অমর একুশে বইমেলায় নতুন বই
এবার অমর একুশে বইমেলায় এসেছে নারী লেখকদের নতুন বই। বাংলা একাডেমি থেকে বের হয়েছে ‘প্রাণের মেলায়’। বইটি শেখ হাসিনার অমর একুশে বইমেলার ভাষণ সংকলন। কবি সুফিয়া কামালের স্মৃতিকথার অনুবাদ ‘১৯৭১ : এর ডায়েরি ’, রাবেয়া খাতুনের উপন্যাসের অনুবাদ ‘ ক্লাস্টার ক্লাউডস’, রিজিয়া রহমানের উপন্যাসের অনুবাদ ‘এন আনটোল্ড স্টোরি’, সেলিনা হোসেনের উপন্যাসের অনুবাদ ‘দ্য গ্লোরিয়াস আফটারনুন’। সেলিনা হোসেনের ‘হাওরের জলস্রোত’ উপন্যাস বের হচ্ছে প্রথমা প্রকাশন থেকে। টাঙ্গুয়ার হাওর উপন্যাসের উপজীব্য হয়ে ‍উঠেছে। হাওরের পাশ দিয়ে জলস্রোত বয়ে গেছে। এখানে শিশুরা সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে যায়। লাশ ভেসে ওঠে। ঐতিহ্য থেকে বের হয়েছে পাপড়ি রহমানের ‘প্রিয় ১৫ গল্প’। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। আবহমান বাংলা ছোটগল্পের ধারায় পাপড়ি রহমান প্রান্তিক মানুষের পক্ষে এক ব্যতিক্রমী গল্পকার। তিনি গল্পের মাঝে বুনে দিয়েছেন চিরায়ত স্বপ্ন। সময়োচিত নতুন মাত্রাও সংযোজন করেছেন তার গল্পে। রূঢ়-রুক্ষ বাস্তবের ফাটলপথে লেখক সত্তার ‘এমপ্যাথি’ ছড়িয়ে পড়েছে গল্পের চরিত্রগুলোতে। সমাজের হিতার্থেই তিনি গল্প বলেন। বেগম রোকেয়ার কবিতা প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। আগামী প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে শিপ্রা রহমানের কবিতার বই ‘অসংখ্য আমি’। এটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ‘এই একই আমি অসংখ্য আমি’ (অসংখ্য আমি) কিংবা ‘এখন আমি আর আমি নেই, তুমিই আমি’ (যমজ জীবন) কিংবা ‘মানুষই এক অমোঘ সত্য/এবং মনুষ্যত্ব তার শেষ শর্ত’ (এবং মনুষ্যত্ব); ইত্যাদি কবিতাগুলো ‘অসংখ্য আমি’ কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে। কিডজ কারাভান থেকে বের হয়েছে জ্যোৎস্নালিপির শিশুতোষ গল্প ‘মুমি’। প্রচ্ছদ করেছেন শাহীনুর আলম শাহীন। ‘মুমি’ শিশুতোষ গল্পের বই। তিনটি শিশুতোষ গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। মুমি এক মুক্তার নাম। যার জন্ম ঝিনুকের পেটে। মুমিকে নিয়েই এক কল্পকাহিনি তৈরি হয়েছে, যা শিশুমনে ফ্যান্টাসি জাগাবে। ‘এক যে ছিল গুপি’ গল্পটি শিশুদের নৈতিকতা শেখাবে। আর ‘শিকারি’ গল্পটি নৈতিকতা শেখানোর পাশাপাশি একের প্রতি অন্যের সৌহার্দ্য ভালোবাসা শেখাবে। শিশু গ্রন্থকুটির বের করেছে জ্যোৎস্নালিপির ‘ব্যাঙের পাঠশালা ও দেমাকি হাতি’ শিশুতোষ গল্পের বই। ‘ব্যাঙের পাঠশালা ও দেমাকি হাতি’, ‘কোকিলছানা ও কাক মা’, ‘টুইয়ের গোল রুটি’, ‘হরিণ ও অতিথি বাঘ’—এ চারটি শিশুতোষ গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে গ্রন্থটি। ঐতিহ্য থেকে বের হয়েছে নিলুফার মতিনের অনুবাদ গ্রন্থ ‘ঝগড়াপুর (গ্রাম বাংলার গৃহস্থ ও নারী)’। সমীক্ষার লেখকদ্বয় এক ওলন্দাজ দম্পতি। তারা কয়েক বছর বাংলাদেশে ছিলেন। বাংলা শেখার পর ঝগড়াপুর গ্রামে তারা এক বছর কাটিয়েছেন। সেখানকার নারীসমাজ ও দরিদ্র গৃহস্থ শ্রেণির জীবন সম্পর্কে তারা যে সমীক্ষা চালান, তারই ফলশ্রুতিতে রচিত এই বই। সমীক্ষাটি চার খণ্ডে রচিত। প্রথম খণ্ডে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের সাধারণ এক গ্রামের ভূমিকাসহ লেখকদের গ্রামের জীবনযাত্রা ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে। কাঠামোগত সাক্ষাৎকারের বদলে গ্রামীণ জীবনযাত্রায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পর্যবেক্ষণের পদ্ধতিকেই তারা এই সমীক্ষায় প্রাধান্য দেন। চতুর্থ খণ্ডে আলোচিত হয়েছে গ্রামীণ রাজনীতির কথা। লেখকদের গ্রামে থাকাকালীন সময়ে সংঘটিত এক ধনী গৃহস্থের খুন হওয়ার ঘটনা, তার কারণ ও প্রতিক্রিয়া এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রামের প্রধান কলহ-বিবাদের মূল হচ্ছে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ। এ ধরনের বিরোধ প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। জোতদার প্রভাবিত গ্রাম সরকারের কার্যাবলি এবং দরিদ্র গৃহস্থ শ্রেণির শত্রু ও মিত্রদের কথাও এখানে আলোচনা করা হয়েছে। সবশেষের অধ্যায়টি নিবেদিত হয়েছে বিপ্লবী আন্দোলনের সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পর্যালোচনায়। নাসিমা সুলতানার কবিতার বই ‘মৃগয়ায় যুদ্ধের ঘোড়া’ বের করেছে ঐতিহ্য প্রকাশনী। নাসিমা সুলতানার কবিতাগ্রন্থ: মৃগয়ায় যুদ্ধের ঘোড়া, করতলে রাজদণ্ড চাই (সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের সঙ্গে যৌথ), নীল মাছিটি এখন আমার রক্তে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ভাঙারি দোকানে মিলল হাজার পিস নতুন বই
ভোলার দৌলতখানে এক ভাঙারি দোকান থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষের বিপুল পরিমাণ বই উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের একটি গোডাউন থেকে বইগুলো উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, ভোলার দৌলতখানের পশু হাসপাতাল মোড় এলাকায় ফিরোজের একটি ভাঙারি দোকানের গোডাউন থেকে ২০২৪ সালের ১ হাজার ২০০ পিস সরকারি পাঠ্যবই ও কনস্ট্রাকশন কাজে ব্যবহৃত ১১শ কেজি লোহারসামগ্রী উদ্ধার করেছে দৌলতখান থানা পুলিশ। এ সময় কবির নামে এক ব্যক্তিকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার জানান, সরকারি উদ্দেশ্য হচ্ছে বছরের প্রথমে মাদ্রাসা ও স্কুলে পাঠ্যবই বিতরণ করা। এসব বই বিক্রি নিষিদ্ধ। সরকারি এসব বই বিক্রি হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে থানা পুলিশ অভিযান নামে। এ সময় সরকারি বই জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বইমেলায় মীর রবির নতুন বই ‘মালঞ্চমালার ক্যাসেট’
প্রকাশিত হয়েছে প্রতিশ্রুতিশীল কবি ও সমাজচিন্তক মীর রবির নতুন কবিতার বই ‘মালঞ্চমালার ক্যাসেট’। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি প্রকাশ করেছে জাগতিক প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী নির্ঝর নৈঃশব্দ্য।  বইটি সম্পর্কে মীর রবি বলেন, ‘মালঞ্চমালার ক্যাসেট’ আমার প্রকাশিতব্য ষষ্ঠ বই। কবিতার বই হিসেবে পঞ্চম। এই বইয়ে স্থান পাওয়া কবিতাগুলো মূলত আমাদের লোকগল্প, লোকগাঁথা ও লোকজ ঐতিহ্যকে ঘিরে রচিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরম্পরায় নতুন প্রজন্ম আমাদের হাজার বছরের লোকধারাকে আধুনিক কবিতার মাধ্যমে নতুন করে জানতে পারবে বলে মনে করছি।  তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি ‘মালঞ্চমালার ক্যাসেট’ পাঠককে ঐতিহ্য অনুসন্ধানে অনুসন্ধিৎসু করবে। যা আমাদের আরও বেশি বাঙালি চেতনাবোধে ঋদ্ধ করে তুলবে।  জাগতিক প্রকাশনার প্রকাশক রহিম রানা বলেন, কবি হিসেবে মীর রবি ইতোমধ্যে সাম্প্রতিক বাংলা কবিতায় এক বিশেষ স্থান পেয়েছেন। তার কবিতার বিষয় বস্তু, ভাষা নির্মাণ ও বাক্য বিন্যাস তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। বিশেষত কবিতায় মিথ ও লোকজ উপকরণের ব্যবহারে তিনি অত্যন্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন।  