফলেটে। তারা রাষ্ট্রবিরোধী, সংবিধান ও দেশবিরোধী কাজ করছে। নাশকতার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও সতর্ক করেন ডিবিপ্রধান।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাবি ছাত্রদল নেতা ফারহান আরিফ গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারহান আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। গত মঙ্গলবার ঢাবির কার্জন হল এলাকা থেকে তাকে আটক করে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টে পাঠায় পুলিশ। জানা গেছে, মঙ্গলবার এক তরুণীকে নিয়ে ঢাবির কার্জন হল এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন ফারহান আরিফ। সেখানে তাকে চিনতে পেরে জেরা শুরু করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দিলে প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান তাকে শাহবাগ থানায় পাঠিয়ে দেন। তবে আটককারী শিক্ষার্থীরা কারা ছিলেন, তা জানা যায়নি। অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, ফারহান আরিফ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ দিচ্ছিল শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩
X