দিনাজপুরে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
এপ্রিলের শুরু থেকেই তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দিনাজপুরের খানসামাসহ গোটা দেশ। আকাশ ফেটে যেন ঝরছে আগুন। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ তপ্ত রোদে বাইরে তুলনামূলক কম বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সূর্যের প্রখর তাপে তীব্র গরমে নাজেহাল। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ঘরের ভেতরেও মিলছে না মুক্তি। আর এ তাপপ্রবাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। বৈদ্যুতিক পাখা না চলায় গরমে আরও কষ্ট পেতে হচ্ছে সাধারণ জনগণের। সারাদিনে তিন ঘণ্টাও মিলেছে না বিদ্যুৎ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিনাজপুরে দুপুর ৩টায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা ১৮ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।  এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তাপমাত্রা ৩৯.৮ রেকর্ড হয়েছিল। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে। এদিকে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ভ্যানচালক, কুলি ও নিম্ন আয়ের দিনমজুর। গরমের তীব্রতায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। প্রখর রোদে ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। শিশুদের গরমের তীব্রতায় দীর্ঘসময় ধরে পুকুরে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে। তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে। গরমের তীব্রতায় পানিশূন্যতায়ও অসুস্থ হচ্ছেন কেউ কেউ। রাস্তাঘাট-হাটবাজারে লোকসমাগম কমে গেছে। জরুরি কাজ না থাকলে মানুষজন তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের প্রখরতায় রাস্তার পিচ তপ্ত উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, জেলায় ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বায়ুর চাপ উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করেছে। সাধারণত বাতাসের চাপ ক্রমাগত কমতে থাকলে বুঝতে হবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাতাসের চাপ বাড়তে থাকলে আবহাওয়া পরিষ্কার বা ফেয়ার হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মেঘের সঞ্চার হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমতে পারে এবং বিরাজমান তাপ প্রবাহের দাপট বেশ কিছুটা কমতে পারে। তবে তাপমাত্রা কমলেও এক্ষেত্রে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের সৃষ্টি হবে এবং ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি থাকবে।
০১ মে, ২০২৪

সাতক্ষীরায় ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
দিন যতই যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাতক্ষীরার তাপমাত্রা। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অসহনীয় এ দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সাতক্ষীরায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ২১ বছরের মধ্যে জেলার সর্বোচ্চ। তীব্র এ দাবদাহে দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট। গরমে পিপাসা নিবারণে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপেয় পানি ও শরবত সরবরাহ করা হচ্ছে। এর আগে, সোমবার (২৯ এপ্রিল) জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৯ মে সাতক্ষীরা জেলায় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এটাই ছিল জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। সে হিসাবে ২১ বছর পর সাতক্ষীরার তাপমাত্রার নতুন পারদে ঠেকল। আর তাতেই তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়ল জেলাটি। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বিকেল ৩টায় সাতক্ষীরার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ২৫ শতাংশ। এদিকে প্রচণ্ড দাবদাহে সাতক্ষীরায় হিটস্ট্রোকে মো. ফারুক হোসেন নামে বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি তার কর্মস্থল শহরের নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থান অবনতি হলে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। মৃত শিক্ষক ফারুক হোসেন নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক। নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাজমুন লায়লা জানান, সোমবার সকালে ফারুক হোসেন বিদ্যালয়ে আসার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় দ্রুত তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কাজী আরিফ তাকে দেখার পর অতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোক হয়েছে বলে ধারণা করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা সিটি মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালে সকালে তার মৃত্যু হয়।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

