বিয়ের খরচ বাঁচিয়ে বই উপহার দিলেন নবদম্পতি
বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণ না করে সেই অর্থ বাঁচিয়ে চার শতাধিক কলেজ শিক্ষার্থীর মাঝে বই উপহার দিয়েছেন মাধব-সাথী দম্পতি।  বাগেরহাটের চিতলমারীর কালিদাস বড়াল ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মাধব ব্রহ্ম ও সাথী ঢালী কয়েক দিন আগে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের দিনই ওই দম্পতি সিদ্ধান্ত নেন তাদের বিবাহ অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য তাদের পঠিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই উপহার দেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে কালিদাস বড়াল ডিগ্রি কলেজের নগেন্দ্র-মধুমালা মিলনায়তনে ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কালিদাস বড়াল ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চিতলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল।  এ সময় মাধব-সাথী দম্পতি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে কলেজের সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন লেখকের বই তুলে দেন। এমন একটি ব্যতিক্রম আয়োজনের মাধ্যমে কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী দম্পতির কাছ থেকে বই উপহার পেয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে কালিদাস বড়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার রায় বলেন, কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাধব ব্রহ্ম ও সাথী ঢালীর এ ব্যতিক্রমী আয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনুস্মরণীয় দৃষ্টান্ত। যা শিক্ষার্থীদের বই পড়তে ও আলোকিত মানুষ হতে উদ্বুদ্ধ করবে। মাধব চন্দ্র ব্রাহ্মণ বলেন, বিয়ের পর সবাই তো বউভাতে দাওয়াত করে খাওয়ানোর আয়োজন করে। আমার ইচ্ছে ছিল খাবারের আয়োজনে অনেক বেশি খরচ না করে, আমি ও আমার স্ত্রী যেসব স্কুলে-কলেজে পড়েছি, সেখানের সব বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে একটি করে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বই উপহার দেব। সেই চিন্তা থেকে আমি আর আমার স্ত্রী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করি।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বিয়ের পর জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নবদম্পতি
প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ও পারিবারিক অত্যাচারে পালিয়ে বিয়ে করার কারনে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এক নব দম্পত্তি। প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করার কারনে মেয়ের পরিবার থেকে হয়রানি করা হচ্ছে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ তুলেছেন সেই দম্পত্তি। তারা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ৭নং কাজীরবেড় ইউনিয়নের সামন্তা বাজারের মো: নজরুল ইসলামের ছেলে মো: আব্দুর রহিম ও একই গ্রামের মো: নুর হোসেন এর মেয়ে মোছা: নুসরাত জাহান তন্নী। বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ তুলে ধরেন নবদম্পতি। এসময় আব্দুর রহিম জানান, আমার সাথে তার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক থাকে, সম্পর্কের কথা পারিবারিক ভাবে জানালে, মেয়ের পরিবার অসম্মতি জানায়। এখন আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে, আমরা দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু এখনও পারিবারিক চাপে প্রতি মূহুর্তেই আমাকে মৃত্যু ভয়ে থাকতে হচ্ছে, যেকোন মূল্যে তারা আমাকে হত্যা করবে। এর আগেও তারা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করেছে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমদের কাছে সব কিছুর প্রমাণ আছে, আমাদের কাবিননামা হয়ে গেছে, তার ভিত্তিতে আমরা কোর্টে একটি এফিডেভিটও করেছি। এ বিষয়ে নুসরাত জাহান তন্নী অভিযোগ করে বলেন, আব্দুর রহিম আমার বাসার হোম টিউটর ছিলেন, সেখান থেকেই আমাদের সম্পর্ক হয়। সেটি সে আমার বাসায়ও জানায়, কিন্তু বাসা থেকে কেউ মেনে নেয়নি এরপর আমার পরিবার আমার কলেজ যাওয়াও বন্ধ করে দেয়, আমার ফোনও নিয়ে নেয়। এভাবে আমাকে বাসায় ১৪ দিন রাখার পরে নানি বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। গত পরশু দিন আমার ভাই (আব্দুল্লাহ আল মামুন) ও আমার মামা আমাকে অত্যাচার করে। আমার ভাই আমাকে প্রতিরাতে কিসের ওষুধ খাওয়ায় তা আমি নিজেও জানি না। শুধু বলে ঘুমের ওষুধ, কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পরে কখনোই আমার ঘুম আসতো না। তখন জোর করে আমার হাত-মুখ বেধে একটি ইনজেকশন দেয়। পরে ভাই মামাকে বলে ওকে দেখে রেখো,আমি গাড়ী নিয়ে আসছি, তখন আমি বুঝতে পারি আমর ক্ষতি হতে যাচ্ছে। তখন আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগ করে পালিয়ে এসে আমরা স্বইচ্ছায় বিয়ে করি। বর্তমান সমস্যার কথা তুলে ধরে নব-দম্পত্তিরা জানান, আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, আমরা চাই সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে। আমরা প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমরা নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চাই। এ বিষয়ে নুসরাত জাহান তন্নির ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত পরশু থেকে আমার বোনকে খুঁজে পাচ্ছিনা, আমরা এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগও করেছি, তবে আমার বোন যে অত্যাচারের অভিযোগ করেছে এ বিষয়টি সত্য নয়। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, যেহেতু মেয়েটি আলমডাঙ্গা থানা থেকে নিখোজ হয়েছেন, সে কারনে পরিবারের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেহেতু ছেলে ও মেয়ের বাড়ি মহেশপুর থানায় বিষয়টি আমাদেরকে অবগত করা হয়েছে। আমরা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজ করছি।
১২ অক্টোবর, ২০২৩
X