২১ ফেব্রুয়ারিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জঙ্গি হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির তথ্য না থাকলেও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিএমপির নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ১২টার পর প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, পলাশী মোড় থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শহীদ মিনারে ৪ স্তরে নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন থাকবে বোম ডিসপোজাল, সোয়াত টিম, টহল, ড্রোন, সাইবার প্যাট্রলিং। কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ডিএমপি জানিয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও এর আশপাশে প্রবেশের অন্তত ১৩টি সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় বিকল্প সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

২১ ফেব্রুয়ারি ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার 
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জঙ্গি হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির তথ্য না থাকলেও জোরদার করা হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডিএমপির নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনে তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ১২টার পর প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনৈতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। পলাশী মোড় থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শহীদ মিনারের প্রত্যেকটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো থাকবে। যারাই আসবেন আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। শহীদ মিনারে ৪ স্তরে নিরারাপত্তাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন থাকবে বোম ডিস্পোজাল, সোয়াত টিম, টহল দল, ড্রোন, সরাইবার প্যাট্রোলিং।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিরাপত্তা ঝুঁকি কংগ্রেসওম্যানকে জানাল যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদ
যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের বাংলাদেশ ককাস সদস্য কংগ্রেসওম্যান গ্রেইস মেংকে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা অবহিত করেছেন সেখানকার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ফ্রেস মিডোজে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে এ কথা জানায় ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ঐক্য পরিষদ বলেছে, উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তি ঠেকাতে সরকারকে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। নির্বাচনকে ইস্যু করে কেউ যাতে দেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিতারণের মনোবাসনা পূরণে কোনো অশুভ তৎপরতা চালাতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। গ্রেইস মেং বলেন, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চত করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্ব দেয়। নির্বাচনকালে তো বটেই, সংখ্যালঘু নির্যাতন সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে মার্কিন কংগ্রেসে ককাসের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও তিনি আশ্বাস দেন। তিনি আরও বলেন, আমি আন্তরিকভাবে চাই বাংলাদেশে যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে সংখ্যালঘুসহ দেশের সব নাগরিক নিরাপদে অংশগ্রহণ করতে পারে। বৈঠকে ঐক্য পরিষদের নেতারা আরও বলেন, প্রধানত দুই কারণে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলÑআওয়ামী লীগ এবং বিএনপির রাজনৈতিক আঁতাত ও মোর্চা গঠন। দ্বিতীয়টি হলো সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় না আনা। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বিএনপি-জামায়াত সরকার যে বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল, সেসব ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে দুই হাজার ৬০০ অপরাধীর নাম রয়েছে। প্রতিবেদনটি ২০১১ সালে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও তালিকায় নাম থাকা কারও বিচার হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা ড. দিলীপ নাথের বাড়িতে আয়োজিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, রূপকুমার ভৌমিক, ডক্টর দিলীপ নাথ, ভজন সরকার, ভবতোষ মিত্র, প্রণবেন্দু চক্রবর্তী, সুশীল সিনহা ও ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

দেশের সংখ্যালঘু নিরাপত্তা ঝুঁকি মার্কিন কংগ্রেসওম্যানকে জানাল ঐক্য পরিষদ
