তরুণ লেগস্পিনারদের দেখলেন মোশতাক
লেগস্পিনারের অভাব বুঝতে শিখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রধান কোচ হয়ে আসার পর থেকে রিস্ট স্পিনার খুঁজতেই বেশি মনোযোগ বিসিবির। শুধু তাই নয়, প্রথমবার কোচ হিসেবে একজন রিস্ট স্পিনারকেই বেছে নিতে দেখা গেছে বোর্ডকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার তরুণ লেগস্পিনারদের সঙ্গে কাজ করলেন জাতীয় দলের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মোশতাক আহমেদ। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ইনডোরে ১৬ জন লেগস্পিনারকে নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের সিরিজ চলছে। আজ সিরিজের শেষ ম্যাচ। গতকাল বিশ্রামে ছিল দল। তাই তো সময় সুযোগ বুঝেই স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করতে এসে যান মোশতাক। এ সময় রিস্ট স্পিন নিয়ে তরুণদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন তিনি। ক্যাম্প নিয়ে বিসিবির গেম ডেভেলপম্যান্ট কোচ শাহেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘উনি (মোশতাক) আজ (গতকাল) আমাদের সবার সঙ্গে কাজ করেছেন। বেশিরভাগ কাজ হয়েছে কৌশলগত। আমাদের স্পিনারদের দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। প্রত্যেকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছে আলাদাভাবে। সামনে তাদের কী কী করণীয় তা বলেছেন।’ ২৫ জনের এই ক্যাম্পে গতকাল ৯ জন ছিলেন না। তবে অন্যরা সবাই মোশতাককে খুব কাছ থেকেই পেয়েছেন। জাতীয় দলের বাইরে এই স্পিনারদের সঙ্গে কাজের আরও সুযোগ থাকবে মোশতাকের। যদিও আপাতত বিশ্বকাপ সামনে রেখেই তার চুক্তি। তবে তরুণদের উদ্দেশে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন মোশতাক। শাহেদ মাহমুদের ভাষ্য মতে, ‘একটা ব্যাপারে তিনি বারবার জোর দিয়েছেন, এই স্পিনাররা এক-দুই মাসে পরিণত হবে না। ওদের যদি লম্বা সময় ধরে পরিচর্যার মধ্যে রাখা যায়, তাহলে ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব। আর ওদের গড়ে তোলার এটাই আদর্শ বয়স। তিনি এ কথাও বলেছেন, তিনি সবসময় এই লেগস্পিনারদের সঙ্গে কাজ করতে চান। যে কোনো সাহায্যের জন্য তার সঙ্গে যে কোনো সময় যোগাযোগ করতে বলেছেন।’ বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোয় লেগস্পিনার খুঁজে বেরিয়েছে। ৮০ জনের একটা তালিকায় তৈরি করে এনেছিলেন শাহেদ মাহমুদ। সেখান থেকে বাছাইকৃত ২০ জনকে নিয়ে আগামী ২ বছর চলবে বিশেষ অনুশীলন। প্রায় ১০ সপ্তাহের মতো বিভিন্ন ধাপে ধাপে হবে ক্যাম্প। শাহেদ মাহমুদ ছাড়া সেখানে কাজ করবেন মোশতাক। সিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইনাম মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, ‘আমরা শিগগিরই ক্যাম্প শুরু করব। শাহেদ মাহমুদের অধীনেই এই ক্যাম্প চলবে। যখন কোনো সুযোগ হবে তখন উনি (মোশতাক) এসে টিপস দেবেন।’ আপাতত একদিনের সুযোগে লেগ স্পিনারদের দেখে নিলেন মোশতাক।
১৩ ঘণ্টা আগে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় তরুণ সমাজকে যুক্ত করা জরুরি
জলবায়ু ও জলবায়ু পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কিন্তু এ বিষয়ে আমরা আসলে কতটুকু সচেতন? এ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মই বা কতটুকু জানে? এ বিষয়ে সবারই কি কিছু করণীয় আছে? এ বিষয়ে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আদৌ কি আমরা কোনো পরিকল্পনা করতে পেরেছি? বিশ্বনেতারা কি গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ আদৌ শূন্যে নামিয়ে আনতে পারবেন? সেক্ষেত্রে তরুণ সমাজের কি কোনো ভূমিকা আছে?- জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এ ধরনের নানা প্রশ্ন আমার মতো আশা করি অনেকের মনেই জন্ম নেয়।  প্রায় প্রতিদিনই আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব দেখতে পাচ্ছি। সাম্প্রতিক সময়ে (১ সেপ্টেম্বর, ২০২১) জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুসারে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে গত ৫০ বছরে বিশ্বে পাঁচগুণ মৃত্যু বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও দাবদাহের ফলে বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ২০ লাখ মানুষের। এ কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার কোটি ডলার। এছাড়া গত জানুয়ারিতে (২০২১) ১২ লাখ মানুষের ওপর চালানো জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কিত একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা মহামারির চেয়েও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি এখন তাৎপর্যপূর্ণ।  গ্লোবাল ক্লাইমেট ইনডেক্স অনুসারে ১৯৯৮-২০২১ সালে আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশের শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের শিকার হওয়ার অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম। অথচ করোনা মহামারির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের আলোচনা যেন অনেকটাই চাপা পড়ে গিয়েছিল। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার প্রয়াসে আগামী দিনগুলো সত্যিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বিশ্বকে বাঁচানোর পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সময় হাতে আর খুব বেশি নেই।  মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন দ্রুতহারে সাগর-পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং বরফ গলছে। সেই সাথে, জীবজন্তুর বিভিন্ন প্রজাতি তাদের আবাসস্থল বদলাচ্ছে। কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে বরফের আচ্ছাদন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে, পরিস্থিতি দিনকে দিন বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে (সূত্র: বিবিসি ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯)। ফলে আরও অনেক আগেই (২০১৯ সালে) পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতিসংঘ 'রেড-অ্যালার্ট’ জারি করেছিল।   