তিনি আরও বলেন, মীর রবির কবিতার বইয়ের প্রকাশক হিসেবে নয়, একজন পাঠক হিসেবেও আমি বলব, মীর রবির এই কবিতার বইটি পাঠকের জন্য অবশ্য পাঠ্য। পাঠক যেভাবে কবিতার বইটি ক্রয় করছেন তা সত্যি কবির জনপ্রিয়তাকে প্রমাণ করেছে।  জাগতিকের এই প্রকাশক জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই মীর রবির এই নতুন কবিতার বইটি গ্রন্থমেলায় জাগতিকের ৬৩১ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে অনলাইন বই বিপণন প্রতিষ্ঠান রকমারি, প্রথমাসহ অভিজাত বইয়ের দোকান থেকেও সংগ্রহ করা যাবে বইটি। বইটির দাম রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা মাত্র।  কবি মীর রবি সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য কবিদের একজন। পেশাগত জীবনে তিনি কাজ করেছেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তার প্রকাশিত কবিতার বই- ‘অ্যাকোয়ারিয়ামে মহীরুহ প্রাণ, ইরেজারে আঁকা ব্ল্যাক মিউজিক, ক্রস মার্কার, বুড়িগঙ্গা যহন কফিনে ঢুইকা যায়’ ও শিশু-কিশোর গল্পগ্রন্থ ‘এখানে ভূতের ভয় নেই’। তিনি কবিতার জন্য সিটি আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮ ও বেহুলাবাংলা বেস্ট সেলার বই সম্মাননা ২০১৯ পেয়েছেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রাণের মেলা / প্রতিদিনই আসছে নতুন বই
পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর বইমেলা। বইমেলার চতুর্থ দিন অর্থাৎ গতকাল রোববার বিকেল থেকে সব বয়সের পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নবীন-প্রবীণ অনেক লেখক এসেছিলেন মেলায়। তবে বইমেলায় তরুণ লেখকদের সমাগম বেশি। গল্প, উপন্যাস, কবিতার পাশাপাশি সংগীত, ভ্রমণ, বিজ্ঞান, চিকিৎসাসহ বিবিধ বিষয় নিয়ে তারা লিখছেন। মেলায় প্রতিদিনই আসছে নতুন বই। বই মেলায় ঘুরতে আসা তন্ময় দাশ বলেন, এবার মেলা শুরুর পর আজকেই প্রথম এলাম। বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে দেখছি; কিন্তু অধিকাংশ প্রিয় লেখকের বই এখনো আসেনি। তাই ভাবছি আবারও আসব মেলায়। মেলার পরিবেশটা ভালো লাগছে। নতুন বইয়ের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিবছর মেলায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটে বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। এতে বিক্রি যেমন হয়, তেমনি বইগুলো সম্পর্কে পাঠক জানতে পারে। গত বছর বইমেলায় সারা বছরের ২৫ শতাংশ বিক্রি হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন প্রকাশকরা। সারা বছর কম-বেশি বই প্রকাশ হলেও ব্যবসায়িক দিক বিবেচনায় লেখক ও প্রকাশকদের লক্ষ্য থাকে মেলার দিকে। বছরের অন্যান্য সময় হাতেগোনা কয়েকটি প্রকাশনা ছাড়া বাকিগুলো অলস সময় কাটায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রবণ প্রকাশনার প্রকাশক রবিন আহসান বলেন, মেলা ছাড়াও আমরা বই প্রকাশ করছি নিয়মিত। তবে বইমেলা এলে আমরা লেখকদের কাছ থেকে প্রচুর অনুরোধ পাই। যদিও সবার অনুরোধ রাখা সম্ভব হয় না। মান বিবেচনায় আমরা লেখা প্রকাশ করি। মুনাফা লাভ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা বইয়ের সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। তবে কিছু প্রকাশনা আছে যারা শুধু বইমেলাকেন্দ্রিক বই প্রকাশ করছে। এর অন্যতম কারণ মেলার সময় বই প্রকাশ করলে বেশিরভাগই বিক্রি হয়ে যায়। এতে প্রকাশকের বিনিয়োগকৃত টাকা অনেকটা উশুল হয়। বছরের অন্য সময় প্রকাশকেরা ঝুঁকি নিতে চান না।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বইমেলায় থাকছে তারকাদের নতুন বই
