ধান কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, নিহত ১
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম ইউনুস আলী (৬০)। তিনি শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দ বনগ্রামের বাসিন্দা।  শনিবার (১৮ মে) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার খোর্দ্দ বনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ৭টার দিকে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মুক্তার আলী ও তার লোকজন মিলে ইউনুস আলীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইউনুসকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, সকালে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ইউনুস আলী জখম হন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান।  তিনি আরও জানান, নিহত ইউনুস আলী ও মুক্তার আলী একে অপরের আত্মীয়। সম্পর্কে বেয়াই। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

হাওরে ৯৭ শতাংশ ধান কাটা শেষ
হাওরের ৯৭ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এ বছর হাওরভুক্ত সাত জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় শুধু হাওরে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। আর সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে। গতকাল রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ফলে এবারের মতো আগাম বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেল দেশের নিচু অঞ্চলের বোরো ধান। হাওরের ফসলকে ঝুঁকিমুক্ত করতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। পাকা ধান যাতে দ্রুত কৃষকের ঘরে তোলা যায়, সেজন্য সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওরের কৃষকদের ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দিচ্ছে।  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হাওরভুক্ত সাত জেলায় এবার ৪ হাজার ৪০০টির বেশি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলেছে। এর মধ্যে এ বছরই নতুন ১০০টি কম্বাইন হারভেস্টার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের অন্য এলাকা থেকেও হাওরের বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।
০৬ মে, ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে কামাল উদ্দিন নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের শাহাজাদাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত কামাল উদ্দিন ওই গ্রামের শাহাদাৎ আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি সরকারি জায়গায় চাষ করা ধান নিয়ে স্থানীয় রিপন গংদের সঙ্গে আরেক পক্ষ কাউছার, মাসুক ও আফজালের বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি থানায় বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষ সভায় বসে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়েও সভা হয়। উভয় সভায় সিদ্ধান্ত হয় সরকারি ওই জমির ধান দুই পক্ষের কেউ কাটতে পারবেন না এবং এই ধান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে কাটা হবে। উভয় পক্ষ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে সম্মত হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঈদের পরদিন শুক্রবার ভোরে ইউপি সদস্য জুয়েল, নাজমা বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুন্না, আজিজ ও ময়েজের নেতৃত্বে দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমির ধান কেটে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লুকিয়ে রাখা ধান উদ্ধার করে জব্দ করে। পরে এক পক্ষকে ধানগুলো দিয়ে দেওয়া হয়। এরই জেরে শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় কামাল উদ্দিন নামে একজন মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। তাদের সরাইল ও জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান জানান, নিহত কামাল উদ্দীনের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

নেত্রকোনায় আগাম আমন ধান কাটা শুরু, কৃষকের মুখে হাসি
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় আগাম জাতের রোপা আমন ধান পাকতে শুরু করেছে। সোনালি ধানে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। আমন ধানের দাম ভালো পাওয়ায় আবাদ বাড়ছে। কেন্দুয়া উপজেলার মাটি আগাম ধান চাষের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছে স্থানীয় ‍কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবার দুই হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে হাইব্রিড ও উফশি জাতের রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। হাইব্রিড জাতের রোপা আমন ফলনে ১০৮ থেকে ১১০ দিন এবং উফশি জাতের রোপা আমন ১১৫ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে ঘরে তুলতে পারেন কৃষকরা। উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, অতি বৃষ্টিতে আগাম জাতের ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও এখন আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ধানের ক্ষেতে তেমন একটা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়নি। ফলনও ভালো হয়েছে। কোথাও কোথাও ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে আবার কোথাও আগামী কয়েকদিনের  দিনের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে। এরপর রবি ফসল চাষের জন্য দ্রুত জমি প্রস্তুত করা হবে। কৃষক ওয়াসকরুন জানান, আমি তিন বিঘা জমিতে আগাম আমন ধানের চাষ করেছি। ধান কাটতে ও ঘরে তুলতে কৃষি শ্রমিকের সংকট হয় না। কারণ এ সময়ে কাজ না থাকায় বেকার হয়ে পড়েন কৃষি শ্রমিকরা। এ সময় তারা কাজের সন্ধানে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ছুটে যান। তাই কৃষি শ্রমিকের সংকট হবে না। কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা  জানান, কেন্দুয়াতে দুই হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আগাম জাতের আমন ধান চাষ হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের ধান চাষে কৃষকরা লাভবান হয়। সে জন্য তাদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। করোনা মহামারিতে আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা করেছে। ধারণা করছি, আগাম ধান ও রবি ফসলের চাষ বাড়বে। তাছাড়া এখানকার মাটি আগাম জাতের ধান ও রবি ফসল চাষের উপযোগী। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

নওগাঁর রাণীনগরে রোপা আমন ধান কাটা শুরু
নওগাঁর রাণীনগরে ৮টি ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন রোপা-আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাণীনগরের ধান ক্ষেতগুলোতে কৃষক-শ্রমিকদের ধান কাটতে দেখা যায়। ক্ষেতজুড়ে সোনালি রং বলে দিচ্ছে গ্রামবাংলার কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা রোপা-আমন ধান চাষের দৃশ্য। মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে সোনালি ধানের শিষ। চলতি মৌসুমে রোপা-আমন ধানের ভালো ফলনের বুকভরা আশা করছে চাষিরা।  স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে আগাম ধান চাষ করা হলেও সেপ্টেম্বরে শেষ সপ্তাহে মালঞ্চি নামক স্থানে রাণীনগর আত্রাই সড়কে পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ১৭৫ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শেষ মুহূর্তে রাণীনগরে রোপা-আমন ধানের ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষ হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় কিছু ক্ষতি হলেও গোনা ও সদর ইউনিয়ন বাদে প্রায় সব ইউনিয়নে ধানের ফলন ভালো হবে এমনটাই বলছেন কৃষি বিভাগ। চলতি মৌসুমে রাণীনগর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ ১৮৫টি, বিদ্যুৎচালিত ব্যক্তিগত ৮৫টি, ডিজেল ৩০টি, নদী থেকে এলএলপি বিদ্যুৎচালিত পাম্প ১২টির মাধ্যমে আবাদি রোপা-আমন ধান ক্ষেতে সেচ প্রদান করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে চারা লাগানো নিবিড় পরিচর্যা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথাসময়ে সেচ দেওয়া, সার সংকট না থাকায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা-আমন ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ধান কাটা মাড়া আংশিকভাবে শুরু হয়েছে। উপজেলার দূর্গাপুর প্রামানিক পাড়া গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান জানান, আমি ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। কিছু ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ৬ বিঘা জমিতে বিআর ৯০ জাতের ধান ছিল। কাটা মাড়াইয়ের পরে ফলন তেমন ভালো হয়নি। বাজারদরও কম। প্রতি মণ ধান ১ হাজার ২০ টাকা মণে বিক্রি করেছি। তবে অন্যান্য ধানের ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি আফিসার কৃষিবিদ ফারজানা হক জানান, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৮ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। বন্যায় কিছু ক্ষতি হলেও শেষ মুহূর্তে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে চাষিরা ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩
X