পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর বইমেলা। বইমেলার চতুর্থ দিন অর্থাৎ গতকাল রোববার বিকেল থেকে সব বয়সের পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নবীন-প্রবীণ অনেক লেখক এসেছিলেন মেলায়। তবে বইমেলায় তরুণ লেখকদের সমাগম বেশি। গল্প, উপন্যাস, কবিতার পাশাপাশি সংগীত, ভ্রমণ, বিজ্ঞান, চিকিৎসাসহ বিবিধ বিষয় নিয়ে তারা লিখছেন। মেলায় প্রতিদিনই আসছে নতুন বই।
বই মেলায় ঘুরতে আসা তন্ময় দাশ বলেন, এবার মেলা শুরুর পর আজকেই প্রথম এলাম। বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে দেখছি; কিন্তু অধিকাংশ প্রিয় লেখকের বই এখনো আসেনি। তাই ভাবছি আবারও আসব মেলায়। মেলার পরিবেশটা ভালো লাগছে। নতুন বইয়ের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিবছর মেলায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটে বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। এতে বিক্রি যেমন হয়, তেমনি বইগুলো সম্পর্কে পাঠক জানতে পারে। গত বছর বইমেলায় সারা বছরের ২৫ শতাংশ বিক্রি হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন প্রকাশকরা। সারা বছর কম-বেশি বই প্রকাশ হলেও ব্যবসায়িক দিক বিবেচনায় লেখক ও প্রকাশকদের লক্ষ্য থাকে মেলার দিকে। বছরের অন্যান্য সময় হাতেগোনা কয়েকটি প্রকাশনা ছাড়া বাকিগুলো অলস সময় কাটায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রবণ প্রকাশনার প্রকাশক রবিন আহসান বলেন, মেলা ছাড়াও আমরা বই প্রকাশ করছি নিয়মিত। তবে বইমেলা এলে আমরা লেখকদের কাছ থেকে প্রচুর অনুরোধ পাই। যদিও সবার অনুরোধ রাখা সম্ভব হয় না। মান বিবেচনায় আমরা লেখা প্রকাশ করি। মুনাফা লাভ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা বইয়ের সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। তবে কিছু প্রকাশনা আছে যারা শুধু বইমেলাকেন্দ্রিক বই প্রকাশ করছে। এর অন্যতম কারণ মেলার সময় বই প্রকাশ করলে বেশিরভাগই বিক্রি হয়ে যায়। এতে প্রকাশকের বিনিয়োগকৃত টাকা অনেকটা উশুল হয়। বছরের অন্য সময় প্রকাশকেরা ঝুঁকি নিতে চান না।