এবারের বইমেলায় সব মিলিয়ে প্রায় এক ডজন তারকার বই প্রকাশ হতে চলছে। এ তালিকায় রয়েছে নাটকের অভিনয়শিল্পী, সিনেমার তারকা ও সংগীতশিল্পীরাও।  বইমেলায় একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা আবুল হায়াতের নতুন উপন্যাস ‘অপমান’ আসছে। প্রকাশ করবে প্রিয় বাংলা প্রকাশন। এ প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, লেখালেখির সাথে অনেকদিন ধরেই যুক্ত আছি। কখনো কলাম, কখনো নাটক, কখনো গল্প লিখি। এবার লিখেছি উপন্যাস। আশা করছি, পাঠকদের ভালো লাগবে বলেও প্রত্যাশা তার।  মেলার প্রথম দিন থেকেই পাওয়া যাবে ক্লোজআপখ্যাত সংগীতশিল্পী পুতুলের উপন্যাস। বইটির নাম ‘কালো গোলাপ বৃত্তান্ত’। যা অনন্যা প্রকাশনী থেকে আসছে। এ ছাড়াও একাধিক তারকার বইও আসছে এ প্রকাশনী থেকে। নতুন উপন্যাস প্রসঙ্গে পুতুল বলেন, এটি আমার লেখা ষষ্ঠ উপন্যাস। আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত মেলার প্রথম দিন থেকেই পাঠকরা এটি পাবেন। প্রতি বছরের মতো এবারও নিয়ম করে মেলায় উপস্থিত থাকব, পাঠকদের মুখোমুখি হবো। পাঠকদের জন্য ‘কাজের মেয়ে’ নামে উপন্যাস নিয়ে আসছে চলচ্চিত্র নায়িকা ভাবনা। যা প্রকাশ করতে যাচ্ছে মিজান পাবলিশার্স। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লেখালেখি করতে ভালো লাগে। কাজের মেয়ে উপন্যাসটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে এটাই প্রত্যাশা। ‘ছায়াবন্দি মায়া’ উপন্যাস নিয়ে আসছে নাট্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য আনোয়ার। এটি প্রকাশ করবে মিজান পাবলিশার্স। মেলার প্রথমদিন থেকেই পাওয়া যাবে। ‘জলছবি’ উপন্যাস নিয়ে আসছে টিভি নাটকের নায়িকা ফারজানা ছবি। এটি তার প্রথম উপন্যাস। উপন্যাস প্রসঙ্গে ছবি বলেন, প্রথম উপন্যাস এবারের বইমেলায় আসছে। অনেক ভালোলাগা কাজ করছে। আশা করছি, নতুন বই নিয়ে পাঠকের সাথে দেখা হবে, কথা হবে। পাঠকরা ভালোভাবে গ্রহণ করলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানুর কবিতার বই প্রকাশ করছে আজব প্রকাশনী। বইটির নাম ‘অলৌকিক শব্দের ঘ্রাণ’। কবিতার বই প্রকাশ প্রসঙ্গে শানু বলেন, কবিতা আমার জীবনজুড়ে। কবিতা ও উপন্যাস দুটোই লিখি। ‘পূর্ণতা’ উপন্যাস নিয়ে আসছে বিদ্যা সিনহা মিম। যদিও উপন্যাসটি প্রকাশ হয়েছিল কয়েক বছর আগে। এবার নতুন প্রচ্ছদে, নতুন মুদ্রণ নিয়ে বইটি মেলায় আসছে। প্রকাশ করবে শব্দশিল্প। এ প্রসঙ্গে মিম বলেন, পূর্ণতা বেশ কয়েক বছর আগে প্রকাশ হয়েছিল। পাঠকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। এবার নতুনভাবে বইটি আসছে জেনে অনেক আনন্দিত। উপস্থাপিকা অধরা জাহান নিয়ে আসছেন ‘মুহূর্তরা জানে’ উপন্যাস। যা মেলায় প্রকাশ করছে সময় প্রকাশন। অভিনেতা ফারুক আহমেদ গত বছর প্রথম লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এবারও তার নতুন বই প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের মেলায় বিনোদন সাংবাদিকদেরও নতুন বই প্রকাশ হতে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে  রয়েছে-তানভীর তারেকের ‘শেষ ভ্রমণের আগে’। এটি প্রকাশ করবে অন্য প্রকাশ। এটি গল্পের বই। ১২টি গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। মাহতাব হোসেনের লেখা ‘রাজপুত’ উপন্যাস প্রকাশ করতে যাচ্ছে অনিন্দ্য প্রকাশ।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

নতুন বই নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না খাদিজার