সঙ্গত কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ গ্রহণের পর প্যারিসের জলবায়ু চুক্তিতে প্রত্যাবর্তনের কথা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতার কথাও গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেছিলেন।  আমরা জানি, ১ থেকে ১২ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো শহরে (স্কটল্যান্ড) জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ (কনফারেন্স অব দ্য পার্টি: জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ২৬তম সম্মেলন) অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের ওয়েবসাইটে মূলত চারটি অভীষ্ট অর্জনের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে: ১. চলতি শতকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন নিটশূন্য (নির্গমন ও শোষণের পরিমাণ একই রাখা) করা ও প্রাক-শিল্পযুগের তুলনায় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। এর জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি, বিশেষ করে কয়লা ব্যবহার বন্ধ করে সবুজ শক্তিতে দ্রুত স্থানান্তর হওয়া, বন ধ্বংস হ্রাস করা, বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে। ২. মানুষ ও প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা। এই অভীষ্ট অর্জনের জন্য বাস্তুতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধার, বন্যা প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো ও ঝুঁকি হ্রাসের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ৩. অর্থায়নের ব্যবস্থা করা। এর জন্য উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদান করার প্রতিশ্রুতি পালনের প্রয়োজন বলে বলা হয়েছে। ৪. একত্রে কাজ করা। প্যারিস রুল-বুক চূড়ান্তকরণ, সরকার, ব্যবসায়ী ও সুধীসমাজকে একত্রে কাজ করার মাধ্যমেই বর্ণিত অভীষ্ট অর্জন সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু করোনার কারণে বিশ্ব তোলপাড় হচ্ছে তাই নয়, তোলপাড় হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও। কারণ, জলবায়ুর অতি সামান্য যে পরিবর্তন ইতোমধ্যে লক্ষ্য করা গেছে, তার প্রাথমিক ক্ষতিকর প্রভাব পৃথিবীর মানুষকে সত্যি সত্যিই চমকে দিয়েছে। এ ধরনের একটি সময়ে কপ-২৬ আয়োজন সত্যিই খুব তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও এ ধরনের সম্মেলন নতুন কিছু নয়। কপ-২৬ মঞ্চে সব পক্ষকে কিছু ছাড় দিয়ে উল্লিখিত চারটি অভীষ্ট অর্জনে ইতিবাচক মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে। তা না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ পরিণতি মূলত মানবজাতিকেই ভোগ করতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা প্রতিনিয়ত আবহাওয়ার আচরণ পাল্টাতে দেখছি। আবহাওয়াটা কেমন যেন অস্থির- ঘনঘন নিম্নচাপ হচ্ছে, আমরা মুখোমুখি হচ্ছি ঘূর্ণিঝড়ের, অতিবৃষ্টি আর বন্যার। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজ-কর্ম, জনজীবন, অর্থনীতি কম-বেশি সবকিছুই।  গত নভেম্বর, ২০২০ থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি বিশেষ অবস্থা বা লা নিনা সক্রিয় হয়ে ওঠার কারণে সাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু এবং মেঘ বাংলাদেশের দিকে বেশি এসেছে। ফলে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুসারে দেশে এ বছর বৃষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগাম বন্যাও আমরা লক্ষ্য করেছি।   এছাড়া লা নিনার প্রভাবে এবারে শীতকালটাও আমরা ঠিকভাবে বুঝতে পারিনি। ব্যাপারটা কিছুটা আশ্চর্য মনে হলেও সত্যি যে, সাগর থেকে গরম বাতাস এসে আকাশ মেঘলা করে দিয়ে শীতকে কমিয়ে দিয়েছিল। পুঞ্জীভূত তাপের কারণে সাগরে লঘুচাপ ও নিম্নচাপ বেশি তৈরি হওয়ায় আবহাওয়াবিদরা এটাও অনুমান করেছিলেন যে, কালবৈশাখী ও বজ্রপাত আরও বাড়বে।   গত বছর বাংলাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বজ্রপাত ২০ শতাংশের বেশি হয়েছিল বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে। আর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে পূর্বের বছরগুলোর চেয়ে গত বছর বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর হারও ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রণালয় আরও অনেক আগেই বজ্রপাতকে ‘দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।  বাংলাদেশের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এমন নানামুখী পরিবর্তন ঘটছে। এককথায় পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় উষ্ণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এক সংকটজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে সব মানুষ। অবশ্য বহু বছর ধরেই পৃথিবীর গড় উষ্ণতা কখনো বেড়েছে কিংবা কখনো কমেছে। এসব পরিবর্তন ঘটেছে খুব ধীরে। একেক ধরনের পরিবর্তন হওয়ার জন্য দশ থেকে হাজার লক্ষ বছর কেটে গেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেসব পরিবর্তন ঘটেছে সেসব খুবই দ্রুত হচ্ছে।  বাংলাদেশে এর সাথে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু দিক- ভৌগোলিক অবস্থানগত অসুবিধা, সুশাসনের অভাব এবং প্রশাসনিক দক্ষতা ও নীতিমালা বাস্তবায়নে ঘাটতি, দুর্নীতি ও দুর্বলতাসমূহ। ফলে বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত সার্বিক বিপন্নতা ধীরে ধীরে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই খুব বেশি। ফলে দারিদ্র্য এবং সামাজিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগের পরিমাণ বাড়বে আরও বেশি। এসব নিয়েও বিভিন্ন সময়ে কম-বেশি গবেষণা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এবং সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ সম্পর্কিত গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।  গড় উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রাথমিক অবস্থা বর্তমান প্রজন্ম যেমন প্রত্যক্ষ করছে; তেমনি ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক প্রজন্ম জলবায়ুর কারণে পৃথিবীর ব্যাপক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করবে। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এ নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং সবাই এক জোট হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমিয়ে ফেলার জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।  নিঃসন্দেহে, জলবায়ু পরিবর্তন এক বৈশ্বিক সমস্যা। এ বিষয়ে স্থানীয়, জাতীয় পর্যায়ে কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবে যেমন অনেককিছুই হয়েছে, তেমনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবেও যেমন: প্যারিস চুক্তি, কিয়োটো প্রোটোকল ইত্যাদি। কিন্তু এতকিছুর পরও আমরা তরুণসমাজের সচেতনতা এক্ষেত্রে বৃদ্ধি করতে পারিনি, তাদের ভয়েস শোনার খুব-একটা তাগিদ আমরা অনুভব করিনি এবং সবচেয়ে  বড় কথা  এ সকল কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ তেমনভাবে আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। সাম্প্রতিক দু-একটি গবেষণার উদাহরণ দিলেই তা আরও সুস্পষ্ট হবে।   গত মার্চ (২০২১) মাসে গ্লোবাল ইয়ুথ ক্লাইমেট সামিটে ‘যুব ও জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ প্রসঙ্গ’ শিরোনামে একটি গুরুত্বপূর্ণ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। জরিপটি পরিচালনা করেছিল বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) ও সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ (সিইউএস)। আমি নিজেও সেই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কার্যক্রমে সিইউএস’র পক্ষ থেকে যুক্ত ছিলাম। জরিপে দেশের প্রত্যেক বিভাগের ১৮-৩৫ বছর বয়সী ২ হাজার তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করেছিল। জরিপের অন্যান্য ফলের পাশাপাশি জ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে যে ফলটি তুলে ধরা হয় সেটি আমাকে বিশেষভাবে অবাক করেছে। ফলে দেখা যায়- জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি শুনেছে ৯৭ ভাগ  তরুণ-তরুণী। তাদের মধ্যে ৫৩.৮৫ ভাগ এ সম্পর্কে ভালোভাবে বলতে পারে। এর মধ্যে আবার তৃণমূল পর্যায়ের (৫৯.৪৮ ভাগ ) অংশগ্রহণকারী এবং নারীদের (৫৬.০৯ ভাগ) হারই বেশি।  এছাড়া মাত্র ২৬.৮২ ভাগ তরুণ-তরুণী এ সম্পর্কিত সরকারি উদ্যোগ ও আইন সম্পর্কে জানে এবং ৪৮.৮৪ ভাগ তরুণ-তরুণী এ বিষয়ে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী ও তারা সহযোগিতা এবং পরামর্শ চায়।   “অন্যদিকে রাইজিং টু দি চ্যালেঞ্জ: ইউথ পারসপেকটিভস্ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এডুকেশন ইন বাংলাদেশ” শিরোনামে ইউনিসেফের সাম্প্রতিক (ফেব্রুয়ারি, ২০২১) আরেকটি গবেষণা ফল প্রকাশিত হয়। সেখানে তরুণদের জলবায়ু সম্পর্কে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অনুসন্ধান করা হয়।  দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশে পরিচালিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের ১৫-২৪ বছর বয়সী ৫,৫৮৬ জন তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করে। গবেষণার ফলে দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বলতে বা ব্যাখ্যা করতে পারবে এমন তরুণ-তরুণীর সংখ্যা ৫০ ভাগ। ৭৭ ভাগ তরুণ-তরুণী প্রায়ই বা মাঝেমাঝেই জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বিদ্যালয় থেকে জানতে পারে, পুরুষের তুলনায় নারীদের হার এক্ষেত্রে বেশি (৮১ ভাগ)।  ৫৪ ভাগ জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে আরও জানতে কিংবা শিখতে চান। ৫ ভাগ তরুণ-তরুণীর জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে কোনো ধরনের শেখার আগ্রহ নেই। আর ৬৫ ভাগ বিশ্বাস করেন এ বিষয়ে সরকারেরই সবচেয়ে বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।  ফলে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত নির্ভরযোগ্য এ সকল গবেষণা থেকে কয়েকটা বিষয় সুস্পষ্ট: এক. তরুণ-তরুণীদের মাঝে এ নিয়ে জানার আগ্রহ ও ঘাটতি আছে এবং তাদের এ সম্পর্কে জানাবার বা এ ধরনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার মতো কার্যক্রম আলাদাভাবে নেই বললেই চলে; দুই. এ বিষয়ে নিজেদের করণীয় জানা না থাকার কারণে সরকারের দিকে মুখাপেক্ষী অনেকেই এবং সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কেও বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীই কিছু জানেন না। তবে নারীদের এ বিষয়ে শেখার আগ্রহ ও অগ্রগতি লক্ষ্য করার মতো এবং নিঃসন্দেহে সম্ভাবনাময়। এছাড়া সংখ্যায় অল্প হলেও একদল তরুণ-তরুণী জলবায়ু সম্পর্কে কিছুই জানে না, কিংবা তাদের এ সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রমে একেবারেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।  পৃথিবীর জলবায়ু ক্রমেই পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ু প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হলেও এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহ সত্যিই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। কারণ এই পরিবর্তনের ব্যাপকতা অনেক। আর এই পরিবর্তনের জন্য মানবজাতি প্রত্যক্ষভাবে দায়ী তার যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য প্রমাণ ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। ফলে ধর্ম, বর্ণ, বয়স নির্বিশেষে সব মানুষই যদি না জানে তার কারণে জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে এবং কীভাবে সেটা ক্রমেই বাড়ছে। তাহলে জানার ঘাটতি কিংবা না জানানোটুকুই সমস্যাকে ধীরে ধীরে আরও বাড়িয়ে তুলবে।  