অন্তর্বাস না পরায় নারীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি
অন্তর্বাস না পরায় বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে এমন অভিযোগ করেছেন এক নারী যাত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস ডেলটা এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে তিনি এ অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার শিকার ওই নারীর নাম লিসা আর্চবোল্ড। তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন ঢিলেঢালা জিনসের প্যান্টের সঙ্গে তিনি সাদা টি শার্ট পরেছিলেন। তবে তার পরনে তখন কোনো অন্তর্বাস ছিল না। ফলে এয়ারলাইনসের এক নারী কর্মী তাকে ঠিকঠাকভাবে বুক আবৃত করতে বলেন।  লিসার অভিযোগ, তার স্তন দেখা না গেলেও তাকে হেনস্তা করা হয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। এ ঘটনায় ইউএস ডেলটা এয়ারলাইনসের শীর্ষ কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। তার সঙ্গে বৈষম্যমূলক নীতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসকো জকি বা ডিজে পেশায় কর্মরত  নারী ইউটাহের সল্ট লেক থেকে সান ফ্রান্সিসকো যাচ্ছিলেন। সেদিনের ‍দুর্বিষহ স্মৃতিচারণ করে লিসা বলেন, ঘটনার দিন মনে হচ্ছিল যে আমাকে যেন বিশেষ কোনো তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।  এয়ারলাইনসের সেই নারী কর্মীর আচরণের কথা জানিয়ে লিসা বলেন, তিনি আমাকে বিমানের বাইরে এমনভাবে গালাগাল করছিলেন যেন মনে হচ্ছিল আমি তার দৃষ্টিতে পরিপূর্ণ নারী না। আমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য তিনি এ নাটক দাঁড় করিয়েছেন।  নারী যাত্রীর অভিযোগ, সংস্থাটির নারী কর্মী তাকে বলেছেন যে তার পোশাকে দেহ ভঙ্গিমা ফুটিয়ে তুলেছে। এটি আপত্তিজনক। তিনি টি শার্টের ওপর জ্যাকেট না পরলে তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।  লিসার আইনজীবী জানান, আমি যাচাই করে দেখেছি যে তালেবানরা ডেলটা এয়ারলাইনসের পরিচালনা করছে না। তাহলে এমন আচরণ কেন? তিনি আরও বলেন, স্তন কোনো অস্ত্র নয়। কোনো নারী বা তরুণীর স্তন থাকা অপরাধও নয়। এ ঘটনা মামলা দায়েরের প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। 
২৯ মার্চ, ২০২৪

গলা নামিয়ে দেওয়ার হুমকি : শাজাহান খানের ছেলে আসিবুরকে শোকজ
‘নৌকার বাইরে গিয়ে কেউ কোনো কথা বললে তার গলা নামিয়ে দেওয়া হবে’ - এমন হুমকি দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ (রাজৈর-সদর একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।    নোটিশে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। মাদারীপুর জেলায় তিনটি আসনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন করা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মো. শরিফুল হকের সই করা নোটিশ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) আসিবুর রহমান খানের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিচারকের পেশকার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। আসিবুর রহমান খানের ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভাইরাল ভিডিও দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়। ভিডিওতে ভোটারদের উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘নৌকার বাইরে যদি একজনও কোনো রকম কথা বলে, ইভেন গলা উঁচু করে কথা বলার চেষ্টা করে, আমি তাদের বলতে চাই, আপনাদের গলা আমরা কীভাবে নামাব, সেটা আমরা ভালো করেই জানি।’ নোটিশ অনুযায়ী, এমন বক্তব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮–এর ১১(৫) ও ১২ বিধির পরিপন্থি। নির্বাচনের আগে এমন বক্তব্য নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বক্তব্য দিয়ে তিনি (আসিবুর রহমান খান) কী বোঝাতে চেয়েছেন বা এমন বক্তব্য কেন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে না, সে বিষয়ে সশরীরে হাজির হয়ে রোববার বেলা ১১টার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। এ সম্পর্কে সহকারী রিটার্নিং ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাননী খান বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (আসিবুর রহমান খান) মাদারীপুর-৩ আসনে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে ভিডিও চিত্রের সিডিসহ তথ্য প্রমাণ পাঠানো হয়েছে। কমিটি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।  গত সোমবার রাতে মাদারীপুর-৩ (কালকিনি, ডাসার ও সদর একাংশ) আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া ওরফে গোলাপের পক্ষে নৌকায় ভোট চাইতে গিয়ে আসিবুর রহমান খান ওই বক্তব্য দেন। আসিবুর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩
X