হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের দাবি ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এলাকা থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। খবর বিবিসির। বিবিসি জানায়, নিহত ওই তিন জনের নাম শনি লুক, অমিত বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার। তারা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি ছিলেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।  আইডিএফ জানিয়েছে, গত ৭ নভেম্বর তাদের হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর দেহাবশেষ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই লাশগুলো একটি সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।  এই ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শোক প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনাকে হৃদয়বিদারক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের সকল জীবিত জিম্মি এবং নিহতদের ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।  গত বছরের নভেম্বরে হামাস একটি চুক্তির অধীনে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল। এর বিনিময়ে ইসরায়েল কারাগারে থাকা ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এখন হামাসের কাছে কতজন জিম্মি আছে এবং তাদের মধ্যে কতজন বেঁচে আছেন তা স্পষ্ট নয়।  দীর্ঘ দখলদারত্ব আর পশ্চিম তীরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায় হামাস যোদ্ধারা। এরপরই গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার বাহরাইনের মানামাতে অনুষ্ঠিত আরব লীগের সম্মেলন থেকে গাজাসহ ফিলিস্তিনের দখলকৃত সব অঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে আরব দেশগুলোর এই জোটটি। সম্মেলনে জোটের রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সম্মেলন একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, যত দিন পর্যন্ত দ্বিরাষ্ট্র নীতি কার্যকর না হচ্ছে, ততদিন ২২ দেশের এই জোট ‘মানামা ঘোষণা’ থেকে ফিলিস্তিনের দখলকৃত সব অঞ্চলে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানাচ্ছে। এ ছাড়া এই সম্মেলন থেকে ফিলিস্তিনের সব পক্ষকে ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের বা পিএলও'র অধীনে আসার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে

সনদ জালিয়াতিতে শাস্তি দাবি অভিযুক্তদের
এলএলবি সনদ জালিয়াতির প্রতিবাদ ও স্থগিত হওয়া ‘স্কুল অব ল’ চালুসহ ছয়টি দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) আইন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে টাকার বিনিময়ে সনদ প্রাপ্তির ঘটনায় সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে বাউবির ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্রের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, বাংলা বিভাগের শিক্ষক দ্বারা আইন বিভাগ পরিচালিত হওয়ায় বিভাগটি কলঙ্কিত হয়েছে। ‘স্কুল অব ল’ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার। এটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনোই তাদের বঞ্চিত করতে পারে না। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, এলএলবি (অনার্স) সনদ বিক্রি ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, বার কাউন্সিল, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে বাউবি শিক্ষার্থীদের মান, পড়াশোনার মান ও সনদের মানের স্বচ্ছতা তুলে ধরতে হবে। স্থগিত হওয়া ‘স্কুল অব ল’ সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে চালু করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়ন উদ্যোগে নেওয়া না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ‘ভুয়া সনদের ছড়াছড়ি বাউবির এলএলবি কোর্সে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে কালবেলা। ভুয়া সনদের অভিযোগ আসার পরপরই তাৎক্ষণিক ফলাফলের সার্ভার রুম সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলাফলের ওয়েব সার্ভারও বন্ধ রাখা হয়। প্রশাসনের মধ্যে কারা এ ভুয়া সনদ বাণিজ্যে জড়িত, তা চিহ্নিত করতে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীনকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি সহকারী সিনিয়র প্রোগ্রামার খালিদ সাইফুল্লাহসহ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে বরখাস্ত করে।
৭ ঘণ্টা আগে

দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকা উপকূলে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি
জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের জনগণ সবসময় বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভয়াবহ দুর্যোগের ঝুঁকিতে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল। বরাদ্দের অভাবে সেখানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সুপেয় পানি সরবরাহে সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলো আটকে আছে। এ অবস্থায় ওই অঞ্চলের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা ও দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলা ও সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। শুক্রবার (১৭ মে) খুলনা জেলার পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারে নাগরিক সংগঠন ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’ আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।  সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন সাবেক ছাত্রনেতা প্রভাষক রেজাউল করিম খোকন, সাংবাদিক নেতা সাকিলা পারভীন, আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন সাহা, প্রভাষক বিষ্ণুপদ মণ্ডল, অনির্বাণ লাইব্রেরির সহসভাপতি মানিক ভদ্র, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা দুলাল দেবনাথ, ইউপি সদস্য বিষ্ণু পদ রায় ও স্মিতা রায়, যুবলীগ নেতা প্রদীপ দত্ত, প্রত্যাশা সমবায় সমিতির সভাপতি শুভাশীষ ঘোষ, সচেতন সংস্থার বিদ্যুৎ বিশ্বাস, নদী কর্মী আলাউদ্দিন মোড়ল, সাংবাদিক রিয়াদ হোসেন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১৯৭টি বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে। যা এ দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা, সম্পদ, খাদ্য, পানি, বাসস্থানসহ অন্যান্য সংকট সৃষ্টি করেছে। এ সংকট দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে সব থেকে বেশি। এরপর কপোতাক্ষসহ নদ-নদী দখল-দূষণ ও ভরাটের কারণে এই ঝুঁকি আরও বেড়েছে। এই সংকট থেকে উত্তরণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে অদূর ভবিষ্যতে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল জনশূন্য হয়ে পড়বে।  বক্তারা আরও বলেন, নদ-নদী ভরাট ও দুষণ, দীর্ঘমেয়াদি লবণাক্ততা, সংকটাপন্ন কৃষিসহ অন্যান্য কারণে উপকূলীয় এলাকার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা। ওই এলাকাকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা নিতে হবে।  প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। উপকূলবাসীর সুপেয় পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আদলে উপকূলীয় এলাকায় ‘একটি বাড়ি একটি সেল্টার হোম’ কার্যক্রম শুরু করতে হবে। নদীভাঙন ও ভূমিক্ষয় ঠেকাতে উপকূলে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। উপকূলের রক্ষাকবচ বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে ‘উপকূল উন্নয়ন বোর্ড’ গঠনের দাবি জানান তারা।
১৩ ঘণ্টা আগে

ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও রেলের রেয়াতি প্রথা বহালের দাবি
সম্প্রতি রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি প্রথা বহালের দাবিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির উদ্যোগে পার্বতীপুর জংশন রেল স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফরমে এর আয়োজন করা হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কলামিস্ট নাহিদ হাসান, আয়োজক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ হোসেন, সদস্য ফরিদুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি সেলিম মিয়াসহ অনেকে। কলামিস্ট নাহিদ হাসান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সেবাধর্মী অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রেল অন্যতম। রেল এবং সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রে সেবার মধ্যকার পার্থক্য হলো দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি পদ্ধতি। এর কারণে একই দূরত্বে সড়ক পথের চেয়ে রেল পথের ভাড়া কম হয়ে থাকে। সম্প্রতি রেল কর্তৃপক্ষ দূরত্বভিত্তিক এ রেয়াতি প্রথা তুলে দেওয়ার কারণে ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে। উত্তরাঞ্চল তথা জনগণের নিরাপদ ভ্রমণের অন্যতম বাহন রেলের প্রতি আস্থা ফেরানোর পাশাপাশি রেয়াতি প্রথা বহালের মাধ্যমে রেলের আয় বৃদ্ধির লক্ষে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।  তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে একই দাবিতে বিভিন্ন স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে। এদিকে, কর্মসূচিকে ঘিরে যে কোনো অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি সাকিউল আযম, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ ফিরোজ আহমেদ, সাব ইন্সপেক্টর কাজল শেখ, মৃগেন্দ্র নাথ রায়সহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
১৬ ঘণ্টা আগে

এলএলবি সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের
  এলএলবি সনদ বিক্রি ও জালিয়াতির প্রতিবাদ এবং আইন প্রোগ্রামের স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ স্থগিত হওয়া ‘স্কুল অব ল’ চালুর দাবিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্রের সামনে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শুরু করে। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন বাংলা বিভাগের শিক্ষক দ্বারা আইন বিভাগ পরিচালিত হওয়ায় আইন বিভাগ কলঙ্কিত হয়েছে। ‘স্কুল অব ল’ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার। এটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনোই বঞ্চিত করতে পারে না। এর আগে বাউবির এলএলবি সনদ জালিয়াতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রতিবেদন প্রকাশ করে কালবেলা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- এলএলবি (অনার্স) সনদ বিক্রি ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে এবং কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, বার কাউন্সিল, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে বাউবি শিক্ষার্থীদের মান, পড়াশোনার মান ও সনদের মানের স্বচ্ছতা তুলে ধরতে হবে। স্থগিত হওয়া ‘স্কুল অব ল’ সর্বোচ্চ ১ মাসের মধ্যে চালু করতে হবে, এ দাবি বাস্তবায়ন উদ‌্যাগে নেওয়া না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে। তারা আরও দাবি করে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত সকল এলএলবি সনদ ভেরিফিকেশন করতে হবে, ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে ভর্তি আবেদন থেকে শুরু করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শীটের স্বাক্ষরসহ সব বিষয় যাচাই-বাছাই করতে হবে। অযোগ্য, দুর্নীতি অনিয়ম ঠেকাতে ব্যর্থ সামাজিক বিজ্ঞান মানবিক ও ভাষা স্কুলের ডিন জাহাঙ্গীর আলমকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে, স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক বাউবি গড়ার অঙ্গীকার করতে হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে

চেয়ারম্যানের নাম্বার ক্লোন করে টাকা দাবি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর ক্লোন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল তার নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে তার পরিচিত বন্ধু বান্ধব, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও অনুসারীসহ অনেকের কাছে জরুরি ভিত্তিতে টাকা চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিচ্ছে। বিষয়টি তিনি লোক মারফত জানতে পেরে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে সতর্কতামূলক একটি পোস্ট করেন তিনি। জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোদাসসির আলম সোবল বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে জরুরি ভিত্তিতে আমার কাছে ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। হঠাৎ টাকা চাওয়ায় আমার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি যাচাই করে জানতে পারি ওনার নম্বর ক্লোন হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, আমার নম্বর ক্লোন করে পরিচিত অনেকের কাছে টাকা চাইছে একটি চক্র। যাদের কাছে টাকা চাচ্ছে তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে নম্বরটি ক্লোন করা হয়েছে বলে বুঝতে পারি। ওই নম্বর থেকে কারও কাছে ফোন গেলে সবাই যেন সতর্ক থাকেন সে বিষয়ে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেন তিনি।
১৭ মে, ২০২৪

বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারের দাবি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের
সম্প্রতি ঘোষিত সরকারের সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালিত হয়। প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে যোগদানকৃতদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রজ্ঞাপন কাম্য নয়। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে যে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেই গুরুত্ব এবং শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। একইসঙ্গে মেধাবীরা শিক্ষকতায় নিরুৎসাহিত হবেন।    বৈষম্যমূলক এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনের দাবি জানায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদাকে সমুন্নত করার জোর দাবিও জানায় শিক্ষক সমিতির নেতারা।
১৫ মে, ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহারের দাবি বেরোবি শিক্ষক সমিতির
সরকারের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে মৌনমিছিল ও কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসের রাসেল চত্বরে শিক্ষকরা কালো ব্যাজ ধারণ করে মৌনমিছিল বের করেন। মৌনমিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেখ রাসেল চত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। মৌনমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. বিজন মোহন চাকী ও সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ। বক্তারা বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে যোগদানকৃতদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। এ ধরনের বৈষম্য বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে শিক্ষাদর্শনের চেতনা থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন, এ প্রজ্ঞাপন সেই চেতনাকে অবজ্ঞা ও অবমাননা করার শামিল। বক্তারা আরও বলেন, সর্বজনীন বলতে আমরা বুঝি, সবার জন্য। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের ওপর যে স্কিম চালু করা হচ্ছে, এটি খুবই বৈষম্যমূলক। নতুন যেই পেনশন স্কিম সরকারি কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য চালু করা হলো সেটা কীভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম হয়? সর্বজনীন মানে সবার জন্য- এতে কি কোনো অস্পষ্টতা আছে? সবার জন্য যদি হয়, তাহলে সরকারি কর্মকর্তারা এর আওতার বাইরে থাকবেন কেন? বক্তারা বলেন, প্রত্যয় স্কিমটি নামে সর্বজনীন হলেও আদতে সর্বজনীন নয়। সরকারের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান-সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও বিচার বিভাগকে এই প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে একে সর্বজনীন বলার সুযোগ নেই। স্কিমটি যদি সত্যিই সর্বজনীন হয়ে থাকে তবে একে অধিকতর সর্বজনীন করার জন্য সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র ও বিচার বিভাগকেও এর আওতায় আনা হোক। তা না হলে তড়িঘড়ি করে জারি করা এই অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক স্কিম অবিলম্বে বাতিল করা হোক। সর্বজনীন পেনশনে নতুন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কী লাভ, কী ক্ষতি তুলে ধরে শিক্ষক নেতারা বলেন, এই স্কিম চালু হলে দেশের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে অবসর গ্রহণকারী কর্মীদের অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা কমে যাবে। ফলে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা খাতে মেধাবীরা ভবিষ্যতে অনাগ্রহী হবেন। প্রত্যয় স্কিমের আওতায় অবসরভোগীরা যে পরিমাণ অর্থ প্রতি মাসে পাবেন, তা নির্দিষ্ট নয়‒ এর হ্রাস-বৃদ্ধি হতে পারে। অন্যদিকে বর্তমান পেনশন বিধি অনুযায়ী, প্রতিবছর অবসরভোগীদের প্রদেয় অর্থ শতকরা পাঁচ ভাগ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে প্রচলিত অবসর ভাতাকে প্রতিবছর মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করার এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। কিন্তু প্রত্যয় স্কিমের আওতায় স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য তা বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে অবসরজনিত সুবিধা বা আনুতোষিক কিংবা কর্মীদের অর্জিত কিন্তু অভোগকৃত ছুটির নগদায়ন সম্ভব নয়। তারা বলেন, বর্তমানে পাঁচ বছর চাকরি করলেই একজন কর্মীর পরিবারের সদস্যরা নির্ধারিত হারে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হন; অথচ প্রত্যয় স্কিমের আওতায় চাকরির সময় ১০ বছরের কম হলে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা শুধু জমাকৃত অর্থ ও এর মুনাফা একবারে প্রাপ্য হবেন। এতে এসব কর্মীর পরিবারগুলোর যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না। অথচ বৈষম্যমূলকভাবে শুধু সরকারি কর্মচারীদের পরিবারই আগের নিয়মে পেনশন প্রাপ্য হবেন। বর্তমান পেনশন ব্যবস্থাপনায় পারিবারিক পেনশন থাকার কারণে অবসরভোগীর অবর্তমানে তার স্ত্রী বা স্বামী কিংবা প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পাবেন। এমনকি তার অবিবাহিত কন্যারাও এর কিছু সুবিধা পাবেন। এর সঙ্গে মূল অবসরভোগীর বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ প্রত্যয় স্কিমে অবসরভোগী কর্মী ৭৫ বছর বয়সে মারা গেলে তার পরিবারের কোনো সদস্য আর কোনো সুবিধা পাবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব পরিচয় রয়েছে, নিজস্ব সিন্ডিকেট রয়েছে, সিনেট রয়েছে। অতএব, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কখনই যায় না। আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ প্রতিবাদ নীতিনির্ধারকসহ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছাবে এবং বৈষম্যমূলক এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আলাদা স্বতন্ত্র বেতনকাঠানো প্রণয়নসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। নতুবা দাবি আদায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালবিদ্যালয় পরিবার সব ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শিক্ষক নেতারা।
১৪ মে, ২০২৪

