তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র কার্যকর 
তিন টেকনোক্র্যাটমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাদের পদত্যাগ কার্যকর করা হয়েছে বলে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে তিন উপদেষ্টার পদত্যাগপত্রও গ্রহণ করা হয়েছে। ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর গত ১৯ নভেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দেন। তারা তিনজনই ছিলেন টেকনোক্র্যাটমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। একই সঙ্গে সেদিন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনজনের পদত্যাগের পর এখন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মোট সদস্য ৪৪ জন। এরমধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। তপশিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩

পদত্যাগপত্র কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করেছি : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টেকনোক্র্যাট কোটার তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, পদত্যাগপত্র কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কতজন পদত্যাগ করেছেন এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।  তিনি বলেন, আপনারা জানেন, পদত্যাগপত্র দিলেও তা কার্যকর করার জন্য একটা পদ্ধতি আছে। সেই প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই তা কার্যকর হবে। কোন তিন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন- এমন প্রশ্নে মাহবুব বলেন, অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
২০ নভেম্বর, ২০২৩

পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিন মন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর উপেদষ্টারা পদত্যাগ করেননি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সাতজন উপদেষ্টাকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়েছিল। এরপর আজ বিকেলে তারা পদত্যাগ করেছেন। বর্তমানে সরকারের মন্ত্রীপরিষদে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়কমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ করছে। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার জন্য চিঠি দিয়েছিল। এবারও তারা কাজ করছেন। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম কালবেলাকে জানান, সংবিধানের নিয়ম মেনে মন্ত্রিসভা ছোট করার অংশ হিসেবে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (আইন-১) নজরুল ইসলাম সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে শুনেছি। তবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না সেটা জানি না। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। মন্ত্রিপরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে যারা সংসদ সদস্য নন, তাদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেছে ১৫ নভেম্বর। ৪ দিনের মাথায় ১৯ নভেম্বর টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের খবর পাওয়া গেল। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ উপমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ৪৮ জন। তিনজনের পদত্যাগের ফলে সংখ্যাটি কমে ৪৫-এ দাঁড়াল।
১৯ নভেম্বর, ২০২৩
X