শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও কমেনি শীত
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে পঞ্চগড়ে শুরু হয় উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশা। এতে অনুভূত হতে থাকে কনকনে শীত। দিনভর উত্তরের হিমেল বাতাস থাকায় ছড়াতে পারেনি সূর্যের তীব্রতা। এতে কমে যায় দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান। কনকনে শীত অনুভূত হওয়ায় কাজে বেঘাত ঘটছে খেটে খাওয়া মানুষের। তবে সকালবেলা ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতে বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্করা সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভিড় করছে। তবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ওপরে থাকায় তেঁতুলিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রয়েছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে শীত অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। তবে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে ৮০০ নেতার চিঠি
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা করে তা সমর্থনের জন্য কপ২৮-এর প্রেসিডেন্ট সুলতান আহমেদ আল-জাবেরকে চিঠি দিয়েছেন বিশ্বের আটশর বেশি নেতা। চিঠিতে তারা বলেন, মানবজাতির জন্য হুমকি উষ্ণায়ন বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছার আগেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ঐতিহাসিক কাজ করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সব সেক্টরে নেতিবাচক রূপান্তর হচ্ছে। জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। দুবাইয়ের জলবায়ু সম্মেলন থেকে আমরা যা অর্জন করেছি, তা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। চিঠিতে আরও বলা হয়, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি তিনগুণ বাড়াতে হবে। কার্বন কমানোর জন্য বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে কমপক্ষে তিনগুণ বিনিয়োগ করতে হবে। বনায়ন উজাড় বন্ধের পাশাপাশি ভূমির ক্ষয়রোধ এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি কমাতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আগামীতে বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হলে ২০২৫ সালের মধ্যে অংশীজনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে হবে। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ৩০০ জন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ৩০ জন বিনিয়োগকারী, ২৪০ জন এনজিও ব্যক্তিত্ব ও ৭০ জন বিজ্ঞানী রয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্বের বড় বড় সিটির মেয়র, গভর্নর, বিনিয়োগকারী, আদিবাসী নেতা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী, তরুণ উদ্যোক্তা, ধর্মীয় নেতা, এবং ক্রীড়াবিদ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। বিশ্বের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো কয়েক বছর ধরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার পদক্ষেপ নিতে জোর দাবি জানিয়ে আসছিল। এদিকে উত্তপ্ত এই বিশ্ব আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তাপমাত্রা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের ধারণা, ২০২৭ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করার সম্ভাবনা ৬৬ শতাংশ। মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন হচ্ছে এবং চলতি বছরের গ্রীষ্মকালে আবহাওয়ার ধরন পরিবর্তনের যে সম্ভাবনা বিজ্ঞানীরা দেখেছেন তা থেকেই এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল দেশগুলো। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে গেলে এবং এক বা দুই দশক ধরে এটি চলতে থাকলে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির গুরুতর প্রভাব দেখা যাবে। যেমন—দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ থাকা, মারাত্মক ঝড় ও তীব্র দাবানল দেখা যাবে। আশাবাদী বিজ্ঞানীরা বলছেন, কার্বন নির্গমন ব্যাপকভাবে কমিয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত রাখার সময় এখনো আছে। এজন্য দেশগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক শুরু: সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। এসব বৈঠকে কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। গত ৩০ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শুরু হওয়া সম্মেলন চলবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সম্মেলনে ১৯৮ দেশের সরকার প্রধান কিংবা তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ব নেতারা তাদের মতামত শেয়ার করে গ্রহণযোগ্য উপায়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পথ বের করার চেষ্টা করছেন।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
X