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে। নিহত ছাত্রী খাদিজা সুলতানা (১১) উপজেলার রাঘনা বটুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ফুলতলা ইউনিয়নের বিরইনতলা গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির কুলসুমা বেগম (১৪) নামে আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বটুলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা সুলতানা ও নবম শ্রেণির কুলসুমা বেগম সকালে বিদ্যালয়ে যান ভর্তি হতে। ভর্তি শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যালয়ের সামনের ফুলতলা টু বটুলী আঞ্চলিক মহাসড়কে বেপোরোয়া মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুজন শিক্ষার্থী সড়ক থেকে পাশের খাদে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার পর খাদিজা সুলতানা ও কুলসুমা বেগম বেশ কিছু সময় সড়কের পাশের খাদে পড়েছিল। পরে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খাদিজা সুলতানাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত কুলসুমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ সড়ক দুর্ঘটনায় এক ছাত্রী নিহত ও আরেক শিক্ষার্থী আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার এসআই ফরহাদ মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের নতুন বই দিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প এবং দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নতুন বছরের বই দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সোমবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদ জমাদ্দার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন। গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ঢাকার পাঁচটি জোনের প্রায় ৪০০ ও ৩৪ দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রায় ৫০ শিক্ষার্থী নতুন বই পেয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে গণশিক্ষা কেন্দ্রের ৭৩ হাজার ৭৬৮ প্রাক-প্রাথমিক ও কোরআন শিক্ষাকেন্দ্রে প্রায় ২৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৪ এবং এক হাজার ১০ দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে বই দেওয়ার মাধ্যমে ‘বই উৎসব ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

কুমিল্লায় নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা
সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়াতেও বছরের প্রথম দিনে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা।  সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে এই বই উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহারুল ইসলাম।  মাধ্যমিকের ৪০টি বিদ্যালয়ের ১৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা দাখিলসহ এবতেদায়ি ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ির ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাদ্রাসা এবতেদায়ির ৮ হাজার ৯৬০ শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসা দাখিলসহ ৬ হাজার ৯৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে এই নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে উপজেলার ১০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ হাজার শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই উৎসবের বই বিতরণ করা হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল করিম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারভীন আক্তার প্রমুখ।
০১ জানুয়ারি, ২০২৪
X