সাম্প্রতিক সময়ে হাউ টু অ্যাভয়েড আ ক্লাইমেট ডিজাস্টার (জলবায়ু বিপর্যয় যেভাবে এড়ানো যায়) নামে বিল গেটসের নতুন বই সম্পর্কে গেটস নোটস ওয়েবসাইটে তিনি লিখেছেন: “জলবায়ু বিজ্ঞানের কল্যাণে পরিস্থিতি মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এখন প্রয়োজন বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা যাতে ভূমিকা রাখতে হবে অন্যান্য বিভাগকেও- পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ফিন্যান্স এবং অন্যান্য বিভাগ। … আপনি ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব, উদ্যোক্তা অথবা একজন ভোটার- যে-ই হয়ে থাকেন না কেন, আপনার ব্যস্ত জীবনে ফুরসত যত কমই হোক না কেন, তারপরও জলবায়ু দুর্যোগ এড়াতে আপনারও কিছু না কিছু করার সুযোগ রয়েছে। আর কিছু বলার নেই। আসুন কাজ শুরু করা যাক।” নিঃসন্দেহে কথাগুলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।  জলবায়ু ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলো তাই আমাদের সবাইকেই খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে। বিশেষভাবে জানতে হবে ও বুঝতে হবে তরুণ সমাজকে।  সাধারণভাবে জলবায়ু বলতে আমরা বুঝি, কোনো অঞ্চলে বিশ থেকে ত্রিশ বছরের আবহাওয়ার গড়কে। আবহাওয়ার মতো জলবায়ুরও অন্যতম উপাদান হলো তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত প্রভৃতি। দুটি ছোট অঞ্চলের জলবায়ু একেবারে একরকম না হলেও তাদের মধ্যে সামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা যায়। একই ধরনের জলবায়ুর এলাকাগুলোকে অভিন্ন শ্রেণির আওতায় আনা হয়। তাপ, চাপ, আর্দ্রতা ও বায়ুপ্রবাহের ওপর নির্ভর করে পৃথিবীকে কয়েকটি জলবায়ুতে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে আমরা জানি, বাংলাদেশ হলো মৌসুমি জলবায়ুর দেশ।  জলবায়ু পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে ও ঘটছে। এই লেখায় আগেই উল্লেখ করেছি যে, বর্তমান সময়ে মানবসৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বাড়ছে (প্রধানত কার্বনডাই অক্সাইড এর ঘনত্ব বাড়ছে) যা জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্য নষ্ট হয়, সার্বিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে। খুব সাম্প্রতিক সময়ে এর সাথে আরও একটি নতুন তথ্য যুক্ত হয়েছে, সেটি হলো ক্ষতিকর মিথেন গ্যাস উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ক্ষেত্রে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের থেকেও মারাত্মক মিথেন (Methane)। বাংলাদেশ এই গ্যাস উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে এমনটাই আমরা নির্ভরযোগ্য মিডিয়ার খবরে জেনেছি। প্যারিসভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষক সংস্থা কেরোস এসএএস স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে জলবায়ুর পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণার আওতায় এই তথ্যটি সাম্প্রতিক সময়ে (এপ্রিল, ২০২১) প্রকাশ করেছে। ফলে অন্যভাবে বলতে গেলে, এসব কারণে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি সবকিছুই পরিবর্তিত হচ্ছে।  যদিও সারা বিশ্বের অধিকাংশ গ্রিন হাউস গ্যাসই উৎপাদন করছে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রসমূহ, বাংলাদেশের দায় সেখানে খুবই নগণ্য। অথচ বাংলাদেশ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের সর্বোচ্চ ক্ষতি ভোগের দেশ। ফলে নিজেদের ক্ষতিকর গ্যাস উৎপাদনের বিষয়ে বিশেষভাবে নজর না দিলে বর্তমান ভোগান্তির পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন সংকট আরও গভীরতর হবে । তাই আমাদের সচেতন পদক্ষেপ নিতে হবে, সবদিক থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।    এটা সুস্পষ্ট যে, অদূর ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। যেটুকু সময় ও সুযোগ এখনো আমাদের হাতে আছে, তার সদ্ব্যবহার করা এজন্য একান্ত প্রয়োজন হবে। আপদকে ভয় পেলে হবে না, শক্তভাবে তার মোকাবিলা করতে হবে, মোকাবিলা করার জন্য বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করাটাও তাই খুব জরুরি হবে।  জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় যে সকল অর্থ আসছে এবং আসবে সে সবের স্বচ্ছ, জনস্বার্থমূলক ব্যবহার; উন্নত দেশসমূহের কাছ থেকে আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক অভিযোজন সহায়তা গ্রহণ; পরিবেশ স্বার্থ বিবেচনায় দূষণকারীদের নয়, জনগণের সর্বোচ্চ অধিকার; ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় মানুষকে পূর্ণ পরিমাণের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও তাদের পুনর্বাসন; বাংলাদেশের নদী নেটওয়ার্ক পুনরুজ্জীবনে উন্নত বিশ্বকে নির্দিষ্ট আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান ইত্যাদি নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হবে। জাতিসংঘের উদ্যোগে বাংলাদেশে একটি অভিযোজন গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা তাৎপর্যপূর্ণ আরেকটি পদক্ষেপ হতে পারে। একইসাথে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগ জোরদার করতে হবে ও তা অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশকে তার সকল অভ্যন্তরীণ নীতিমালার প্রকৃতিবান্ধব সংস্কার ও সেসবের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করাটাও খুবই জরুরি হবে।  পরিশেষে, যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি তৈরিতে সহায়তা করেছিল, যার মাধ্যমে বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করতে এবং “বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প স্তরের উপরে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে” প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সেই চুক্তি যে চুক্তিতে এক দিনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক রাষ্ট্র একসঙ্গে স্বাক্ষর করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল।  ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত ৪৬তম ধরিত্রী সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছিলেন, ‘আজ আমরা ভবিষ্যতের এক নতুন অঙ্গীকারনামায় সই করছি। প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের সব প্রজন্মের জীবন সুন্দরভাবে চালিত হবে, যা এখন ঝুঁকির মুখোমুখি।’ আমরা ইতোমধ্যে জানি যে, প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র আবার ফিরে এসেছে এবং এর বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট বিশেষভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। যা সবার মনেই আবার নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে।  অন্যদিকে এটাও আশার কথা যে, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) ও ভালনারেবল টোয়েন্টি (ভি২০) গ্রুপের চেয়ার হিসেবে বর্তমানে কাজ করছে। কপ-২৬ সামনে রেখে কোভিড-১৯-এর মধ্যেও বাংলাদেশ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : থিমেটিক অ্যামবাসাডর নিয়োগ (৯ আগস্ট ২০২০), গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপটেশনের (জিসিএ) দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক অফিস স্থাপন (৮ সেপ্টেম্বর ২০২০), যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে জলবায়ুবিষয়ক ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ (২২-২৩ এপ্রিল ২০২১), ভি-২০ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফিন্যান্স প্রথম সামিট (৮ জুলাই ২০২১) সম্পন্নকরণ, ‘দ্য জুলাই মিনিস্ট্রিয়াল’-এ অংশগ্রহণ (২৫-২৬ জুলাই ২০২১) ইত্যাদি। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা মোকাবিলা ও সবুজ উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ তৈরি করা হয়েছে। আসন্ন কপ-২৬-এর অভীষ্ট অর্জনে সিভিএফ ও ভি২০-এর প্রধান হিসেবে বাংলাদেশের এ সকল কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।  জাতিসংঘ আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিভিন্ন প্রেক্ষিত বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সার্বিক দৃষ্টিকোণ (যেমন, সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ব্যবস্থার সক্ষমতা ইত্যাদি ) থেকে তরুণ সমাজকে যুক্ত করাটা এখন সবচাইতে জরুরি হবে। কারণ, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা পর্যালোচনা করে দেখা যায় সব দেশেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে। বাংলাদেশেও মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই তরুণ। আর এই তরুণরাই অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও ইতিহাস সৃষ্টি থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনন্য অবদান রেখে আসছে।   ফলে তাদের ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করার দিকটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্মেলনে আলোচিত হবে এবং সেই লক্ষ্যে প্রতিটি দেশ উপযুক্ত বাস্তবসম্মত কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি করবেন- সেটাও আমি আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করব। তাহলেই প্রকৃতঅর্থে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী সফলতার মুখ দেখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।  বিধান চন্দ্র পাল: সংস্কৃতিকর্মী ও গবেষক; সদস্য, নির্বাহী পরিষদ, নগর গবেষণা কেন্দ্র (সিইউএস, ঢাকা) এবং প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, প্রভা আরোরা 
১১ মে, ২০২৪

টঙ্গী থেকে ১২ দিনেও খোঁজ মেলেনি মিহাজের
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে এশার নামাজ পড়তে গিয়ে ১২ দিনেও বাসায় ফেরেননি মিহাজের রহমান খান ফাহিম (২২) নামের এক তরুণ। এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ওই যুবকের পরিবার। নিখোঁজ মিহাজ স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করেন। তিনি টঙ্গী কলেজ রোড এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী সদরের গোবিন্দপুর এলাকার ছিলোনিয়া পাঠানবাড়ি এলাকায় বলে জানা গেছে। ফাহিমের বড় ভাই মিজানুর রহমান ফাহাদ সাংবাদিকদের জানান, গত ২৬ এপ্রিল রাতে টঙ্গী কলেজ রোড কাঁচাবাজার রাস্তার মোড় এলাকায় এশার নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হন ফাহিম। এরপর আর ফিরে আসেননি। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার ফাহিমের পরনে ছিল কালো জিন্স প্যান্ট আর গায়ে নীল টি-শার্ট। গায়ের রঙ শ্যামলা, মাথার চুল ছোট। এ ব্যাপারে ২৯ এপ্রিল টঙ্গী পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, নিখোঁজ ফাহিম নিজের মোবাইল রেখে বাড়ি থেকে রাগারাগি করে বের হন। এখনো তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার  নিখোঁজের ব্যাপারে পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছে।  
০৮ মে, ২০২৪

তরুণ পরিচর্যায় লিগ কমিটির দাওয়াই
‘কোটি টাকার সুপার কাপ’ নামেই বিশাল চমক ছিল। সেটা অর্থ পুরস্কারের কোটি টাকার কারণে। সময়ের বিবর্তনে কোটি টাকার; কিন্তু আগের মতো আবেদন নেই। এ অবস্থায় হিমাগার থেকে বের হতে যাওয়া সুপার কাপ কতটুকু আবেদন তৈরি করে, উত্তরের জন্য আগামী মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পেশাদার লিগ কমিটির সভায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের পঞ্জি পাস হয়েছে। সেখানে রাখা হয়েছে একসময়কার আলোচিত এ আসর। আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ শেষে সুপার কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লিগের শীর্ষ চার ক্লাব এ আসরে অংশগ্রহণ করবে—এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপাতত পরিকল্পনা চার ক্লাব নিয়েই সুপার কাপ আয়োজন করার। সেটা পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয় সুপার কাপ। ২০১১ ও ২০১৩ সালে আরও দুটি সংস্করণ আলোর মুখ দেখেছে। তারপর থেকে হিমাগারে আলোচিত আসরটি। তিন আসরেই ফাইনাল খেলেছে মোহামেডান। ২০০৯ সালের পর ২০১৩ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয় ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। প্রথমবার আবাহনীকে ও ২০১৩ সালে শেখ রাসেলকে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছে মোহামেডান। ২০১১ সালের আসরের ফাইনালে এই মোহামেডানকে হারিয়েই একমাত্র শিরোপা জেছে ঢাকা আবাহনী। সভার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোতে বয়সভিত্তিক ফুটবলার রাখার বাধ্যবাধকতা। প্রতি ক্লাবের