যুক্তরাষ্ট্র হাইজ অফ রেপ্রেজেন্টেটিভের বাংলাদেশ ককাস সদস্য কংগ্রেসওম্যান গ্রেইস মেং-কে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন সেখানকার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তারা বলেছেন, উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তিকে ঠেকাতে আগে থেকেই সরকারের প্রস্তুতি থাকতে হবে। যেন নির্বাচন ইস্যুকে সামনে রেখে দেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিতারণের মনোবাসনা পূরণের জায়গা থেকে কোন অশুভ তৎপরতা চালাতে না পারে। কোথাও যেন সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা না ঘটে। জবাবে গ্রেইস মেং বলেন, সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চত করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচনা করে। নির্বাচনকালে তো বটেই, সংখ্যালঘু নির্যাতন সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে তিনি মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশে ককাসের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও আশ্বাস দেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ফ্রেস মিডোজে ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত বৈঠকে এসব বিষয় ওঠে আসে। পরে সংগঠনটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা ড. দিলীপ নাথের বাড়িতে আয়োজিত সভায় অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, রূপকুমার ভৌমিক, ডক্টর দিলীপ নাথ, ভজন সরকার, ভবতোষ মিত্র, প্রণবেন্দু চক্রবর্তি, সুশীল সিনহা ও ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য মার্কিন কংগ্রেসওম্যানের কাছে বাংলাদেশে ধারাবাহিক চলা সংখ্যালঘু নির্যাতনে ঘটনা তুলে ধরেন। তারা বলেন, এই নির্যাতন কারা করছে, তাদের উদ্দেশ্য কী, এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধ করতে এ পর্যন্ত কোন সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সেসব বিষয়েও কংগ্রেসওম্যানকে বলা হয়। বক্তারা কংগ্রেসওম্যানকে বলেন, তাদের মতে প্রধানত দুই কারণে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক আঁতাত ও মোর্চা গঠন; আর দ্বিতীয়টি হল সংখ্যালঘু নির্যাতক ঐসব ধর্মীয় উগ্রপন্থী ও মৌলবাদীদের তোষণ করার জন্য তাদের কখনও বিচারের আওতায় না আনা। ২০০১ -২০০৬ সালের ঘটনা উল্লেখ করে তারা বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বিএনপি-জামায়াত সরকার যে বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল, সেসব ঘটনার তদন্তের ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্টে সরাসরি বিচারযোগ্য ২ হাজার ৬০০ অপরাধীর নাম রয়েছে। যা ২০১১ সালে সাহাবুদ্দীন কমিশন সরকার প্রধানের কছে হস্তান্তর করা হয়, তাদেরও কারও বিচার সরকার করেনি, যা সন্ত্রাসীদের সহিংসতার মাধ্যমে দেশ থেকে সংখ্যালঘু বিতাড়নে উৎসাহ যোগাচ্ছে বলেও তারা দাবি করেন। কংগ্রেসওম্যান গ্রেইস মেং বলেন, তিনি অন্তরিকভাবে চান যে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। যাতে সংখ্যালঘু নাগরিকসহ দেশের সব নাগরিক নিরাপদে অংশগ্রহণ করতে পারে।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

নিরাপত্তা ঝুঁকি কাটেনি ঢাকার নিম্ন আদালতে
এক বছর আগে ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। সমালোচনার মুখে পড়ে আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ঘটনায় আট পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আদালত চত্বরে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। বছর ঘুরতেই আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তার ঢিলেঢালা চিত্র দেখা গেছে। তল্লাশি ছাড়াই অবাধে প্রবেশ করছে মানুষ। নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণে জঙ্গিদের নিয়মিত আদালতে হাজির করা হয় না বলেও জানা গেছে। সরেজমিন আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায়, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান গেটের বাম পাশে পুলিশ সদস্যরা বসে পাহারা দিলেও তল্লাশি ছাড়াই অবাধে অনেকে প্রবেশ করছেন। মোটরসাইকেল, রিকশা ও প্রাইভেটকার নিয়েও ভেতরে প্রবেশ করেন কেউ কেউ। সিএমএম আদালতের সামনে জটলা করে খোশগল্পেও মেতে থাকতে দেখা গেছে লোকজনকে। ঢাকা জজকোর্ট ও সিজেএম আদালতের প্রধান গেটের এক অংশ খোলা থাকলেও পুলিশের কোনো পাহারা দেখা যায়নি। এতে অনায়াসেই আদালত চত্বরে প্রবেশ করে সাধারণ মানুষ। জজকোর্ট ও সিজেএম কোর্ট প্রাঙ্গণের ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকান অপসারণ করা হলেও সিএমএম আদালতের হাজত থানার সামনের দোকানটি সচল। এ দোকানের পাশের গেট দিয়েই জঙ্গি আসামিদের আদালতে নেওয়া হয়। জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর পুলিশের ওপর পিপার স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলার পর ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ১৭ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। কোতোয়ালি থানার ওসি শাহিনুর রহমান দৈনিক কালবেলাকে বলেন, ‘আদালতে হাজারো বিচার প্রার্থী আসেন। সে তুলনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আদালত প্রাঙ্গণে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। আদালতের পেছনে আবাসিক এলাকা রয়েছে। তারা আদালত প্রাঙ্গণের মধ্য দিয়ে গাড়ি, রিকশা নিয়ে যাতায়াত করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের চেক করলে অসন্তুষ্ট হন। আইনজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারাও বিষয়টি ভালোভাবে নেন না; বরং পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এগুলোর কারণে নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকে যায়।’ ডিএমপির লালবাগ জোনের ডিসি জাফর হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘আসামি আদালতে তোলা, নামানো এসব কাজ ডিসি প্রসিকিউশন বিভাগ করে। আমরা আদালতের বাইরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কাজ করি। নিরাপত্তার জন্য আদালতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। যে কোনো অপরাধের ঝুঁকি সবসময় থাকে। তবে আমরা সবকিছু মাথায় রেখে সেই অনুযায়ী নিরাপত্তার পরিকল্পনা গ্রহণ করি।’ ডিএমপির অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রসিকিউশন বিভাগ) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘আদালতের ভেতরে আমাদের কাজ। বিশেষ কোনো কিছু থাকলে নিরাপত্তার জন্য অবহিত করা হয়।’
২০ নভেম্বর, ২০২৩

হাজি সাবের আহম্মেদ ডকইয়ার্ড / ডিপোতে নিরাপত্তা ঝুঁকি
ডিপোতে আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার সংরক্ষণে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঘাটতি ধরা পড়েছে। অফডকের ভেতরে সাধারণ পণ্যের কনটেইনারের পাশেই রাখা হচ্ছে বিপজ্জনক দাহ্য পদার্থের কনটেইনার। সেখানেই আবার গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো চলে লোকজনের অবাধ ধূমপান। সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ পরিদর্শন ও তদন্ত প্রতিবেদনে এমন ঝুঁকিপূর্ণ ডিপো শনাক্ত হয়েছে। নিরাপত্তা ঘাটতির দায়ে অভিযুক্ত এই ডিপোর নাম হলো চট্টগ্রাম কালুরঘাটের হাজি সাবের আহম্মেদ টিম্বার কনটেইনার ইয়ার্ড। এতে মোট ১১ ধরনের নিরাপত্তা ঘাটতি চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা। তাদের আশঙ্কা, যে কোনো সময় এই ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান দপ্তরে পাঠানো গোয়েন্দা দপ্তর থেকে পাঠানো এ প্রতিবেদনে অতিসত্বর এখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়। অন্যথায় এই অফডকের লাইসেন্স বাতিল করারও সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে দমকল বাহিনীর কর্মীসহ অর্ধশতাধিক কর্মী প্রাণ হারান। এতে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকে এখন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তবে উদ্বেগের কারণ হলো, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরও সতর্ক হননি ডিপো মালিকরা। বিশেষত হাজি সাবের আহম্মেদ টিম্বার কনটেইনার ইয়ার্ড লিমিটেডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে একেবারেই ঢিলেঢালা। এই অফডকের ভেতরে সাধারণ কনটেইনারের পাশাপাশি রাখা হচ্ছে বিপজ্জনক কনটেইনার। বিপজ্জনক জেনেও ডিপোর ভেতরে ধূমপান থেকে শুরু করে ঘোড়াও লালন-পালন করা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এখানে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখা হয়নি এই কনটেইনার ডিপোতে। এ ছাড়া নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীদের নেই কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ। ডিপোর ভেতরে ৫৫টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে ৫টিই অচল রয়েছে, যেগুলো সচল সেগুলোরও সিসিটিভির ফুটেজ মনিটরিং করা হয় না। এ ছাড়া কনটেইনার ডিপোর উত্তর পাশের বাউন্ডারি দেয়াল পর্যাপ্ত উঁচু নয়। এখানে চারটি ওয়াচ টাওয়ার থাকলেও দায়িত্ব পালন করে না কোনো নিরাপত্তা কর্মী। এক্সেস কন্ট্রোল এবং স্ক্যানিংয়েও রয়েছে ঘাটতি। ডিপোর দুটি গেটে মেটাল ডিটেক্টর, বডি স্ক্যানার, ভেহিক্যাল স্ক্যানার, এস্কট সার্ভিসেরও ব্যবহার হয় না। সবশেষ এই ডিপোতে ২০২২ সালের ৮ নভেম্বরের পর আর কোনো অগ্নি মহড়া হয়নি। ৩০ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও তাদের কারও ফায়ার ফাইটিং বিষয়ে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। নেই আইসিডির নিরাপত্তায় এসওপি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত এই ডিপোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির মাধ্যমে ইনসপেকশন হয়নি। প্রতিটি ডিপোতে রাত্রীকালীন টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলেও সাবের আহম্মেদ কনটেইনার ইয়ার্ডে তা হয় না। আর লোকজন ডিপোর ভেতরে ধূমপান করে, যার প্রমাণ হিসেবে যত্রতত্র দিয়াশলাইয়ের কাঠিও পাওয়া গেছে ভেতরে।
২৮ জুলাই, ২০২৩
X