কাঁচাপাট রপ্তানিতে ট্যারিফ নির্ধারণের দাবি
বাংলাদেশ থেকে কম দামে কাঁচাপাট কিনে নিয়ে যাচ্ছে ভারত। এজন্য দেশের পাট শিল্প পিছিয়ে পড়ছে। তাই বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর কাছে কাঁচাপাট রপ্তানিতে ট্যারিফ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন পাটকল মালিকসহ অন্যরা। এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামনে পাট রপ্তানিতে ট্যারিফ বসিয়ে দেব। কাঁচাপাটের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এতে দেশি শিল্প সুরক্ষিত হবে, চাষিরা ভালো দাম পাবেন এবং রাজস্ব বাড়বে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করে। মতিঝিল আদমজী কোর্টে বিজেএমএ সম্মেলন কক্ষে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজেএমএর সভাপতি আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ সময় প্রতিমন্ত্রী ট্যারিফ বিষয়ে পাট মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিতে বলেন। বৈঠকে বিজেএমএর আরও একটি দাবির বিষয়ে একমত হয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতদিন ট্রাকে করে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে কাঁচাপাট রপ্তানি হতো। এতে পাট রপ্তানির সঠিক পরিমাণ জানা যেত না। সেজন্য পাট রপ্তানিতে শিপিং ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। এ বিষয়টি নিয়েও কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিজেএমএর সদস্য এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ।
১৪ মে, ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবি
সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কর্মচারীরা। সোমবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বকসী বলেন, ‘পেনশন নিয়ে সরকারের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত মানি না। কারণ সেখানে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি অংশকে সুবিধাবঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পেনশন সংক্রান্ত জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সরকারের কাছে সবার জন্য পেনশন যেমন ছিল তেমনই বহাল রাখার দাবি জানাই। আগামী ২৪ জুলাই থেকে স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের সরকারের গৃহীত সর্বজনীন পেনশনে আওতাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দেশের সুনাগরিক হিসেবে আমরা সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষেত্রে পেনশনের প্রক্রিয়া বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।’ প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এতে বলা হয়, ‘সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তারা যে নামেই ডাকা হোক না কেন ১ জুলাই ২০২৪ ও তার পরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করবেন। তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হলো।’
১৩ মে, ২০২৪
X