স্কোয়াডে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী দুজন ফুটবলারকে রাখতে হবে। প্রতি ম্যাচের একাদশে একজনকে রাখতে হবে। তরুণ প্রতিভা পরিচর্যায় এ দাওয়াই নিয়ে আসছে লিগ কমিটি। এ নিয়মটা অতীতেও দেশের শীর্ষ লিগে ছিল। বিদেশি ফুটবলার ইস্যুতেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিগ কমিটি। আগামী মৌসুমেও ক্লাবগুলো ৩৬ ফুটবলার নিবন্ধন করাতে পারবে। বিদেশি ফুটবলার থাকবে আগের মতোই সর্বোচ্চ ৬ জন, যার একজনকে এশিয়ান কোটায় নিবন্ধন করাতে হবে। নতুন নিয়ম হচ্ছে, ম্যাচের তালিকা থাকা ২৩ ফুটবলারের মধ্যে ৫ বিদেশি রাখা যাবে। প্রতি ম্যাচে খেলতে পারবেন ৪ জন। এক বিদেশি ফুটবলারের পরিবর্তে আরেক বিদেশি খেলতে পারবেন। ‘৬ জন নিবন্ধন করানো ও ম্যাচে চার জন খেলবে—এটা ঠিকই রয়েছে। অনেক সময় ম্যাচ শুরুর আগে ওয়ার্মআপে অনেকে চোট পান। এ কারণে একটি দল বিদেশি কোটা পূরণ করতে পারে না। নতুন নিয়মের ফলে কিন্তু ক্লাবগুলো সামনে বিকল্প থাকছে’—বলছিলেন লিগ কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি ইমরুল হাসান।
০৩ মে, ২০২৪

অপরিচিত তরুণ খুঁজছে চীনের নারীরা
মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিক বন্ধন ছাড়া কোনো মানুষ একা বাঁচতে পারে না। এই সামাজিক ধারণা থেকে সামনে এসেছে নতুন খবর। অপরিচিত তরুণ সঙ্গীর খোঁজ করছেন চীনের নারীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার সময় মানুষের আয়ে ভাটা পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে কর্মীরা তাদের আয়ের অর্ধেক বেতন পেতেন। এতে করে বিপাকে পড়েন তারা। এরপর সঙ্গী খোঁজার এ ধারণা চীনে জনপ্রিয়তা পায়।  চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফুজিয়ানের বাসিন্দা ক্যাথি ঝুঁ জানান, করোনার সময় তার স্বামী ও তিনি দুজনেই অর্ধেক বেতন পেতেন। এতে করে বিপাকে পড়েন তারা। মায়ের আগে থেকে ক্যানসার শনাক্ত হওয়ায় এ আয় দিয়ে খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তারা।  ক্যাথি জানান, বছরের শেষে আমাদের হাতে অল্পকিছু অর্থ থাকত। ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। অর্থিক এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের খরচ যোগাতে অনলাইনে সঙ্গী খুঁজতে চীনা তরুণদের ‘দ্য জি’ প্রবণতায় যোগ দেন।  এখানে তিনি একসঙ্গে ভ্রমণ বা ব্যায়ায়ের পরিবর্তে অর্থ সঞ্চয় করতে আগ্রহী এমন ব্যক্তিকে সঙ্গী করেন।  মান্দারিন ভাষার শব্দ ‘দ্য জি’। যার অর্থ সবকিছু মিলে যেতে পারে। এটি মূলত লিঙ্গ-নির্বিশেষে সঙ্গী নির্বাচনের একটি পরিভাষা। এর মাধ্যমে পূর্বপরিচয় ছাড়াই সমমনা ব্যক্তিদের সঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করা হয়। চীনের তরুণরা জটিলতা এড়াতে অস্থায়ী সঙ্গী খোঁজেন। এক্ষেত্রে লিঙ্গ বা ব্যক্তিগত পরিচয় আমলে নেওয়া হয় না।  ইনস্টাগ্রামের চীনা সংস্করণ জিয়াওহংসুতে ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম হ্যাশট্যাগ ‘সেভিং দ্য জি’ ব্যবহার করা হয়। তথ্য বিশ্লেষণী সংস্থা নিউজর‌্যাংক জানিয়েছে, এ হ্যাশট্যাগ এখন পর্যন্ত ১৭ লাখ ভিউ হয়েছে। উইবোতে এটি কয়েক লাখবার ব্যবহৃত হয়েছে।  সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাবলিক পলিসির অধ্যাপক লু শি বলেন, মানুষের ভবিষ্যৎ অর্থনীতিতে আস্থা কম বলে এ প্রবণতায় দেখা গেছে।  বিবিসি জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেশ কয়েকটি অনলাইন সেভিংস গ্রুপে যোগ দিয়েছেন ক্যিথি। এসব গ্রুপের বেশিরভাগ সদস্যই ২০ থেকে ৪০ বছরের। তারা প্রতিদিন নিজেদের বাজেট ও খরচের নোট নোট রাখেন। একে অপরকে বাড়ি কেনাকাটা থেকে বিরত রাখেন।  ক্যাথি জানান, গ্রুপের এক সদস্য একটি বিলাসী ব্যাগ কিনতে চেয়েছিলেন। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৬ হাজার ২৯৩ টাকার মতো দামি। পরে গ্রুপের সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করে সস্তা ও পুরোনো ব্যাগ কিনেন।  তিনি বলেন, গ্রুপের সবাই একই কাজ করেছেন। তারা সঞ্চয়কারী সঙ্গীদের সঙ্গে বন্ধুত্বের অনুভূতি অনুভব করেন। এ দলভুক্ত হওয়ার পর মাত্র এক মাসেই তার ব্যয় ৪০ শতাংশ কমে গেছে। 
০২ মে, ২০২৪

মেলায় আবেদন করে চাকরি পেলেন ৪১ তরুণ
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের কারিগরি শিক্ষার সুতিকাগার ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। প্রতি বছর হাজারের বেশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বের হয় এখান থেকে। এটি ছাড়াও দেশের অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) হয়ে গেলো দিনব্যাপী চাকরি মেলা। এদিন এই মেলা থেকেই মিলেছে ৪১ জনের চাকরি। ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে ৩৮টি স্টলে সিভি জমা দেয়ার সুযোগ পান চাকরি প্রার্থীরা। পরবর্তীতে কর্মী ডেকে নেয়ার কথাও জানিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। খরচ ও ভোগান্তি ছাড়াই একসঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পেরে সন্তুষ্ট প্রার্থীরা। ‘স্মার্ট শিক্ষা স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য এ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ- ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ইনস্টিটিউট হোস্টেল মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া। দিনব্যাপী চাকরি মেলায় অংশ নেয় ওয়ালটন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, স্ক্যান সিমেন্ট, হোলসিম সিমেন্ট, সালাম স্টিল, খান ব্রাদার্স লিমিটেড, ডিবিএল গ্রুট, এসকিউ ক্যাবলসহ ৩৮টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। অভিজ্ঞ–অনভিজ্ঞ দুটি ক্যাটাগরিতে সিভি নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। তালিকা করে প্রয়োজন অনুসারে পরবর্তীতে আবেদনকারীদের ডাকা হবে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৮টি স্টলে তিন হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে। এরমধ্যে খান ব্রাদার্স লিমিটেড, রাইট ক্লিক, এইচএমটি ইঞ্জিনিয়ারিং, মাদারটেক অটোমেশন, লেক্সফো ইলেক্ট্রোনিক্স লিমিটেডসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান ৪১ জনকে তাৎক্ষণিক নিয়োগপত্র প্রদান করে। এ ছাড়া মেলায় ৫টি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ময়মনসিংহ পলিটেকনিকের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বায়নের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের আরও যোগ্য করে ও কারিগরি শিক্ষায় আরও দক্ষ করে তুলতে হবে। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও দক্ষ ও অত্যাধুনিক হতে হবে। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব সরঞ্জামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাস্তব ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে, সেসব সরঞ্জামসমূহ অত্যাধুনিক হতে হবে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে ‌অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক সুলতানা রাজিয়া, খান ব্রাদার্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এনামুল কবীর খান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০২৩’ পেলেন চার তরুণ
আইএফআইসি ব্যাংক নিবেদিত ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০২৩’ পেলেন চারজন তরুণ লেখক। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এবারের বিজয়ীরা হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্যে ‘ফাড়াবাড়ি হাট গণহত্যা আদর্শ বাজার গণহত্যা’ বইয়ের জন্য ফারজানা হক, কথাসাহিত্যে ‘ভাতের কেচ্ছা’ বইয়ের জন্য কাম্রুন্নাহার দিপা, প্রবন্ধ ও গবেষণা বিভাগে ‘জনসংস্কৃতির রূপ ও রূপান্তর’ বইয়ের জন্য শারফিন শাহ ও শিশু-কিশোর সাহিত্যে ‘আলোয় রাঙ্গা ভোর’ গ্রন্থের জন্য রহমান বর্ণিল। প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা ও স্মারক দেওয়া হয়। বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্ত অনুসারে কবিতা বিভাগে মানসম্মত গ্রন্থ জমা না পড়ায় এ বছর ৪টি বিভাগে পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে।      অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালি ও কলম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কালি ও কলম তার দীর্ঘদিনের পথচলায় কখনো লক্ষ্য থেকে সরে যায়নি। আমাদের পূর্বের অনেক বিজয়ী এখন দাপটের সঙ্গে সাহিত্যাঙ্গনে বিরাজ করছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এবারের বিজয়ী লেখকরাও আগামীতে অনেক ভালো কাজ করবেন। নতুনরা সবসময় একটা ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসেন, এবারো ব্যতিক্রম হবে না       প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, সাহিত্যের পথচলা অনেক অমসৃণ যাত্রা। এই পথে এরকম স্বীকৃতি আগামী দিনে ভালো লেখার প্রণোদনা দেয়। আশা করি এই সঞ্জীবনী শক্তিতে ওরা এগিয়ে যাবে এবং বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে। তিনি বলেন, পুরস্কার নয়, লেখালেখি সবসময় পাঠকের জন্য। আপনার লেখা যেন পাঠককে ভাবায়, কিছু অনুভব করায়, সেই উদ্দেশ্যে কাজ করে যাবেন এই আশা রাখছি। আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম সারওয়ার, কালি ও কলমের সম্পাদক সুব্রত বড়ুয়া এবং কালি ও কলমের প্রকাশক আবুল খায়ের। স্বনামখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এবারের আয়োজন শেষ করা হয়।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা ‘অত্যন্ত প্রতিভাবান’
বাংলাদেশ দলের নতুন স্পিন কোচ হয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদ। নতুন দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় আসার পর প্রথম দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গেছেন তিনি। সেখানে তার হাতে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন জার্সি তুলে দেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস। পরে বিসিবির দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের অত্যন্ত প্রতিভাবান বলে আখ্যায়িত করেন। বিসিবির দেওয়া ভিডিও বার্তায় মুশতাক বলেছেন, ‘এ দেশের তরুণ ক্রিকেটাররা অত্যন্ত প্রতিভাবান। তারা যে কোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য বিরাট সম্মানের। মনে আছে, ১৯৯২ বিশ্বকাপ জেতার পর ১৯৯৩-৯৪ সালে বাংলাদেশে আসা পাকিস্তান দলের অংশ ছিলাম আমি। বাংলাদেশে আসাটা সব সময়ই দারুণ ব্যাপার। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অনেক ভক্ত এখানে। বাংলাদেশে খেলাটা আমরা খুবই উপভোগ করেছিলাম। এখানকার আতিথেয়তা চমৎকার।’ বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ হিসেবে নিজের ভূমিকা নিয়ে মুশতাক বলেন, ‘কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বাকি বিশ্বের চেয়ে এটা সম্পূর্ণ আলাদা। আপনাকে এখানে মানিয়ে নিতে হবে এবং অনেক বেশি স্বপ্রণোদিত হতে হবে। এখানকার ক্রিকেটকে বুঝতে হবে। বাংলাদেশে এসে বিনয়ী সব মানুষের সঙ্গে মেশাটা সত্যিকার অর্থেই অসাধারণ অভিজ্ঞতা। তবে একজন খেলোয়াড় বা কোচ যে হিসেবেই বলুন না কেন, আপনাকে সেরা মানের হতে হবে।’
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

জাগ্রত হোক তরুণ প্রজন্ম বাঙালি সংস্কৃতির চেতনায়
