কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০১ পিএম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেশের সংখ্যালঘু নিরাপত্তা ঝুঁকি মার্কিন কংগ্রেসওম্যানকে জানাল ঐক্য পরিষদ

কংগ্রেসওম্যান গ্রেইস মেং এর সাথে যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সৌজন্য ছবি
কংগ্রেসওম্যান গ্রেইস মেং এর সাথে যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সৌজন্য ছবি

যুক্তরাষ্ট্র হাইজ অফ রেপ্রেজেন্টেটিভের বাংলাদেশ ককাস সদস্য কংগ্রেসওম্যান গ্রেইস মেং-কে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন সেখানকার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

তারা বলেছেন, উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তিকে ঠেকাতে আগে থেকেই সরকারের প্রস্তুতি থাকতে হবে। যেন নির্বাচন ইস্যুকে সামনে রেখে দেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিতারণের মনোবাসনা পূরণের জায়গা থেকে কোন অশুভ তৎপরতা চালাতে না পারে। কোথাও যেন সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা না ঘটে।

জবাবে গ্রেইস মেং বলেন, সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চত করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচনা করে। নির্বাচনকালে তো বটেই, সংখ্যালঘু নির্যাতন সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে তিনি মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশে ককাসের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ফ্রেস মিডোজে ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত বৈঠকে এসব বিষয় ওঠে আসে। পরে সংগঠনটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা ড. দিলীপ নাথের বাড়িতে আয়োজিত সভায় অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, রূপকুমার ভৌমিক, ডক্টর দিলীপ নাথ, ভজন সরকার, ভবতোষ মিত্র, প্রণবেন্দু চক্রবর্তি, সুশীল সিনহা ও ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য মার্কিন কংগ্রেসওম্যানের কাছে বাংলাদেশে ধারাবাহিক চলা সংখ্যালঘু নির্যাতনে ঘটনা তুলে ধরেন।

তারা বলেন, এই নির্যাতন কারা করছে, তাদের উদ্দেশ্য কী, এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধ করতে এ পর্যন্ত কোন সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সেসব বিষয়েও কংগ্রেসওম্যানকে বলা হয়।

বক্তারা কংগ্রেসওম্যানকে বলেন, তাদের মতে প্রধানত দুই কারণে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক আঁতাত ও মোর্চা গঠন; আর দ্বিতীয়টি হল সংখ্যালঘু নির্যাতক ঐসব ধর্মীয় উগ্রপন্থী ও মৌলবাদীদের তোষণ করার জন্য তাদের কখনও বিচারের আওতায় না আনা।

২০০১ -২০০৬ সালের ঘটনা উল্লেখ করে তারা বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বিএনপি-জামায়াত সরকার যে বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল, সেসব ঘটনার তদন্তের ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্টে সরাসরি বিচারযোগ্য ২ হাজার ৬০০ অপরাধীর নাম রয়েছে। যা ২০১১ সালে সাহাবুদ্দীন কমিশন সরকার প্রধানের কছে হস্তান্তর করা হয়, তাদেরও কারও বিচার সরকার করেনি, যা সন্ত্রাসীদের সহিংসতার মাধ্যমে দেশ থেকে সংখ্যালঘু বিতাড়নে উৎসাহ যোগাচ্ছে বলেও তারা দাবি করেন।

কংগ্রেসওম্যান গ্রেইস মেং বলেন, তিনি অন্তরিকভাবে চান যে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। যাতে সংখ্যালঘু নাগরিকসহ দেশের সব নাগরিক নিরাপদে অংশগ্রহণ করতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এখনো যমুনার সামনে অবস্থানে বিক্ষোভকারীরা

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিশুরা

আগুনে ঘি ঢালা নয়, শান্তি চাই : এরদোয়ান

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

আরব সাগরে ভারতের অভিযান, টার্গেটে পাকিস্তান

০৯ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

০৯ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

অবশেষে গ্রেপ্তার সাবেক মেয়র আইভী

১৭ দিন পর রাজশাহী পলিটেকনিকে খুলল তালা

শেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীদের স্লোগান, প্রধান শিক্ষককে শোকজ

১০

স্বাস্থ্য পরামর্শ / মায়ের গর্ভেই থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয় পদ্ধতি

১১

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

১২

মরদেহ দাফনের পাঁচদিন পর বাবা জানলেন সন্তান জীবিত

১৩

দেশজুড়ে ভারতের ২৪টি বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

১৪

সাবেক মেয়র আইভীকে আটকের খবরে বাড়ি ঘেরাও

১৫

পাকিস্তানের মিসাইল বৃষ্টি, অন্ধকার ভারত

১৬

ভারতের প্রত্যাঘাত ছিল অ-উত্তেজক ও সুনির্দিষ্ট : বিক্রম মিশ্রি

১৭

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান

১৮

দৌলতপুরে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ পরিবারের দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা বকুল

১৯

সরকারি বাঙলা কলেজে দ্বিতীয় আন্তঃবিভাগ বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত

২০
X