আলোচনায় শাম্মীর দ্বৈত নাগরিকত্ব
প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই আসনের সাধারণ ভোটাররাও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, শাম্মী আহমেদ একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নাগরিক। তারা জানান, অস্ট্রেলিয়ান ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, গত ২৯ নভেম্বর যেদিন শাম্মী মেহেন্দীগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেন, তখনো তিনি অস্ট্রেলিয়ার ভোটার। যা প্রার্থী হিসেবে সংবিধানের ৬৬ ধারা এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের পরিপন্থি। বিধি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব বাতিল করার কথা থাকলেও সেটি তিনি করেননি বলে জানা গেছে। আর তা যদি হয়, তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান নেতারা। বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হলে আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া ছাড়াও বয়স ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে। এ ছাড়া অপ্রকৃতিস্থ, দেউলিয়া কিংবা দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। ৬৬ ধারায় আরও উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে ও পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে; কিংবা অন্য ক্ষেত্রে পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে তিনি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন বলে গণ্য হবে না। শাম্মী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব ত্যাগ না করে থাকলে আইন অনুযায়ী তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক এ ব্যাপারে বলেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে এখনো হাইকোর্টে কোনো মামলা হয়নি। তবে কেউ দ্বৈত নাগরিক হলে সংবিধান অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জানতে চাইলে শাম্মী আহমেদ বলেন, আমি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন মেনে সব কিছু করেছি। সংবিধানপরিপন্থি কোনো কাজ করিনি। নির্বাচন কমিশন চাইলে বিষয়টি জানতে পারবে। এটি গোপনীয় ও কঠিন কোনো বিষয় নয়। যারা এসব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। এখানে উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কন্যা শাম্মী আহমেদ।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

আলোচনায় শাম্মীর দ্বৈত নাগরিকত্ব
প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই আসনের সাধারণ ভোটাররাও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, শাম্মী আহমেদ একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নাগরিক। তারা জানান, অস্ট্রেলিয়ান ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, গত ২৯ নভেম্বর যেদিন শাম্মী মেহেন্দীগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেন, তখনো তিনি অস্ট্রেলিয়ার ভোটার। যা প্রার্থী হিসেবে সংবিধানের ৬৬ ধারা এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের পরিপন্থি। বিধি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব বাতিল করার কথা থাকলেও সেটি তিনি করেননি বলে জানা গেছে। আর তা যদি হয়, তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান নেতারা। বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হলে আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া ছাড়াও বয়স ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে। এ ছাড়া অপ্রকৃতিস্থ, দেউলিয়া কিংবা দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। ৬৬ ধারায় আরও উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে ও পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে; কিংবা অন্য ক্ষেত্রে পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে তিনি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন বলে গণ্য হবে না। শাম্মী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব ত্যাগ না করে থাকলে আইন অনুযায়ী তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক এ ব্যাপারে বলেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে এখনো হাইকোর্টে কোনো মামলা হয়নি। তবে কেউ দ্বৈত নাগরিক হলে সংবিধান অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জানতে চাইলে শাম্মী আহমেদ বলেন, আমি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন মেনে সব কিছু করেছি। সংবিধানপরিপন্থি কোনো কাজ করিনি। নির্বাচন কমিশন চাইলে বিষয়টি জানতে পারবে। এটি গোপনীয় ও কঠিন কোনো বিষয় নয়। যারা এসব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। এখানে উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কন্যা শাম্মী আহমেদ।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩
X