তরুণ প্রজন্ম নববর্ষকে ধারণ করে আপন মহিমায়। বাঙালি সংস্কৃতির চেতনায় পহেলা বৈশাখ উদযাপনে অংশ নেওয়া কয়েকজন তরুণী জানালেন তাদের ভাবনার কথা। লিখেছেন—শিল্পী নাগ ছবি রনি বাউল আফরিন সুলতানা আফরিন সুলতানা। এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। বছর তিনেক আগে চারুকলা অনুষদের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং থেকে মাস্টার্স করেছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শিশুদের ড্রইং শেখান। চারুকলা অনুষদে পড়ার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সহযোগিতা পেয়েছেন অনেক। লেখাপড়া শেষ হলেও মনের টানে চলে আসেন মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজে অংশ নিতে। আফরিন সুলতানা বলেন, মনের টানে মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজে অংশ নিতে আসি। শিক্ষক, পুরোনো শিক্ষার্থী, নতুন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা হয়। সব মিলিয়ে এক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হই। এবার সরায় রিকশা পেইন্ট, বিভিন্ন মোটিফ, গ্রাম বাংলার দৃশ্য, পিঠার নকশা ইত্যাদির ওপর নকশা করেছি। ঈদের দুদিন পরই বৈশাখ। মঙ্গল শোভাযাত্রার তহবিলের জন্য যে অর্থ দরকার, তা এবার কম হয়েছে। রমজানের কারণে মানুষের আনগোনাও তুলনামূলক কম ছিল। যে কারণে বিক্রির পরিমাণও কম ছিল। তিনি বলেন, রমজানে মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজ করেছি, অনেকে মেনে নিতে পারেন নি। নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন। অনেকে বলেছেন, রোজা রেখে মানুষের ছবি আঁকছি, নামাজ পড়ছি না। মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে পড়ে আছি। কিন্তু শিল্পীসত্তা ধর্মের বেড়াজালে আবদ্ধ নয়। আসলে যে যা বিশ্বাস করেন। কিন্তু আমি মনে করি—একজন শিল্পী হিসেবে আমি আমার কাজের পাশাপাশি ধর্মও পালন করতে পারি। আমি সেক্টর অনুযায়ী সব কিছু ভাগ করে নিয়েছি, কখন কোন কাজটা করব। মেহেনাজ আশরাফী কারুশিল্প বিভাগে মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেনাজ আশরাফী। এবার বর্ষবরণে ১৭৩ এরও বেশি দলগতভাবে প্যাঁচার মুখোশ এঁকেছেন। রোজা রেখে ক্লাস করে মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজেও অংশ নিয়েছেন। ক্লান্ত হলেও প্রস্তুতির কাজ চালিয়ে গেছেন। খুলনার মেয়ে মেহেনাজ আশরাফীর মতে, সেহরি খেয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যেত। সন্ধ্যায় ইফতার। এ কারণে এবারে সমাগম দিনে একটু কম, রাতে বেশি ছিল। ইফতারের পর মানুষ এসেছে। যারা ঈদে ঢাকায় ছিলেন, তারা চারুকলায় ঘুরতে এসেছেন। কারণ ঢাকায় ঘুরতে যাওয়ার জায়গার খুব অভাব। চারুকলা এমন একটা জায়গা, এত রঙিন, এখানে এলে মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। ঈদের সময়ও আমাদের কাজ চলেছে। যারা মঙ্গল শোভাযাত্রার কমিটিতে ছিলেন, তারা এবার ঈদে বাড়ি যাননি। এখানেই ঈদ করেছি। কাঙ্ক্ষিতা কবীর কাঙ্ক্ষিতা কবীর। চারুকলা অনুষদের কারুশিল্প বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। দ্বিতীয়বারের মতো মঙ্গল শোভাযাত্রার অংশ নিয়েছেন। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে ছোট প্যাঁচা, তুহিন পাখি তৈরি করেছেন। কাঙ্ক্ষিতা কবীরের মতে, ২টা পর্যন্ত ক্লাস করেছেন। এরপর পাখি ঘরে চলে গেছেন। পরিবারের সঙ্গে থাকলেও এখানে কাজ করতে কোনো সমস্যা হয়নি। চারুকলা অনুষদে ভর্তি হওয়া থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সব কিছুতেই মা তাকে সহযোগিতা করেছেন। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় অনেক আদরের কাঙ্ক্ষিতা। হাতিরপুলে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। ছোটবেলা থেকেই চারুকলায় তার পড়ার শখ। এজন্য এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। চান্সও পেয়ে যান। সন্ধ্যা পর্যন্ত মঙ্গল শোভাযাত্রার কাজ করেছেন। কখনো ইফতারের পরও কিছুটা সময় কাজ করে বাড়ি ফিরেছেন। এখানে ইফতারের ব্যবস্থা থাকায় খাওয়া-দাওয়ার কোনো সমস্যা হয়নি জানিয়েছেন কাঙ্ক্ষিতা কবীর।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

একঝাঁক তরুণ নিয়ে বেসিস নির্বাচনে সোহেলের ‘টিম স্মার্ট’
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) -এর ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনকে সামনে রেখে একঝাঁক তরুণ উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের নেতৃত্ব গড়ে তোলা হয়েছে প্যানেল ‘টিম স্মার্ট’। স্মার্ট বেসিস গঠনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরব প্রচারে রয়েছে প্যানেলটি। অ্যাডভান্সড ইআরপি বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের নেতৃত্বে গড়া এ প্যানেলে একঝাঁক তরুণ প্রার্থী রয়েছেন। এ প্যানেল থেকে জেনারেল ক্যাটাগরিতে পরিচালক পদে লড়ছেন নগদ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, কনটেন্ট ম্যাটার্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এ এস এম রফিক উল্লাহ, ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) লিয়াকত হোসাইন, ইনুমেন্ট সলিউশন্স লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আল মামুন, লুজলি কাপল্ড টেকনোলজিসের (এলসিটি সল্যুশন সেন্টার)  চিফ অপারেটিং অফিসার সৈয়দা নওশাদ জাহান প্রমি,  অ্যানালাইেজন বাংলাদেশ লিমিটেডের দ্য ম্যান অব স্টিল (চেয়ারম্যান) এবং ক্রান্তি অ্যাসোসিয়েটস্ লিমিটেডের পরিচালক ও সিইও ড. মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক এবং বন্ডস্টাইন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শাহরুখ ইসলাম। এ প্যানেল থেকে অ্যাসোসিয়েট পরিচালক প্রার্থী ম্যাগনাস সফটওয়্যার ওয়ার্কসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরমান আহমেদ খান, অ্যাফিলিয়েট পরিচালক প্রার্থী অ্যাডফিনিক্স লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লুতফি চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক পরিচালক পদে প্রার্থী দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হাসিনুল কুদ্দুস (রুশো)। টিম স্মার্টের প্যানেল লিডার মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, আমরা তারুণ্য নির্ভর টিম স্মার্ট গড়ে তুলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট বেসিস বিনির্মাণে স্মার্ট টিম প্রয়োজন। আমরা তেমন প্যানেলই দেওয়ার চেষ্টা করেছি। পূর্ণ প্যানেলে টিম স্মার্ট নির্বাচিত হলে বেসিসকে আমরা স্মার্ট সংগঠনে রূপান্তর করব। বেসিস সদস্যরা আমাদের পক্ষে রায় দিলে সংগঠনটি আরও গতিশীল ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক সংগঠনে রূপান্তর হবে।  এর আগে, মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বেসিসের কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনবার দায়িত্ব পালন করেছেন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪
X