সৌদির চেয়েও ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেশি ঢাকার 
প্রচণ্ড গরমে দেশব্যাপী জারি রয়েছে তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট। দাবদাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তীব্র দাবদাহের কারণে হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোকে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও এদিন ছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই যখন অবস্থা, তখন গরমের দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর কোনোটিরই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল না। আবহাওয়াভিত্তিক অ্যাপ ‘অ্যাকুওয়েদার’-এর তথ্য অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জর্ডানের রাজধানী আম্মানের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি, ইরাকের বাগদাদের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি, কাতারের দোহারে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি, তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ২১ ডিগ্রি, বাহরাইনের রাজধানী মানামার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি, ইরানের তেহরানে ২৬ ডিগ্রি, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ২৫ ডিগ্রি, তুরস্কের আঙ্কারায় ১১ ডিগ্রি, ইরাকের বসরাতে ৪০ ডিগ্রি, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৌদির জেদ্দাতে ৩৩ ডিগ্রি, কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ৩৬ ডিগ্রি, ওমানের মাস্কাটে ২৮ ডিগ্রি, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে ২৫ ডিগ্রি এবং ইসরায়েলের তেলআবিবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ অন্য সময়ের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এপ্রিলের পাশাপাশি এবার মে মাসও উষ্ণতম মাস হতে যাচ্ছে। মে মাসে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশের আবহাওয়া বিভাগ।  একনজরে দেখে নিন হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো  প্রচণ্ড মাথাব্যথা : হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। এ ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। এটি হিটস্ট্রোকের অন্যতম একটি লক্ষণ হতে পারে। বেশি তৃষ্ণা অনুভব ও অতিরিক্ত ঘামানো : হিটস্ট্রোকের আগে অনেক বেশি তৃষ্ণা অনুভব হবে, সেইসঙ্গে ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব হতে পারে। শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করতে পারে। হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে। শ্বাসকষ্ট : হিটস্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাসও। দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া : তীব্র গরমের কারণে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। এতে শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিটস্ট্রোকের লক্ষণ। পেশিতে ব্যথা : হিটস্ট্রোকের আগ মুহূর্তে পেশিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যদিও সাধারণ ব্যথা ভেবে অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। বমি বমি ভাব : মাথাব্যথা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের অভাব ইত্যাদির কারণে হিটস্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে। কথা জড়িয়ে যাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো কথা জড়িয়ে যাওয়া। ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করতে পারে। বিরক্তি-বিভ্রান্তি : মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে এবং এমনকি প্রলাপ বকতে করতে পারে। ঘাম না হওয়া : হিটস্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হলো প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া। সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না। চিকিৎসকদের মতে, হিটস্ট্রোক এড়াতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে। সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করা। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। তবে কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।  আবহাওয়া অফিস জানায়, বেশকিছু দিন ধরেই চলছে খুলনা বিভাগে তীব্র তাপদাহ। বিশেষ করে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে এক ডিগ্রি করে। গত বৃহস্পতিবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তখন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার যশোরে সেই তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যশোরে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষেরা ভোগান্তিতে রয়েছেন চরমে। তাছাড়া গরমে গলে শহরের বেশ কয়েকটি সড়কের পিচ উঠে গেছে। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, বাতাসেও গরম অনুভূত হচ্ছে বেশ। এতে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। এতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দয়েছে চিকিৎসকবৃন্দ।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। টানা চার দিন ধরে ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা এ জেলায়। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র দাবদাহে হিট ওয়েভ জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে চরম গরম অনুভূত হচ্ছে। রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। রোদের তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশ। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান-রিকশাচালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা। দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।  চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, তীব্র দাবদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। এর আগে ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ। এদিকে চুয়াডাঙ্গাতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে চুয়াডাঙ্গাতে বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট ওয়েভ (তীব্র দাবদাহের সতর্কতা) জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলায় তথ্য অফিসের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
দিনভর তীব্র দাবদাহ ও আর গরমে অতিষ্ঠ পাবনার জনজীবন। একদিকে জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অপরদিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। সোমবার (১ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সন্ধ্যাকালীন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ও খুলনার মংলায় ৩৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পার। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েকদিন ধরেই পাবনায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজকে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে এ বছর এত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। ঈশ্বরদীসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। এ তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। তীব্র এই তাপপ্রবাহে সব থেকে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন রোজাদাররা। এছাড়াও বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। জীবন-জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। বাইরে বের হওয়ার সময় অনেকেই ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন।  
০১ এপ্রিল, ২০২৪

শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক বিপ্লব দাশ। তিনি বলেন, আজ শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাপমাত্রা কম থাকলেও মৌলভীবাজারের সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদ উষ্ণতা ছড়িয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা শহর ও শহরের বাইরের এলাকাগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর শহরে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও গ্রাম ও চা বাগানে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। ঠান্ডার সঙ্গে হিমেল বাতাসের কারণে বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে চা বাগানগুলোয় শীত উপেক্ষা করে সকালবেলা কাজে বের হতে দেখা গেছে চা শ্রমিকদের। 
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এই দুই স্থানে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে চলেছে জেলার ওপর দিয়ে। তীব্র কুয়াশা আর উত্তরের হিম-শীতল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।  আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১২ থেকে ১টার মধ্যে সূর্য দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি।  এদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় শীত জেঁকে বসেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের এ জেলায়। ভোর  থেকে কুয়াশার চাদরে মোড়ানো থাকছে চুয়াডাঙ্গার প্রকৃতি। তীব্র শীতে কষ্টে পড়ছে জেলার খেটে খাওয়া  মানুষ। কুয়াশা আর শীত উপেক্ষা কাজে বের হতে হচ্ছে জীবন-জীবিকার তাগিদে।  ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। তীব্র কুয়াশা আর শীতে শীতকালীন সবজিসহ উঠতি ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে।  সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংগঠন জেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছে। তবে, চাহিদার তুলনায় তা অপর্যাপ্ত।  জেলা ত্রাণ অফিস সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার কম্বল জেলার চারটি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে ২ হাজার প্যাকেট।  শুক্রবার সকাল ৬টা ও ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন। এ সময় দৃষ্টি সীমা ছিল ৫০০ মিটারের মধ্যে। আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এ ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করবে। এরপর আকাশে মেঘ দেখা দিতে পারে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর কুয়াশা কেটে গিয়ে আবহাওয়া পরিষ্কার হবে। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১২ জানুয়ারি, ২০২৪

বগুড়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে বগুড়ার শ্রমজীবীদের জনজীবন। শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচলও কমেছে। বগুড়ায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি)। এ দিন সকালে জেলায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক গোলাম কিবরিয়া জানান, বগুড়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। ফলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, বগুড়ায় শুক্রবার রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন। এদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এর ফলে জনজীবনের পাশাপাশি প্রাণিকূলের ভোগান্তি বেড়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল ছিল কম। যেসব যানবাহন চলাচল করেছে তাদেরও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কনকনে শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে দিনমজুর ও শ্রমিকদের কনকনে শীত উপেক্ষা করতে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়েছে। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলাকায় তীব্র শীতের মধ্যেই কৃষি জমিতে দিনমজুরের কাজ করছিলেন লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্যাটোত খিদে থাকলে শীতই কী আর গরমই কী? কাজ-কাম না করলে তো প্যাট চলবিনে।’ একই অবস্থা অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষের। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক গোলাম কিবরিয়া জানান, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি নাগাদ আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে।
১২ জানুয়ারি, ২০২৪

পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু
পঞ্চগড়ে চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আভাস বলছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।  বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা) রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তবে সন্ধার পর থেকে ঘনকুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছিল। সাথে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শুরু হয় হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশা। এতে অনুভূত হতে থাকে কনকনে শীত। মঙ্গলবার দিনভর উত্তরের হিমেল বাতাস থাকায় ছড়াতে পারেনি সূর্যের তীব্রতা। এতে কমে যায় দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান। রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা। উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা থাকায় শীতে কাবু হয়ে পড়ছে উত্তরের এই জনপদের মানুষ। দেখা মেলেনি সূর্যের। জেঁকে বসেছে শীত। শীতের দাপট বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ঘনকুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কনকনে শীত অনুভূত হওয়ায় কাজে বেঘাত ঘটছে খেটে খাওয়া মানুষের। সকালবেলা ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে,হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস ও শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা। বুধবার ভোর থেকেও ঘণকুয়াশায় ঢেকে ছিল গোটা এলাকা। ঘনকুয়াশায় আর বাসাতের কারণে স্থবিরতা দেখা দেয় জনজীবনে। তবে সকাল ৮ পার পর দেখা মিলে সূর্যের। সূর্যের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ায় জনদূর্ভোগ কিছুটা কমে আসে। কিন্তু জীবীকার তাগিদে সকালে কাজে যোগ দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন রিকশাভ্যানচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিক্সাভ্যানে উঠতে চায় না। কনকনে শীতের কারণে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ বলেন, তেঁতুলিয়ার আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এ জন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়া উত্তরের হিমেল বাতাস এই জনপদে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। জানুয়ারি মাসজুড়ে এই এলাকায় একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪
X